Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

২৭
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা! তাই তিনি আজ বড়ই ব্যস্ত। সমস্ত কর্ম শেষ করতে হবে খুব শীঘ্রই। হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা বছর। তারপরই শেষ হবে এপারের সমস্ত খেলা।
সাল ১৮৯৯, ৮ সেপ্টেম্বর। উইল করলেন মহর্ষি। ওড়িশার সম্পত্তি পেলেন তৃতীয় পুত্র হেমেন্দ্রনাথ। দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ— তিনজনে মিলে পেলেন নদীয়ার বিরাহিমপুর ও রাজশাহীর কালীগ্রাম। কনিষ্ঠভ্রাতা নগেন্দ্রনাথের স্ত্রী ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিঃসন্তান, তাই মাসিক বারোশো পঞ্চাশ টাকা তাঁর জন্য ধার্য হল। সব মিলিয়ে ঠাকুর পরিবারের তহবিল থেকে এর জন্য খরচ নির্ধারিত হয়েছিল বাহান্ন হাজার চারশো টাকা।
সাল ১৯০৫। ঠাকুর পরিবারে আবার এক আঘাত নেমে এল। পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর সেই মৃত্যুর হাত ধরেই পরিবারে প্রবেশ করল বিচ্ছেদ-বেদনা। জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের বিখ্যাত সন্তানরা ছড়িয়ে পড়লেন নানা দিকে। পিতার উইল অনুসারে জমিদারির মালিক হলেন তিনজন— দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর উইল অনুসারে মাসে পেতেন মাত্র বারোশো পঞ্চাশ টাকা।
পিতার মৃত্যুর ঠিক তিন বছর বাদে ১৯০৮ সালে স্বেচ্ছা নির্বাসনকেই বরণ করে নিলেন ঠাকুর পরিবারের অন্যতম আর এক কৃতী, সুদর্শন সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি একদিনে ছিঁড়ে ফেললেন সমস্ত মায়ার বন্ধন! কেন এই অহেতুক অভিমান! তিনিও কী তাঁর বারো বছরের ছোট প্রাণাধিক প্রিয় ভাইকে নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করতেন! না! এ ব্যাপারে দুপক্ষের কেউই কিছু লিখে রেখে যাননি। ফলে পুরোটাই রয়ে গেল অন্ধকারে, কালের খাতায় চিরতরে বন্দি হয়ে!
বারোশো পঞ্চাশ টাকা— এই সামান্য অর্থ সম্বল করে পিতার মৃত্যুর তিনবছর পর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকো থেকে চিরবিদায় নিলেন। তিনি চলে গেলেন রাঁচিতে। মোরাবাদী পাহাড়ে নবনির্মিত শান্তিধামেই তিনি কাটাবেন তাঁর জীবনের বাকি দিনগুলি।
ভেঙে গেল হাট! কলকোলাহল মুখর জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ি থেকে একে একে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। রবীন্দ্রনাথ গেলেন জমিদারি পরিদর্শনে। কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে অনুসরণ করলেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ। সত্যেন্দ্রনাথ নতুন বাড়ি তৈরি করে জোড়াসাঁকো থেকে বেরিয়ে গেলেন। ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন মহর্ষির তৃতীয় পুত্র হেমেন্দ্রনাথ। চতুর্থ ও সপ্তম পুত্র বীরেন্দ্রনাথ ও সোমেন্দ্রনাথ আক্রান্ত হলেন মানসিক ব্যাধিতে।
শিলাইদহ থেকে রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন শান্তিনিকেতনে। ১৯০৮ সাল, সেই শেষবার। তারপর আর দুজনের কখনও দেখা হয়নি। কবির অত্যন্ত প্রিয় জ্যোতিদাদাও কখনও শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কথা ভাবেননি এবং রবীন্দ্রনাথও চেষ্টা করেননি কখনও রাঁচিতে যাওয়ার। দুই ভাই নিজেদের মধ্যে কী কারণে কেন যে এক অদৃশ্য প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন তা আমরা আজও জানি না।
ছোটভাই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরেও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিশ্চুপ হয়ে বসেছিলেন, ভাইকে চিঠি লিখে অভিনন্দন পর্যন্ত জানাননি। অথচ একসময় এই বারো বছরের ছোটভাইকে তিনি কত না প্রশ্রয় দিয়েছেন। সরোজিনী নাটকের প্রুফ পড়া হচ্ছে। ঘরে আছেন কিশোর রবীন্দ্রনাথ। তিনি তখন তাঁর নতুন দাদার ছায়াসঙ্গী। সরোজিনী পুরোটা শোনার পর রবীন্দ্রনাথ নতুনদাদাকে বললেন, উপসংহারে একটা গান থাকলে ভালো হতো। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সম্মতি জানিয়ে পিয়ানোতে বসে সুর তুললেন, আর রবীন্দ্রনাথ সেই সুরে বসালেন বাণী—‘জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ, পরান সঁপিবে বিধবাবালা।’ কনিষ্ঠ ভ্রাতার পারদর্শিতায় মুগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘ সরোজিনী প্রকাশের পর হইতেই আমরা রবিকে প্রমোশন দিয়া আমাদের সমশ্রেণীতে উঠাইয়া লইলাম। এখন হইতে সংগীত ও সাহিত্য চর্চাতে আমরা হইলাম তিনজন— অক্ষয় চৌধুরী, রবি ও আমি।’
সেই অসম্ভব মধুর দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে বলেছিলেন, ‘এইবার ছুটল আমার গানের ফোয়ারা। জ্যোতিদাদা পিয়ানোর ওপর হাত চালিয়ে নতুন নতুন ভঙ্গীতে ঝমাঝম সুর তৈরি করে যেতেন, আমাকে রাখতেন পাশে। তখনি তখনি ছুটে চলা সুরে কথা বসিয়ে বেঁধে রাখবার কাজ ছিল আমার।’
কোথায় হারিয়ে গেল সেইসব সুখের দিন। দুই ভাই সরে গেলেন দুদিকে দুপ্রান্তে। তবে শেষ বেলায়, ১৯২৫ সালে ছোটভাইকে শেষ বারের মতো দেখবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। তিনি একবার রাঁচিতে আসবার জন্য ভাইকে চিঠিও লেখেন। খুব সম্ভবত সেই চিঠি রবীন্দ্রনাথের হাতে পৌঁছয়নি। ফলে এই পৃথিবীর বুকে আর কোনওদিন দেখা হয়নি দুই ভাইয়ের।
অত্যন্ত প্রিয় নতুন দাদার মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ বারে বারে প্ল্যানচেটে তাঁকে ডেকেছেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথও এসেছেন, নানা উপদেশ দিয়েছেন প্রিয় ভাইকে।
সাল ১৯২৯। চার বছর আগে রাঁচির শান্তিধামে মারা গেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। চার বছর পরে নতুন দাদা দ্বিতীয়বার এলেন ভাইয়ের আহ্বানে, মিডিয়ামের মাধ্যমে।
রবীন্দ্রনাথ জানতে চাইলেন— ‘কে?
— পাঠিয়ে দিলেন তোমার নতুন বৌঠান।
জ্যোতিদাদা। সেদিন আপনার কথা শুনে আমার খুব উপকার হয়েছে— মনকে শান্ত করতে পেরেছি।
— তুমি পারবে আমি জানি।
মৃত্যুর পরমুহূর্তে পরলোকের সঙ্গে সম্বন্ধ কী উপায়ে হয়?
— সে একটা আছন্ন ভাবের ভিতর দিয়ে আসি। ঠিক যেন ঘুম থেকে জাগি। সমস্ত জীবনটাই গত রাত্রের স্বপ্ন বলে মনে হয়।
আমাকে এইমাত্র শমী বলল, একটা পৃথিবী তৈরি করেছে। খুব মজা লাগছে তার। সেটা কী?
— করেছে বটে, কিন্তু ও বলতে নিষেধ করেছে।
আমাকে বলেছে ‘শমীর পৃথিবী’ বলে কিছু একটা রচনা করতে।
— বেশ তো, লিখে দাও না। ওর মনে সত্যই অনেক কিছু খেলছে। ও যেন নতুন আলোক দেখতে পেয়েছে। আমাদের বুড়ো চোখে তা ধরা পড়ে না।...’
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ দুবার এসেছিলেন ভাইয়ের পরলোক চর্চার আসরে। প্রথমবার আসেন ৫ নভেম্বর, দ্বিতীয়বার ২৮ নভেম্বর।
 ছবিতে জ্ঞানদানন্দিনী দেবী, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাদম্বরী দেবী ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : চন্দন পাল
08th  September, 2019
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
একনজরে
জ্যাক অলিভল প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান রসময় দাস মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী তপতী দাস এবং দুই পুত্র রাজর্ষি দাস ও রীতেশ দাস ...

গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ...

পুলিস কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিসের ওয়েলফেয়ার কমিটি। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল। ...

২ মে ২০১৮। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াই। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুরন্ত লড়াই মেলে ধরে বায়ার্ন মিউনিখ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM