Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

এ ফেরা অন্য ফেরা
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, গায়ের রং আধাফর্সা, রোগা-পাতলা চেহারা। পরনে অতিসাধারণ শাড়ি-ব্লাউজ, কিন্তু পরিষ্কার। ঈষৎ গম্ভীর থাকে কাজের সময়। ঠিক সময়ে ঘরে ঢোকে, দ্রুত নিজের কাজটি সেরে বেরিয়ে যায় অন্য বাড়ির উদ্দেশে। কামাই প্রায় করেই না।
কাজে ঢোকার সময় মেয়েটা তার বয়স বলেনি, দেখে মনে হয়েছিল পনেরো-ষোলো। এত কম বয়সে কাজ করতে বেরিয়েছে দেখে খুব খারাপ লাগছিল বিপাশার। নেবে কি নেবে-না দ্বিধা দেখানোয় নিভা নামের মেয়েটি কেঁদেকেটে অতি অল্প কথায় আত্মজীবনী জানিয়ে বলল, তার পরের বোন জন্মানোর পরেই মাকে ত্যাগ দিয়ে চলে গেছে বাবা। তার মা লোকের বাড়ি কাজ করে, যা আনে তাতে তিনজনের দু’বেলা খোরাকি হয় না। তার বয়স কুড়ি, তার বোনের বয়স আঠারো। মা দু’জনকেই বলে দিয়েছে, নিজের রোজগার নিজে না করলে খেতে দিতে পারবে না।
বিপাশা আন্দাজ করে রোগা-খর্বকায়দের বয়স অনেকটাই লুকানো থাকে তাদের চেহারার মধ্যে। নিভার বয়স কুড়ি শুনে তাকে কাজে বহাল করে বলল, দেখ আমাদের দু’জনের সংসার, এমন কিছু কাজ নেই। মন দিয়ে কাজ করবি।
তা নিভার কাজ খুব পরিষ্কার, কিন্তু তার যেটুকু দায়িত্ব তার বেশি কিছু কাজ করতে বললে স্পষ্ট বলে দেয়, পারবনি।
‘পারবনি’ শব্দটা বেশ মেজাজ নিয়েই বলে, যা বিপাশার পছন্দ হয় না। বিরক্ত মুখে সুরঞ্জনকে বলল, আমি কি ওকে বিনা পয়সায় কাজটা করাতাম! কী রকম কাঠ-কাঠ গলায় মুখে মুখে উত্তর দেয়!
সুরঞ্জন ভাবছিল ‘না বলাটাও একটা আর্ট’ এই মর্মে নিভার একটা ক্লাস নেয়। শুনে বিপাশা মুখ বেজার করে বলল, তুমি আর আদিখ্যেতা দেখিও না। তাতে ওর ডাঁট আরও বেড়ে যাবে।
তবে নিভা নিজের কাজটা করছিল ভালোই, বছরখানেক নিশ্চিন্ত ছিল বিপাশা, হঠাৎ একদিন সুরঞ্জনকে বলল, নিভা একটু বদলে গিয়েছে। আর কাজেকম্মে মন নেই!
—হঠাৎ এরকম কেন মনে হল?
—ক’দিন আগে হঠাৎ ওর মোবাইলে একটা ফোন এল, ও-প্রান্তের কথা কিছুক্ষণ শুনে খুব চেঁচাল, বলল, ‘আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম, ওর ওপর নজর রাখো। তুমি তো বিশ্বাসই করছিলে না! এখন বোঝো।’ নিশ্চয় বাড়িতে কিছু একটা ঘটেছে। আমি দু-তিনবার জিজ্ঞাসা করলাম, কিন্তু কিছুতেই ভাঙল না।
নিভা চাপা মেয়ে, তার কাছ থেকে কোনও কথা আদায় করতে পারল না বিপাশা। লক্ষ করল খুবই অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে তাকে। কাজে কিছু ভুলভালও করল।
বিপাশা গোয়েন্দার মতো লেগে থেকে ঠিক বের করে ফেলল তার এই অসংগত আচরণের কারণ। বিষয়টা বেশ পুরনো হয়ে গেছে, তাই গোপন করার আর কোনও কারণ নেই, নিভা ক্ষুব্ধ গলায় বলল, ‘ইভা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।’ নিভার ছোট বোন ইভা। কিছুদিন ধরে এক ফলওয়ালার সঙ্গে এক গলির মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছিল, হঠাৎ একদিন সকালে কাজ করতে বেরিয়ে আর ফেরেনি বাড়িতে। ফলওয়ালাও উধাও। ওর মা থানা-পুলিস পর্যন্ত করেছে, কোনও লাভ হয়নি।
বিপাশা অনুমান করল নিভার ক্ষোভের কারণ। তার পরের বোন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলল, আর সে রইল পড়ে। ভুরুতে একটা লম্বা কোঁচ ঝুলিয়ে কাজ করে যায় রোজ। কথা প্রায় বলেই না কারও সঙ্গে।
আবার একদিন ক্ষোভ কেটে যায় তার। ভুরু সিধে হয়। কিছুদিন পরে একটু-একটু হাসিও ঠোঁটের কোণে। নিভার আর সবই ভালো, শুধু মাঝেমধ্যে এমন ঝেঁকে উঠে বলে, ‘পারবনি’, তা বিপাশার কাছে মনে হয় অপমানজনক। তখন দু-চার দিন নিভার সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ হয়ে যায় বিপাশার। সুরঞ্জনকে বলে, এমন রুখে উঠে বলার কী আছে!
ক’দিন পরে আবার সব ঠিকঠাক।
নিভা একদিন খুব আস্তে আস্তে বলল, বউদিমণি, আমি কিছু টাকা জমিয়েছি। তোমার কাছে রাখবে? আমি পাঁচটা বাড়ি কাজ করতাম। তার সব টাকা মা কেড়ে নেয়। কিন্তু আমার তো কিছু টাকা লাগে। তাই আরও দুটো বাড়িতে কাজ ধরেছি। সেই বাড়ি দুটোর কথা মাকে বলিনি। তার টাকা প্রতি মাসে তোমার কাছে রেখে যাব।
বলে ব্লাউজের ভিতর থেকে বের করল কিছু টাকা। মোট দেড় হাজার। বিপাশা একটা খাতায় টাকার অঙ্ক আর তারিখ লিখে নিভাকে সই করতে বলল। রাতে সুরঞ্জনকে বলল, প্রতি মাসে খাতায় লিখে রাখাই ভালো। কারণ কয়েক মাস পরে ওর হয়তো সব মনে থাকবে না। তখন চেঁচামেচি করতে পারে।
চলছিল বেশ। হঠাৎ বিপাশা লক্ষ করল নিভার চালচলনে বেশ ফুর্তির ছাপ। একটা জংলা শাড়ি পরেছে, খোঁপায় একগুচ্ছ সাদা ফুল। সুরঞ্জনকে বলল, কী ব্যাপার বলল তো! নিভা দেখি ঘর মুছতে মুছতে গুনগুন করে গান করছে।
সুরঞ্জন বলল, দেখো, ওর মা হয়তো বিয়ের ঠিক করেছে।
নিভার বিয়ের ঠিক হয়ে গেলে বিপাশা ভারী মুশকিলে পড়বে। খুব কাজের মেয়ে নিভা। কাজকর্ম খুব পরিষ্কার আর টিপটপ। প্রায় দু’বছর কাজ করছে এ বাড়িতে। তবে এ বয়সের মেয়ে কাজে রাখলে যা হয়, কবে যে তার বিয়ে হয়ে যাবে ভেবে তটস্থ থাকতে হয়।
আজকাল কাজের মেয়ে পাওয়া খুব কঠিন। ভালো কাজের মেয়ে পাওয়া কঠিনতর।
বিপাশা পরদিন আড়েওড়ে জিজ্ঞাসা করল, কী রে? মনে হচ্ছে তোর মনে খুব আনন্দ।
নিভা কিছু বলল না। হাসল ফিক করে।
—তোর মা কি বিয়ের ঠিক করেছে?
—মা! নিভা ফোঁস করে ওঠে, মা আমার বিয়ে দেবে! আমি তো টাকা রোজগারের একটা কল। ইভা তা আগেই বুঝেছিল বলে বিয়ে করে পালিয়ে গেছে। গিয়ে বেঁচে গেছে।
বিপাশা ঠিক বুঝে উঠতে পারল না নিভার কথা। কিন্তু খেয়াল করছিল নিভা বেশ বদলে গেছে। একদিন কাজ সেরে চলে যাওয়ার আগে বলল, বউদিমণি, টাকাটা আমাকে দেবে। ব্যাঙ্কে রাখব।
বিপাশার মনে একটা সন্দেহ হল, কিন্তু কিছু বলল না।
দিন দুয়েক পরে সুরঞ্জন বাস থেকে নেমে ঘরের পথে ফিরছে, দেখল একটা বিচ্ছিরি দেখতে ছেলের সঙ্গে ঘুরছে নিভা। গুন্ডা-গুন্ডা চেহারা। বাড়ি ফিরে ঘটনাটা বলল বিপাশাকে।
পরের দিন সকালে কাজে আসতেই বিপাশা চেপে ধরল, নিভা, ওই ছেলেটা কে রে?
নিভা প্রথমে গাছের মগডাল থেকে পড়লেও বিপাশা দুই ধমক দিতে বলল, বউদিমণি, আমি ওকে বিয়ে করব।
—সে কী, ওই ছেলেটা! মানে খোঁজখবর নিয়েছিস কে ও? কী করে? বাড়িতে কে আছে, না আছে জানিস কিছু? তোর মা জানে এ সব?
নিভা চুপ করে থাকে।
নিভা বিয়ে করবে তা জানাই ছিল, কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে যা হয়, হঠাৎ নিভা বিয়ে করে কাজ ছেড়ে দিলে খুবই আতান্তরে পড়বে বিপাশা। নিভাকে অনেক বুঝিয়ে বলল, বিয়ে করবি নিশ্চয়ই, কিন্তু তোর মাকে বল সব। তোর মা খোঁজ নিয়ে দেখুক। আগে দেখা যাক ছেলেটা ভালো কি না!
বিপাশা কিছুটা নিজের স্বার্থের কথা ভাবছিল না তা নয়, তবে এও ভাবছিল মেয়ে হিসেবে বেশ ভালো, তার জীবন যেন বয়ে চলে ঠিকঠাক পথে।
কী আশ্চর্য, তার ঠিক পরের দিনই নিভা আর কাজে এল না। তার পরের দিনও না। নিভা একেবারেই কামাই করে না, তার পর পর দু’দিনের অনুপস্থিতি একটু অবাক করল তাকে। সুরঞ্জন ওকে দেখে ফেলেছে একটি ছেলের সঙ্গে ঘুরতে, তাই হয়তো ভয় পেয়ে—
নিভার মায়ের কাছে খোঁজখবর নিতেই তার মা এসে পা জড়িয়ে কাঁদতে বসল অমনি। বলল, একটা গুন্ডা ছেলে, তার পাল্লায় পড়ে আমার মেয়েটা—
বিপাশা ভাবতেই পারেনি এত তাড়াতাড়ি কাজ ছেড়ে দেবে নিভা। সুরঞ্জন যে নিভাকে দেখেছে তা নিভাকে না বললেই হতো। তা হলে হয়তো এখনই ওকে পালাতে হতো না! বিপাশা খুবই ঝামেলায় পড়ল। হঠাৎ কাজের লোক চলে গেলে সমস্ত ঝক্কি তার ঘাড়ে গিয়ে পড়ায় খুব রাগ হল নিভার ওপর। যাবি তো যাবি, কিছুদিন আগে বলতে পারলি না তোর চলে যাওয়ার কথা! লোক দেখে নিতাম।
সংসার থেমে থাকে না। এক কাজের লোক যায়, আর এক কাজের লোক আসে। মাঝে কয়েকদিন বিপাশার সংসারে টালমাটাল অবস্থা। নিভা গেল, সবিতা এসে ধরে নিল নিভার ফেলে যাওয়া কাজ। কিছুদিন সুরঞ্জন-বিপাশার কথোপকথনের মধ্যে নিভা-প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে এল, ভালোয় মন্দয় মেশানো সেই সংলাপ কিছুদিনের মধ্যে মিলিয়ে গেল হাওয়ায়।
তারপর কত হাওয়া বয়ে গেল বিপাশার সংসারের উপর দিয়ে। নিভারও নিভতে দেরি হল না। বছর দুই পরে হঠাৎ একটা কলিং বেলের শব্দে একটা পুরনো অধ্যায়ের নবসূচনা।
কলিং বেলের শব্দ পেয়ে বিপাশা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আঁচলে হাত মুছতে মুছতে দরজা খুলে দেখল সবুজ আঁচলে ঘোমটা দেওয়া এক তরুণী। কপালে বড় করে সিঁদুরের টিপ, সিঁথিতেও লম্বা করে সিঁদুর। কাঁখে ধরা বছরখানেকের একটি বাচ্চা।
অন্য হাতে একটা পেটমোটা কাপড়ের ব্যাগ। নিশ্চয় কোনও সেলসগার্ল। গ্রামাঞ্চলের কোনও গৃহবধূ অভাবের তাড়নায় বেরিয়েছে কিছু সওদা নিয়ে। বিপাশা বলে উঠতে যাচ্ছিল, ‘না, আপাতত কিছু লাগবে না,’ তার আগেই যুবতী সামান্য হেসে বলল, বউদিমণি, আমাকে চিনতে পারছ না!
কণ্ঠস্বর খুবই চেনা, ভালো করে তাকাতে দেখল, আরে, নিভা না! প্রায় তিন বছর পরে দেখছে বলেই শুধু নয়, বিয়ে হওয়ার পর নিভাকে আর দেখেইনি তো! বিয়ের পর মেয়েদের চেহারার একটু বদল ঘটে, তার ওপর কোলে বছরখানকের একটি শিশু। তিন বছরে অনেকটাই বদলে গেছে নিভা।
এতদিন পরে হঠাৎ তাকে দেখে অবাক হওয়ারই কথা। বলল, বোস, নিভা। তোর বাচ্চাটা দেখছি তোর মতোই হয়েছে।
মেঝের উপর পা ছড়িয়ে বসে নিভা হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলল, বউদিমণি তখন তোমার কথা শুনিনি। কী এট্টা খারাপ লোকের সঙ্গে তখন পালিয়ে গিসলাম, এখন আমারে ছেড়ে সে কোথায় উধাও হয়ে গেল, আর খুঁজে পেলামনি। বাচ্চা নিয়ে মার কাছে থাকতে গেলাম, মা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। তুমি আমারে রাখবা?
ঘটনাটা এমনই আকস্মিক, বিপাশা প্রথম মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারল না তার এখন কী করা উচিত। তখন নিভা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে খুব রাগ হয়েছিল তার ওপর। তারপর সত্যিই আর নিভার মতো ভালো কাজের লোক পায়নি।
নিভা কান্না-কান্না গলায় আবার বলল, বউদিমণি, এই তিন বছর রোজ তোমার কথা ভেবেছি। তুমি তো আমার ভালোর জন্যই বলেছিলে!
বিপাশার মনে পড়ল তিন বছর আগের কথা। তখন কিছুটা হলেও কথাটা বলেছিল তার নিজের স্বার্থের কথা ভেবে, এখন ভাবল নিভার স্বার্থের কথা। বলল, ঠিক আছে, এখন এখানে বিশ্রাম নে। আমি তোর মাকে খবর দিচ্ছি, তাকে বুঝিয়ে রাজি করব যাতে তোকে থাকতে দেয়। আর আমার তো বয়স হচ্ছে।
আর একজনকে লাগবে। তুই আমার অন্য টুকটাক কাজগুলি করে দিবি। দুপুরে এখানে খাবি। আর যা টাকা দেব, তাতে তোর বাকি খরচ চলে যাবে।
নিভা প্রায় ঈশ্বরী দেখার মতো চোখ করে দেখল বিপাশাকে, হাসি আর কান্নায় ভরা সেই অভিব্যক্তি, বাচ্চাটাকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে হঠাৎ কেঁদে ফেলল হু হু করে। বলল, বউদিমণি, আমি জানতাম, পৃথিবীতে আর কেউ না থাক, তুমি আমাকে ফেরাবে না।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
18th  August, 2019
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM