Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

চারুলতার অন্দরমহল

পরিচয় পাত্র: ‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’। কিছুটা দুর্ভাগ্যজনকভাবেই। আজ ছবিটির ৬০ বছর পূর্তির সময়ে অবশ্য মনে হয় এই বিতর্কের, সত্যজিতের উত্তরের, সত্যিই প্রয়োজন ছিল। সাহিত্য থেকে সিনেমা মানেই যে অন্ধ অনুসরণ নয়, এটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তবে নিজের ছবি নিয়ে এত দীর্ঘ লেখা আর কখনও লেখেননি। 
সত্যজিতের সাহিত্য-আশ্রয়ী ফিল্মগুলি সম্পর্কে বারবারই অকারণ সমালোচনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের সাহিত্যিক মহলে। প্রমথনাথ বিশী থেকে হুমায়ুন আজাদ কেউই এই প্রবণতা থেকে মুক্ত নন। আসলে সিনেমার স্বতন্ত্র ভাষার ব্যাপারে তাঁরা যথেষ্ট অবহিত ছিলেন, এমন মনে হয় না। কিন্তু ‘চারুলতা’র ক্ষেত্রে এই বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছনোর কারণও ছিল। রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ ঠিক কোন শ্রেণির রচনা, ছোটগল্প না উপন্যাস—তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি অনেকেই। রবীন্দ্রচর্চায় নিবেদিত গবেষক তপোব্রত ঘোষ অবশ্য ‘রবীন্দ্র-ছোটগল্পের শিল্পরূপ’ বইতে ‘নষ্টনীড়’কে উপন্যাস হিসেবেই সাব্যস্ত করেছেন। তার সপক্ষে পেশ করেছেন ঐতিহাসিক আর নন্দনতাত্ত্বিক প্রমাণও। উপন্যাস আর সিনেমা নামক মাধ্যমের সঙ্গে আধুনিকতার সংযোগ বরাবরই নিবিড়। ‘চারুলতা’ সেই সংযোগের নানা অলিগলি, নানা রাস্তাকে বহু দূর প্রসারিত করেছে। সত্যজিতের প্রথম জীবনের একঝাঁক ক্লাসিক ছবির তালিকাতেও সে অবিস্মরণীয়। আজও ফিরে দেখলে তাকে অনন্ত সম্ভাবনার ছবি বলে মনে হয়। 
এই ছবি নিয়ে অফুরান কথা বরাবর হয়েই এসেছে। বিশেষ করে উনিশ শতকের অন্দর আর বাহিরের ভেদাভেদ নিয়ে। বাইরে পশ্চিমী সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ ও ভিতরে প্রাচীন ধ্যানধারণার সংরক্ষণের আশ্চর্য দ্বৈতজীবনই সেই সময়কার উপমহাদেশের বৈশিষ্ট্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সমাজবিজ্ঞানীরা সেকথা চিহ্নিত করার বেশ কয়েক দশক আগেই ‘চারুলতা’য় তা স্পষ্ট হয়ে রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সাহিত্যকর্মের নিপুণ অনুবাদ নয় এই সিনেমা। সেটাই অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন অশোক রুদ্র সহ অনেকে। তাঁরা আন্দাজ করতে পারেনি যে, এই ছবি আসলে সাহিত্যের এক অপার দুনিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেই রেখেছে। যেমন মৈনাক বিশ্বাস দেখিয়েছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রাচীনা ও নবীনা’র জটিল, বহুস্তরীয় উল্লেখ থেকে শুরু করে তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, রামমোহন রায়, শেক্সপিয়র, বায়রন, অ্যাডিসন, ষ্টীল, এমার্সন—সকলের সঙ্গেই সংলাপে জড়ায় চারুলতা। আদতে এক বিরাট সাহিত্য-প্রেক্ষাপটে নিজেকে স্থাপন করে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রাখে এই ছবির লিখনধর্ম। চারু, অমলদের নানা ধাঁচের লেখা, নানা রকম হরফ, ভূপতির ছাপা অক্ষর আর সম্পাদনা নিয়ে মারাত্মক বাড়াবাড়ি, এমনকী শেষদৃশ্যের ক্যালিগ্রাফি। 
অন্দরমহল আর বাহিরমহলের পরিসর, আর দুই মহলের মাঝের সেই বাগান থেকে সত্যজিৎ মূল কাহিনির কল্পনার উচ্ছ্বাস অনেকটাই বাদ দিয়েছেন। আর সেটাই ছবির সঙ্গে জুড়ে তাকে এক আশ্চর্য গভীরতা দিয়েছে। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক রবি বাসুদেবন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ‘চারুলতা’য় সত্যজিতের ক্যামেরার চলন, নিজস্বতার দিকে। দীর্ঘ ট্র্যাভেলিং শটগুলি, জুমের ব্যবহার, ফ্রেমিংয়ের সিম্বলিক দিক, এমনকী দোতলার বারান্দায় ক্যামেরার ক্রমাগত পায়চারিও নানা চরিত্রের আন্তঃসম্পর্কগুলি উন্মোচিত করে। 
চারুলতা যেন স্মৃতিতে থেকে যাওয়া অনিঃশেষ ইমেজের সারি। কয়েকটির কথা উল্লেখ না করলেই নয়। একটি সেই বিখ্যাত দোলনার দৃশ্য। সেখানে উল্লম্ব আর অনুভূমিক—দু’ভাবেই সত্যজিতের ক্যামেরা চলমান। আর একটি থেকে আরেকটিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া এতটাই আকস্মিক যে, তা দর্শককে প্রস্তুত হওয়ার কোনও সময় দেয় না। ক্যামেরার চলন কখনও দোলনায় চারুর থেকে আলাদা করা যায় না। মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মুখের ক্লোজ-আপের উপরে সেখানে পাতার ফাঁকের আলো-ছায়ার খেলা। আবার পরক্ষণেই চারুর আর ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ একাকার। সে তাকিয়ে রয়েছে বাগানের মাটিতে শুয়ে থাকা ভাবুক অমলের দিকে। দৃষ্টিপাতের এসব চকিত পরিবর্তন সত্যজিতের দর্শককে একইসঙ্গে মুগ্ধ আর বেসামাল করে দেয়। এর একটু পরেই দোলনা স্থির হয়ে আসবে। চারুর হাতে উঠে আসবে অপেরা গ্লাস। আর তার মধ্যে দিয়ে সে দেখবে এই বেখেয়ালি বাগান, জানালায় শিশু কোলে মা। স্থির মুখে বসে থাকবে সে। তারপর আবার অপেরা গ্লাসের মধ্যে দিয়ে তাকাবে লেখায় মগ্ন অমলের দিকে।
 এই আইকনিক অপেরা গ্লাসের বিখ্যাত ব্যবহার রয়েছে ছবির প্রথমাংশে। যেখানে চারু এ জানলা থেকে ও জানলায় ফাঁক খুঁজে রাস্তার জীবনের দিকে তাকায়। সে জীবনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই। তারপর অপেরা গ্লাসের মধ্যে দিয়ে চেয়ে থাকে ভূপতির অপস্রিয়মাণ শরীরের দিকে। চারুর এই দৃষ্টিপাতের দূরত্ব নির্মাণ, দর্শকের সেই দূরত্বের সঙ্গে সংযোগ, এসব নিয়েও বহু কথা হয়, হয়েছে। কিন্তু আমাকে আদতে আকর্ষণ করেছে চারুর অপেরা গ্লাসের মধ্যে দিয়ে দৃষ্টিচালনার বিষয়-আশয়। বিশেষ করে যখন ছবির দু’জায়গায় তা তার জীবনের দুই পুরুষের দিকে তাকানো। দু’জনেই অপ্রাপণীয় পুরুষ। দু’জনেই কলোনিয়াল কলকাতার বহির্মুখী পুরুষের জগতের প্রতিনিধি। সেখানে চারুর প্রবেশাধিকার নেই। একজন যদিও বা অন্দর আর বাহিরের মধ্যে কিছুটা সংযোগ রচনা করেছিল, সেও চারুর ব্যক্তিগত স্পেসের দরজা ঠেলে বেরিয়ে যাবে একদিন। এম্পায়ারের প্রধান শহরের অমোঘ আকর্ষণে। কিন্তু চারু কী দেখে অপেরা গ্লাসের মধ্যে দিয়ে? কেনই বা দেখে? 
 তপোব্রত ঘোষ ‘নষ্টনীড়’-এর উপন্যাসধর্মের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, এই কাহিনিতে ছোটগল্পের মতো ‘একৈকমুখী অখণ্ডতা’ নেই। বরং ট্র্যাজেডি এখানে চারু আর ভূপতির মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত। অন্যদিকে, আমার বিবেচনায়, সত্যজিতের ছবিতে চারুর দৃষ্টিকোণ এই দ্বিধাবিভক্তিকেই বাধা দেয়। দুই পুরুষ সেখানে মূলত তার দৃষ্টিপাতের বিষয় মাত্র। তারা চারুলতার নিজস্ব পৃথিবীর সীমান্ত টপকে মাঝে মাঝে আসে, আর মাঝে মাঝে বেরিয়ে যায়। খুব বেশি প্রবেশাধিকার দু’জনে পায় কোথায়? চারুলতার মুখ্যচরিত্র হয়ে ওঠা, তার ক্ষমতা অনেকটাই এসেছে তার দৃষ্টিপাত ও দৃষ্টিকোণ—এ ছবির পরিসর অনেকখানি জুড়ে থাকায়। এই অন্দরমহলে চারুলতা একক, স্বয়ম্ভর।
এবারে অপেরা গ্লাসের কথায় ফিরে আসি। অপেরা গ্লাস ক্যামেরার প্রতিনিধিত্ব করে স্বাভাবিকভাবেই। আর তা আমাকে মনে পড়িয়ে দেয় আর এক ক্লাসিক ফরাসি ছবির কথা। পরিচালক জঁ রেনোয়ার ১৯৩৯ সালের ‘দ্য রুলস অব দ্য গেম’। সেখানে বিচিত্র সম্পর্কের খেলায় নায়িকা ক্রিস্তিন দূরবীনের মধ্যে দিয়ে স্বামী আর স্বামীর প্রাক্তন প্রেমিকাকে দেখে। তা থেকে সে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছয়, এবং ধীরে ধীরে তা ভয়ানক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয় সবাইকে। এই অংশটির উল্লেখ করে রেনোয়ার একটি মত অহরহ স্মরণ করেন সিনেমা গবেষকেরা— ক্যামেরা বা যন্ত্র যা দেখে, যা দেখায়, তা আদতে বাস্তব নাও হতে পারে। যে ইমেজ সে দেখায় তার প্রতারণা করার ক্ষমতা অতি মারাত্মক। সত্যজিৎ রায় রেনোয়ার সহকারী ছিলেন ‘দ্য রিভার’ (১৯৫১) ছবিতে। তাঁদের নানা আলাপ-আলোচনাও হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে একটি জনপ্রিয় পত্রিকার বিনোদন সংখ্যায় ‘চলচ্চিত্রের ভাষা: সেকাল ও একাল’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে তিনি ‘দ্য রুলস অব দ্য গেম’ নিয়ে আলোচনাও করেছেন। 
এসবের মধ্যে সিনেমার দর্শনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক নিহিত। ক্যামেরার বেশিরভাগ প্রযুক্তি, চলন, স্ক্রিনের মধ্যে পুরুষ চরিত্রের একচেটিয়া দৃষ্টিপাত, কর্তৃত্ব, কাজকর্মে তার ভূমিকা নারীকে ঠেলে দেয় এক বাধ্য ও বশংবদ অবস্থার দিকে। সিনেমার তত্ত্বের জগত সেই কথাই বলে। চারুলতার ক্রমাগত পাল্টা দৃষ্টিচালনা, অপেরা গ্লাসের মধ্যে দিয়ে পুরুষকে নিজের দৃষ্টির বিষয় করে তোলা তাই আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সে অপেরা গ্লাসে যা দেখে, তা রেনোয়ার ক্রিস্তিনের মতো বাস্তবের কোনও ‘বেচাল’ পাঠ নয় মোটেই। নিতান্তই সাধারণ সব দৃশ্য। সে দেখে তার জীবনের দুই পুরুষের সাধারণ অবয়ব, তার মধ্যে কোনও সম্পর্কের জটিল কাহিনি নেই। কোনও ষড়যন্ত্রের আভাসটুকু নেই। জল্পনার কোনও স্থান পর্যন্ত নেই। আর সেইখানেই চারুলতার বিশেষত্ব। কেননা সে তার কাহিনিতে নিজের প্রাধান্য, অধিকার সুনিশ্চিত করে এই তাকানোর মধ্যে দিয়ে। অপেরা গ্লাস কেবল ক্যামেরার রূপক হয়ে থেকে যায় না, সে চারুলতার প্রধান অস্ত্রও বটে। আর তাই ৬০ বছর পেরিয়েও অক্ষুণ্ণ থেকে যায় চারুলতার দৃষ্টি!
লেখক আইআইটি যোধপুরের সহকারী অধ্যাপক
21st  April, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM