Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জিপিও ২৫০

সুদীপ্ত রায়চৌধুরী: বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলে সবে আড়মোড়া ভাঙছে শহর, তার মধ্যেই ট্যাক্সি চেপে মায়ের সঙ্গে জিপিওতে এসে হাজির তিন্নি। কিছুটা জেদ ধরেই এসেছে। খবরের কাগজে জিপিও’র ২৫০ বছর নিয়ে খবরটা দেখেছিল। তাই দোলের দিন থেকেই বায়না জুড়েছিল। মেয়ের মন রাখতে তাকে নিয়ে এসেছেন প্রতিমাদেবী। জিপিওর রোটান্ডায় উঠেই চোখ কপালে তিন্নির। কী মোটা মোটা থাম! ছাদটাও কত্ত উঁচুতে। এর আগে বেশ কয়েকবার সামনে দিয়ে গেলেও ভিতরে ঢোকা হয়নি। চারিদিকে চোখ বোলাতে বোলাতেই দুই প্রজন্ম পা রাখল প্রদর্শনীর প্রাণকেন্দ্রে।
২৫০ বছরের প্রদর্শনী
ঘরে ঢোকার আগেই অবাক ক্লাস ফাইভের এই খুদে। দরজার ডানপাশে রাখা একটা রকেট! না, মানে ঠিক রকেট নয়, একটা মডেল। তার মাঝখানে রয়েছে লাল রঙের একটা লেটার বক্স। দু’পাশে নীল রঙের রকেটের দু’টি অংশ। আর লেটার বক্সের মাথার কালো অংশের উপরে আটকানো নীলরঙা রকেটের উপরের অংশ। ‘এটা কী! লেটার বক্স নাকি রকেট?’—প্রশ্ন তিন্নির। উত্তর শোনার মতো ধৈর্য অবশ্য তার নেই। ততক্ষণে চোখ চলে গিয়েছে ঘরের মাঝে। কালো পাথরের রানারের মূর্তিতে। দেখলেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতাটা মনে পড়ে যায়।
রানারের মূর্তির চারদিকে লাল ফিতের বৃত্তাকার ব্যারিকেড। ভিতরে চারটি মডেল। মায়ের হাত ধরে পায়ে পায়ে ডানদিকে সরে এল তিন্নি। একটা নৌকা রাখা। একদিকে বসে মাঝি। হাতে বৈঠা। ছইয়ের একপাশে বসে আরও একটি লোক। চিঠির বস্তা নিয়ে। নৌকার গায়ে একদিকে হিন্দি ও অন্যদিকে ইংরেজিতে লেখা ‘মেইল বোট’। বাঁ-পাশে পালকি কাঁধে খালি গায়ে দু’টি লোক। ভিতরে বসার জায়গায় ছোটখাটো চিঠির পাহাড়। তার পাশে একটি গোরুর গাড়ি। ডানপাশে ট্রেনের একটা বগি। লালরঙের। লেখা, ‘রেলওয়ে মেইল সার্ভিস।’ গেট থেকে বস্তা নামাচ্ছেন ডাক বিভাগের এক কর্মী। ‘এভাবে চিঠি বিলি হতো?’ খুদে দর্শনার্থীর প্রশ্ন শুনে এগিয়ে আসলেন জিপিওর এক কর্মী। বললেন, ‘আগে তো এখনকার মতো গাড়িঘোড়া সেভাবে কিছু ছিল না মা। তাই প্রথমে নৌকা করে, পরে পালকি ও গোরুর গাড়িই ছিল ভরসা। ১৮৫৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর লর্ড ডালহৌসি প্রতিটি রেল কোম্পানিকে বিশেষ কোচে চিঠি ও পার্সেল বহন করার নির্দেশ দেন।’
রাজ্যের এই প্রধান ডাকঘর ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১৫৫ বছরের ইতিহাস। মায়ের মুখে একথা শুনেই ভ্রুতে ভাঁজ পড়ল তিন্নির। ‘তাহলে ২৫০ বছর কেন?’ উত্তর হাতড়াচ্ছিলেন প্রতিমাদেবী। আবারও মুশকিল আসান সেই কর্মীই। জানালেন, আসলে গোড়াতেই এই বাড়িতে চালু হয়নি জিপিও। জিপিও হিসেবে কলকাতায় প্রথম যে পোস্ট অফিস খোলা হয়েছিল তা এবার ২৫০ বছর ছুঁল। তারই উদযাপন করা হয়েছে।
শুনতে শুনতে তিন্নির চোখ গেল দেওয়ালের ধারে রাখা কয়েকটি কাচের শোকেস ও পাশের বোর্ডে। ভিতরে রাখা পুরনো সময়ের ৩২টি পোস্টকার্ড। বোর্ডে আটকানো নানান ছবি। কোনওটা এই জিপিওর, আগেকার। কোনওটা আবার অন্য কোনও জায়গার পোস্ট অফিসের। আর রয়েছে জিপিওর বাড়িটির নানান রেপ্লিকা। তার কোনওটি শোলা বা মাটির, কোনওটি আবার কাঠের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে তৈরি।
ফিলাটেলিক ব্যুরোতে ঢুঁ
প্রদর্শনী ঘোরা শেষ। মা-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিমাদেবী এলেন ফিলাটেলিক ব্যুরোতে। এক সময় নিয়মিত স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতেন। কাউন্টারে এসে জানতে পারলেন, প্রকাশিত হয়েছে ১৪টি বিশেষ পোস্টকার্ড ও সাতটি কভার। সবক’টি অবশ্য স্টকে নেই। ২৫০ বছরের লোগোবিশিষ্ট পিকচার-পোস্টকার্ড মিললেও ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ ও ‘বঙ্গতরী’ নামাঙ্কিত পোস্টকার্ড শেষ। তা পেতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন। তাই শেষ পর্যন্ত কিনলেন ‘ট্রান্সপোর্টেশন অব মেইলস থ্রু এজেস’, ‘গ্র্যান্ড ক্লক অব কলকাতা জিপিও’, ‘পোস্ট বক্স থ্রু এজেস’ ও ‘ব্যাজেস অব পোস্ট অফিস’ নামাঙ্কিত বিশেষ কভার।
গন্তব্য পোস্টাল মিউজিয়াম
‘এখনই কী বাড়ি ফিরতে হবে?’ মাকে প্রশ্ন করল তিন্নি। প্রতিমাদেবী উত্তর দেওয়ার আগেই একটা অন্য পরামর্শ দিলেন কাউন্টারে থাকা পোস্টাল কর্মী। ‘পাশের বাড়িতেই রয়েছে পোস্টাল মিউজিয়াম। ঘুরে দেখতে পারেন।’ নতুন গন্তব্য পেয়ে আনন্দে তিন্নি তো প্রায় নেচে উঠল। জিপিও থেকে বেরিয়ে পশ্চিমদিকে কয়েক পা এগতেই লাল ইটের একটি বাড়ি। ইতালীয় ধাঁচের। ভিতরে ঢুকলেই চোখ চলে যায় একটি মার্বেল ফলকে। তাতে লেখা, ১৮৮৫ সালে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অব দি পোস্ট অফিস অব ইন্ডিয়া’র এই অফিসটি তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ফ্রেডরিক রাসেল হগ। এঁর সঙ্গে হগ মার্কেটের কোনও যোগ আছে নাকি! গুগলের শরণাপন্ন হয়ে তাজ্জব প্রতিমাদেবী। আন্দাজ ঠিক। স্যার স্টুয়ার্ট সন্ডার্স হগ—যাঁর নামে আমাদের হগ মার্কেট বা নিউ মার্কেট, সেই ব্যক্তি ফ্রেডরিকের আপন দাদা!
সংগ্রহশালাতেও ঢোকার মুখে ডানদিকে রানারের একটি মূর্তি। দরজা ঠেলে ঢুকতেই বাঁদিকে তিনটি ঘর। তারই একটিতে রয়েছে বিতর্কিত ব্ল্যাক হোলে নিহত সেনাদের স্মৃতিতে লর্ড কার্জনের তৈরি কালো মার্বেল স্মারক। তা দেখতে দেখতেই মেয়েকে ‘অন্ধকূপ হত্যা’র ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পাঠও দিলেন মা। ব্রিটিশ আমলে বিদেশ থেকে ডাক নিয়ে আসত জাহাজ। সেই খবর পৌঁছে দিতে হুগলি নদীতীরে ওড়ানো হতো পতাকা। বাজানো হতো বিউগল। পতাকা উত্তোলনের সেই যন্ত্র, বিভিন্ন মাপের বিউগল রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। এছাড়াও রয়েছে রানারের ব্যবহৃত পোশাক, তলোয়ার, ঘণ্টা বাঁধা বর্শার ফলা, লণ্ঠন, দাঁড়িপাল্লা এবং কলকাতার ডেপুটি পোস্টমাস্টার, প্রেসিডেন্সি পোস্টমাস্টার, মেইল পিওন, বয় রানারের বেল্ট। সঙ্গে খুঁত থাকা পয়সা বাতিল করার জন্য কয়েন কাটার যন্ত্র, পুরনো কলকাতার মানচিত্র, টেলিগ্রাফ যন্ত্র, নানা ধরনের টেলিফোন, ডাকবাক্স, সিল, স্ট্যাম্প। বাড়ি তৈরির সময় উদ্ধার হওয়া মিশকালো একটি ছোট কামান দেখে তিন্নি তো হা! ডানপাশের বড় হলঘরে দীনবন্ধু মিত্র, বিজ্ঞানী সিভি রমনের বড় ছবি। দু’জনেই যুক্ত ছিলেন ডাকবিভাগের সঙ্গে। পাশাপাশি রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বাক্ষরিত সেভিংস বইও। রবি ঠাকুরের ছবি-লেখা দেখলেও সই প্রথমবার দেখল তিন্নি।
ঘুরতে ঘুরতে চোখ আটকাল নীল রঙের একটি বোর্ডে। পাশে একটা পোস্টার। সেখানে খালি গা-সাদা ধুতি পরা একজনের সঙ্গে কথা বলছেন শিবঠাকুর! উপরে বড় বড় লেখা—‘কুইনাইন ম্যালেরিয়ার একমাত্র ঔষধ।’ এমন পোস্টার তিন্নি কখনও দেখেনি। পাশে নীলরঙা বোর্ডে লেখা—‘ম্যালেরিয়া কম্পজ্বর কিম্বা প্লীহাজ্বর প্রতিকারের জন্য কুইনাইন। একমাত্র অব্যর্থ মহৌষধ ইহাই সেবন কর। গভর্ণমেন্টের বিশুদ্ধ কুইনাইন এখানে পোষ্ট আফিস এবং রেল ষ্টেসনে পাওয়া যায়। প্রত্যেক শিশিতে ২০টী বড়ী থাকে। মূল্য চার আনা।’ বিষয়টি বোঝালেন প্রতিমাদেবী— ১৯ শতকের শেষদিকে ম্যালেরিয়ার দাপট ছিল মারাত্মক। তখন এনামেল প্লেটে হাতে লেখা এমন বিজ্ঞাপন দেখা যেত ডাকঘরে।
শেষবেলায় ‘ডাকঘর কাফে’
তিন ধাপে ইতিহাস সফর শেষে বেশ ক্লান্ত তিন্নি। অগত্যা মেয়েকে নিয়ে ডাকঘর কাফেতে এলেন প্রতিমাদেবী। পোশাকি নাম ‘শিউলি পোস্টাল কাফে।’ এও যেন প্রদর্শশালার একফালি অংশ। কফি, স্যান্ডউইচে আহার-পর্ব সেরে দু’জনে ঘুরে ঘুরে দেখলেন কাফের চার দেওয়াল। কোথাও নানান স্ট্যাম্পের বড় প্রতিকৃতি, কোথাও বা সুদৃশ্য তৈলচিত্রের মধ্যে ইনসেট করা স্ট্যাম্পের ছবি। মাথার উপরে ঝাড়লণ্ঠন আর দেওয়ালে সাজানো ঢাল-বর্শা। তিন্নি ব্যস্ত হয়ে উঠল সে সব মোবাইলবন্দি করতে।
সারাদিনের এই সফর হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের না পাঠালে চলে!
 
31st  March, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
বইমেলার কড়চা

 ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা।
বিশদ

28th  January, 2024
একনজরে
১৩ দিনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে চারটি জনসভা ও  একটি রোড শো করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সভা করে গিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM