Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। গারদের সর্বগ্রাসী একাকিত্ব ভুলতে সাধনচর্চার নানা বইপত্র পাঠ করার পাশাপাশি ফেলে আসা সমাজসেবার অজস্র খুঁটিনাটির অনুধ্যান কারাপ্রাচীরের অন্তরালে তাঁর সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। দক্ষিণ কলিকাতা চিত্তরঞ্জন জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখছেন, ‘আমি খেয়ালের বশবর্তী হইয়া সেবাশ্রমের কার্যে হস্তক্ষেপ করি নাই। আজ প্রায় ১২/১৪ বছর ধরিয়া যে গভীর বেদনা তুষানলের মত আমাকে দগ্ধ করিতেছে, তাহা দূর করিবার জন্য আমি এই কার্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি। আমি কংগ্রেসের কাজ ছাড়িতে পারি— তবুও সেবাশ্রমের কাজ ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব।’ কীসের অদম্য অন্তপ্রেরণায় তিনি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন তার আভাস মিলেছে বয়সে একদিনের বড়, সুভাষচন্দ্রের বন্ধু, সুরকার ও গীতিকার দিলীপকুমার রায়ের এক স্মৃতিচারণায়— ‘সুভাষ যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত (Rusticated) হয় তখন যে দীন-দুঃখী, রুগ্ন ও নিরক্ষরদের সেবার জন্য একটি সেবক-বাহিনী গড়ে তুলেছিল, স্বামীজির দরিদ্র-দেব, মূর্খদেব এর সেবায় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠেছিল বলেই।’
সাল ১৯২৪, ১১ মার্চ ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়ে সেদিন বিশিষ্ট দেশব্রতী নাগরিকদের সমাবেশ। ‘দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম’ তার যাত্রা শুরু করল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বসু ও কোষাধ্যক্ষ নির্মলচন্দ্র চন্দ। প্রথম অফিসটি ছিল ৪১ নম্বর বেলতলা রোডে। কালীঘাট ও মনোহরপুকুর রোডের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বর্তমানের গৃহ ৯৩ ও ৯৭, শরৎ বসু রোডের তেরো কাঠা জমিতে গড়ে ওঠে। ১৯৩২ সালে কলকাতা পুরসভা জমিটি লিজ দেয়। সে দিনের দোতলা বাড়িটি সম্পূর্ণ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ময়ূরভঞ্জের মহারানি ও পারিজাত ট্রাস্ট। সেবাশ্রমটি ১৯২৮ সালে নিবন্ধীকরণ হলেও প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই সুভাষচন্দ্রের গ্রেপ্তার ও দেশবন্ধুর আকস্মিক প্রয়াণে সেবাশ্রমের কাজকর্মে বিপর্যয় নেমে আসে। ওই বছর আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ছিল ১২ ও মূলধন ছিল ২ হাজার ২৮২ টাকা। উল্লেখ্য সুভাষচন্দ্র কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক হিসাবে প্রাপ্য তিন হাজার টাকা বেতনের অর্ধেক গ্রহণ করতেন। সেই দেড় হাজার টাকাতেই রাজনৈতিক কাজ, দুঃস্থ দেশকর্মীদের সাহায্য, দক্ষিণ কলিকাতা সেবকসমিতি ও সেবাশ্রমের জন্য ব্যয় করে নিজের জন্য অতি সামান্য অর্থ রাখতেন।
সেবা ও আশ্রম এই দুই শব্দ যুগলের মধ্যে নেই কোনও অর্থ লাভের বাসনা, নেই অহংবোধ কিংবা আধিপত্য বিস্তারের ভাবনা। দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের নিঃস্বার্থ ভক্তির অর্ঘ্য রূপেই সুভাষচন্দ্রের স্বপ্ন ছিল এই সেবাশ্রম।
ব্রিটিশ সরকার যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করে, তখন জেলে যাওয়ার আগে সুভাষচন্দ্র মেজদা শরৎ বসুকে বলেন— ‘আমি জেলে যাচ্ছি ক্ষতি নেই, কিন্তু দয়া করে দেখবেন আমার সেবাশ্রমের কাজ যেন ব্যাহত না হয়।’ শুধু তাই নয়, অনাথ শিশুদের যাতে কোনওরকম সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে বিপদের মুখে পড়তে না হয়। সেবাকার্য ব্যাহত না হয় সে উদ্দেশে দেশবাসীকে সংবাদপত্র মারফত বার্তা দিয়ে গেলেন— ‘আমি আজ ১৮১৮ সনের আইন অনুসারে গ্রেপ্তার হইয়া চলিলাম। আমার বড়ই কষ্ট হইতেছে যে, আমি মাস মাস ছাত্রদিগকে যে সাহায্য দিতাম তাহা আর এখন দেওয়া সম্ভবপর হইবে না; আমি আশা করি তাহারা অন্য প্রকার বন্দোবস্ত করিতে সমর্থ হইবে। আমি কতকগুলি প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করিব বলিয়া প্রতিশ্রুত আছি, কিন্তু এ অবস্থায় আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা অসম্ভব। দক্ষিণ কলিকাতা সেবকসমিতি; দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম প্রভৃতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সহিত আমি সাক্ষাৎভাবে সংশ্লিষ্ট। আমার অনুপস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠান সমূহের বিশেষ ক্ষতির সম্ভাবনা। অন্ততঃ আমি ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত ইহাদের সাহায্য করিবার জন্য সহৃদয় দেশবাসীদিগকে অনুরোধ জানাইতেছি।’ প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যেই ১৯২৪-এর অক্টোবরে তরুণ সুভাষচন্দ্র গ্রেপ্তার হন। তিনি লিখছেন— ‘জেলে আছি—তাতে দুঃখ নাই। মায়ের জন্য দুঃখভোগ করা সে তো গৌরবের কথা! Suffering-এর মধ্যে আনন্দ আছে, এ কথা বিশ্বাস করুন।
তা না হলে লোক পাগল হয়ে যেত, তা না হলে কষ্টের মধ্যে লোক হৃদয়ের আনন্দে ভরপুর হয়ে হাসে কী করে? যে বস্তুটা বাহির থেকে Suffering বলে বোধ হয়—তার ভিতর থেকে দেখলে আনন্দ বলেই বোধ হয়।’ এরপর সুভাষচন্দ্র বঙ্গজননীর চরণপ্রান্তে বৈষ্ণবের ভাষায় নিবেদন বার্তা লিখেছিলেন—
‘তোমারই লাগিয়া কলঙ্কের বোঝা
বহিতে আমার সুখ।’
রাজনৈতিক দলাদলির তির তাঁকে নানা সময়ে বিদ্ধ করেছে। এক সময় রাজনীতি থেকে তিনি সরে যাবেন ভেবেছিলেন। পরাধীন জাতির কথা চিন্তা করে তিনি ‘মন চল নিজ নিকেতনে’-র ভাবনা সাময়িক ভাবে ত্যাগ করেছিলেন। অন্তরে লালন করেছেন সেবা ধর্মের ব্রত। সেবাশ্রমের পাশাপাশি ভবানীপুরে সেবকসমিতির ভাবনাচিন্তা ও কার্যপ্রণালীর নানা কথা তাঁর চিঠিপত্রগুলির ভিতর খুঁজে পাওয়া যায়। চরিত্র গঠন ও মানসিক উন্নতির জন্য তাঁর বাস্তবমুখী নানা নিদান দিয়েছেন। আশ্রমের ছেলেরা যাতে হাজরা পার্কে খেলাধুলো করতে পারে তার ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে আশ্রমের পাঠাগার নিয়ে তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শ, শিক্ষা, হাতের কাজ প্রভৃতি বিষয়ে নানা ভাবনা চিন্তা সুভাষচন্দ্রের খাঁটি দেশভক্তির প্রকৃত স্বরূপ চেনাতে সাহায্য করে। গত পঞ্চাশ বছর ধরে সেবাশ্রমের সঙ্গে যুক্ত বর্তমান সম্পাদক শুভেন্দু মৌলিক জানিয়েছেন যে, এই আশ্রমটিতে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী, জ্ঞানীগুণী, পণ্ডিত মানুষজন বিভিন্ন সময়ে এসেছেন। এসেছেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জৈল সিং, আজাদ হিন্দ বাহিনীর লক্ষ্মী সায়গল, আবিদ হাসান প্রমুখ। কিন্তু সবচেয়ে গর্বের বিষয় সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা দেশবন্ধু ও নেতাজি। সরকারি অনুদান আর সাধারণ মানুষের ভালোবাসার দানে এই আশ্রম এগিয়ে চলেছে ৭০ জন আবাসিককে নিয়ে। শিশুমঙ্গল হাসপাতালের ঠিক পাশেই দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রমটি এখন ত্রিতল ও আগের চেয়ে অনেক বড়। কাছেই রাজ্য সরকার পোষিত সাউথ ক্যালকাটা ন্যাশনাল স্কুল। সেটিরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেশবন্ধু ও নেতাজি এবং সেখানে ড্রিল শিক্ষক ছিলেন শহিদ যতীন দাস। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধের আবহে দক্ষিণ কলকাতা সেবাশ্রমের পথচলা শুরু হয়েছিল। এই সব কাজে হরিচরণ, অমৃতলাল, অনিলচন্দ্র প্রমুখের মতো সেবাব্রতী মানুষজনকে পাশে পেয়েছিলেন নেতাজি। ইউরোপের মাটিতে তাঁকে দেশান্তরিত হয়ে থাকতে হয়েছে বহু বছর, কারাগারেও কেটেছে অনেকগুলো দিন। রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাঝেও সেবাশ্রমের কাজকর্ম তাঁকে আকর্ষণ করেছে। এমনকী, আজাদহিন্দ-এর রাষ্ট্রপ্রধান নেতাজি সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক বালক-বালিকাদের গৃহ নির্মাণের জন্য ৫০ হাজার ডলার তুলে দিয়েছিলেন। যুদ্ধের কালোবাজারি আবহে যাতে খাদ্যবস্ত্র ঠিকমতো তারা পায় তার ব্যবস্থা করেছেন।
‘সেবাশ্রমের পিছনে কত ইতিহাস লুক্কায়িত আছে—কবে এই চিন্তা আমার মধ্যে প্রবেশ করে এবং কেন প্রবেশ করে—কি করিয়া আমি চিন্তারাজ্য ছাড়িয়া কর্মরাজ্যে প্রবেশ করি—যে কথা অন্যসময় বলিব। পত্রে লিখিবার চেষ্টা করিলে গ্রন্থ হইয়া যাইবে।’ এই ভাষাতেই নির্জন কারাকক্ষে বসে তরুণ সুভাষচন্দ্র আরও লেখেন— ‘আপনারা হয়তো জানেন না যে, দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রমের ত্রুটির জন্য আমি প্রধানত দায়ী। বাহিরে থাকিতে  আমি ভালো রকম Organise করিতে পারি নাই! তারপর হঠাৎ আমার গ্রেপ্তার। যখন সেবাশ্রম কালীঘাটে ছিল তখন বাড়ি ভাড়া ও সহকারী সম্পাদকের বেতন আমি নিজে দিতাম। শুধু বালকদের ভরণপোষণের খরচ সাধারণের দেওয়া চাঁদা হইতে নির্বাহিত হইত। সেবাশ্রম সম্বন্ধে আমার Clear Conscience আছে। কারণ Public-এর দেওয়া টাকার একটি পয়সাও আমি অসদ্ব্যবহার করি নাই। আমার গ্রেপ্তারের পর আমার দেয় অংশ আমার দাদা (শরৎবাবু) দিয়া আসিতেছেন।’ দেশে সুভাষচন্দ্রের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সমিতি সেবাশ্রমের নানা সমস্যা সাময়িকভাবে দেখা দিয়েছিল। আশ্রমের আবাসিকদের মানসিক স্তর বা আই কিউ সম্পর্কে তিনি খোঁজখবর নিতেন। ‘আদর্শ লাইব্রেরি’ গঠনের পাশাপাশি শিক্ষা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন— ‘...অতএব প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করে আমরা যদি সকল ইন্দ্রিয়ের দ্বারা জ্ঞান জন্মাতে পারি তবে ফল লাভ খুব শীঘ্র হবে। পাটিগণিত শেখাবার সময়ে শুধু মুখস্থ না করিয়া যদি কড়ি, marble অথবা ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আমরা যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ প্রভৃতির উদাহরণ দেখাতে পারি তবে সেই সব জিনিস শিশুরা খুব শীঘ্র শিখতে পারবে। আর একটা বড় কথা— শুধু মানসিক শিক্ষা না দিয়ে শিল্প শিক্ষার ব্যবস্থাও সঙ্গে সঙ্গে করা চাই।’ আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞান ও বর্তমান কালের ‘প্রোজেক্ট’ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা সেইসময় তিনি প্রয়োগের পথে হেঁটে ছিলেন নানা সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও। তিনি চিঠিতে লিখছেন— ‘Manual training না হলে শিক্ষার গোড়ায় গলদ রয়ে যায়। নিজের হাতে কোনও জিনিস প্রস্তুত করলে যে রূপ আনন্দ পাওয়া যায়, সে রূপ আনন্দ পৃথিবীতে অল্পই পাওয়া যায়। সৃষ্টির মধ্যে গভীর আনন্দ নিবৃত আছে। সেই Joy of Creation শিশুরা অল্প বয়সেই উপভোগ করে। ...এর দ্বারা তাদের Originality বা ব্যক্তিত্বের বিকাশের সুবিধা হবে এবং লেখা-পড়াকে ভয় না করে তারা উপভোগ করতে শিখবে।’ বিস্তারিত ভাবে তিনি আরও লিখেছেন যে, বিলেতের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে কীভাবে ছাত্ররা বাগানের কাজ শেখে, ব্যায়াম চর্চা, ড্রিল, পড়াশোনার মাঝখানে খেলাধুলো, গান-বাজনা শেখে, রুট মার্চ, পথে সংঘবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়, মাটির জিনিস বানাতে শেখে, গল্পচ্ছলে নানা বিষয়, নানা দেশের কথা জানতে পারে। তিনি এ প্রসঙ্গে চিঠি শেষ করেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার Fundamental Principal সর্বপ্রথমে শিক্ষককে বুঝতে হবে। তার পর তিনি নূতন প্রণালীতে শিক্ষা প্রবর্তন করতে পারবেন। শিক্ষকের অন্তরের ভালোবাসা ও সহানুভূতির দ্বারা শিক্ষককে ছাত্রের দিক থেকে সব জিনিস দেখতে হবে। ছাত্রের অবস্থায় যদি শিক্ষক নিজেকে কল্পনা করতে না পারে, তবে সে কি করে ছাত্রের difficulty এবং ভুলভ্রান্তি বুঝতে পারবে? সুতরাং Personality of teacher হচ্ছে সবচেয়ে বড়। শিক্ষার প্রধান উপাদান তিনটি— (১) শিক্ষকের ব্যক্তিত্ব (২) শিক্ষার প্রণালী (৩) শিক্ষার বিষয় ও পাঠ্য পুস্তক।’ শিক্ষাবিজ্ঞানের এমন সারকথা সহজভাবে বুঝিয়েছেন সেবাশ্রমের ভাবনাকে সামনে রেখে। উল্লেখ্য, বিলেতে আইসিএস ছাড়ার প্রাক্কালে দেশবন্ধুকে সুভাষচন্দ্র জানিয়েছিলেন যে, তিনি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশসেবার জন্য প্রস্তুত। দেশবন্ধু তাঁর সুভাষের এ দু’টি ভাবনাকে রাজনৈতিক পরিসরে যুক্ত করেছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুট দেশব্রতীদের জাতীয় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও ‘বাংলার কথা’ পত্রিকার সম্পাদক হয়েছিলেন তরুণ সুভাষচন্দ্র। পরবর্তীকালে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত হবার পরই বস্তি উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি সহ দিন-রাত পরিশ্রম করে নানা কাজ করেছেন। উত্তর কলকাতার ভূ-গর্ভস্থ জল সরবরাহের কাজ তদারকিতে পায়ে গামবুট পরে নিজে নেমেছেন। এমনকী, বহু দীনদুঃখী মানুষকে নীরবে সাহায্য করেছেন তাঁর রাজনৈতিক গুরু দেশবন্ধুর মতোই। পরাধীন দেশে অশিক্ষা, দুঃখ-কষ্ট দেখে স্বামী বিবেকানন্দের মতোই দেশবন্ধুর প্রাণ কেঁদেছে বারংবার। তাঁদের মতোই নিজের জীবন দিয়ে, রিক্ত হয়ে সুভাষচন্দ্র শয়নে স্বপনে দেশমুক্তির প্রয়াসের পাশাপাশি একদল সমাজসেবী কর্মীদল গড়ে তুলেছিলেন, যাঁরা শুধুই নিঃস্বার্থ সেবাকেই জীবনের লক্ষ্য করে তুলেছিলেন। রাজনীতির আবর্তে সুভাষচন্দ্রের জীবন সংগ্রাম অনেকটা প্রকাশ্যে এলেও সেবাব্রতী তরুণ সুভাষের বহু অজানা দিক সামনে আসেনি নানা কারণে। যদিও তার অন্যতম কারণ ব্যক্তিগত ত্যাগ ও সেবা নিয়ে চূড়ান্ত প্রচার বিমুখীনতা।
পরাধীন দেশে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতিকে রাষ্ট্রপতি বলা হতো। দু’বারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মকাণ্ড যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন, সেইসব বন্ধু সহকর্মীরা অভিনন্দিত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুকে। অভিনন্দন বার্তায় তাঁরা লিখলেন— ‘শ্রদ্ধাস্পদেষু বন্ধু, আজ আমরা তোমাকে আমাদের মধ্যে পাইয়া যুগপৎ গর্ব্ব ও আনন্দ অনুভব করিতেছি। এই দক্ষিণ কলিকাতায় অনাথ ভাণ্ডারের চাউল আদায় করিয়াই তুমি তোমার গৌরবময় কর্মজীবন আরম্ভ করিয়াছিলে এবং অনাথ আতুরের কথা তুমি কখনও বিস্মৃত হইতে পার নাই। তাই যখন ভাগ্য দোষে ভবানীপুরস্থিত অনাথ আশ্রমটি ভাঙ্গিয়া পড়িল, তখন কোলাহলময় রাজনীতি ক্ষেত্রে জড়িত থাকিলেও, তুমি ছুটিয়া আসিলে মাথায় তুলিয়া লইতে— অনাথের সেবা, শ্রুশ্রূষা ও শিক্ষার ভার...’ দীর্ঘ এই অভিনন্দন বার্তায় হৃদয়বান সুভাষ-চরিত্রের চিত্র ফুটে উঠেছে। নেতাজির কর্মময় জীবন সাধনাই তাঁকে চিরদিনের নেতাজি করে তুলেছে। নেতাজির জীবনই তাঁর বাণী।
24th  January, 2021
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM