Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জয় জওয়ান

অরূপ রাহা (অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা প্রধান): ঝুঁকি শব্দটি যখনই উল্লেখ করা হয়, তখনই তার সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যুদ্ধের বিষয়টি এসে পড়ে। কিন্তু শুধু যুদ্ধে নয়, ঝুঁকি রয়েছে প্রশিক্ষণ পর্বেও। একজন যুদ্ধবিমানের পাইলটকে নানাভাবে তৈরি হতে হয়। আকাশপথে সেই প্রশিক্ষণ যখন শুরু হয়, তখন প্রতিটি স্তরেই ঝুঁকি থাকে। সেগুলো অতিক্রম করে সাফল্য পাওয়াই একজন পাইলটের কাছে চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় বায়ুসেনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত থাকায় বিষয়টি প্রতিপদে উপলব্ধি করেছি। তাই ঝুঁকি শব্দটি শুনলেই আমার কর্মজীবনের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। যার মধ্যে অন্যতম, মিগ-২৯ এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্বে দুর্গম পাহাড়-উপত্যকার সঙ্কীর্ণ অংশ দিয়ে এঁকেবেঁকে সাফল্যের সঙ্গে বেরিয়ে আসা। এই নয়া যুদ্ধবিমানে পাইলটের ভূমিকা পালন করাই হয়তো আমার জীবনে সবথেকে কঠিনতম অধ্যায়।
১৯৮৭ সাল। আমি তখন পুনেতে। মিগ-২৯ স্কোয়াড্রনে পোস্টিং। মিগ-২৯ বায়ুসেনায় যুক্ত করা হয় ১৯৮৭ সালেই। এই যুদ্ধবিমানের ন্যাটো নাম হচ্ছে ফ্যালক্রাম। ভারতে এর নাম দেওয়া হয়েছে বাজ। অর্থাৎ বাংলায় বাজপাখি। মিগ-২৯ এর ক্ষিপ্রতা দেখেই এই নাম দেওয়া হয়েছিল। এর দক্ষতা, প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে নিজের কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা এবং আকাশপথে লড়াইয়ে শত্রুপক্ষকে নিকেশ করার মতো ক্ষমতা অত্যন্ত ভালো। একইসঙ্গে, সর্বাধুনিক রেডার, অত্যাধুনিক অস্ত্রবহনের মতো বিষয়গুলি যুক্ত থাকায় মিগ-২৯ আমাদের শক্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। বলা ভালো, এফ-১৬ এর থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মিগ-২৯। আর সেজন্যই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে এই যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দেয়। আমি ছিলাম প্রথম ব্যাচে। সোভিয়েতে গিয়ে রীতিমতো প্রশিক্ষণের নেওয়ার পর মিগ-২৯ নিয়ে ভারতে আসি। পুনেতে স্কোয়াড্রন তৈরি করা হয়।
দেশে ফিরে শুরু হয় মিগ-২৯ এর প্রশিক্ষণ। আমাদের স্কোয়াড্রনকে পাঠানো হয় শ্রীনগরে। দুর্গম পার্বত্য এলাকা, সেখানকার আবহাওয়া-পরিবেশের সঙ্গে যাতে মিগ-২৯ ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারে, তার দায়িত্ব দেওয়া হয় আমার উপরে। আমি ছিলাম স্কোয়াড্রন লিডার। সময়টা ছিল ১৯৮৭ সালের একদম শেষের দিকে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে হয়তো মিগ-২৯ সেখানে রাখা হতোই। কিন্তু তার আগে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কতটা মানিয়ে নিতে পারছে, তা দেখে নেওয়াও প্রয়োজন ছিল।
১৯৮৮ সালের মে মাস। সকাল ১০টা। আমি এবং আমার এক জুনিয়র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট প্রায় ৮৫০ কিলোমিটার গতিতে বিমান নিয়ে উড়ান শুরু করি। ওই এলাকায় আবহাওয়া খুব দ্রুত বদলে যায়। লে-লাদাখ এলাকায় সিন্ধু নদের উপত্যকা (ইন্দাস ভ্যালি) দিয়ে কিছুটা এগতেই দেখি, মেঘ অনেকটাই নেমে এসেছে। ফলে আমাদেরও কিছুটা নীচ দিয়েই যেতে হচ্ছিল। ১২-১৩ হাজার ফুট উচ্চতার উপত্যকা থেকে মাত্র ৩০০ মিটার উঁচু দিয়ে বিমান নিয়ে যাচ্ছি। যখন দ্রাস সেক্টরে পৌঁছলাম, দেখলাম উপত্যকার পাহাড়গুলি অত্যন্ত ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে। অর্থাৎ, দু’টি পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার জায়গায় অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। মেঘ ঘিরে রেখেছে। আমি সামনের আয়না (রিয়ার ভিউ মিরর) দিয়ে পিছনের বিমানে আসা জুনিয়রকে লক্ষ্য রাখছিলাম। কারণ, ভ্যালি ফ্লাইংয়ে জুনিয়র কোনও সমস্যায় পড়ছে কি না, বা তাঁর নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
সঙ্কীর্ণ রাস্তা এবং মেঘ নীচে নেমে আসা আমরা বিমানটিকে ৩০০ মিটার থেকে নামিয়ে ১০০ মিটারে নিয়ে এলাম। সামান্য অমনোযোগী হলেই মৃত্যু অবধারিত। আবার পথ হারালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে যাব। সবদিকেই বিপদ। এরপর শুরু ঘন ঘন তুষারপাত। ধীরে ধীরে দৃশ্যমানতা কমতে থাকল। দু’পাশে পাহাড়, মেঘ এবং সঙ্গে অনবরত তুষারপাত। পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। রিয়ার ভিউ মিরর দিয়ে জুনিয়র পাইলটকে দেখে বুঝতে পারলাম খুব একটা স্বস্তিজনক অবস্থায় ও নেই। কী করবে বুঝতে পারছে না। সঙ্গে সঙ্গে ওকে নির্দেশ দিই, বাইরের দিকে না দেখে ককপিটের ইনস্ট্রুমেন্টের দিকে নজর রাখো। সঙ্গে বলি, রি-হিট (ইঞ্জিনের পাওয়ার বাড়ানো) দিতে। যাতে বিমানের গতি বাড়ে। এরপর পিচিং করানোর নির্দেশ দিই। পিচিং অর্থাৎ বিমানকে নাক উঁচু করে উপরের দিকে চালানো। সোজা কথায়, রি-হিটে বিমানটি পিচিং করে সোজা উপরে ওঠাতে হবে। ওকে বলেছিলাম, মেঘ থেকে বেরিয়ে ও যেন আমায় রিপোর্ট করে। প্রায় এক মিনিট পর ওই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট জানাল, সে আমার নির্দেশমতো প্রায় ৩০ ডিগ্রি নাক উঁচু করে উপরে চলে এসেছে। মেঘ কাটিয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার উপরে। তিন-চারটি তুষারাবৃত চূড়া দেখতে পাচ্ছে। আমি আমার জুনিয়রের রিপোর্টে খুব খুশি হলাম। বুঝলাম, এখন ও নিরাপদ। ওকে বললাম, যেখানে আছো, সেখানেই চক্কর দাও। ওই ফ্লাইট লেফটেন্যান্টের পথ ধরে আমিও উপরে উঠে এলাম। এরপর দু’জনে একত্র হয়ে শ্রীনগর বায়ুসেনা ছাউনিতে গিয়ে নামলাম।
একটা কথাই শুধু বলতে চাই। এই সঙ্কটপূর্ণ আবওয়ার সঙ্গে দুর্গম পার্বত্য উপত্যকা দিয়ে বিমান ওড়ানো এবং সর্বশেষে সাফল্যের সঙ্গে বেরিয়ে আসা, তা অন্য কোনও ঝুঁকি তুলনায় কোনও অংশেই কম নয়। আরও একটি বিষয়, এধরনের কোনও সঙ্কটে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারণ, খুব কম সময় থাকে আমাদের হাতে। যুদ্ধ আর প্রশিক্ষণ—দু’টি ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। কিন্তু দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। মিগ-২৯ খুবই অত্যাধুনিক বিমান ছিল। ইঞ্জিনও খুব শক্তিশালী। যে কারণে আমরা সুবিধা পেয়েছিলাম। ঠিক বালাকোটে যেমন মিরাজ ২০০০ সাফল্য পেয়েছে। সর্বশেষে একটা কথা বলতে চাই, কার্গিল লড়াইয়ে মিরাজ ২০০০ শত্রুপক্ষের ঘরে ঢুকে নিকেশ করেছে। আর মিগ-২৯ ছিল সীমান্ত প্রহরায়। এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাক বায়ুসেনার এফ-১৬ ভারতের সীমান্ত পেরনোর ক্ষমতা দেখাতে পারেনি।

প্রদীপকুমার চট্টোপাধ্যায় (অবসরপ্রাপ্ত ভাইস অ্যাডমিরাল): স্থলপথে বা আকাশপথে, যুদ্ধ হোক অথবা শত্রুপক্ষকে নিকেশ, এসব প্রকাশ্যে চোখে দেখা যায়। কিন্তু জলের তলায় লড়াই! সেটা হয় সবার নজরের আড়ালেই। যা কোনও কোনও অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধরা যাক, কোথাও যদি শত্রুপক্ষের সঙ্গে আমাদের আকাশপথে বা স্থলপথে লড়াই হচ্ছে। জেনে রাখুন, জলের তলায় আগে থেকেই আমাদের ডুবোজাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। কোনও যুদ্ধ বা লড়াইয়ে ডুবোজাহাজ সবার আগে জলের তলায় দিয়ে সীমান্তে গিয়ে প্রস্তুত থাকে। কিন্তু লড়াই থামার বেশ কয়েক মাস পর সেখান থেকে ফেরত আসে। লড়াই (কনফ্লিক্ট) যদি বড়সড় যুদ্ধে পরিণত হয়, তখনই বোঝা যাবে, ডুবোজাহাজ শত্রুপক্ষের কতটা ক্ষতি করেছে বা জলের তলায় সীমানা রক্ষায় কতটা দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পেরেছে। তবে ‘পিস টাইম’ (শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান) হোক অথবা যুদ্ধের সময়, ডুবোজাহাজ একবার জলে নেমে পড়লে, কেউ জানে না তা কতদিনের জন্য।
ডুবোজাহাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে, সেটা সাবমেরিনের এক জুনিয়র কর্মী হিসেবে হোক বা কমান্ডিং অফিসার হিসেবেই হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনুধাবন করেছি। কার্গিল লড়াইয়ে আমি দেশের পশ্চিম উপকূলে সাবমেরিনের কমান্ডিং অফিসার (কম কস) হিসেবে নিযুক্ত ছিলাম। লড়াই শুরুর পরই আমাকে দেশের নৌসেনা প্রধান নির্দেশ দিয়েছিলেন, তৈরি হোন। সেইমতো আমরা তৈরি হয়ে সাবমেরিন নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। যদিও কার্গিল লড়াইয়ে জলপথে যুদ্ধের কোনও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি।
সাবমেরিনে জলায় তলায় যখন থাকতাম, তখন আমাদের কাছে দিন বা রাত বলে কিছু থাকত না। রাত বোঝানো হতো সাবমেরিনের ভিতরে লাল আলো জ্বালিয়ে। আবার সকালবেলা নির্দিষ্ট করা হতো অন্য আলো জ্বালিয়ে। আমরা জলের তলায় দিনকে রাত এবং রাতকে দিন ধরে সময় নির্দিষ্ট করতাম। কারণ, রাতের বেলাতেই সতর্কতা বেশি থাকে। আমাদের যদি কোনও অপারেশন থাকে, সেটা আমরা সেই সময়ই করে থাকি। তাই রাতের সময়টা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন অনেক কিছুতেই দেখানো হয়, জলের তলায় ডুবোজাহাজ থেকে বাইরের অনেক কিছু দেখা যায়। এটা সম্পূর্ণ ভুল। ডুবোজাহাজ নিয়ন্ত্রিত সম্পূর্ণ উন্নত ইনারশিয়াল নেভিগেশন প্রযুক্তিতে। বর্তমানে যত আধুনিক ডুবোজাহাজ তৈরি হচ্ছে, তার নেভিগেশন ব্যবস্থা ততই উন্নত। জলের তলায় আমাদের সর্বক্ষণ চোখ-কান খোলা রাখতে হতো। কারণ সামান্য ভুলত্রুটিতেই হতে পারে বিপদ। সেটা দেশের পক্ষে ভালো নয়। তাই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমেই শত্রুপক্ষের বিচরণ নজরদারিতে রাখা হয়। আর একটা কথা বলতে চাই। সাবমেরিন কখনও জোরে যায় না। কারণ, জলের এতটাই গভীরে থাকে ডুবোজাহাজ, যদি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চললে তার ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। অ্যাকশন এরিয়ায় থাকলে সবদিক থেকে তৈরি থাকতে হয়।
আমি ১৯৭৭ সালের ১ জানুয়ারি ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিই। ১৯৭৮ সালে সাবমেরিনে জুনিয়র অফিসার হিসেবে যোগ। সেই যোগ দিয়ে আমি পর পর চারটি রাশিয়ান সাবমেরিনে বিভিন্ন পদে কাজ করি। ১৯৮৪ সালে অক্টোবর মাসে জার্মানি গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের প্রশিক্ষণ হয়। কোনও ডুবোজাহাজ নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার আগে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। জার্মানি থেকে আমরা ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘আইএনএস শিশুমার’ সাবমেরিন নিয়ে ভারতে ফিরি। তারপরই আমাকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দু’-তিনমাস পরই চলে গেলাম অপারেশনে। তখন আমি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। তবে জানতাম না, আমাদের কোথায় পাঠানো হবে। আমাদের অপারেশন কী হবে, তা ডুবোজাহাজের ভিতরে সিল করা থাকে। সেটা ওখানে গিয়েই দেখতে হয়। এটাকে বলে ‘সিক্রেসি এসেন্স অব সাবমেরিন অপারেশন।’ জানতে পারলাম শ্রীলঙ্কায় অপারেশনে যেতে হবে। ১৯৮৭ সালের শ্রীলঙ্কা অপারেশনে আমাদের একটা গোপন টাস্ক দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, কোনও তৃতীয় দেশ যাতে কোনওভাবে ওই লড়াইয়ে যুক্ত হতে না পারে, সেব্যাপারে নজর রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা সেই নজরদারিতেই ছিলাম আমরা। তখন স্যাটেলাইট ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। প্রায় একমাসেরও বেশি সেখানে ছিলাম।
আমি ১৯৯২ সালে প্রথম ডুবোজাহাজ কমান্ড করেছিলাম। নাম ছিল আইএনএস শঙ্কুস। ১৯৯৪ সালে কমান্ডিং অফিসার ছিলাম আইএনএস শঙ্কুল নামক ডুবোজাহাজে। এই ডুবোজাহাজ ভারতেই তৈরি হয়েছিল। ডুবোজাহাজের অভিজ্ঞতা বলা শুরু হলে তা শেষ করা যাবে না। বিশাখাপত্তনমে সাবমেরিন সদর দপ্তরে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ডুবোজাহাজের ফ্ল্যাগ অফিসার ছিলাম। তখন আমি রিয়ার অ্যাডমিরাল পদে। তারপর মুম্বই এবং সেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে দিল্লি চলে গেলাম ভাইস অ্যাডমিরাল পদে। ওখানে গিয়েই আমি আইএনএস অরিহন্ত, আইএনএস চক্র নিয়ন্ত্রণ করতাম। এছাড়াও প্রচুর জটিল বিষয় ছিল। ২০০৯ সালে আমি আইজি নিউক্লিয়ার সেফটি পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করলাম। এরপর ২০১২ সালের জুন মাসে আমাকে ডেপুটি চিফ করা হয়। দু’বছর সেই দায়িত্বের পর ২০১৪ সালে আন্দামান নিকোবর কমান্ডে কমান্ডার ইন চিফ পদে এলাম। আমার জীবনের অন্যতম বড় সাফল্য আইএনএস রাজপুত থেকে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা। এতদিনের অভিজ্ঞতায় বুঝেছি, যিনি সাবমেরিন কমান্ড করবেন, তিনি যুদ্ধজাহাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কিন্তু যিনি শুধু যুদ্ধজাহাজ নিয়ন্ত্রণ করবেন, তিনি সাবমেরিন কমান্ড করতে পারবেন না। কারণ, গোপনীয়তা বজায় রেখে জলের তলায় সতর্কিত পদক্ষেপ করাই আমাদের অন্যতম কর্তব্য।

অরুণ রায় (অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল): পূর্ববঙ্গের মানুষ তখন মুক্তির স্বাদ পেতে শুরু করেছেন ধীরে ধীরে। তবে পাকিস্তানও যে ছেড়ে দেবে না, সেটা আমরা জানতাম। কামড় তারা দেবেই। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পূর্ববঙ্গে খান-সেনার উপরে হামলা করবে ভারতীয় বাহিনী। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দিক থেকে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এর পাল্টা হিসেবে পাক সেনাও সেই সময় জম্মুর দিক থেকে ভারতের উপরে হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর বা ৩০ নভেম্বর। আমি তখন জম্মুর ছাম্ব সেক্টরে। এইট জেএকে মিলিশিয়ার ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন। আমার কমান্ডিং অফিসার (সিও) কর্নেল জসবিন সিং রান্ধওয়া নির্দেশ দিলেন, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কোথায় ‘ফার্ম বেস’ তৈরি করা যায়, সেই জায়গা স্থির করতে। ‘ফার্ম বেস’-কে সেনাবাহিনীর পরিভাষায় লঞ্চপ্যাডও বলা যেতে পারে। সেই ফার্ম বেসের থেকেই শত্রুপক্ষের উপরে হামলা করতে হবে। সিও’র নির্দেশমতো আমি বাহিনী নিয়ে এগতে শুরু করলাম। দু’টি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলাম। মানওয়ার তহি নদী টপকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে দু’-তিন কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়ি। একটু একটু করে এগিয়েছি, আর পাথর ও গাছের উপর মার্কিং করেছি। যাতে এই রাস্তা ধরে ফিরে আসতে অসুবিধা না হয়। কিন্তু কিছুদূর এগতেই আমরা অবাক। কারণ, পাক বাহিনী ভারতের উপরে বড়সড় হামলার প্রস্তুতি প্রায় নিয়েই ফেলেছে। ট্যাঙ্ক, সুসজ্জিত যুদ্ধাস্ত্রে পাক বাহিনী তৈরি। দেখেই বুঝতে পারলাম, এখানে ফার্ম বেস তৈরি করা যাবে না। কারণ, ধারেভারে ওরা অনেক এগিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে।
ফিরে এসে পুরো বিষয়টি সিও’কে জানালাম। তিনিও বিভিন্ন সূত্রমারফৎ খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, আমরা যেটুকু দেখেছি, তার থেকেও অনেক বেশিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছে পাক বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দিল্লি গিয়ে সেনা সদরদপ্তরে বিষয়টি জানান। আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ফার্ম বেস নয়, বরং নদীর ধার বরাবর অংশে ভিত শক্ত করে তৈরি করতে হবে। জানতাম যে কোনও সময়ে হামলা হবে। তাই আমরাও নিজেদের আর্টিলারি ব্যবস্থা তৈরি করতে থাকি।
৩ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা। আচমকাই পাক বাহিনী হামলা করল। বোমা-গোলা বর্ষণে কেঁপে উঠল চারপাশ। দিনরাত গুলি-গ্রেনেড। সঙ্গে রকেট লঞ্চার আছড়ে পড়ছে। প্রথমদিকে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও প্রত্যুত্তর দিতে শুরু করলাম। ব্যাটেলিয়নকে বলেছিলাম, জায়গা ছাড়া চলবে না। পাক বাহিনীকে কড়া জবাব দিতে হবে। আমি জানতাম, ওই অংশটি ছাড়লে চলবে না। কারণ, একবার পাক বাহিনী এই অংশ দিয়ে ঢুকে পড়লে সোজা আখনুর সেক্টরে পৌঁছে যাবে। আর সেখানে পৌঁছতে পারলেই, রাজৌরি, নৌসেরা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। তাই দাঁতে দাঁত চেপে জায়গা ধরে রাখার লড়াই শুরু করি। পাক বাহিনীর হামলায় আমাদের বাঙ্কারগুলো গুঁড়িয়ে যাচ্ছিল। একের পর এক জওয়ান শহিদ হচ্ছেন। কম পরিসরে হলেও আমরাও পাল্টা দিচ্ছিলাম।
উল্লেখ করা উচিত, ৭১’র যুদ্ধে একমাত্র ছাম্ব সেক্টরেই সংগঠিতভাবে হামলা করেছিল পাক বাহিনী। লড়াই যখন চার-পাঁচদিন কেটে গিয়েছে, তখন আকাশপথে হামলা শুরু করলাম আমরা। বায়ুসেনার বিমান একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে শুরু করল পাক বাহিনীর উপরে। ওদের ট্যাঙ্ক গুঁড়িয়ে যেতে থাকল। পাল্টা পাক বায়ুসেনাও আমাদের উপরে হামলা করল। বোমাবর্ষণে কাঁপছিল গোটা ছাম্ব।
তবে মানওয়ার তহি নদীর ওপারে ছাম্ব সেক্টরের যে অংশে আমরা ছিলাম, সেখান থেকে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিলাম। পাক বাহিনী সেটা দখল করল। কিন্তু দেওয়া, নাথওয়ার টিব্বার কাছে আমাদের ব্যাটালিয়ন নিজেদের জায়গা ছাড়েনি। লালিয়ালি, ৭০৭, ৭০৪, ৭০৩ নম্বর পয়েন্টগুলি রক্ষা করাই ছিল আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। আমরা তুলনামূলকভাবে পাহাড়ের একটু উপরের দিকে ছিলাম। মানওয়ার তহির উপরে একটি ব্রিজ ছিল। সেখান দিয়ে পাক বাহিনীর ট্যাঙ্ক পারাপারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। তাই সেই সেতুটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। ছাম্ব সেক্টরের সামান্য জায়গা ওরা দখল করে। কিন্তু ওই লড়াইয়ে আমরা আখনুর সেক্টরকে রক্ষা করতে পেরেছিলাম। পাক বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছিলাম নদীর ওপারে। ১৩ দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হয়। মানওয়ার তহির চারপাশ বারুদের গন্ধে ভরপুর। জানতে পারলাম, মুক্তিযুদ্ধে জয় এবং পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা। বর্তমানে মানওয়ার তহি নদীর উপর দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা গিয়েছে। ছাম্ব সেক্টরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক বাহিনীকে ১৩ দিন ধরে এক জায়গায় থামিয়ে রাখার কারণে ব্যাটালিয়নকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান দেওয়া হয়। বীরচক্রে ভূষিত হয়েছিলেন সিও কর্নেল জসবিন সিং রান্ধওয়া।

 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
11th  August, 2019
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM