Bartaman Patrika
বিকিকিনি
 

ট্রেক করে যমুনার উৎসে

ফাচু কান্দি পেরিয়ে তমসা থেকে যমুনার দিকে যাত্রা। কেমন সেই অভিজ্ঞতা? জানালেন সুমন চট্টোপাধ্যায়

দেরাদুন থেকে শাঁকরি। সেখানে একরাত কাটিয়ে পরদিন গাড়িতে চলেছি তালুকা। দূরত্ব নয় কিলোমিটার। এখান অবধিই গাড়ি চলাচল করে। তবে ডাটমির অবধি রাস্তার কাজ চলছে। অদূর ভবিষ্যতে সেখানে গাড়ি চলে যাবে। এখানে আমাদের জন্য চারটে ঘোড়া নিয়ে দুটো ঘোড়াওয়ালা অপেক্ষা করছে। ঘোড়ার পিঠে মালপত্র চাপিয়ে আমাদের ট্রেক শুরু হল বেলা সাড়ে এগারোটায়। আমাদের ছ’জনের দলে গাইড, একজন কুক, একজন হেল্পার।
দু’হাজার মিটার উচ্চতার তালুকা থেকে তমসা নদীর পাশ দিয়ে সোজা চিরাচরিত পথ চলে গিয়েছে সীমা হয়ে হর কি দুন-এর দিকে। এই সমগ্র উপত্যকাটিকে বলা হয় তমসা উপত্যকা বা টনস ভ্যালি। আমাদের ট্রেক রুট ডানদিকে ঊর্ধ্বমুখী পথে তালুকা গ্রামের মধ্য দিয়ে। উঠতে উঠতে দেখলাম নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে তমসা নদী। দু’পাশে পাহাড়। অসাধারণ সুন্দর উপত্যকা। শস্যশ্যামলা তালুকা গ্রামে ফলে রয়েছে অজস্র লাল রামদানা। উঠে চললাম আপার তালুকার খেতের মধ্যে দিয়ে। এরপর গ্রাম শেষে শুরু হল পাইন, ফার, ওক গাছের ঘন জঙ্গল। নিবিড় অরণ্যের মধ্যে দিয়ে বিরক্তিকর টানা চড়াই পথ। সূর্যের আলো প্রায় ঢোকে না বললেই চলে। তাই পুরো পথটা ভেজা, স্যাঁতসেঁতে। পথের মাঝে কোথাও কোথাও গাছের বিশাল গুঁড়ি পড়ে আছে। সেসব টপকে টপকে চলা। গোরু, মোষ, খচ্চর চলে চলে অনেক জায়গাই কর্দমাক্ত। একঘেয়েমি পথে চলতে চলতে শেষবেলায় উঠে এলাম এক উন্মুক্ত বুগিয়ালে (ঘাসে মোড়া পাহাড়ি ঢালু প্রান্তর)। বিশাল প্রশস্ত বুগিয়াল। নাম পুসতারা। উচ্চতা ৩০৬৭ মিটার। দেখলাম শাঁকরি থেকে ফুলারা রিজ হয়ে এখানে এসে গোটা দশ বারোটা তাঁবু গেড়েছে অল্পবয়সি ছেলেমেয়ের এক বিরাট দল। কাল ওরা তালুকা নেমে যাবে।
আজও সকালে ঝকঝকে আকাশ। সোনারোদে ভেসে যাচ্ছে চরাচর। নাস্তা সেরে সাড়ে আটটায় স্যাক তুলে নিলাম পিঠে। বিস্তীর্ণ বুগিয়াল অঞ্চল, রডোডেনড্রনের জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে কিছুক্ষণের বিশ্রাম। আজকের ট্রেকিংয়ের পথও বেশ ছোট। দূর থেকে দেখতে পেলাম বেশ উঁচুতে একফালি বুগিয়াল অঞ্চল। রোদ পড়ে ঝকঝক করছে। চড়াইপথে চলতে চলতে একটা সময় রডোডেনড্রনের ঝাড়ি শেষ হল। উঠে এলাম বিস্তীর্ণ এক চারণক্ষেত্রে। সবুজ মখমলের মতো ঢেউ খেলানো বুগিয়াল। এটাই দেখছিলাম দূর থেকে। জায়গাটার নাম তালোটি। ভাবলাম এখানেই আমাদের ক্যাম্প হবে। কিন্তু ঘোড়াওয়ালারা আরও কিছুটা এগিয়ে উপরের দিকে। গাইডের কথায় উঠে চললাম আরও উপরের দিকে, একটা ছোট সমতল জায়গায়। এখানে একটা পাথর দিয়ে তৈরি শেফার্ড হাট আছে। মেষপালকদের অস্থায়ী আস্তানা। তারই পাশে আমাদের তাঁবু পড়েছে। উপর থেকে ৩৬০ ডিগ্রি উন্মুক্ত। অসাধারণ লাগছে জায়গাটা। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়িয়ে দেখার জন্য আদর্শ। এখন বাজে বেলা বারোটা। উচ্চতা ৩৫৮০ মিটার।
গরম গরম খিচুড়ি পাঁপড়ভাজা দিয়ে লাঞ্চ সেরে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম। বিকেল বিকেল বেরলাম আশপাশের অঞ্চলটা ঘুরে দেখতে। সামনে অনেকটা উঁচুতে ফুলারা রিজ, একের পর এক সবুজ বুগিয়াল, অনামী পাহাড়ি ফুলের সমারোহ। অন্যদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের বিস্তার। কোথা থেকে যেন সময় কেটে যায় ঘুরেফিরে। সন্ধে নামার মুখে ফিরে এলাম তাঁবুতে।
তালোটি আপার ক্যাম্প ছাড়লাম সকাল ৮.৪০-এ। প্রথমেই ঘাসের চাপড়া দিয়ে বুগিয়ালের দমফাটা চড়াই পথ। উপরে উঠে দম নিতেই সামনে আর একটি প্রশস্ত বুগিয়াল। প্রায় ৬০ ডিগ্রি থেকে ৭০ ডিগ্রি ঢাল। সোজাসুজি উঠে যাওয়া। উঠে এলাম উপরে। চারদিকে ধূসর, সবুজ, খয়েরি রঙের পাহাড়। তাতে বরফ নেই। নীচে নানা আকৃতির বুগিয়াল। এরপর পাহাড়ের গা পেঁচিয়ে করে শুরু হল একের পর এক পাহাড়ের ঢাল পেরনো। একটা সময় দূর থেকে একটা ক্যাম্পসাইট দেখা যায়। চিত্রিকুনাল ক্যাম্পসাইট। এখানেও মেষপালকদের পাথর বাঁধানো ঘর রয়েছে। তবে ফাঁকা। বিশাল এক পাথরের চাট্টানে (চাটাই) বসে সঙ্গে নিয়ে আসা প্যাকড লাঞ্চ দিয়ে আহার সারলাম। অনেক উঁচুতে রিজের ওপারে সারুতাল...। ধসা পাহাড়ের অঞ্চল। বেশ কষ্টকর চড়াই। উচ্চতা ৪১৪০ মিটার। তাল খুবই ছোট ও সরু। ক্যাম্পসাইটে জলের অভাব। তাই সারুতালে যাওয়ার ইচ্ছে ত্যাগ করে নেমে এলাম নীচের সুবিশাল ক্যাম্পসাইটে। এটাকে রাতেরি বা পাসের বেসক্যাম্পও বলা যেতে পারে। উচ্চতা ৩৯৮০ মিটার। দারুণ সুন্দর প্রশস্ত এক টেবিল টপ বুগিয়ালের উপর আমাদের ক্যাম্প করা হয়েছে। পাশেই উপর থেকে বয়ে আসছে সারু নালা। রাতেরিতে এই নালা বহুভাগে বিভক্ত। অনেকক্ষণ ধরেই আকাশে মেঘ জমছিল। কোহারায় ঢেকে যাচ্ছে চরাচর। একটু বাদেই মিহি বরফকুচি পড়া শুরু। ক্রমে তার গতি বাড়তে লাগল। পুরো বুগিয়াল মুহূর্তে সাদা হয়ে গেল সাবুদানার মতো তুষারে। এরপর শুরু হল বৃষ্টি। বেশ অনেকক্ষণ চলল। তারপর ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করল। আগামী কাল পূর্ণিমা। তাই আমরাও ভরপুর চাঁদের আলোয় কিছুক্ষণ  কাটালাম। কিন্তু ঠান্ডার প্রকোপে বেশিক্ষণ থাকা গেল না। তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে স্লিপিং ব্যাগের ভিতরে নিজেকে সঁপে দিলাম।
আজ আমাদের ট্রেকের আসল দিন। আজ পাস ক্রসের দিন। গত রাত থেকেই একটা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি। আজ আকাশ ঝকঝকে তকতকে। মিঠে রোদ এসে পড়ল তাঁবুতে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় শরীরটা ওম ফিরে পেল। চটপট রেডি হয়ে নিলাম। পাসের দূরত্ব বেশি নয় বলেই বেরতে বেরতে পৌনে ন’টা। প্রথমেই একটা চড়াই ভেঙে উঠে এলাম উপরে। এখান থেকে ঘুরে দেখলাম আমাদের ফেলে আসা ক্যাম্পসাইট। উত্তরমুখী পথে একের পর এক পাথর পেরিয়ে চলা। ক্রমশ চোখের সামনে পরিষ্কার হচ্ছে পাসের অবস্থান। বাঁ দিকের পাহাড়গাত্রের রিজ দিয়ে সারুতাল থেকে পরিষ্কার পায়ে চলার পথ এসে মিলেছে পাসের সঙ্গে। পাসের দিকে লক্ষ রেখে এগিয়ে চলেছি। শেষমেশ চড়াই  ভেঙে উঠে এলাম ফাচু কান্দি পাসের উপর। উচ্চতা ৪২৫০ মিটার। ঘড়িতে সময় সকাল ৯.৪৫। পাসের উপর বরফের চিহ্নমাত্র নেই। ওপাশের দিকে দেখা যাচ্ছে কালানাগ, বন্দরপুঞ্চ, গঙ্গোত্রী-১ সহ বেশ কিছু তুষারশৃঙ্গ। দেখা যাচ্ছে যমুনা উপত্যকার বিস্তার। পাসের উপর পুজো দিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলে নামতে শুরু করলাম। নামার পথটা ঝুরো মাটি ও পাথুরে হলেও বেশ চওড়া। সামনে যমুনা উপত্যকার দিকে ঢেউ খেলানো বিস্তীর্ণ বুগিয়াল। বেশ অনেকটা নেমে প্যাকড লাঞ্চ দিয়ে আহার সারলাম। এরপর রুক্ষতা কমে দেখা মিলল রডোডেনড্রন গাছের। ক্রমে তা ঘন হতে শুরু করল। তারপর ঝাউ, পাইন ইত্যাদি বড় বড় গাছের আধিক্য। নেমে এলাম মন্দিরা কা থাচ বুগিয়ালে। এটি বেশ বড় ও বিস্তীর্ণ। কাছেই রয়েছে ভৈসা তাল। বেশ কিছু গোরু মোষ চরে বেড়াচ্ছে। বুগিয়ালে  তাঁবু ফেলা হল।
পরদিন সকাল সাতটায়  নামা শুরু করলাম। বেশ কিছু বিপজ্জনক অঞ্চল পেরিয়ে পুসলা পৌঁছে গেলাম সাড়ে আটটায়। এখানে একসময় কুড়ি-পঁচিশ ঘর লোকের বসবাস ছিল। বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে ঘরগুলি। কোনও মানুষজন নেই। পুসলা পেরিয়ে প্রবেশ করলাম ঘন জঙ্গলের মধ্যে। ক্রমশ উতরাই আর উতরাই। লেকা চারণক্ষেত্র থেকে দেখা গেল দুরবিল গ্রাম। খেতের মধ্যে দিয়ে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ নেমে এলাম দুরবিল গ্রামে। দূর থেকে অনেক নীচে হনুমান চটি। গ্রাম ছাড়িয়ে আরও একঘণ্টা হেঁটে পৌঁছে গেলাম হনুমান চটি। এটি হনুমান গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থল। এর সঙ্গেই শেষ হল ট্রেক। এখান থেকে গাড়িতে পাড়ি দেরাদুনের পথে।
প্রয়োজনীয় তথ্য: এই ট্রেকটি শাঁকরি থেকে কেদারকণ্ঠের পথে জুদা কা তালাও এবং সেখান থেকে ফুলারা রিজ হয়েও করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’দিন সময় বেশি লাগবে। প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র শাঁকরি চেকপোস্ট থেকেই নিতে হবে।
আমাদের এই ট্রেকের পুরো প্যাকেজ মূল্য ছিল দেরাদুন থেকে দেরাদুন ১৬ হাজার টাকা।
08th  June, 2024
বর্ষায় ঘরের দেখভাল

এই মরশুমে ঘরবাড়ি স্যাঁতসেঁতে থাকে। কোন কোন নিয়মে ঘরবাড়ি রাখবেন ঝকঝকে? বিশদ

29th  June, 2024
 টুকরো খবর

ডিজাইনার সাক্ষ্য ও কিন্নির নকশায় এগজিকিউটিভ হোম কালেকশন ‘হানি আই অ্যাম হোম ২.০’ নিয়ে এল ওয়েস্টসাইড। ফিউশন ডিজাইন ও সমসাময়িক নান্দনিকতা দিয়ে সেজেছে এই নকশা। হোম রেঞ্জের সবরকম উপাদানে এই নকশাগুলি পাবেন। বিশদ

29th  June, 2024
কেরলের কোট্টায়ামে একরাত

চিরহরিৎ পাহাড় আর শান্ত হ্রদে ঘেরা বাণিজ্যিক শহর কোট্টায়াম। আক্ষরিক অর্থে তা যেন সবুজে সবুজ আর নীলিমায় নীল।   বিশদ

29th  June, 2024
নানা রঙের  চায়ের গুণ

বাঙালির আড্ডায় নানা ধরনের চায়ের আনাগোনা। কোন চায়ের উপকার কেমন? রইল তার হদিশ। বিশদ

22nd  June, 2024
পান্নার খোঁজে

মধ্যপ্রদেশের নিঝুম জঙ্গল। সারাক্ষণ সজাগ চোখের ঘোরাফেরা। এই বুঝি দেখা মিলবে বাঘের। রইল সেই রোমাঞ্চভরা অভিজ্ঞতার কথা। বিশদ

22nd  June, 2024
টুকরো  খবর

বাড়ির বাইরের সজ্জা থেকে অন্দরের সাজ— সবটুকু মনের মতো করে তুলতে ভরসা রাখতে পারেন পোদ্দার ওয়ালপেপার অ্যান্ড ব্লাইন্ডস কোং-এর উপর। রঙের চেয়েও কম খরচে ওয়ালপেপার মিলবে এখানে। বিশদ

22nd  June, 2024
ফিটনেস নিয়ে ভুল ধারণা নয়

নিয়ম মেনেও কমছে না ওজন? কিছু ভুল করছেন না তো? সুস্থ থাকার টিপস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশদ

15th  June, 2024
ঘরে বসে রোজগার: সুগন্ধি

বাড়িতে তৈরি করলে হতে পারে উপার্জন। কীভাবে? রইল হদিশ।  বিশদ

15th  June, 2024
কুমায়ুনের গুহামন্দির পাতাল ভুবনেশ্বর 
 

আশ্চর্য এক পাহাড়ি গুহা! অজ্ঞাতবাসকালে পাণ্ডবরা নাকি এখানে কাটিয়েছেন কিছু দিন। ভ্রমণকথায় সেই অনিন্দ্যসুন্দর অঞ্চলের বর্ণনা। বিশদ

15th  June, 2024
 টুকরো  খবর

আগুনরঙা লালচে মাটি, পাহাড়ের ঘেরাটোপ, পলাশের দেশ, হ্রদ, ঝরনা, ছৌয়ের বাহার, সবুজের হাতছানি— মানভূমের পুরুলিয়া তথা রাঢ় বাংলার রূপ অতুলনীয়। সেই রূপ এবার ধরা দিল এক প্রদর্শনীতে। বিশদ

15th  June, 2024
বৈঠকখানার আসবাব

কেমন আসবাবে সাজিয়ে তুলবেন আপনার লিভিং রুম? রইল স্বরলিপি ভট্টাচার্যের পরামর্শ বিশদ

08th  June, 2024
পাল্টে নিন জলের বোতল

তাম্র পাত্রে জল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সকলেই একমত। অতএব অন্য বোতল ছেড়ে বরং ঘরে আনুন স্টিল বা তামার বোতল। ‘মেটাল বটল’ এখন দারুণ ট্রেন্ডিং। বিশদ

08th  June, 2024
ব্যাগ গোছানোর সহজ নিয়ম

প্যাকিং যে কী বিষম বস্তু, বাঙালি তা হাতেকলমে স্বাদ পায় বেড়াতে যাওয়ার আগে প্যাকিং শুরু করলে। একসময় সাধারণ পোঁটলা-পুঁটলিতে বাঁধাছাঁদা করাকেই ‘প্যাকিং’ বলে জানত। একটু অবস্থাপন্ন পরিবার হলে চামড়ার স্যুটকেস ও বড় ট্রাঙ্ক ছিল তাদের ভরসা। কুলির মাথায় ও পিঠে বড় ছোট নানা আকারের ব্যাগ ও ট্রাঙ্ক চাপিয়েই বাঙালি বেড়াত নানা মুলুক। 
বিশদ

01st  June, 2024
ম্যাকলয়েডগঞ্জের গির্জায় একদিন

সেন্ট জনস ইন দ্য উইল্ডনেস গির্জায় ঘুরতে এসেছিলাম হিমাচলপ্রদেশের ম্যাকলয়েডগঞ্জ পৌঁছনোর দ্বিতীয় দিন সকালে। প্রথম দিন ডালহৌসির কয়েকটা দর্শনীয় জায়গা ঘুরে দেখতেই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই পরের দিন সকালে প্রথমেই গিয়েছিলাম ধরমশালার বিখ্যাত ‘ডাল লেক’ দেখতে।
বিশদ

01st  June, 2024
একনজরে
ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবশেষে বিজেপিকে রাজভবনের সামনে শর্তসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে পারবে বিজেপি। ...

কালিম্পংয়ে ধস ও নদী ভাঙনে বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার নতুন করে ধস না নামলেও সংশ্লিষ্ট রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করেনি। ...

লো ভোল্টেজের সমস্যার মাঝে আচমকাই ভোল্টেজ হাই হয়ে যাওয়ায় প্রায় দুশো পরিবারের কয়েক লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে সাগরদিঘি থানার বালিয়া পঞ্চায়েতের নয়নডাঙা গ্রামে রাতে এই ঘটনা ঘটে। ...

১৫ দিনে সাতবার! ফের বিহারে সেতু বিপর্যয়। এবারের ঘটনাস্থল সিওয়ান জেলা। জেলায় কয়েকদিন আগেই ভেঙে পড়েছিল একটি ব্রিজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই বুধবার ভোরে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে
১৭৭৬: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা বলে স্বীকৃতি পান জর্জ ওয়াশিংটন 
১৮১৭: স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল-বুক সোসাইটি গঠিত হয়
১৮২৮: উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন
১৮২৯: লন্ডনে প্রথম বাস চলাচল শুরু
১৮৮১: শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে প্রথম টয়ট্রেন চলাচল শুরু হয়
১৮৮৬: ফ্রান্সের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দেয়
১৯০২: স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ
১৯০৪: পানামা খালের খনন কাজ শুরু হয়
১৯৩৪: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মেরি কুরির মৃত্যু
১৯৪৩: সিঙ্গাপুরের ক্যাথে সিনেমা হলে সুভাষচন্দ্র বসু রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসুর বর্মাতে স্মরণীয় আহ্বান তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব
১৯৬৩: স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মৃত্যু
১৯৬৮: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির জন্ম
১৯৭২: পুনরায় দুই কোরিয়া একত্রী করণের লক্ষ্যে প্রথমবার সরকারিভাবে যৌথ ঘোষণা করা হয়
১৯৮৭: প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ইমরান খান
২০২২: বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৯ টাকা ১০৭.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী ২/১৮ প্রাতঃ ৫/৫৫ পরে চতুর্দশী ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৪/৫৮। মৃগশিরা নক্ষত্র ৫৭/১৮ রাত্রি ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৫/০/২৭, সূর্যাস্ত ৬/২১/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৩ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১ মধ্যে। 
১৯ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪।  ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/৩৮ পরে চতুর্দশী শেষরাত্রি ৪/৩৮। মৃগশিরা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২১। সূর্যোদয় ৫/০, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/১ মধ্যে।  
২৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝাড়খণ্ডে আগামী ৮ জুলাই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোট

08:03:14 PM

মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভিক্ট্রি প্যারেড

07:55:00 PM

শিক্ষা দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য ...বিশদ

07:35:19 PM

মেরিন ড্রাইভে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

07:17:32 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে ট্রফি হাতে হার্দিক পান্ডিয়া

06:49:35 PM

মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছল টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল

06:35:34 PM