বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
ব্ল্যাক লেদার জ্যাকেটের সঙ্গে লং গাউন— সুস্মিতার মতে তিনটি লুকের মধ্যে সেরা এই লুকটি। কেন, তারও ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। লেদার জ্যাকেট এমনিতেই খুব প্রিয় তাঁর কাছে। পার্টিসুলভ লং গাউনটি জ্যাকেটের সঙ্গে দারুণ মানিয়েওছে। আর হেয়ারস্টাইল একই সঙ্গে লুকটা স্মার্ট এবং অভিজাত করেছে বলে মনে করছেন অভিনেত্রী।
৩১শে বর্ষবরণের রাতটা কীভাবে কাটাবেন সুস্মিতা? কাজের জন্য বাড়ি থেকে, বাবা-মায়ের থেকে দূরে থাকতে হয়। তাই বর্ষশেষের রাতটা বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালোমন্দ খেয়েদেয়ে কাটাতে চান তিনি। আর ২০২৫-এর প্রথম দিন? বাঙালি মতে মন্দিরে গিয়ে বছর শুরু করেন সুস্মিতা, এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই জানালেন।
পাঠকদের এই দিনটির জন্য বিশেষ সাজের পরামর্শ? সুস্মিতা বললেন, ‘এই ধরনের সাজ গ্ল্যামারাস রাখাটাই শ্রেয়। নতুন বছর মানে অনেক নতুন প্রতিজ্ঞা, নতুন ভাবনা। তাই শুরুটা একটা জোরদার সাজ দিয়ে হলেই ভালো লাগবে। সিক্যুয়েন ড্রেস বা গ্লিটার বা শিমার (চকচকে ঝকঝকে) ড্রেস ভালো লাগে। চোখের মেকআপ যেন স্বপ্নালু। হেয়ার-এ টাইট পনিটেল করতে পারেন। যাঁরা ডার্ক লিপ শেড পছন্দ করেন, তাঁরা আইজ ন্যুড রেখে লিপ ডার্ক করতে পারেন। এটা পার্টি ভাইব দিতে পারে। ড্রেসের সঙ্গে অ্যাক্সেসরি হিসেবে রাখতে পারেন জ্যাকেট, লং বুটস বা কোনও ব্যতিক্রমী জুয়েলারি।’
মেকআপ এবং স্টাইলিং এক্সপার্ট কৌশিক-রজত বছর শেষের পার্টির কথা মাথায় রেখে এই তিনটি লুক খুব যত্ন নিয়ে ভেবেছেন। কৌশিক বললেন, ‘পার্টি সিজনে শিমার খুবই চলছে। ব্ল্যাক-গ্রে গাউন এবং ব্ল্যাক জ্যাকেটের সঙ্গে পুরো ব্ল্যাক আইজ ভালো লাগত না। তাই চারকোল ব্ল্যাক আইজ করে তাতে হাল্কা সিলভার টিনজ শিমার যোগ করেছি। সঙ্গে ডবল কোটেড মাস্কারা। পার্টির মরশুমে রেড লিপস ভালো লাগে। কেউ যদি রেড ক্যারি করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে মেরুনও চলতে পারে। হেয়ারস্টাইলে রেখেছি ‘শিনন আপডু লুক’। হাইনেক ড্রেস বা লেদার জ্যাকেটে এই স্টাইল ভালো যায়।’ রজত জানালেন, ‘সান্ধ্যকালীন পার্টির জন্যই ব্ল্যাক স্ট্রাইপড গাউন এবং লেদার জ্যাকেট ভাবা হয়েছে। এই লুকে আরামটাও প্রাধান্য পেয়েছে। ঠান্ডার মধ্যে লেদার জ্যাকেট খুবই কাজে দেবে। আর স্ট্রাইপড গাউনে যে কাউকে অনেকটা বেশি লম্বা দেখায়। পার্টিতে নজর কাড়ার জন্য খুব ভালো আইডিয়া। এবছর শিমার যেহেতু ইন, তাই ড্রেসে ঔজ্জ্বল্য থাকলে ভালো লাগবে। সঙ্গে লং ইয়াররিংস। হাতে কানে গলায় সবেতে জুয়েলারি না পরে একটা স্টেটমেন্ট পিস এমন পরা উচিত, যেটা নজর টানবে। শীতে নেকলাইন বেশিরভাগ সময় ঢাকা, তাই ইয়াররিংস-এ মন দিন।’
রজত বোঝালেন, মূলত ব্রাঞ্চ-এর কথা মাথায় রেখে পেস্তা রঙের টোন অন টোন জ্যাকেট ড্রেসটি ভাবা হয়েছে। অর্থাৎ সকাল সকাল বেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে গেল অনুষ্ঠানে, তাই লুকটা দু’বেলার জন্যই আইডিয়াল, বলছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘শীতকালে দিনের বেলা এরকম প্যাস্টেল শেড ভালো লাগে দেখতে। সঙ্গে একটা শিমারি ক্লাচ নিতে পারেন। এই সময়টাই এমন যে দু’বেলা ঔজ্জ্বল্য ভরা সাজ মানানসই লাগে। আর জুয়েলারির ক্ষেত্রে এই লুকে ব্যবহার করতে পারেন পার্ল বা একটু কম চোখে পড়ে (সাবডিউড) এমন জুয়েলারি।’ কৌশিক বললেন, ‘ব্রাঞ্চের লুক একটু নো-মেকআপ থাকলেই বেশি ভালো লাগে। তাই সেটাই মাথায় রেখে লিপ কালারে ব্রাউন বা প্লাম রাখার কথা বলব। চিক টিন্ট বা ব্লাশ-এর দিকেও নজর দিলে স্মার্ট লাগবে। চোখটা একটু কম হাইলাইটেড হবে। মেসি হেয়ারস্টাইল মানাবে। হেয়ারস্টাইলটা আসলে মারমেড ওয়েভস, কিন্তু সেটাকে রেখেছি একটু মেসি বা এলোমেলো। ক্যাজুয়াল লুক আসছে এতে।’
পিচরঙা ড্রেসটি ডে-পার্টির জন্য ভাবা হয়েছে। এবছর স্নেক আর অ্যানিম্যাল প্রিন্ট খুব চলছে। তাই ড্রেসে সেই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। এই লুকে সকালের অফিস পার্টিতেও বেশ ভালো লাগবে, জানালেন রজত। কৌশিকের মতে, ‘অ্যানিমাল প্রিন্টে কোল বা রিমড কোল আই মেকআপ মানায়। অর্থাৎ চোখে কাজল পরে, ওপরে লাইনার পরে চোখটা স্মাজ করে দেওয়া যায়। অথবা কেউ চাইলে একটু উইংড আইজ-ও করতে পারেন। এর সঙ্গে একটু হাল্কা শিমার দিয়েছি যেহেতু পার্টি লুক। আর মেসি মেন বান হেয়ারস্টাইল রেখেছি।’
মডেল: সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, হেয়ার, মেকআপ ও স্টাইলিং: কৌশিক-রজত ছবি: সুদীপ্ত চন্দ ড্রেস, জ্যাকেট, ক্লাচ : ল্যাটিন কোয়ার্টার্স, সাউথ সিটি
শ্যুটিংস্থল ও খাবার সৌজন্য: হোটেল হলিডে ইন, কলকাতা এয়ারপোর্ট, যোগাযোগ: ৭০৪৪৪৭৪৫২৫ গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল