Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। কিংবা আচমকা মাটি ফুঁড়ে উদয় হওয়া সন্ন্যাসীর হর হর মহাদেও ডাক। এরই নাম পূর্ণকুম্ভ! অর্জুন, রামদয়াল, ফুলকুমারীরা এখানে এসে মিলেমিশে এক হয়ে যান। কেউ মধুবনী থেকে এসেছিলেন। কেউ বালিয়া। আবার কেউ রানাঘাট। তাঁরা কি ধর্ম করতে আসেন? নাকি পুণ্যের খোঁজে? উদ্দেশ্য নানারকম থাকতে পারে... কিন্তু লক্ষ্য যে এক—শান্তি। থিকথিকে ভিড়, আকাশ ঢেকে দেওয়া ধুলো, হাড় কাঁপানো উত্তরের হাওয়া, আর সন্ধ্যা গড়াতেই নিয়ন আলোয় ভেসে যাওয়া কুম্ভমেলা চত্বর। সবাইকেই মনে হয় এক নৌকার সওয়ারী। এখানে কোনও জাত নেই, বর্ণ নেই, ধনী নেই, গরিবও নেই। আখড়ার পাশ দিয়ে কোনও সকপালকে যেতে দেখে এগিয়ে আসছেন চতুবের্দী। দুটো হাত জড়িয়ে ধরে বলছেন, ‘সামান্য প্রসাদের ব্যবস্থা আছে। দয়া করে সামান্য মুখে দিয়ে যান।’ হরিয়ানার ব্রাহ্মণের হাতে জল ঢেলে দিচ্ছেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের চামার। দলিতের পাশে পাত পেড়ে বসেছেন রাজপুত। ৪৫ দিনের এই মঞ্চ যেন এক লহমায় গোটা ভারতকে এক সুরে বেঁধে ফেলে। যে সংবিধান সব ধর্ম ও জাতের সমান অধিকারের কথা বলে, তা মর্যাদা পায় এই ধুলো মাখা পথে এসে। জাতপাতহীন যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন বি আর আম্বেদকর, তা সফল হয় এই ৪৫ দিনে। কারণ, ব্যক্তিস্বার্থ বা অহঙ্কারের সঙ্গে যে সত্যিই পুণ্যের কোনও সম্পর্ক নেই! অহঙ্কার থাকলে পুণ্যলাভ হবে না। আর তা ধনী থেকে জ্ঞানী, সকলেই জানেন। তাই কুম্ভে এসে অন্তত জাতের গুমর কেউ দেখান না। যে জাতপাতের নামে ছোট্ট ভীমকে স্কুলে নিতেই অস্বীকার করা হয়েছিল, শর্ত চাপানো হয়েছিল যে, পড়তে হলে বসতে হবে মাটিতে... উঁচু জাতের অন্য ছাত্রদের পায়ের কাছে, সেই জাত-রাজনীতিই যে কুম্ভমেলার ধুপধুনো, বহুদিন না কাচা জামাকাপড়, খিচুড়ি, বেল-তুলসীর গন্ধের মিশেলে হারিয়ে যায়। যে দেশে ছোট্ট ভীমকে মা বলেছিলেন, ‘তোমার লক্ষ্য পড়াশোনা। কোনও দিকে তাকাবে না। কারও কথায় কান দেবে না। শুধু পড়বে। না পড়লে বড় হতে পারবে না। আর বড় হলে তুমিই পারবে আমাদের কষ্ট দূর করতে’... সেই দেশের সংবিধানেই লেখা হয়, জাত, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের ভিত্তিতে কারও সঙ্গে বৈষম্য করা যাবে না। কার লেখনি ভারতকে জাতপাতের পাঁক থেকে বের করে বাস্তবের জমিতে দাঁড় করিয়ে দেয়? সেই ভীম। বি আর আম্বেদকর। বের করে আনতে চেয়েছিলেন ভারতকে জাতপাতের রাজনীতি থেকে। আর আজ তিনি নিজেই রাজনীতির মাধ্যম। সৌজন্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 
বি আর আম্বেদকরকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতি আগেও হয়েছে। কিন্তু সংসদ ভবনে এভাবে তাঁকে বিরোধী আক্রমণের ঘুঁটি বানানো হয়নি। অমিত শাহ সেটাই করেছেন। সংবিধানের ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে আলোচনা। তারই জবাবি ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বদলে ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপি সরকার আম্বেদকরের কটা মূর্তি বসিয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দলিত সমাজকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন শাহ। পরে এর জন্য সাফাইও দিয়েছেন। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। এখানে প্রশ্ন উঠেছে দু’টি। প্রথমত, আম্বেদকরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আসলে শাহ কি আদানি ইস্যু এবং এক দেশ এক নির্বাচন তরজাকে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিলেন? সেটাই কি উদ্দেশ্য ছিল? আলপটকা মন্তব্য করার লোক তো তিনি নন। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, আম্বেদকর নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই এমন দু’টি জ্বলন্ত ইস্যু পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, নরেন্দ্র মোদি কেন জবাবি ভাষণের জন্য অমিত শাহকে ‘নির্বাচিত’ করলেন? সংবিধান নিয়ে ভাষণ দেওয়ার এত ভালো মঞ্চ তো মোদিজি পেতেন না! তাহলে তিনি কি উত্তরসূরির জায়গা বানাচ্ছেন? এই উত্তরসূরিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কিংবা নিরঞ্জনী, জুনা, নির্বাণীর মতো শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত দশনমী আখড়ার পরিচালক-সন্ন্যাসীরা মানবেন তো? মনে হতেই পারে, একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ধর্মীয় সংগঠনগুলির মানামানিতে কী আসে যায়? আলবাৎ আসে যায়। কারণ, দলটার নাম বিজেপি। আর ধর্ম বাদ রেখে এই দলে কিছুই হয় না। ভোটও না, উন্নয়নও নয়। সেক্ষেত্রে ২০২৫ তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর! কারণ, এ বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। এ বছর নরেন্দ্র মোদি ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন। এবং এ বছরই বসছে প্রয়াগের পূর্ণকুম্ভের আসর। এই মেলাকে উপলক্ষ করেই তো ১২ বছর আগে বসেছিল ধর্মমহাসম্মেলন। ঠিক হয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য মুখ হতে পারেন একজনই—নরেন্দ্র মোদি। আবার পূর্ণকুম্ভ। আবার এলাহাবাদ। এবং আরও একবার ধর্মমহাসম্মেলন। তাহলে কি ব্র্যান্ড মোদির ক্ষেত্রেও ৭৫ বছরের সিলিং কার্যকর হতে চলেছে? উঠে আসবে নতুন নাম? সঙ্ঘের ইঙ্গিতে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে চলেছে? সত্যিই কি অমিত শাহ? কোনওভাবে নামটা যোগী আদিত্যনাথ নয় তো?
২০১৩ সালে পূর্ণকুম্ভের সময় যোগী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতার শিখরে থাকাকালীন তাঁর উত্থান। গত কয়েক বছরে ধর্ম এবং প্রশাসন, দুই ক্ষেত্রেই পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন যোগী। আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি, বুলডোজার নীতি, জাত-ধর্মের ভোটকে নিপুণ হাতে সামাল দেওয়া... সবই করেছেন যোগী। উপরন্তু তাঁর অ্যাডভান্টেজ হল, তিনি গোরক্ষনাথ মঠের মোহন্ত। অর্থাৎ, যোগী যত না জিরাফে আছেন, তার থেকে অনেক বেশি যাতায়াত তাঁর ধর্মে। এই সমীকরণ তাঁকে সঙ্ঘ এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কাছে অনেক বেশি এগিয়ে রেখেছে। অমিত শাহকে স্বয়ং মোদি প্রজেক্ট করতে পারেন। কিন্তু দিল্লির দরবার জানে, শাহ যতটা ভালো সংগঠন ও প্রশাসক, রাজনীতির মুখ হিসেবে ততটাই কম গ্রহণযোগ্য। নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই তাঁর যাবতীয় আগ্রাসন। তার উপর শাহের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমাও আছে। গোধরার পরও নরেন্দ্র মোদির আসন টলে না যাওয়ার কারণ, তিনি ছিলেন সঙ্ঘের ব্লু আইড বয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি তাঁকে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারপরও মোদিজি বহাল তবিয়তে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন। অমিত শাহের রেকর্ড সে কথা বলে না। নরেন্দ্র মোদি যেখানে আলো ছড়িয়েছেন, সেখানেই শুধু ছটা দেখা গিয়েছে শাহের। উল্টে শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশের সমর্থন ছাড়াই কিন্তু যোগী নিজের একটা জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন। কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, বুলডোজার নীতিও শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়েছে। তা সত্ত্বেও পায়ের তলার জমি হারাননি যোগী। মোদির বিকল্প হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এখন ছুটে চলেছেন তিনি। ভাগ্যে তাঁর শিকে ছিঁড়বে... যদি পূর্ণকুম্ভের ধর্মমহাসম্মেলনে যোগী আদিত্যনাথ নামটি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রস্তাবিত হয়। বিরোধিতা? সে তো ১২ বছর আগে লালকৃষ্ণ আদবানি, সুষমা স্বরাজরাও করেছিলেন। তাতে কি নরেন্দ্র মোদি এতটুকুও টেনশনে পড়েছেন। না, পড়েননি। কারণ, তাঁর পাশে ছিল সঙ্ঘ। হিন্দুত্ব। যোগী জানেন, একবার কুম্ভের মঞ্চ থেকে তাঁর নাম পাশ হয়ে যাওয়া মানে আর পিছন ফিরে দেখতে হবে না। ভোটের কথা তিনি ভাবছেন না। ২০২৯ পর্যন্ত সেক্ষেত্রে আর সঙ্ঘ অপেক্ষা করবে, এমন সম্ভাবনা কম। আঞ্চলিক দলগুলি এখন পুরোদমে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জনপ্রিয়তা কমছে মোদিজির। শুধু জনমানসে নয়, সঙ্ঘের অন্দরেও। তার উপর আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এবারও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মা বজায় থাকে, বিজেপিকে জাতীয় রাজনীতিতেও লাট খেতে হবে। নতুন মুখ এনে তাই সঙ্ঘ একটা চান্স নিতেই পারে। সেটা যোগী বা শাহ হতে পারেন। কিংবা তৃতীয় কেউ। এখানেও অবশ্য একটা প্রশ্ন আছে... মানুষ সেই চান্স নিতে দেবে তো?
রামদয়ালের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নাসিক কুম্ভে। গোদাবরীতে ডুব দিয়ে ওঠার পর একপাশে হেলায় ফেলে রাখা পুঁটলি থেকেই গামছাটা বের করে মুছে নিয়েছিলেন। একটা ১০০ টাকার নোট, আর কয়েকটা ১০ টাকা পড়ে গিয়েছিল তখনই। তুলে দিতেই একগাল হাসি। হাত জোড় করে বলেছিলেন, ‘এই কটা টাকাই সম্বল বাবু। হারিয়ে গেলে আর ট্রেনের ভরসায় না... ঠাকুরের ভরসায় ফিরতে হতো।’ কোথায় উঠেছেন? সেখানে রেখে আসেননি কেন? রামদয়াল বলেছিলেন, ‘কোথাও উঠিনি তো বাবু! এই পথ, এই তপোবন থাকতে কোথাও থাকতে যাব কেন? রামজি টেনে এনেছেন। এসেছি। তিনিই রেখেছেন। তিনিই কোথাও না কোথাও খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। যে পথ দেখাবেন, সেই পথেই ফিরে যাব।’ রামদয়ালের বিশ্বাস ছিল, তাঁর ‘সম্পত্তি’ কেউ নেবে না। তাই হেলায় পথের ধারে ফেলে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। অর্জুনের বিশ্বাস ছিল, কুম্ভের জল নিয়ে গিয়ে চির-অসুস্থ মেয়েটার মুখে একটু দিতে পারলে সব রোগ পালিয়ে যাবে। একটা আধলা না থাকা সত্ত্বেও ফুলকুমারীর বিশ্বাস, কৃষ্ণ নিয়ে এসেছেন। তিনিই বাড়ি ফেরাবেন। শিক্ষা নয়, ধন নয়, ধর্ম নয়, জাত নয়... এই ভারত তো বিশ্বাসের উপরই দাঁড়িয়ে আছে। তাই আজ তারা এখনও ভোট দেয়। গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাস, এই মানুষটা প্রধানমন্ত্রী হলে আমাদের দুঃখ ঘুচবে। ঠিক যেভাবে নরেন্দ্র মোদির উপর বিশ্বাস ছিল ভারতের। কতদিন থাকবে এই বিশ্বাস? মোদির উপর, যোগীর উপর, শাহের উপর... গণতন্ত্রের উপর! 
হৃদকম্পন কি একটুও বাড়ছে না নরেন্দ্র মোদির?
07th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
একনজরে
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ নিশ্চিত করল ভারতের মহিলা দল। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর রবিবার রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১১৬ রানে উড়িয়ে ...

কুটরুতে মারণ হামলার পাল্টা জবাব নিরাপত্তা বাহিনীর। রবিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল তিন মাওবাদীর। ...

বিকল্প রাস্তা বলতে প্রায় ২৭ কিমি ঘুরপথ। তাই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সুবিধার্থে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আট বছর আগে নদীর উপরে কজওয়ে তৈরি করা হয়। ...

মহারাষ্ট্রের নাসিকে কাজ করতে গিয়ে ট্রাক্টর চাপা পড়ে মৃত্যু হল হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাসিকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৯- প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দ্রাবাদ দখল করেন
১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়
১৮৫৯- কলকাতার মোহনবাগান ক্লাবের প্রথম সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম
১৮৮৮- ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোস্যাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৯- বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নলিনীকান্ত গুপ্তর জন্ম
১৯১৯- ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন
১৯২৬- চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক শক্তি সামন্তর জন্ম 
১৯৩৮-  কবি লেখক এবং শিক্ষাবিদ  নবনীতা দেবসেনের জন্ম
১৯৩৮- বিশিষ্ট সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার জন্ম
১৯৪৯- ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার জন্ম
১৯৫৭- সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্ম
১৯৬৯- অ্যালবাম ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ প্রকাশ করল বিট্লস
১৯৭৪- আমেরিকার ডালাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর চালু হয়
১৯৮৩– অভিনেতা ইমরান খানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৯ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা ৫৩/৫৫, রাত্রি ৩/৫৭। আর্দ্রা নক্ষত্র ১০/৩৮ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৬, সূর্যাস্ত ৫/৭/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে, পুনঃ ২/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। 
২৮ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা শেষরাত্রি ৪/৩। আর্দ্রা নক্ষত্র দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ১১/২৪ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ২/২৭ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৭ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। 
১২ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে ইস্কন মন্দিরে চলছে লহরির অনুষ্ঠান

11:25:48 PM

আইএসএল: ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতল কেরল

10:44:41 PM

ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেই জাপানে জারি সুনামি সতর্কতা

09:53:00 PM

পোঙ্গাল উপলক্ষে কোয়েম্বাটুরের বাজারে ক্রেতাদের ভিড়, ব্যাপক চাহিদা গুড়ের

09:39:00 PM

আইএসএল: কেরল ৩-ওড়িশা ২ (৯০+৫ মিনিট)

09:31:00 PM

দিল্লির সীলামপুরে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী

09:21:00 PM