Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি।
প্রথমেই মনে আসে তিনটি উল্লেখযোগ্য নাম—বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রতন টাটা ও মনমোহন সিং। তাঁদের পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গত পাঁচমাসের ভিতরে তাঁরা একে একে প্রয়াত হয়েছেন। রাজনীতি-প্রশাসন এবং শিল্প-বাণিজ্য জগৎ তাঁদের শূন্যতা বহুকাল অনুভব করবে। এছাড়া দেশজুড়ে ঘটে গিয়েছে অজস্র ঘটনা, দুর্ঘটনা। তাতে অসংখ্য সহনাগরিককে হারাতে হয়েছে আমাদের। বন্ধুত্ব বৃদ্ধির জায়গাতেও ২০২৪ সাল আমাদের হতাশ করেছে। ঐতিহাসিকভাবে একাধিক বন্ধু দেশ বিরূপ হয়েছে আমাদের প্রতি। এত এত ক্ষয়ক্ষতির সবটাই ‘গ্রহের ফের’ ছিল না, বেশিরভাগের জন্য আমাদের ভুল, অপরাগতা কিংবা ব্যর্থতাকেই দায়ী করা চলে। 
তবে প্রাপ্তির ভাঁড়ারও ছোট নয়। ভারতের বহু কৃতীসন্তান দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তাতে ভারতের সুনাম বৃদ্ধি হয়েছে অনেক। বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে ভারতের দুর্দান্ত অগ্রগতি চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্যই রাখতে হবে মহাকাশ বিজ্ঞানকে। ইসরোর হাত ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল ২০২৩-এ। চন্দ্রযান-৩-এর সফল অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের কুমেরু অঞ্চলে ভারতই প্রথম পা রাখতে পেরেছে। একইসঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণকারী চতুর্থ দেশের (রাশিয়া, আমেরিকা ও চীনের পরেই) স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা। এই সাফল্যকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৪-এ ব্রতী ছিলেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ইসরোর পাইপলাইন প্রজেক্টগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম ‘গগনযান’। ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসে ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রেক্ষিতে ইসরো জানিয়েছিল, তিনজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে নিয়ে ২০২২ সালে শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ওই মহাকাশযান ছাড়া হবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিমি উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশচারীরা অবস্থান করবেন তিনদিন। অবশেষে সমুদ্র উপকূলের কোনও স্থানে তাঁদের নিরাপদ অবতরণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটি সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর ভারতই নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাকাশে নভশ্চর প্রেরণকারী চতুর্থ দেশের স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু প্রযুক্তি বিষয়ক অত্যন্ত কঠিন এই চ্যালেঞ্জে ভারত এখনও চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। নিষ্ঠাবান ভারতীয় বিজ্ঞানীরা তাঁদের সাধনায় অবিচল। আশা করা যায়, এই গর্বের প্রকল্পে ভারত ২০২৫-এ আরও অনেকটাই অগ্রসর হতে পারবে। 
পশ্চিমে পাকিস্তান, পুবে বাংলাদেশ। এছাড়া আশপাশে আছে আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো নানা মাপের দেশ। বস্তুত এই প্রতিবেশী দেশগুলির কোনোটিতেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত নয়। সর্বক্ষণের গদির লড়াই এমন কদর্য হয়ে আছে যে দেশগুলির নাগরিকরা জানে না, পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কার হুকুম তামিল করতে বাধ্য হবে তারা। কবে কার গলা কাটা যাবে, এই ভয় নিয়েই রাতে ঘুমোতে যায় অনেকে। এরকম এক ভয়াবহ পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২৪-এ আমরা দেশে নতুন নির্বাচিত সরকার পেয়েছি। নিশ্চয় আরও ভালো মানের সরকারের প্রত্যাশা অনেকের ছিল, কিন্তু যা পেয়েছি তাকে ছোট‍ করে দেখার সুযোগ নেই। 
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এটা তৃতীয় এনডিএ সরকার। প্রথম দুটি সরকারে বিজেপি ছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের গুরুঠাকুর হল আরএসএস। ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এজেন্ডা পূরণ করতে নেমেই গত এক দশকে মোদি সরকার অনেক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। তার জন্য দেশকে যা মূল্য দিতে হয়েছে তা অপরিমেয়। বিশেষ করে নষ্ট হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বেড়েছে ধনবৈষম্য ও রাজনৈতিক দুর্নীতি। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলন দিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে প্রথম নজর কেড়েছিল বিজেপি। পরবর্তী ইতিহাস অনেক অশান্তির ও সুদীর্ঘ এবং তা সকলেরই জানা। গত ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠাসহ অযোধ্যায় মন্দিরের উদ্বোধন করেন মোদি স্বয়ং। তার কয়েকমাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং মোদিকে রামমন্দির কোনও ডিভিডেন্ড দেয়নি। উল্টে কেন্দ্রে শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপির। ২০২৪-এ হ্যাটট্রিক করেও মন খারাপ মোদির, কেননা, এবার তাঁর সরকারের ভাগ্য সমর্পিত তেলুগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের হাতে। 
তবুও কি ক্ষান্ত হবে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা? ভারতের একজনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যত্রতত্র মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে চায় না। এবার অন্তত বন্ধ হোক সম্ভল কাণ্ড। আর চাই না এখলাক, বিলকিস বা সিদ্দিক কাপ্পানের জীবনে নেমে আসা একটিও দুর্ভাগ্য। ভক্তি হল ভিতরের সত্য। তাহলে রামভক্তি প্রদর্শনের নামে যাকে তাকে পাকড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হবে কেন? এতে যে ভগবান রামচন্দ্রকেই ছোট করছে মূর্খরা! কঠোর প্রশাসনের নামে বুলডোজ নীতি এবং এনকাউন্টাররাজেরও আশু অবসান কাম্য। পঁচিশে পৌঁছে গিয়েছেন—মোদিই প্রতিজ্ঞা করুন, চমক সৃষ্টির নেশা ছেড়ে তিনি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক প্রশাসন উপহার দেবেন আমাদের। দল এবং সরকারের মাথা তিনি। মাথা ঠিক কাজ করলে বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্বাভাবিক কাজ করবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। 
মোদি ক্ষমতাসীন হয়েছেন সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। সংবিধানে একনায়কতন্ত্রের কোনও স্বীকৃতি নেই। কিন্তু মোদি শুরু থেকেই নিজেকে একনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া। আর তাঁর এই অন্যায় স্বপ্নের বলি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। সিঙ্গল ইঞ্জিন, ডাবল ইঞ্জিন তত্ত্বের আমদানি এই অগণতান্ত্রিক চিন্তার সূত্রেই। মোদির এই তুঘলকিপনার সবচেয়ে বড় শিকারের নাম পশ্চিমবঙ্গ। ১০০ দিনের কাজ এবং গরিবের জন্য পাকাবাড়ি তৈরির প্রকল্পে বাংলার লক্ষ লক্ষ গরিব পরিবার টানা বঞ্চনার শিকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদি সরকারকে বিপাকে ফেলতেই এই অন্যায় রাজনীতি। এমনকী, বাংলাকে টুকরো করার খেলাতেও মেতে রয়েছে বিজেপি এবং মোদি সরকার। তাদের এই বোধ কেন হচ্ছে না যে পশ্চিমঙ্গের অখণ্ডতার প্রশ্নে সবাই এককাট্টা? বিজেপি সত্যিই যদি এখানে রাজনীতি করতে চায় তবে বাংলার অখণ্ডতা মেনে নিয়েই তাকে তা করতে হবে। 
২০২৪-এই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। সেখানে বহাল এখন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সব মিলিয়ে কয়েকমাস যাবৎ এক নারকীয় অস্থিরতা গ্রাস করেছে দেশটিকে। পঁচিশের অ্যতম প্রার্থনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই ওপার বাংলায়। আগামী নির্বাচনে ওদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির সর্বতোঅংশগ্রহণ জরুরি। কোনও কৌশলে একটিও প্রধান রাজনৈতিক শক্তিকে এড়িয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রহসন বলেই নিন্দিত হবে। এটি আর একান্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এর সঙ্গে ভারতের, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের সমগ্র পূর্বাঞ্চলের সম্পর্কটি প্রত্যক্ষ। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেরি হলে সেখানে পাক মদতপুষ্ট উগ্র মুসলিম মৌলবাদী এবং স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাতে আরও বিপন্ন হতে পারে সে-দেশের হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘু শ্রেণি। বাংলাদেশে ও পাকিস্তানে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু জনতার বিপন্নতার কী প্রভাব বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের উপর পড়ে, তা আমরা জানি এবং এ এক ঐতিহাসিক সত্য। 
শান্তি ফিরুক সুন্দর মণিপুরে এবং সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। শত্রু নয়, বন্ধুবৃদ্ধি হোক ভারতের, বিশেষ করে চারধারে প্রতিবেশী মহলে বা দক্ষিণ এশিয়ায়। নিছক সংখ্যায় বৃদ্ধি যে কাজের কাজ কিছু নয়, জনসংখ্যায় ‘বিশ্বকাপ’ পেয়েই মালুম হয়েছে আমাদের। অলিম্পিক, বিশ্বকাপ ফুটবল প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই বৃদ্ধি কোনও কাজে আসেনি। আমাদের আগামীর সাধনায় গুরুত্ব পাক বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্তি এবং মাথাপিছু আয় ও জিডিপি বৃদ্ধি। ক্ষুধা, সুখ, স্বচ্ছতা, মিডিয়ার স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের মান প্রভৃতি প্রশ্নেও ধারাবাহিক লজ্জা দূর হয় যেন আমাদের। সব রাজ্যের এবং দেশের উন্নয়নের প্রশ্নে পার্টিগুলি যেন সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধ্বে ওঠার বেনজির দৃষ্টান্ত রাখতে পারে এবার। অতল থেকে উঠে আসার ব্যাপারে দেশকে আরও সুন্দর দিশা দেখাতে পারে যেন আমাদের সকলের প্রিয় বাংলা। পঁচিশের একান্ত প্রার্থনা—সুন্দর বাংলার সঙ্গে অগ্রণী ভারত এবং প্রতিবেশ, সব মিলিয়ে এক বাসযোগ্য পৃথিবী।
01st  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
একনজরে
মহারাষ্ট্রের নাসিকে কাজ করতে গিয়ে ট্রাক্টর চাপা পড়ে মৃত্যু হল হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাসিকে। ...

চিৎপুর যাত্রাপাড়ার অন্যতম প্রযোজক নেপালচন্দ্র সরকার শনিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হলেন। বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে যাত্রাপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ...

শিলিগুড়ি শহরে গড়ে উঠেছে মাদকের একাধিক গোডাউন। বার, পাব, রেস্তোরাঁয় যাওয়া যুব সমাজের হাতে মাদক পৌঁছে দিতে শহরের বুকেই তা মজুত করে রাখা হচ্ছে। ...

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ নিশ্চিত করল ভারতের মহিলা দল। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর রবিবার রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১১৬ রানে উড়িয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৯- প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দ্রাবাদ দখল করেন
১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়
১৮৫৯- কলকাতার মোহনবাগান ক্লাবের প্রথম সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম
১৮৮৮- ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোস্যাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৯- বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নলিনীকান্ত গুপ্তর জন্ম
১৯১৯- ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন
১৯২৬- চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক শক্তি সামন্তর জন্ম 
১৯৩৮-  কবি লেখক এবং শিক্ষাবিদ  নবনীতা দেবসেনের জন্ম
১৯৩৮- বিশিষ্ট সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার জন্ম
১৯৪৯- ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার জন্ম
১৯৫৭- সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্ম
১৯৬৯- অ্যালবাম ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ প্রকাশ করল বিট্লস
১৯৭৪- আমেরিকার ডালাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর চালু হয়
১৯৮৩– অভিনেতা ইমরান খানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৯ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা ৫৩/৫৫, রাত্রি ৩/৫৭। আর্দ্রা নক্ষত্র ১০/৩৮ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৬, সূর্যাস্ত ৫/৭/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে, পুনঃ ২/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। 
২৮ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা শেষরাত্রি ৪/৩। আর্দ্রা নক্ষত্র দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ১১/২৪ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ২/২৭ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৭ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। 
১২ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে ইস্কন মন্দিরে চলছে লহরির অনুষ্ঠান

11:25:48 PM

আইএসএল: ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতল কেরল

10:44:41 PM

ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেই জাপানে জারি সুনামি সতর্কতা

09:53:00 PM

পোঙ্গাল উপলক্ষে কোয়েম্বাটুরের বাজারে ক্রেতাদের ভিড়, ব্যাপক চাহিদা গুড়ের

09:39:00 PM

আইএসএল: কেরল ৩-ওড়িশা ২ (৯০+৫ মিনিট)

09:31:00 PM

দিল্লির সীলামপুরে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী

09:21:00 PM