Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। তাই সারাক্ষণ ভুল ধরা অথবা সব বিষয়ে নাক গলানো কিংবা অবিরত সব কাজে ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো চরিত্রদের বাবুসমাজ নাম দেয় ‘বিধবা পিসিমা’। যারা সারাক্ষণ অন্যের ভুল ধরে, বাবুসমাজ তাদের ঠেস দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে বাঙালি পরিবারের একটি দুখী চরিত্রকে। উদাহরণ হিসেবে মনোনীত করেছে ‘বিধবা পিসিমা’। যেন বিধবা পিসিমা মাত্রই এরকম। ভালো বিধবা পিসিমা যেন হতে নেই। কেউ যদি কম স্মার্ট, সরল হয় এবং তুলনায় বুদ্ধিতে পিছিয়ে থাকে, বাবুসমাজ তাদের চিরকাল বলে এসেছে ‘গ্রাম্য’। বাবুদের কাছে গেঁও মানে বোকা। বোকা মানে বিদ্রুপযোগ্য। অর্থাৎ গ্রামের বাসিন্দাদের কেউ যেন বুদ্ধিমান হতে পারে না! গ্রাম্য মানেই সে বোকা। 
যে কোনও নতুন বছরের শুরুতেই একটি প্রিয় খেলার চর্চা করে শহুরে বাবুসমাজ। তাকে বলা হয় নিউ ইয়ার রেজোলিউশন। নতুন বছরের প্রতিজ্ঞা। কেউ বলে সিগারেট ছেড়ে দেব, কেউ বলে রোজ ভোরে উঠে হাঁটব, কেউ বলে মোবাইল কম ব্যবহার করব, কেউ বলে বেশি বই পড়ব, কেউ বলে খাবারদাবারে সংযত হব ইত্যাদি। বঙ্গীয় বাবুসমাজের উচিত নতুন বছরে রেজোলিউশন নেওয়া, হুজুগে গা ভাসাব না, পরিণতমনস্ক হব এবং ফেক নিউজ চিনে ফেলব। যে কোনও ঘটনাকে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে বিচার করব। আমাকে কেউ মানসিকভাবে চালনা করবে সেই অপমান মেনে নেব না। যে কোনও ঘটনার কার্যকারণ খতিয়ে দেখব। 
এই প্রতিজ্ঞা করার প্রয়োজনীয়তার কারণ বিগত বছরে বাবুসমাজ নিয়ম করে গুজবে ভেসেছে। উৎসাহ সহকারে ফেক নিউজ বিশ্বাসও করেছে, শেয়ারও করেছে। বাবুসমাজ হুজুগের সবথেকে বড় উপভোক্তা। তারা আছে বলেই হুজুগ ও গুজব বেঁচে আছে। ভোটের ফলাফল হোক অথবা রাজনৈতিক তথা সামাজিক ঘটনার গতিপ্রকৃতি— বাবুসমাজকে ভেবে দেখতে হবে বারংবার প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তাদের পূর্বাভাস ভ্রান্ত প্রমাণিত হয় কেন? তাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ ভুল হচ্ছে কেন? তারা যা ভেবেছে সেটা আসলে মিথ্যা এরকম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কেন? 
সন্দেশখালি অথবা আর জি কর। এই দুই ইস্যু বাবুসমাজকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। তাদের ভেবে দেখার সময় এসেছে যে, ওই দুই ইস্যুতে তাদের মনোভাব ঠিক কী ছিল? এবং পরবর্তীকালে সেই মনোভাবের স্বপক্ষে কোনও ঘটনাপরম্পরা অগ্রসর হল না কেন? কেন নিজেরাই নিজেদের অবস্থান এবং জোরালো মনোভাব থেকে ক্রমে পিছিয়ে এল তারা? কেন শুরুতে যতটা আগ্রাসী ছিল, শেষে ততই উদাসীন হয়ে গেল? যে ঘটনাগুলিকে মনে করা হচ্ছিল শতাব্দীর ইস্যু, কেন সেগুলি কয়েকমাসের মধ্যেই স্তিমিত হয়ে গেল? কেন ভোটে তা সামান্যতম প্রভাব ফেলল না? কেন তাদের এজেন্ডাকে বৃহত্তর গ্রামীণ, সাবঅলটার্ন এবং নিম্নবিত্ত সমাজ গ্রহণই করছে না? কেন বাবুসমাজ আর সমাজের ওপিনিয়ন মেকার হতে পারছে না? 
এই দুই ইস্যুর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু নিছক জঘন্যতম একটি অপরাধ ঘটেছে এবং তার শাস্তি চাই, এই কঠোর অবস্থানেই বাবুসমাজ নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায়নি। তারা লক্ষ্যের থেকে উপলক্ষ্যে বেশি করে উৎসাহী হয়ে পড়েছিল। অপরাধটা যেখানে নিজেই যথেষ্ট ঘৃণ্য, সেখানে অতিরিক্ত গুজবের দরকার পড়ল কেন? একটাই দাবি যুক্তিসঙ্গত, অপরাধীর শাস্তি চাই। কিন্তু বাবুসমাজ অপরাধ ছেড়ে গুজব, ফেক নিউজ এবং থ্রিলারের পিছনেই ছুটে গেল কেন? কারণ বাবুসমাজের নাটকীয়তা পছন্দ। নিস্তরঙ্গ জীবনে উত্তেজনা পছন্দ। এবং ইভেন্ট পছন্দ। আজ রাতদখল। কাল নাটক কবিতায় প্রতিবাদ। পরশু অরন্ধন। একটি চরম দুর্ভাগ্যজনক ও মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদ করতে কারা অর্ডার দিয়ে বিশেষ কালো রঙের পোশাক তৈরি করে? কারা ড্রেস কোড তৈরি করে রাস্তায় নামে যাতে ক্যামেরায় দেখতে ভালো লাগে? কারা বিচার চাওয়ার পরিবর্তে গান, কবিতা, নাটক, স্লোগান, পোস্টার, নৃত্যকলার মাধ্যমে আসলে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনেই বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে? দাঁতে দাঁত চেপে সবরকম সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা হল না কেন? কেন নাগরিকদের দাবি আসলে কিছু স্বার্থান্বেষী ডাক্তারের ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের দাবিতে পর্যবসিত হল? অথচ সেইসব নাগরিক বুঝতেই পারল না যে তারা ফাঁদে পা দিয়েছে? কারণ অন্ধ একটি রাজনৈতিক বিরোধিতা এই তাবৎ কাজের চালিকাশক্তি ছিল। তারা বিচার চায়নি। নির্দিষ্ট ব্যক্তির অপসারণ চেয়েছে। তাই ভেবে দেখেনি যে জুডিশিয়াল সিস্টেম কীভাবে চলে। উল্টে আজগুবি নানারকম তত্ত্ব, ভিডিও, অডিও এবং প্রচারকে ধ্রুবসত্য ভেবে এসেছে। 
বাবুসমাজ মনে রাখুক যে, আমার যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেব, সমর্থন করব, সরকারের সবরকম অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। বিরোধিতা করব। আবার ভালো কাজের সমর্থনও করব। কিন্তু আমার বুদ্ধিকে অন্য কেউ যেন নিজেদের স্বার্থে কোনও ঘটনাতেই চালনা করতে না পারে। এই বুদ্ধি ও সতর্কতা অর্জন করব নতুন বছরে। 
বাবসুমাজ দুর্গাপুজোকে বয়কট করে একমাস পরই গানমেলা, বইমেলা, সিনেমামেলা, ক্রিসমাস মেলা, নিউ ইয়ার্স মেলায় গা ভাসিয়েছে। বাবুসমাজ এভাবে নিজেকেই অপমান করেছে সবথেকে বেশি। আর এই কারণেই বাবুসমাজের গুরুত্ব কমছে সমাজের বৃহত্তর মানুষের কাছে। বাবুসমাজ নিজেরা ঩নিজেদের সিরিয়াসলি নেয় না। তারা জানে আজ যা বলছি, সামনের সপ্তাহে তার উল্টো কথা বলব। কেন? কারণ বাবুসমাজ মোমেন্টে বাঁচে। দীর্ঘমেয়াদি সংযম, দৃষ্টিভঙ্গি, গভীরতা এবং অন্তর্দৃষ্টি নেই। 
বাবু সমাজকে কি দেখা যাচ্ছে রবি হাঁসদাকে নিয়ে মাতামাতি করতে? দেখা যাচ্ছে না। কেন? কারণ, রবি হাঁসদা অনুশীলনের পূজারি। ধৈর্যের পূজারি। সংযমের পূজারি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার মশারু গ্রামের রবি হাঁসদা বছরের শেষে বাংলাকে, বাঙালিকে ফুটবলে ভারতসেরার তকমা পাইয়ে দিলেন সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে অনবদ্য গোল করে। তাঁর মা এখনও জমিতে চাষের কাজ করেন। এখনও রবি হাঁসদার নির্দিষ্ট চাকরি নেই। কিন্তু তিনি নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন নিজের প্রতিভাকেই অবলম্বন করে। বাবুসমাজের কোনও প্রতিনিধি কিন্তু বাংলার গর্ব কিংবা ভারতশ্রেষ্ঠ হতে পারছে না। অথচ রবি হাঁসদাকে সংবর্ধনা দেওয়ার কোনও ঢল পড়ছে না উচ্চবর্গের সমাজে। 
বাবুসমাজ বাংলায় থাকে। কিন্তু বাংলা ও বাঙালির স্বাজাত্যবোধ অর্জন করতে পারছে না। দক্ষিণ ভারতের কোনও শহরের বিবাহে উত্তর ভারতীয় স্টাইলে রোকা, সঙ্গীত, মেহেন্দি হচ্ছে কল্পনাই করা যায় না। বাংলায় হয়। বাবুসমাজ হিন্দি এবং ইংরেজিতে অবাধে কথা বলাকে শিক্ষা ও স্মার্টনেস ভাবে। কেন? কারণ তাদের অনেকে বাংলা ভাষায় প্রাঞ্জলভাবে কথা বলতে পারে না। তাই আমরা বহু বঙ্গীয় নব্য সেলেব্রিটির কথাকে মন দিয়ে শুনলে বুঝতে পারি যে, তারা বাংলা বাক্য গঠনে, শব্দচয়নে এবং না থেমে সুসংহত ও সুসংবদ্ধ বাংলার ব্যবহার করতে অপারগ। 
সেলেব্রিটি নয় এমন বাবুসমাজের মধ্যেও এই একই প্রবণতা। তাই কথোপকথনের মাঝে হিন্দি ও ইংরেজিকে প্রবেশ করাতে হয়। ওটা এমন নয় যে, তারা হিন্দি ও ইংরেজি ভালো জানে। আসল কারণ বাংলা একটানা বলার মতো শব্দভাণ্ডার মস্তিষ্কের হার্ড ডিস্কে সঞ্চিতই নেই। এও এক কঠিন অনুশীলন। অভ্যাসের চর্চা। কিন্তু পক্ষান্তরে দেখা যায় যে, কেউ যদি গুছিয়ে কথা বলতে না পারে, কেউ যদি বুদ্ধিদীপ্ত যুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়, বাবুসমাজ তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, ‘চাষার মতো কথা বলিস না’। কাউকে যদি মনে হয় সে কোনও কাজে পারঙ্গম নয়, তাকে কী পরামর্শ দেয় বাবুসমাজ? ‘যা, মাঠে গিয়ে লাঙল ঠেল, এসব কাজ তোর কম্ম নয়’ অর্থাৎ চাষি যেন কিছু জানে না। চাষির কাজ যেন কাজই নয়। তাহলে সব জানে কারা? বাবুসমাজ! নতুন বছরে বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের চেষ্টা করুক। বুদ্ধি ও জ্ঞানের চর্চা করুক। হুজুগ এবং অ্যাটেনশন সিকিং মনোভাব থেকে দূরে থাকুক। 
বাবুসমাজ ১ জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভিড় জমায়। কিন্তু ওই দিন যে বাক্যটি এই উদ্যানে ভাবীকালের জন্য বলে গিয়েছিলেন যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ, সেই ‘চৈতন্য হওয়ার’ আশীর্বাদটি ভুলে থাকে সারাবছর!
03rd  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
একনজরে
আরামবাগে মোবাইলের দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনায় জড়িত বসিরহাট গ্যাং। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এবং সূত্র মারফত পুলিস ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে ...

অসমের কয়লা খনি থেকে প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার করা হল এক শ্রমিকের দেহ। মৃত শ্রমিক নেপালের উদয়াপুর জেলার বাসিন্দা। নাম গঙ্গা বাহাদুর শ্রেষ্ঠ । ভারতীয় সেনার ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ডিমা হাসাওয়ের  কয়লা খনি থেকে বুধবার শ্রমিকের দেহ উদ্ধার ...

প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করা হয়েছে। মিলেছে আশ্বাসও। কিন্তু আজও ডাইনিং হল তৈরি হয়নি জলপাইগুড়ির মোহিতনগর কলোনি তারাপ্রসাদ বালিকা বিদ্যালয়ে। ফলে শীত-গ্রীষ্ম, বর্ষা সারাবছরই খোলা ...

বুধবারের বারবেলা। যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে জোর কদমে ম্যাচ সিচুয়েশনের মহড়া চলছে মোহন বাগানে। হায়দরাবাদ ম্যাচের প্রথম একাদশে দু’টি বদল করে দল সাজিয়ে ছিলেন কোচ হোসে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম

08th  January, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৮ টাকা ৮৬.৭২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩২ টাকা ১০৯.০৫ টাকা
ইউরো ৮৭.১৯ টাকা ৯০.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৫ দিবা ১২/২৩। ভরণী নক্ষত্র ২১/২৫ দিবা ৩/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৪ গতে ১/২৩ মধ্যে।
২৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১১/৪৬। ভরণী নক্ষত্র দিবা ২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ২/২৫ গতে ৫/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৫ গতে ১/২৫ মধ্যে। 
৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: চেন্নাই-ওড়িশা ম্যাচ ড্র, স্কোর ২-২

10:42:12 PM

বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত জনপ্রিয় মালায়লাম গায়ক পি জয়চন্দ্রন

10:39:00 PM

অস্ট্রেলিয়া সফর সেরে বিশাখাপত্তনামের এয়ারপোর্টে নামতেই নীতিশ কুমার রেড্ডিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ভক্তদের

10:27:00 PM

জোকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল একাধিক ঝুপড়ি
ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! জোকার কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে আগুন ...বিশদ

10:11:11 PM

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় সরযূ নদীর ঘাটে শুরু সন্ধ্যা আরতি

10:00:00 PM

দিল্লিতে মানসরোবর পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে আগুন, মৃত ১
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুন লাগল দিল্লির মানসরোবর পার্ক মেট্রো স্টেশনের ...বিশদ

09:58:11 PM