Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? এই উত্তর মনে পড়লে এবার বলুন, কেমন খেতে ছিল ওই পপকর্ন? নোনতা? মিষ্টি? নাকি বিস্বাদ। মনে পড়াটা জরুরি। কারণ, এই সব প্রশ্নের উত্তরে লুকিয়ে আছে, আপনি কত টাকা ট্যাক্স দিয়েছেন। থুড়ি ট্যাক্স বললে মাননীয় ভারত সরকার গোঁসা করবেন। বলতে হবে—জিএসটি। পণ্য ও পরিষেবা কর। খোলা পপকর্ন কিনলে ৫ শতাংশ জিএসটি। ওটাই প্যাকেটে ভরে ফেললে ১২ শতাংশ, আর ক্যারামেল যদি একবার মিশে যায়, তাহলেই ১৮ শতাংশ কর গুনতে হবে আপনাকে। যদি টিকিটের সঙ্গে কম্বো হয়? জিএসটি ওই সিনেমার টিকিটের সম পরিমাণ। 
সরলীকরণ। এই একটি শব্দেই জিএসটির প্রচার-আয়োজন সেরেছিল মোদি সরকার। এই কর ব্যবস্থা চালু হতেই নাকি সব মুশকিল আসান। ব্যবসায়ীদের আর নানাবিধ কর দিতে হবে না, হিসেব মেলাতে রাত জাগতে হবে না, সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি যাবে না... এমন আরও অনেক কিছু। জিএসটি চালুর পর সাত বছর পার হয়ে গিয়েছে। এই কর ব্যবস্থায় সত্যি কাদের লাভ হয়েছে? সরকারের? মনে হয় না। একটি কর ব্যবস্থা চালুর সাত বছর পরও যদি রাজ্য সরকারগুলিকে ‘ক্ষতিপূরণ’ দিতে হয়, তাহলে কেন্দ্র বা রাজ্য—কারও লাভ হয়েছে বলে দাবি করা যায় না। যে রাজ্যগুলিতে উৎপাদন ক্ষেত্র শক্তিশালী, অর্থাৎ গুজরাত, হরিয়ানার মতো রাজ্যের চাপে জিএসটি ক্ষতিপূরণ চালু করেছিল মোদি সরকার। প্রশ্ন হল, যে কর ব্যবস্থা কার্যকর করলে পাঁচ বছর ধরে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে, সেই সিস্টেম চালু করব কেন? আর যখন পুরো টাকাটাই যাচ্ছে আমার-আপনার করের টাকা থেকে! ব্যাপারটা তো এমন... আপনি একটা ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন। কিন্তু জানেন, আগামী পাঁচ বছর এতে বিস্তর লোকসান হবে। তাহলে কি ওই ব্যবসা আপনি শুরু করবেন? কেন্দ্র কিন্তু করেছে? কার স্বার্থে? 
তাহলে কি লাভ সাধারণ মানুষের? নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন বহু পণ্য রয়েছে, যার জন্য আম জনতাকে পকেট খুঁড়ে জিএসটি দিতে হচ্ছে। আগে কিন্তু এই অসন্তোষ সাধারণের মধ্যে দেখা যেত না। বিমায় জিএসটি, রেস্তরাঁয় জিএসটি, বেড়াতে গেলে হোটেলে জিএসটি। এর সঙ্গে সার্ভিস ট্যাক্স গোনার রীতিও রয়েছে পুরোদমে। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ এতটুকু উপহার পায়নি জিএসটি থেকে।
তাহলে কি এই কর ব্যবস্থায় লাভ হয়েছে ব্যবসায়ীদের? এই প্রশ্নের উত্তরও যে বড্ড তেতো। কারণ, এতে বড় কর্পোরেট বন্ধুদের সুরাহা হতে পারে। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীদের কখনওই নয়। ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার পরই সদ্য প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘এটা মোদি সরকারের বড় ব্লান্ডার। ছোট ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে দেবে।’ মনমোহন সিং কি জ্যোতিষী ছিলেন? তা তো নয়। তাহলে এমন কঠোর বাস্তবটা কীভাবে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন। আসলে, অর্থনীতির এই রূপ দেখার জন্য সত্যিই জ্যোতিষী হতে হয় না। নিজের দেশ, দেশবাসী এবং অর্থনীতিটা বুঝতে হয়। মনমোহন সিং সেটাই বুঝতেন। তাই জিএসটি তাঁর আমলের উদ্যোগ হওয়া সত্ত্বেও কার্যকর করেননি মনমোহন। অটলবিহারী বাজপেয়ি যে কেলকার কমিটি গঠন করেছিলেন, তারাই রিপোর্ট দিয়েছিল মনমোহন সরকারের কাছে। সেখানেই কর সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবে জিএসটির কথা বলা হয়েছিল। সেটা ২০০৪ সাল। মনমোহন সময় নিয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটা কিছু করতেই হবে। কিন্তু ধীরে। সাবধানে। ২০০৬ সালে বাজেট পেশের সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এমন পণ্য ও পরিষেবা করের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, সম্পূর্ণ রূপরেখা তৈরির পর এবং প্রত্যেকের স্বার্থ বিবেচনা করে ২০১০ সালে এই ব্যবস্থা কার্যকরের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হল। ২০১০ সালে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ওই লক্ষ্যমাত্রা আরও এক বছর বাড়িয়ে দেন। ’১১ সালে এই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হতেই তা চলে যায় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। তীব্র প্রতিবাদ ওঠে বিরোধী পক্ষ থেকে। ওই প্রতিবাদের সবচেয়ে সামনের সারিতে কে ছিলেন? গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তাঁর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁদের যুক্তি ছিল, এই ব্যবস্থা চালু হলে রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। কোন পণ্যের উপর কত কর বসবে, সেটা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঠিক করবেন। তাতে জিএসটি কাউন্সিল মাথা নাড়বে। রাজ্যগুলির কী হবে? যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়বে। একচ্ছত্র আধিপত্য চালাবে কেন্দ্র। ফলে ইউপিএ জমানায় এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যায়নি। মনমোহন সিং কিন্তু চাপাচাপিও করেননি। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, ভারত এবং এই ব্যবস্থা—দুটোর কোনওটাই পুরোপুরি তৈরি নয়। আরও অনেক ‘মডিফিকেশন’ দরকার। এই একই রায় তাঁর ছিল ২০১৭ সালেও। তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আর তিনি যা ভেবেছিলেন, সেটাই হয়েছে। জিএসটি চালুর পর বহু সংস্থা স্রেফ লাটে উঠেছে। আগে উৎপাদন ক্ষেত্রে বড় কোম্পানির বরাতে ফুলেফেঁপে উঠত ছোট সংস্থাগুলি। জিএসটি নামক ‘রাবণে’র চাপানো নানাবিধ শর্তের জেরে বড় কোম্পানিগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখন আর এমএসএমই’কে কাজের বরাত দিতে চায় না। ফলে টিমটিম করে জ্বলতে জ্বলতে বন্ধ হয়ে যায় ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা। সব যখন ঠিকঠাক ছিল, শিল্পক্ষেত্রের ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হতো এমএসএমইর মাধ্যমে। জিএসটি কার্যকরের পর ইনভয়েস-রিটার্নের জ্বালায় কত এমএসএমই বন্ধ হয়েছে, মোদিজি একবার সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন কি? একে এই বিপুল ধাক্কা, তার উপর শ’খানেক সেস তো রয়েছেই। বছরের পর বছর ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। আর একইসঙ্গে পোয়াবারো অসৎ কারবারিদের। ভুয়ো কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকা জিএসটি প্রতারণা চলছে বছরের পর বছর। রাজকোষে টাকা ঢুকছে না, অথচ কাগজ বলছে সরকারের প্রাপ্তিযোগ ঘটেছে। তার মূল্য চোকাতে হচ্ছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্ট ভর্তি করে। কোন টাকা দিচ্ছে সরকার? আম জনতার করের টাকা। কর্পোরেটের হাজার হাজার কোটির অনাদায়ী ঋণ মকুব হচ্ছে, আর চাকরিজীবী, সাধারণ মধ্যবিত্ত তার মূল্য চোকাচ্ছে। এটাই আজ সবচেয়ে কঠিন বাস্তব। বলতে পারেন, একজন মধ্যবিত্ত কখন গাড়ি কেনে? স্বপ্ন দেখলে। একটা অল্টো। কিংবা আই টেন। বছরের পর বছর আয়কর দেওয়ার পর যতটুকু সঞ্চয় হয়েছে, তার থেকে বেশিটা টেনে-হিঁচড়ে বের করে ডাউন পেমেন্ট দেয়। বাকিটা লোন। তারপর তার মুখে ফোটে বিজয়ীর চওড়া হাসি। তাও নিজের জন্য নয়। স্ত্রীয়ের জন্য। যে প্রতিদিন, প্রতি মাস, প্রতি বছর তার সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। সংসারের লড়াই। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। এই হাসি তার ছোট ছোট ছেলেমেয়ের জন্য। যারা এখন বন্ধুদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারবে, জানিস... আমারও গাড়ি আছে। গর্বে বুক ফুলে উঠবে ওদের। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে অনেকগুলো টাকা জিএসটি গুনতে হয় তাকে। এরপর আছে গাড়ির ইনস্যুরেন্স। তাতেও জিএসটি। রোড ট্যাক্স নিচ্ছে সরকার। জিএসটি গুনতে হচ্ছে তাতেও। সঙ্গে আছে সড়ক উন্নয়ন সেস। এতে কোনও ছাড় নেই! আগামী সপ্তাহেই গাড়ি নিয়ে দীঘা যাওয়ার ইচ্ছে আছে। তার আগে সহকর্মী ভয় দেখিয়ে রেখেছে, অনেক টাকা টোল ট্যাক্স দিতে হবে কিন্তু। ফাস্ট্যাগ অ্যাকাউন্ট ভরে রেখো। আর কিছু কি বাকি রইল? আছে তো—পেট্রল! মধ্যবিত্ত মানুষটি খবরের কাগজে পড়েছে, ট্যাক্স-সেস চাপার পরই নাকি পেট্রলের দাম ১০০ টাকার উপর চলে গিয়েছে। না হলে নাকি ৭০ টাকারও নীচে পাওয়া যেত। এরপরও কি এই দেশের আম জনতা দমে যাবে না? নেতা-মন্ত্রীরা গাড়িতে যান। কিন্তু তাঁদের টোল ট্যাক্স দিতে হয় না। তাঁরা গাড়িতে তেল ভরেন। ব্যবস্থা সরকার করে দেয়। ফ্রিতে তাঁরা সিলিন্ডারও পান। এই নীতি নির্ধারকরা সত্যি আম জনতার কষ্টটা বোঝেন তো? এঁরাই কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পড়বেন। নীতি তৈরি হবে সাধারণ মানুষের জন্য। মধ্যবিত্তের জন্য। কীভাবে আরও বেশি সরকারকে ট্যাক্স দেবেন তাঁরা। পণ্যের উপর। পরিষেবার উপর। পরিষেবা না পেলেও দিতে হবে। এই দেশের নাগরিক তারা। গাড়ি কিনলে জিএসটি দিতে হবে। বেচলেও। ধরুন আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটা গাড়ি কিনেছিলেন পাঁচ বছর আগে। এখন সেটা বিক্রি করতে চান। দাম পাচ্ছেন তিন লক্ষ টাকা। অথচ সরকার মনে করছে, এই গাড়ি ১ লক্ষ টাকার বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কথা নয়। মানে (৩ লক্ষ-১ লক্ষ) দু’লক্ষ টাকার উপর আপনাকে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। এই যে ‘ফারাক’, সেটাই সরকারের কাছে লাভজনক। আপনার কাছে ‘ডেপ্রিসিয়েশন’ হলেও। 
এই সরকার প্রোপাগান্ডা মার্কা সিনেমা ট্যাক্স ফ্রি করে। কিন্তু শিশুর দুধের উপর জিএসটি চাপায়। করের বোঝায় চাল-আটা-তেলের দাম হু হু করে বাড়ে। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘জিনিস কিনবেন, আর জিএসটি দেবেন না?’ সস্তায় দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় হওয়ার মতো পরিস্থিতি কি আজ সত্যি আছে? দিল্লির দরবারের কর্তাব্যক্তিরা কি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন যে, একটা চারজনের সংসার চালাতে মাস গেলে আজ কত খরচ হয়? উপার্জনকারী মানুষটা কত রোজগার করে, আর কত টাকা তাকে ধার নিতে হয়? সেই হিসেব সামনে আসে না। সরকার বরং পরিসংখ্যান দেয়, আম জনতার ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এই ফর্মুলা মেনে নিতে হলে, সঙ্গে আরও একটা ডেটা যে চাই—কোন ধরনের জিনিসের উপর সাধারণ মানুষ বেশি খরচ করছে। সেইসব কি ভোগ্যপণ্য। তালিকা চেয়ে পাঠান মোদিজি। আর হ্যাঁ, তালিকাটা নির্মলাজিকেও দেবেন। কারণ দেখতে পাবেন, তার ৯০ শতাংশই নিত্যপণ্য। মোবাইল ফোন, এসি, টিভি, ফ্রিজ... এগুলো কিন্তু এখন সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকাতেই ঢুকে গিয়েছে। একে আর বিলাসিতা বলা চলে না। 
জিএসটির সরলীকরণ আজও হয়নি। হওয়া এত সহজও নয়। যে গাছের গোড়া শক্ত নয়, সে সুস্বাদু ফল দেবে কীভাবে? অথচ, তেমনটাই সরকার ভাবছে। এবং সবচেয়ে বেশি কথা, আম জনতাকে সেটাই ভাবানো হচ্ছে। যোজনা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া লিখেছিলেন, ‘নোট বাতিল এবং জিএসটি অসংগঠিত ক্ষেত্রকে ধসিয়ে দিয়েছে। অকৃষিজনিত জিডিপিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের অবদান ২৫ শতাংশ। ধাক্কা খেয়েছে সেটাই।’ আজ আরও একটা বছর শেষ হল। আরও এক সূর্যাস্ত... মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের একরাশ উদ্বেগ, যন্ত্রণা বুকে নিয়ে। খাদ্যপণ্যের দাম যে কিছুতেই কমছে না! ২০০৯ সালে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন মাথাচাড়া দিয়েছিল, মনমোহন সিং শস্যের মজুত বাড়িয়েছিলেন সরকারের ঘরে। অত্যন্ত সস্তায় এবং রেশন দোকানের মাধ্যমে তার বণ্টন হয়েছিল দেশজুড়ে। নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছিল খাদ্যপণ্যের দাম। আজ তিনি আর নেই। বছরের শেষ বেলায় মনমোহন সিং বিদায় নিয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকলেও তাঁর পরামর্শ এই সরকার শুনত কি? মনে হয় না। তাহলে হয়তো সত্যি আচ্ছে দিন এসেই যেত।
31st  December, 2024
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
একনজরে
আরামবাগে মোবাইলের দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনায় জড়িত বসিরহাট গ্যাং। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এবং সূত্র মারফত পুলিস ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে ...

প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করা হয়েছে। মিলেছে আশ্বাসও। কিন্তু আজও ডাইনিং হল তৈরি হয়নি জলপাইগুড়ির মোহিতনগর কলোনি তারাপ্রসাদ বালিকা বিদ্যালয়ে। ফলে শীত-গ্রীষ্ম, বর্ষা সারাবছরই খোলা ...

১৯ জানুয়ারি হতে চলেছে ‘দ্য স্টেটসম্যান ভিন্টেজ অ্যান্ড ক্লাসিক কার র‌্যালি’। এবার এই র‌্যালি ৫৪ বছরে পা দিল। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন গাড়িগুলির ইতিহাস তুলে ...

অসমের কয়লা খনি থেকে প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার করা হল এক শ্রমিকের দেহ। মৃত শ্রমিক নেপালের উদয়াপুর জেলার বাসিন্দা। নাম গঙ্গা বাহাদুর শ্রেষ্ঠ । ভারতীয় সেনার ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ডিমা হাসাওয়ের  কয়লা খনি থেকে বুধবার শ্রমিকের দেহ উদ্ধার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম

08th  January, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৮ টাকা ৮৬.৭২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩২ টাকা ১০৯.০৫ টাকা
ইউরো ৮৭.১৯ টাকা ৯০.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৫ দিবা ১২/২৩। ভরণী নক্ষত্র ২১/২৫ দিবা ৩/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৪ গতে ১/২৩ মধ্যে।
২৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১১/৪৬। ভরণী নক্ষত্র দিবা ২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ২/২৫ গতে ৫/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৫ গতে ১/২৫ মধ্যে। 
৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: চেন্নাই-ওড়িশা ম্যাচ ড্র, স্কোর ২-২

10:42:12 PM

বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত জনপ্রিয় মালায়লাম গায়ক পি জয়চন্দ্রন

10:39:00 PM

অস্ট্রেলিয়া সফর সেরে বিশাখাপত্তনামের এয়ারপোর্টে নামতেই নীতিশ কুমার রেড্ডিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ভক্তদের

10:27:00 PM

জোকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল একাধিক ঝুপড়ি
ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! জোকার কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে আগুন ...বিশদ

10:11:11 PM

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় সরযূ নদীর ঘাটে শুরু সন্ধ্যা আরতি

10:00:00 PM

দিল্লিতে মানসরোবর পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে আগুন, মৃত ১
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুন লাগল দিল্লির মানসরোবর পার্ক মেট্রো স্টেশনের ...বিশদ

09:58:11 PM