Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। দশ বছর আগে নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ তাঁর ঝুলিতে দিয়েছিল ৭১টি আসন। তার পরেরবার, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ৬২। ন’টি আসন কমেছিল বটে, কিন্তু তাতে আধিপত্যে এতটুকু ফাটল ধরেনি। আর এবার তাঁদের দলের ভোট ম্যানেজাররাই বলছেন, অঙ্কটা ৫০’এ নেমে যাবে? একে কী বলা যায়? আশা, নাকি আশঙ্কা? 
নরেন্দ্র মোদির দিক থেকে দেখলে আশঙ্কা বলাই ভালো। ভারতের রাজনীতিতে একটা প্রবাদ আছে, উত্তরপ্রদেশ যার, সংসদ তার। সবচেয়ে বড় রাজ্য, সবচেয়ে বেশি আসন... এই রাজ্যে ৬০’এর বেশি নম্বর পাওয়া মানে ম্যাজিক ফিগারের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া। সেখানে ৫০টি বলতেও থতমত খাচ্ছে বিজেপি? কারণটা কী? সেটা অবশ্য ভাঙেননি ওই নেতা। আর তাই প্রশ্নের ঘনঘটা আরও বাড়ছে। এই উত্তরপ্রদেশেই রামমন্দির হয়েছে (মাত্র চার মাস আগে)। নরেন্দ্র মোদি শুধু নন, বিরোধীরা পর্যন্ত প্রথমদিকে ভেবেছিল, এই এক মন্দিরেই বিজেপি বাজিমাত করে দিতে পারে। কিন্তু সেই ধারণা যে ভুল, সেটা মাসখানেকের মধ্যেই ধীরে ধীরে বোঝা গিয়েছে। মোদিজির বোধহয় বুঝতে আরও একটু বেশি সময় লেগেছে। তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন... রামলালা তাঁকে তৃতীয় ইনিংস উতরে দেবেন। তাই গরমে গরমে ভোটটা করে নেননি। ‘যথা সময়ে’র অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার পর দেখলেন, মন্দির রাজনীতি তো খুব একটা কাজে লাগছে না! কীভাবে তিনি বুঝলেন? কোটি কোটি পাবলিকের মন বোঝা তো সহজ নয়! কপালে ভাঁজটা বাড়ে, যখন মানুষ ভোট দিতেই না যায়। প্রথম চারটে দফার ভোটে দেখা গিয়েছে, ২২ কোটি মানুষ বুথমুখো হননি। সেটা কেন? গরম? তাপপ্রবাহ? সেটা না হয় দেশের দু’তিনটে রাজ্যে ছিল। তাও প্রথম দু’দফায়। তারপর তো ভোট দেওয়ার মতো আবহাওয়া মিলেই গিয়েছে। আর প্রতি বছর এমন সময়েই দেশের নানা প্রান্তে ‘ভোট উৎসব’ হয়। আমরা ভোটের এই জলবায়ুর সঙ্গে পরিচিত। তাহলে ভোটারদের অনীহা কেন? গত লোকসভা ভোটের তুলনায় চলতি বছর পাঁচ কোটি ভোটার বেড়েছে। নতুন যাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তোলেন, স্বাভাবিক প্রবণতা অনুযায়ী তাঁরা ভোটটা দিয়ে থাকেন। কারণ, প্রথমবার ভোট দেওয়ার একটা আলাদা রোমাঞ্চ থাকে। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে, নতুন ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। তাহলে নিশ্চিতভাবেই ‘পোড় খাওয়া’ ভোটাররা বুথমুখো হননি। এবার প্রশ্ন হল, তাঁরা কারা? শাসকের পক্ষের? বিপক্ষের? নাকি পুরোদস্তুর ফ্লোটিং ভোটার?
দেশের গড় বিচার করলে প্রতি দফাতেই প্রায় ৩-৪ শতাংশ করে ভোটদানের হার কমেছে। নজর করার মতো বিষয় হল, যে কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি ‘শক্তিশালী’ সেখানকার ভোটাররা বেশিমাত্রায় ঘরকুনো হয়ে থাকতে পছন্দ করেছেন। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যোগীরাজ্যে প্রথম দফায় ৫ শতাংশ ভোট কম পড়েছে, দ্বিতীয় দফায় ৬.৭১ শতাংশ, তৃতীয় পর্বে আড়াই শতাংশের বেশি। শুধু চতুর্থ দফায় ভোটদানের হার গতবারের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেষি করে চলেছে। তাহলে কি নরেন্দ্র মোদির ডেডিকেটেড ভোটাররা বুথমুখো হচ্ছেন না? বিরোধীরা অবশ্য রিগিংয়ের অভিযোগও উড়িয়ে দিচ্ছে না। অন্তত ফারুকাবাদের ভিডিও সামনে আসার পর। তাতে দেখা গিয়েছে, এক কিশোর বুথে দাঁড়িয়ে একটার পর একটা ভোট দিয়ে চলেছে। 
তাও আবার মোবাইল ক্যামেরা অন রেখে। সে বলছে, এই ভোট দিলাম। বলেই বিজেপির পদ্ম প্রতীকের পাশের বোতামে চাপ দিচ্ছে। একে একে আটটি ভোট দিল সে। এবং বুথে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা তাকে সেটা করতেও দিল। কেন? ওই কিশোর বিজেপি নেতার ছেলে বলে? এই ছাপ্পার পরেও অবশ্য ফারুকাবাদে ভোটদানের হার গতবারের পরিসংখ্যানকে ব্যাপকভাবে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৫৮.৭১ শতাংশ। আর এবার ৫৮.৯৭ শতাংশ।
ভারতের ভোট রাজনীতিতে একটা থিওরি আছে—ভোটদানের হার যদি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, সেটা শাসকের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাহলে বুঝতে হবে, প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভোট বেশি পড়েছে। যে কোনও লোকসভা ভোটে ৬৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে ভোটদানের হার থাকাটাকে সুলক্ষণ বলে মনে করে শাসক। কিন্তু ২০২৪’এ এসে সেই থিওরি কতটা খাটবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কেন? ওই যে নতুন পাঁচ কোটি ভোটার! এক ধাক্কায় ৯২ কোটি থেকে ৯৭ কোটি হয়ে গিয়েছে ভোটারের সংখ্যা। সেই হিসেব ধরলে কিন্তু সমীকরণটা নতুনভাবে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। এখন কি আর ৬৫ শতাংশের হিসেবে শাসক দলের রক্ষাকবচ তৈরি হবে? নাকি সেটা ৭০ শতাংশের উপর যাওয়া জরুরি? চলতি লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হলে এই থিওরিটা অন্য একটা আকার পাবে বলেই ধারণা। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ভোটদানের হার কমে যাওয়ার অঙ্কেই ফোকাস করতে হবে। বিজেপির চিন্তার কারণ কী? ২০০৪ সালে মাত্র দুই শতাংশ ভোট কম পড়াতেই অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকার পড়ে গিয়েছিল। কোনও দল সেবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ঠিকই, কিন্তু সরকারের ভোটব্যাঙ্কই ভাগ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে। এবার কংগ্রেস আগে থেকে জোট গঠন করে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে। উত্তরপ্রদেশে তাদের সঙ্গী সমাজবাদী পার্টি। রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব একসঙ্গে সভা করছেন। আর সেখানে ভিড়ের ঠেলায় তাঁদেরই নাজেহাল দশা। হেলিকপ্টার থেকে তাঁরা নামতে পারছেন না, ভিড় প্রায় মঞ্চের উপর উঠে আসছে... এটাই এখন উত্তরপ্রদেশের প্রচার-চিত্র। সভার ভিড় কখনও ভোটভাগ্য নির্ধারণ করে না। রেকর্ড ভিড় সত্ত্বেও ভোটযন্ত্রে তার প্রভাব পড়েনি—এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি আছে। কিন্তু ভিড়ের এই স্বতঃস্ফূর্ততা ইন্দিরা গান্ধীর পর কিছুটা দেখা গিয়েছিল ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির আগমনিতে। আর এবার রাহুল-অখিলেশ যুগলবন্দি সভায়। তাহলে কি উত্তরপ্রদেশের ওই বিজেপি নেতার আশঙ্কা সত্যি হতে চলেছে? এখানে ৫০’এর নীচে নেমে যাবে মোদি ব্রিগেড? আর তিনি মোদি পরিবারের সদস্য বলে ধরে নেওয়াই যেতে পারে, কিছুটা গ্রেস মার্কস দিয়েই বিজেপিকে উপস্থাপনা করা হচ্ছে। সেই গ্রেসটুকু বাদ দিলে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ৪০ আসনে নেমে যাবে না তো? আশঙ্কাটা অমূলক নয়। বরং উদ্বেগের। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির বাহুবলী রাজনীতিতে বিজেপি তালা লাগিয়ে দিয়েছে। একের পর এক এনকাউন্টারে সমাজবাদীর ভোট মেশিনারির পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটেছে। যে ক’জন বাহুবলী বেঁচেবর্তে আছে, তারাও আন্ডারগ্রাউন্ড। অর্থাৎ, সমাজবাদী বা কংগ্রেস এবার আর ভোট ‘করাতে’ পারবে না। হয় বিজেপি করাবে, আর তা না হলে মানুষের মতদান। তারপরও ৫০ আসনের কনফিডেন্স নেই? 
একবার সাদা চোখে নজরে আসা দেশের সমীকরণগুলো সাজিয়ে নেওয়া যাক—১) উত্তরপ্রদেশে মোদি হাওয়া কাজ করছে না। রামমন্দিরও না। ২) পাঞ্জাব-হরিয়ানায় কৃষকদের ক্ষোভ এবং আম আদমি পার্টির আগ্রাসন। ৩) শিবির বদল করতে করতে বিহারে নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই ডুবিয়ে রেখে দিয়েছেন। মানুষ আর তাঁকে ভরসাই করতে পারছে না। ৪) তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন ঝড় এখনও চলছে। ৫) কর্ণাটকে বিজেপি নিজেরাই বলছে, ১৮ থকে ২০টা আসনে নেমে আসবে জয়ের পরিসংখ্যান। আর বিরোধীদের দাবি ১২টির উপর কেন্দ্র গেরুয়া বাহিনী পাবে না। ৬) পশ্চিমবঙ্গে এনডিটিভি, এমনকী বিবিসি পর্যন্ত বলছে, ৩০’এর বেশি পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপি ১১-১২টা। ৭) উত্তর-পূর্বে মণিপুর এফেক্ট এখনও দগদগে। এখানকার রাজ্যগুলি মিলিয়ে মোট ২৫টি আসন। ধরে নেওয়া গেল, অসমে বিজেপি ভালো ফল করবে। কিন্তু বাকি কোনও রাজ্যেই তারা নিরঙ্কুশ নয়। মণিপুরে বিজেপির উদাসীনতা ছিল, নাকি ইন্ধন... সেই প্রশ্ন আছে। থাকবেও। কিন্তু এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদির উপর এতটাই রেগে আছে যে, পদ্মের ভোটভাগ্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলো ভালো ফল করবে। আর পাবলিক সেন্টিমেন্টের গতিপ্রকৃতি বুঝে তারাও এনডিএতে যাওয়ার কথা ভাববে না। বরং ভোটে ‘ইন্ডিয়া’র ফল যদি সরকার গড়ার মতো হয়, তারা মহাজোটেই যোগ দেবে। তাহলে কোন অঙ্গে ৪০০ পার হচ্ছে? হয় বিজেপির হর্তাকর্তারা ওভার কনফিডেন্ট, আর না হলে তাঁরা জানেন, অন্তরালে কী চলছে। দুটোই কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ। প্রথম সম্ভাবনায় শাসক জনতাকে চটির নীচের ধুলো বলে মনে করে। আর দ্বিতীয়টিতে, গণতান্ত্রিক সত্যতাকে দুমড়ে-মুচড়ে তারা নিজেদের সুবিধা মতো রূপ দিয়ে নেয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য।
ইংরেজ দার্শনিক তথা রাজনীতিক জন স্টুয়ার্ট মিল বলতেন, ‘কোনও মহান ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকতেই পারে। এর মধ্যে ভুল কিছু নেই। তিনি হয়তো আজীবন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। সমাজের জন্য, দেশের জন্য ভেবেছেন। কিন্তু তারপরও মনে রাখতে হবে, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। সেই মহান ব্যক্তিকে আস্থা দেখাতে গিয়ে যেন ব্যক্তি স্বাধীনতা, আর গণতন্ত্রের বিসর্জন দিতে না হয়।’ মিলের কথাগুলো ১৯৪৮ সালে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে। তাঁর আশঙ্কা ছিল, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া ভারতবর্ষ যেন কখনও ব্যক্তিনির্ভর হয়ে না পড়ে। তাহলে তাকে আবার তুলে দাঁড় করানো খুব কঠিন কাজ হবে। কারণ, গণতন্ত্রের সঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের ফারাকটা একটা সুতোর মতো। আর সেই সুতোটা হল শাসকের মানসিকতা। ইন্দিরা গান্ধীর ‘ইমার্জেন্সি’ বুঝিয়েছিল স্বাধীনতা বিসর্জনের যন্ত্রণাটা। ভারত আজ আরও একবার ব্যক্তিনির্ভর। উন্নয়ন নয়, পার্টি নয়... ব্যক্তি। গণতন্ত্র একে কখনও সমর্থন করে না। ভারতের আম জনতা সেটা মনে রাখছে তো?
মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
একনজরে
সাত ও আটের দশকে বিশ্ব ক্রিকেটের ত্রাস ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টানা দু’টি বিশ্বকাপ জিতে দীর্ঘদিন ক্রিকেট দুনিয়াকে শাসন করেছেন ক্লাইভ লয়েডরা। ...

এতদিন মেদিনীপুরে ভোটপ্রচারে ব্রাত্য ঩ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অবস্থা বেগতিক বুঝে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে তাঁকে ডাকতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। ...

‘ঠাকুরের কাছে আসার ইচ্ছা থাকলে কোনও বাধাই বাধা হয় না,’ মঠের সদর দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই বেলুড়ের পুণ্যভূমিতে পৌঁছনর কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুম্বইয়ের মুলুন্দ ...

কোভিডের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিতর্কে নড়েচড়ে বসল আইসিএমআর। করোনা প্রতিরোধী টিকা ‘কোভিশিল্ডে’র মতোই দেশীয় ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিনে’ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেই সম্প্রতি এক গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৫০২: জোয়া দ্য নোভা সেন্টের হেলেনা দ্বীপ আবিষ্কার করেন
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৮৫১: অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয়
১৮৬০: হৃদরোগ চিকিৎসায় ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফির প্রবর্তক ওলন্দাজ চিকিৎসক উইলিয়াম আইটোফেন ডাচের জন্ম
১৮৮৮: বিখ্যাত বাঙালি গণিতজ্ঞ ভূপতিমোহন সেনের জন্ম
১৯০৪: ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত
১৯২০: গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়নাথ বসুর মৃত্যু
১৯২১: দার্শনিক ও আনন্দমার্গ'-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত প্রভাতরঞ্জন সরকারের জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৩৮: বেঙ্গল মোশন পিকচার এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত
১৯৬৬: বিশিষ্ট পরিচালক, অভিনেতা, তথা চিত্রনাট্যকার সুজয় ঘোষের জন্ম
১৯৭১: বিশিষ্ট বলিউড পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, পরিবেশক তথা প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার জন্ম
১৯৯১: মাদ্রাজের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর আঘাতে ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু
২০০৩: বিশিষ্ট টলিউড অভিনেত্রী সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের কলকাতা ‘ক’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘গীতাঞ্জলি’ ও কলকাতা ‘খ’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘সঞ্চয়িতা’ য় পরিবর্তিত হয়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ অপরাহ্ন ৫/৪০। চিত্রা নক্ষত্র ২/০ প্রাতঃ ৫/৪৬। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪, সূর্যাস্ত ৬/৮/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৩৭ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।   
৭ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪। ত্রয়োদশী অপরাহ্ন ৪/৫২। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২৪ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪  গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ গতে ৯/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/৫২ মধ্যে। 
১২ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৮ উইকেটে হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফাইনালে কেকেআর

10:59:49 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি ভেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১৪২/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ১৬০

10:58:25 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শ্রেয়স আয়ারের, কেকেআর ১৫৮/২ (১৩.৩ ওভার) টার্গেট ১৬০

10:45:04 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট সুনীল নারিন, কেকেআর ৬৭/২ (৬.২ ওভার) টার্গেট ১৬০

10:29:34 PM

আইপিএল: ২৩ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ৪৪/১ (৩.২ ওভার) টার্গেট ১৬০

10:17:09 PM

আইপিএল: কেকেআরকে ১৬০ রানের টার্গেট দিল হায়দরাবাদ

09:29:51 PM