Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম। তাদের এই দলিল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই, পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দলের ‘মূল’ নীতি হিসেবে ধর্মীয় গোঁড়ামিটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নথিটি হল গত পাঁচ-দশ বছরে বিজেপি-এনডিএ সরকারের তরফে নেওয়া পদক্ষেপগুলির একটি সংগ্রহ। সমস্ত ত্রুটি এবং বৈষম্যের ভিত্তিতে তাদের যেসব কর্মসূচি চলছে সেগুলিকে নতুন করে সাজিয়েছে বিজেপি। অতঃপর সেগুলিই রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিস্মৃত হয়ে।
‘মোদি কি গ্যারান্টি’ বা ‘মোদির গ্যারান্টি’ কথাটির মধ্যে বিপুল পরিমাণ অগ্নিবর্ষী বার্তা মজুত রয়েছে, যা কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। সর্বাগ্রে রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা ইউসিসি) এবং এক দেশ এক নির্বাচন (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বা ওএনওই)। উভয়ই, অথবা অন্তত একটির জন্য বড় ধরনের সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন হবে এবং বিজেপি নেতৃত্বকে এই প্রশ্নে অকুতোভয় বলেই মনে হচ্ছে। তাদের প্রথম উদ্দেশ্য হল, একটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মডেল তৈরি করা, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতে সমস্ত ক্ষমতা ন্যস্ত হবে। বিজেপির দ্বিতীয় উদ্দশ্য হল, দেশবাসীকে সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে যতটা সম্ভব একসূত্রে বেঁধে ফেলা। এই শাসকের তৃতীয় উদ্দেশ্য হল, তথাকথিত দুর্নীতি নির্মূল করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন। কিন্তু এই ঘোষণার মূল লক্ষ্য হল চিহ্নিত বিরোধী দল এবং রাজনৈতিক নেতাদের শায়েস্তা করা।
মোদির গ্যারান্টির বাকিটা আর কিছুই নয়, গত ১০ বছরের দাবি এবং অহংকারের চর্বিতচর্বণ, যা ইতিমধ্যেই ভীষণ ক্লান্তিকর। পুরনো স্লোগান বাতিলের পাশাপাশি আমদানি করা হয়েছে কিছু হাতে গরম স্লোগান। উদাহরণ? এটি আর কোনোভাবেই আচ্ছে দিন আনেওয়ালা হ্যায় ট্যায় নয়, এবারের সোজাসাপটা পেশ ‘বিকশিত ভারত’। আহা, যেন কোনও জাদুবলে মাত্র এক দশকেই ভারত একটি ‘উন্নয়নশীল’ দেশ থেকে ‘উন্নত’ রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে! এই দাবি নিতান্তই হাস্যকর। মোদি কি গ্যারান্টি—২০২৪-এর প্রধান প্রতিশ্রুতির দিকেই ফিরে আসা যাক:
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)
ভারতে একাধিক সিভিল কোড বা দেওয়ানি বিধি রয়েছে। সেগুলি আইনত ‘কাস্টম’ বা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী বা শ্রেণির রীতি/প্রথা হিসেবে স্বীকৃত। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি এবং ইহুদিদের দেওয়ানি বিধিগুলির পার্থক্য আমাদের সবারই জানা। নানা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব রয়েছে; আছে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের অনেক নিয়ম ও রীতিনীতি; উত্তরাধিকারেরও (ইনহেরিটেন্স অ্যান্ড সাকসেশন) বিভিন্ন নিয়ম; এবং মানুষের জন্ম ও মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও পালিত হয় নানারকম আচারবিচার। পারিবারিক কাঠামো, খাদ্য, পোশাক এবং সামাজিক আচরণেও কিছু বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এই জিনিসটা সবাই ওয়াকিবহাল নয় যে, প্রতিটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে এবং এক-একটি গোষ্ঠীর বিভিন্ন অংশের মধ্যে কত অগুনতি পার্থক্য রয়েছে!
ইউসিসি হল সমজাতীয়করণের বা সংহতিস্থাপনের জন্য একটি নরমসরম কথা। ইংরেজিতে যাকে বলে হোমোজেনাইজেশন। এজন্য খোদ রাষ্ট্র কেন এগিয়ে এসে পদক্ষেপ করবে? এমন অভিন্ন নিয়মাবলি রচনার গুরুদায়িত্ব দেশের কে নেবেন কিংবা কোন গোষ্ঠীর পুরুষ ও মহিলাদের উপর তা ন্যস্ত হবে? জনগণের মধ্যে যে দুস্তর তফাত, তার জন্য যথেষ্ট প্রতিনিধিত্বকারী হবে কি এই ধরনের কোনও গোষ্ঠী? সমজাতীয়করণ হল—প্রতিটি ব্যক্তিকে এক ছাঁচে ফেলার এবং নাগরিকদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করার একটি দুষ্ট প্রয়াস—অনেকটা চীনের সেই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়কার ব্যর্থ এক কাণ্ডকারখানা। ইউসিসি হল—মানুষের মুক্ত চেতনার অবমাননা। এই ফরমান চেপে বসলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ মুছে যাবে।
ব্যক্তিগত আইনের সংস্কার প্রয়োজন কিন্তু সেই সংস্কারের চাহিদা ও প্রকরণ অবশ্যই উঠে আসতে হবে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিতর থেকে। রাষ্ট্র প্রণীত আইন—শুধুমাত্র সম্প্রদায়ের তরফে গৃহীত কিংবা স্পষ্টভাবে মেনে নেওয়া সংস্কারকে স্বীকৃতি দিতে পারে। ইউসিসি বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সংস্কৃতির মধ্যে তিক্ত বিতর্কের সূত্রপাত ঘটাবে। বিতর্কগুলি চলে যাবে ক্ষোভ, ক্রোধ এবং অসন্তোষের দিকে। অতঃপর সেই অসন্তোষই রূপ নেবে দ্বন্দ্বের। ব্যাপারটা শেষমেশ হিংসাত্মকও হয়ে উঠতে পারে!
এক দেশ এক নির্বাচন (ওএনওই)
এক দেশ এক নির্বাচন বা সংক্ষেপে ওএনওই হল—আঞ্চলিক পার্থক্য, পছন্দ এবং সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার একটি গোপন মতলব। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে প্রেরণা নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হল একটি ফেডারেশন বা সংঘ। সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের জন্য দু’বছর অন্তর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয় প্রতি চার বছরে একবার। এছাড়া প্রতি ছ’বছর অন্তর সেনেটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার মতো ফেডারেল পার্লামেন্টারি সিস্টেম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় ব্যবস্থায়ও একযোগে ভোট নেওয়া হয় না। একটি এগজিকিউটিভ গভর্নমেন্ট বা কার্যনির্বাহী সরকার তার প্রতিদিনের কাজকর্মের ব্যাপারে আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ। ওএনওই হল এই নীতির বিরোধী। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) দেশজুড়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি ক্যালেন্ডার মেনটেন করে।  এক দেশ এক নির্বাচন আসলে, কমিশনের ওই নিয়ন্ত্রণ সরকারের তরফে ছিনিয়ে নেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।
দুর্নীতি-বিরোধী ধর্মযুদ্ধ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তথাকথিত ধর্মযুদ্ধের উদ্দেশ্য হল সমস্ত বিরোধী দলকে শেষ করে দেওয়া এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরোধী নেতাদের দূরে রাখা। বিজেপির মারাত্মক আলিঙ্গন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলকে ((মূলত একটি রাজ্যেই যাদের কর্মকাণ্ড) সাইনবোর্ড-সর্বস্ব করে ফেলেছে। কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন আঞ্চলিক দলগুলির মোকাবিলায় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে আইনগুলি। আমি নিশ্চিত যে ইডি, এনআইএ এবং এনসিবি যে পদ্ধতিতে কিছু লোককে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিচ্ছে, এটা কোনও একদিন বন্ধ হয়ে যাবে। এই তথাকথিত ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ আদৌ  দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়, এটি বরং আরও আধিপত্য বিস্তারের কৌশল।
ইউসিসি এবং ওএনওই-র মতো দুটি সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজেপি মরিয়া কেন? কারণ, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের পরে বিজেপি উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির হিন্দু আধিপত্যবাদীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের উপযোগী কিছু বিষয়ের সন্ধানে রয়েছে—যেসব ইস্যুকে সামনে রেখে হিন্দিভাষী, রক্ষণশীল, ঐতিহ্য-মগ্ন, বর্ণ-সচেতন শ্রেণিগুলি থেকে নিশ্চিতভাবে রাজৈনতিক ফায়দা তোলা সম্ভব। এই রাজ্যগুলিই তিন দশক যাবৎ আরএসএস এবং বিজেপির রাজনৈতিক সমর্থন লাভের উৎস। সেই রাজনৈতিক ভিত্তিকে সুসংহত  বা আরও মজবুত করার কৌশলের নামই হল ইউসিসি এবং ওএনওই। এরপর আঞ্চলিক দল বা ভারতের ধর্মীয়, জাতি ও ভাষাগত গোষ্ঠীগুলি তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় জাহির করতে গেলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির নির্বাচনী ওজনের গুঁতোয় ঘায়েল হয়ে যাবে।
এই নির্বাচনে মোদির ইউসিসি এবং ওএনওই গ্যারান্টি তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এবার তামিলনাড়ু (১৯ এপ্রিল) এবং কেরলের (২৬ এপ্রিল) জনগণের রায় কী হবে, তা আন্দাজ করতে পারি। তবে অন্য অঞ্চলের মধ্যে, বিশেষ করে উত্তর ভারতের হিন্দিভাষী, রক্ষণশীল এবং বর্ণ-সচেতন রাজ্যগুলিতে বিজেপির মনোবাঞ্ছা পূরণ হতে পারে।
• লেখক সাংসদ ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
22nd  April, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM