Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংগঠন নেই বঙ্গে, ধামাকাই
কি বিজেপির ভরসা?
তন্ময় মল্লিক

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পরপর তিনটি রাজ্যে হেরেছিল বিজেপি। আর তাতেই নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। ঠিক সেই সময়ে ঘটেছিল পুলওয়ামায় সেনা জওয়ানদের গাড়িতে জঙ্গি হামলা। তারপরই পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক। বিজেপির ঘরে জন্ম নিল নতুন স্লোগান, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। জাতীয় ভাবাবেগে ভাসল আসমুদ্রহিমাচল। বিজেপি ক্ষমতায় ফিরল আরও বেশি শক্তি নিয়ে। না ভুল হল, বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরাল সার্জিকাল স্ট্রাইক। আবার লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। তারআগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ ও কর্ণাটকের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার। ফের উঠেছে গেল গেল রব। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ২০১৯ সালের কথা। তাতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন, এবারও কি বিজেপির হাতিয়ার জাতীয় ভাবাবেগ? সেটা রামমন্দির, নাকি আরও বড় কোনও ধামাকা?
নির্বাচন এলে শুরু হয় বিগত ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষণ। খতিয়ে দেখা হয় সাফল্য ও ব্যর্থতার কারণ। তার উপরেই তৈরি হয় আগামীর রণকৌশল। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট চলে আসায় ঘুরে ফিরে উঠছে ২০১৮ সালের কথা। চর্চায় জায়গা করে নিচ্ছে শাসক দলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার প্রসঙ্গ। তারজন্য উঠতে বসতে তৃণমূল নেতাদের পড়তে হচ্ছে সমালোচনার মুখে। ‘মুচলেকা’র স্টাইলে দিতে হচ্ছে স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তাই উঠছে ২০১৯ সালের প্রসঙ্গ। চর্চা হচ্ছে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে। আর তাতে ঘি ঢেলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের মন্তব্য। রাজস্থানের একটি অনুষ্ঠানে সত্যপাল দাবি করেছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে মোটেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের উন্নয়নের জয় হয়নি। সেবার ভোটে লড়া হয়েছিল পুলওয়ামা হামলায় নিহত জওয়ানদের মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে। তদন্ত ঠিকঠাক হলে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ইস্তফা দিতে হতো। অনেক পদস্থ অফিসারকে জেলে যেতে হতো।
সত্যপাল মালিকের এমন বিস্ফোরক দাবির পরেও কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি নেতৃত্ব একেবারে স্পিকটি নট। হতে পারে বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই! তবে অনেকে বলছেন, ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ার ভয়ে সত্যপালকে ঘাঁটানোর সাহস পাচ্ছে না। নীরবতার কারণটা যাই হোক, সত্যপালের মতো দেশের কোটি কোটি মানুষও বিশ্বাস করেন, সার্জিকাল স্ট্রাইকই ২০১৯ সালে বিজেপিকে এনে দিয়েছিল বিপুল জয়।
উন্নয়ন আর পরিষেবা ভোটে জেতার মাপকাঠি হলে বিজেপি প্রতিটি পরীক্ষায় গাড্ডু খাবে। সেটা হিমাচল প্রদেশ ও কর্ণাটকের ভোটে খুব ভালো বোঝা গিয়েছে। বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’ প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সেখানকার মানুষ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে বিজেপি শাসিত বেশিরভাগ রাজ্যেই গেরুয়া শিবির জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। ফলে লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির অন্দরে আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। কারণ ‘নেড়া’ বারবার বেলতলায় যেতে চাইছে না। তাই সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড়ে অবিজেপি রাজ্যগুলিই তাদের টার্গেট। সেখানে স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেওয়াটা অনেক সহজ।  
সেই লক্ষ্য নিয়েই বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও না কোনও ইস্যুতে সিবিআই, ইডি বছরের পর বছর তদন্ত চালিয়েই যাচ্ছে। শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই। মোদি বিরোধী জোট নিয়ে মাতামাতি করলেই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে এজেন্সিকে। এটা এখন আর অভিযোগ নয়, প্রমাণিত সত্য।
তবে অনেকে বলছেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ‘আপনি আচরি ধর্ম অপরে শেখাও’ নীতি নিলে লাভ হতো বিজেপিরই। কর্ণাটক নির্বাচনের আগেই সরকারি কাজে ৪০ শতাংশ কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। এটাই ছিল বিরোধী সহ সাধারণ মানুষের প্রধান ইস্যু। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সির সব টিম বিরোধী রাজ্যে না পাঠিয়ে এক আধটা কর্ণাটকে পাঠালে বিজেপির লাভই হতো। দুর্নীতি ইস্যুতে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা মানুষও বিশ্বাস করত। তা শুধু কথার কথাই থেকে যেত না। 
অবিজেপি রাজ্যগুলির মধ্যে মোদি-শাহ জুটির হিট লিস্টে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একুশের নির্বাচনের পরাজয়ের জ্বালা নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ কিছু঩তেই ভুলতে পারছেন না। তাই ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই কেন্দ্রীয় টিম আর এজেন্সিকে লাগাতার পাঠানো হচ্ছে। তাতেও লাভ হচ্ছে না। তাই বদলানো শুরু হয়েছে দলীয় পর্যবেক্ষকদেরও। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে...। বিজেপি নেতৃত্ব বুঝেছে, বাংলার মাটি তাদের জন্য বেশ রুক্ষ। তাতে ‘বীজ’ ছড়ালেও ফসল ফলানো কঠিন। তাই এবার পর্যবেক্ষকও ‘ডাবল’। একজন পার্ট টাইমার, অন্যজন ফুলটাইমার। ‘কোচ’ হিসেবে এঁদের সকলেরই বেশ নামডাক আছে। কিন্তু বাংলায় এসে সবাই ফেল করছেন। কারণ কোচ রণকৌশল ঠিক করে দিলেও খেলতে হয় প্লেয়ারদেরই।
লোকসভার লড়াইটা বিজেপির জন্য দিনদিন কঠিন হয়ে পড়ছে। সেটা বুঝেই বুথ শক্তিশালী করার উদ্যোগ। পোশাকি নাম ‘বুথ সশক্তিকরণ’। কর্মসূচিটা গোটা দেশের জন্য। কিন্তু বাংলায় রয়েছে বিশেষ নজর। কারণ এখানে বুথ ভিত্তিক সংগঠন ছাড়া তৃণমূলের সঙ্গে এঁটে ওঠা অসম্ভব। লক্ষ্য, প্রতিটি বুথে ৩১জনের কমিটি তৈরি। রাজনৈতিক জমি শক্ত করার এটাই পদ্ধতি। করা তো দরকার। কিন্তু করবে কে? লোকই তো নেই। কিন্তু চেয়ার তো বাঁচাতে হবে। বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচি এগিয়ে চলেছে খাতায় কলমে। বাস্তবে সংগঠনের হাল কিন্তু খুবই করুণ।
রাজ্য বিজেপির কার্যনিবাহী বৈঠকে সেই কথাটাই বলেছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেটা বলেছেন একেবারে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসালের সামনে। তাতেই চটেছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। 
দিলীপবাবুর দাবি, সংগঠন হচ্ছে কাগজে কলমে। অঞ্চল কমিটি আছে। কিন্তু লোকজন নেই। মণ্ডল স্তরে সংগঠন নেই। দলের শাখা সংগঠনগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। জেলার পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক ডাকলে চার, পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকেন না। এইসব কি দিলীপবাবুর মনগড়া অভিযোগ? বিরোধী গোষ্ঠীকে চাপে ফেলার কৌশল? নাকি বাংলায় কোলেপিঠে বড় করা বিজেপিকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা?
বাংলায় বিজেপি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা জানার জন্য দু’টি ঘটনাই যথেষ্ট। ঘটনা-১: এবছর ৯ জানুয়ারি ডাকা হয়েছিল গড়বেতা-১ ব্লকের আমকোপা অঞ্চলে বিজেপির কর্মী সম্মেলন। দিলীপবাবু ছিলেন প্রধান বক্তা। ছিলেন আরও এক সাংসদ, কুনার হেমব্রম। একটা অঞ্চলের কর্মী সম্মেলনে দু’-দু’জন সাংসদ উপস্থিত। কিন্তু লোকজন একেবারে হাতেগোনা। প্রচণ্ড রেগে যান দিলীপবাবু। ক্ষোভ গোপন করেননি। কর্মীদের সামনেই জেলা নেতৃত্বকে করেছিলেন প্রশ্ন, আমাকে কি অপদস্থ করতে এখানে ডেকেছেন? লোকজন যখন নেই, মিটিংটা হলঘরে করলেই তো পারতেন।
ঘটনা-২: ঠিক তার দু’দিন পর মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়াতেও ঘটল একই ঘটনা। সেদিনও ছিল অঞ্চলের কর্মী সম্মেলন। কিন্তু লোক নেই। সভাস্থল ছাড়ার আগে স্থানীয় পার্টি নেতৃত্বকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচনের সময়েও একই ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও প্রায়ই তিনি বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। তাতে তিনি বুঝতে পারছেন, বিজেপিকে ঘিরে একুশের সেই উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা আর নেই। তাই সুনীল বনসালের সামনে তিনি যা বলেছেন সেটা কোনও অভিযোগ বা বানানো গল্প নয়। সবটাই তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা।
এটাই বঙ্গ বিজেপির ‘গ্রাউন্ড জিরো’র প্রকৃত অবস্থা। বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর থেকে বিজেপি প্রতিদিন একটু একটু করে ভাঙছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলার জন্য টার্গেট ৩৫টি আসন। অনেকে বলছেন, বিজেপি শুকনো মাটিতেই বারবার হড়কে যাচ্ছে। দখল করা রাজ্যও ধরে রাখতে পারছে না। সেখানে বাংলায় তো বিজেপির মাটিই তৈরি হয়নি। যা হয়েছে সবটাই ‘হাওয়া’য়। তা সত্ত্বেও ৩৫আসনের টার্গেট? তাহলে কি সবটাই ফাঁকা আওয়াজ? নাকি অপেক্ষা করছে আবার কোনও বড় ধামাকা?
27th  May, 2023
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM