Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাবল ডোজ। এ এক মহা কেলেঙ্কারির হাল ফ্যাশান। খবরের কাগজে দিস্তা দিস্তা লেখা চলছে, এই ৫০ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গেল। আর একটু... তাহলেই ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আর তারপরই মহামান্য বিজেপি সরকার তাথৈ তাথৈ করে নাচবে। সেই মর্মে রীতিমতো কর্মসূচি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে! ১০০ কোটি করোনা টিকা ছুঁচে ভরে শরীরে চালান করে দিলেই হল। সে এক মেগা ইভেন্ট। জো হুজুর ভারত সরকারই যদি এমন পাহাড়প্রমাণ ঢাক বাজানোর উৎসবে কাঠি দেয়, মানুষের দোষ কী! সে তো ভাবতেই পারে, টিকা নিলেই কেল্লা ফতে। বেরিয়ে পড়ো ‘রিভেঞ্জ ট্যুরিজমে’। ঝাঁকে ঝাঁকে ভিড় জমাও পুজো মণ্ডপে। তবেই না মনের শান্তি... চোখের শান্তি! মাসখানেক যাবৎ অনলাইন-অফলাইনে দেদার শপিং হয়েছে। পুজোয় বেরতে না পারলে যে সবটাই মাটি। তাই যেতেই হবে প্যান্ডেলে। একদিন রইল উত্তরের জন্য... আর একদিন দক্ষিণ। তাতেই ম্যানেজ হয়ে যাবে। মাস্ক? বালাই নেই! ‘এত সুন্দর সেজেগুজে বেরব, মাস্ক পরলেই যে চোনা পড়ে যাবে। আর ডাবল ডোজ নেওয়ার পর মাস্ক কেন পড়ব? আমেরিকায় তো কত জায়গাতেই বলে দিয়েছে, দু’টো ডোজ নেওয়া থাকলে মাস্ক পরতে হবে না। এখানে আলাদা হবে কেন?’ বলছিলেন এক কিশোরী। উল্টোডাঙা ব্রিজ পেরিয়ে পদব্রজে চলেছেন তিনি শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের উদ্দেশে। সঙ্গে মেলা সাঙ্গোপাঙ্গ। চোখ তুলে সামনের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সভা রয়েছে যেন! ফারাকটা হল, এটা কোনও প্যারেড গ্রাউন্ড নয়। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পথ। আর দিনটা সপ্তমী। কেউ যাচ্ছেন এয়ারপোর্ট... দেড় ঘণ্টা হয়ে গেল, অ্যাপোলো হাসপাতালের সামনে থেকে সবে উল্টোডাঙা পৌঁছেছেন তিনি। আর আধ ঘণ্টার মধ্যে না পৌঁছতে পারলে বিমান তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে না। ঠিক পাশের লেনে দাঁড়িয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। চালকের পাশের আসনে বসা প্রৌঢ় ভদ্রলোক দু’চোখ ভরা উদ্বেগ নিয়ে মাথাটা বের করে দিয়েছেন জানালার বাইরে। প্রশ্ন একটাই, আর কতক্ষণ? আধ কিলোমিটারের মধ্যে খান তিনেক এমন অ্যাম্বুলেন্স নজরে এল। এঁরা কি পুজো দেখতে বেরিয়েছেন? সবাই কি পুজো দেখতেই বেরচ্ছেন? না। তা নয়। উৎসবের আনন্দ ততক্ষণই, যতক্ষণ তা অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়াচ্ছে। 
করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে। বেড়ে চলেছে প্যান্ডেলের উচ্চতা। থিম হচ্ছে...। আমাদের রাজ্য সরকারের পরিকাঠামো অনুযায়ী, আগুন লাগলে ১৫০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জল দিতে পারে দমকল। কিন্তু মণ্ডপের উচ্চতা যদি ১৪৫ ফুট হয়? সেই আগুন কত দ্রুত ছড়াবে, আর তাতে দমকলের পক্ষে আদৌ জল দেওয়া সম্ভব হবে কি না, সেই অঙ্ক পুজো প্ল্যানিংয়ের সময় কেন কষে নেওয়া হবে না? এটা কি দায়বদ্ধতার নমুনা? আসলে, এক একটা পুজো কমিটির নেপথ্যে এক একজন প্রভাবশালী। আর প্রত্যেকেই লেগে পড়েছেন কম্পিটিশনে। একজন অন্যজনের ঘাড়ে দোষ ঠেলে চলেছেন... অমুক পুজোয় তো ৬০ ফুট উঁচু প্যান্ডেল হয়েছে! তমুক প্রভাবশালী ৪৫ ফুটের মণ্ডপ করেছে। তার বেলা? কেউ যদি ৪০ ফুটের উপর মণ্ডপ তৈরি করেই থাকেন, তাহলে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেন সেই মণ্ডপের বাড়তি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়নি? এই সবটাই তো মানুষের স্বার্থে, যে কোনও রকম বিপদ এড়ানোর উদ্দেশ্যে? দোষ চাপালেই কি প্রশাসনিক কর্তব্য মিটে যায়? ভিড়ের দাপটে একটি পুজোয় জনতার প্রবেশ অষ্টমীর রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল। তার আগের পাঁচদিনে কিন্তু যা হওয়ার হয়েই গিয়েছে। তৃতীয়া থেকে ঢল নেমেছে রাস্তায়। কোভিড বিধি রয়েছে... আছে তার ফাঁকও! সেই ফাঁক খুঁজেই জনতাকে ‘দর্শনের সুযোগ’ করে দেওয়া হয়েছে নিরন্তর। যুক্তি কী? এক পুজো কমিটির কর্তা বলছিলেন, ‘হাইকোর্ট তো বলেছে মণ্ডপের ভিতর ভিড় জমানো যাবে না। তা তো হয়নি! বাইরে ভিড় হলে আমরা কী করব?’ কিন্তু তাঁরাই তো সুচারুভাবে প্যান্ডেলের একপাশটা খোলা ছেড়ে রেখেছেন। মানুষও বাঁধভাঙা জলের মতো ছুটে গিয়েছে থিম দেখার নেশায়, ভিড় করেছে, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে... আর ছুটি নিয়েছে সামাজিক দূরত্ব। যেন একটা এই ক’টা পুজো না দেখলে জীবনই বৃথা! মুচকি হেসেছে নিয়তি। কারণ, এই ক’দিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে... ধীরে ধীরে। সরকারি হিসেব বলছে, ১৭ অক্টোবর রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬২৪। মৃত্যু ১৪। ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর সংক্রামিত হয়েছিলেন কিন্তু ৪৪৩ জন। অর্থাৎ একদিনেই আক্রান্ত বেড়েছে ১৮১। এই পরিসংখ্যান কি যথেষ্ট উদ্বেগজনক নয়? সবচেয়ে বড় কথা, পুজো মিটেছে সদ্য। যাঁরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার লক্ষ্যে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন, সেই পুজোপিপাসুরা এখনও হাতেনাতে ফল পাননি। কারও সবেমাত্র উপসর্গ দেখা দিয়েছে, কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন তিনদিন সম্পূর্ণ হওয়ার। তারপর টেস্ট করাবেন। কেউ কেউ তো আবার করোনা পরীক্ষার ধারেকাছেও যাবেন না। ডাক্তারকে ফোন করে ওষুধ জেনে নেবেন। সেই মতোই চলবে চিকিৎসা। একান্তই না পারলে গন্তব্য হাসপাতাল! কিন্তু করোনা সেই সময়টা দেবে তো? 
আতঙ্ক বাড়ছে... তৃতীয় ঢেউয়ের। কেরলে ওনাম উৎসবের ঠিক পরেই একদিনে নতুন করোনা সংক্রমণ ছিল ৩১ হাজার ৪৪৫। পজিটিভিটির হার ১৯.০৩ শতাংশ। তখন আমরা আলোচনা করেছি... আতঙ্কিত হয়েছি। আর চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলে তখন আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু কী ছিল? পুজো আসছে... সতর্ক হওয়া চাই। না হলে কেরলের দশা হবে আমাদেরও। কিন্তু আমরাও বোধ হয় এখন মোদিজিতে অনুপ্রাণিত... কথায় আছি। কাজে নেই। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়া মাত্র কেরল ভুলেছি আমরা। ওনামের করোনা কাণ্ড যেন আদিম যুগের কথা! আগে এই পুজোটা তো এনজয় করি! মাথা খাটিয়ে আমরা শব্দবন্ধটা বের করেছি বটে... ‘রিভেঞ্জ ট্যুরিজম’। দেড় বছর ধরে প্রকৃতি আমাদের বাড়িতে বসিয়ে রেখেছে। আর এখন আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছি তাকে... আমাদের কাছে ডাবল ডোজ আছে। আর প্রকৃতি কিছুই করতে পারবে না। কাঁচকলা দেখিয়ে ড্যাংড্যাং করে আমরা ঘুরব, ফিরব, ফুচকা খাব। এই না হলে পুজোর আনন্দ! পুজো কমিটির হর্তাকর্তারাও সুযোগ নিয়েছেন তারই। ভিড় একটু বেশি হলেই অজুহাত রেডি, ‘ওরা তো পাড়ার লোক।’ এক একটা পাড়ায় যে এত লোক থাকতে পারে, তা এই পুজোতেই আমরা আবিষ্কার করলাম। অঞ্জলি থেকে সিঁদুর খেলা—সর্বত্রই ঠেলাঠেলি। মাস্ক পরলে আবার মা দুর্গা ঠিক মতো অঞ্জলির মন্তর শুনতে পাবে না। সিঁদুর খেলা তো যাবেই না! তাই, চালিয়ে যাও মহাশয়।  
দায়টা কার? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেবে। সেটা কাজে লাগানোর দায়িত্ব প্রশাসনের, পুজো কমিটিগুলোর। তা কি হয়েছে? পুলিসও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেন ঠুঁটোর ভূমিকায়। এক পুলিসকর্মী বলছিলেন, ‘এত লোক... কী করব? লাঠি চালাব নাকি?’ না, লাঠি আপনি অবশ্যই চালবেন না। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট বলে তো একটা বস্তু আছে! সেটাও কি করা যেত না? যাওয়া-আসার সব পথই মণ্ডপমুখী। সব পাগলই যেন মত্ত মাদল বাজিয়ে ছুটে চলেছে... চলেছে। পুজোয় তাদের সব ভালো... সস্তা ভালো, দামিও ভালো... কাঁসিও ভালো, ঢাকও ভালো। কিছু একটা তো হচ্ছে! ওতেই হবে। ওই ছেলেটাও পুজোয় এসেছিল কলকাতায়। বাবা আর কাকার হাত ধরে। ওরা ঢাক বাজাবে, আর ছেলেটা কাঁসর। কলকাতার পুজো নয়, পেটের টান নিয়ে এসেছিল তাকে এই শহরে। তাও দশমী হতে না হতেই তার বাড়ি যাওয়ার বায়না। এই ভিড়ে সে আর চায় না থাকতে। সে জানে, করোনা বলে একটা রোগ তার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এই রোগ ভিড়েই ছড়ায়। তাই আর নয়...। 
আট বছরের একটা শিশুও বোঝে এই রোগের জ্বালা। আর আমাদের মতো বুড়ো খোকারা...?
19th  October, 2021
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM