Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পার্টি ম্যান দিলীপ, হতে
পারলেন না ‘ইয়েস ম্যান’
তন্ময় মল্লিক

ফের সেই অঙ্ক। গেরো থেকে কিছুতেই বেরনো যাচ্ছে না। তবে এবার অঙ্কটা একটু অন্য রকম। ৩ থেকে বেড়ে ৭৭, নাকি ১২১ থেকে কমে? কোন দিক থেকে ৭৭-এর অঙ্ক কষা হবে, সেটা বিজেপির অন্দরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, এই অঙ্কের উপরেই নাকি দাঁড়িয়ে আছে দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ! ৩ থেকে শুরু হলে বঙ্গ-বিজেপির ইতিহাসে দিলীপবাবুর নাম  জ্বল জ্বল করবে। আর ১২১ থেকে নামলেই ঘাড়ে চাপবে ব্যর্থতার যাবতীয় দায়। তবে নাড্ডাজি তড়িঘড়ি দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে দিলীপবাবুকে একদিন ‘ওয়েটিং রুমে’ ফেলে রাখায় অনেকেই বলছেন, মোদি-অমিত শাহ জুটি অঙ্কটা ১২১ থেকেই শুরু করতে চাইছেন। দলের ভালো-মন্দ চুলোয় যাক, দেশজুড়ে জারি রাখতে হবে ‘টিম মোদি’ তৈরির প্রয়াস।
বঙ্গ বিজেপির লড়াইয়ের অভিমুখ একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে। ইডি, সিবিআইয়ের পর এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ‘ললিপপ’ দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের ভোলানো যায়, কিন্তু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা সরকারের গায়ে আঁচড় কাটা যায় না। সেটা গেরুয়া শিবিরের নেতারা খুব ভালো করেই জানেন। তাই এবার লড়াই দলের নিয়ন্ত্রক হওয়ার।
বঙ্গ বিজেপিতে এখন এই লড়াইটা তীব্র হলেও শুরু হয়েছিল বছর তিনেক আগেই। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বোঝা গিয়েছিল, এরাজ্যে দ্রুত 
উঠে আসছে বিজেপি। পরের বছর লোকসভা ভোটে শাসক দলের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছিল। সেই সাফল্য দিলীপ ঘোষের না মুকুল রায়ের, তা 
নিয়ে শুরু হয়েছিল দড়ি টানাটানি। দিলীপবাবুর আরএসএস ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলেও দিল্লির আশীর্বাদের হাত ছিল মুকুলবাবুর মাথায়। তাতে বিজেপির আদি নেতা কর্মীরা ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। কারণ আদর্শগত কারণে যাঁরা বিজেপি করেন তাঁরা সব সময় চান, 
সঙ্ঘ ঘরানা থেকে উঠে আসুক নেতৃত্ব। অথচ মোদি-অমিত শাহ জুটি বরাবর ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটেছে। তার কারণটা কী?
নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পার্টি ও সরকার পরিচালনার ধরনটা দেখলেই কারণ স্পষ্ট হবে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার অনেক আগেই নরেন্দ্র মোদি একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। প্রথমে গুজরাতকে ‘উন্নয়নের মডেল’ হিসেবে দেশের সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁরই কৃতিত্বে গুজরাত এগিয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করে বোঝাতে চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে গোটা দেশের হাল তিনি বদলে দেবেন। ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হতেই তৈরি করেছিলেন ছাঁটাইয়ের তালিকা। সেই তালিকার উপরে ছিল লালকৃষ্ণ আদবানির নাম।
নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় আদবানিজির নাম নেই শুনে চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। তখন মোদি-ভক্তদের সাফাই ছিল, তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বে প্রবীণ আদবানিজিকে অন্য দপ্তর দিলে তাঁকে ‘অসম্মান’ করা হবে। তাই তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। মোদিজি তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে ‘গুরুদক্ষিণা’ দেবেন। তখন মানুষ সেকথা বিশ্বাসও করেছিলেন। কারণ নরেন্দ্র মোদি তখন শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, সওয়া শো কোটি ভারতবাসীর ‘আবেগ’। তবে, এখন দেশের মানুষ বিলক্ষণ বুঝেছেন, প্রশ্ন আর কৃতিত্ব ভাগাভাগি তাঁর সবচেয়ে অপছন্দের। তাই একদা বিজেপির ‘লৌহ মানব’ আজ ‘কাঠের পুতুল’।
আরএসএসের প্রাক্তন প্রচারক হওয়ায় মোদিজি খুব ভালো করেই জানেন, দল ও সরকার পরিচালনায় সঙ্ঘকে গুরুত্ব দিলেই রয়েছে কর্তৃত্ব খর্বের প্রবল আশঙ্কা। পদে পদে পড়তে হবে প্রশ্নের মুখে। তাই ক্ষমতা দখলের দিন থেকেই তিনি অত্যন্ত সচেতনভাবে সঙ্ঘকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সরকারে রাজনাথ সিং ও নীতিন গাদকারি ছাড়া সঙ্ঘ থেকে উঠে আসা তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতা নেই।
শুধু কেন্দ্রেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যেও অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ‘টিম মোদি’ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্ঘমুক্ত বিজেপি গড়াই তাঁদের লক্ষ্য। তাই অধিকাংশ রাজ্যেই তাঁরা অন্য দল ভাঙিয়ে নেতা এনে টিম তৈরি করছেন। অসমে কংগ্রেস থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ভাঙিয়ে এনে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ভাঙিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী করেছেন। আগামী দিনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন লড়ার সম্ভাবনা প্রবল। পশ্চিমবঙ্গেও সেই ছকেই তাঁরা তৃণমূলকে ভেঙেছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, অক্সিজেনের অভাবে ‘শ্বাসকষ্টে’ ভোগা লোকজনদের নিয়ে টিম তৈরি করে নবান্নের ১৪ তলায় ওঠা যায় না।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ হল, বিভিন্ন রাজ্যে ‘টিম মোদি’র মুখ কারা হচ্ছেন? যাঁদের গায়ে সঙ্ঘের নামগন্ধ নেই। তাতে লাভ কী? প্রথম লাভ, তাঁরা খুব ভালো ‘ইয়েস ম্যান’ হবেন। উঠতে বললে উঠবেন, বসতে বললে বসবেন। কোনও প্রশ্ন তাঁরা করবেন না। দ্বিতীয় লাভ, কোনও ভুল ত্রুটি হলে তাঁরা সঙ্ঘের কর্তাদের কাছে গিয়ে নালিশ ঠুকবেন না। তৃতীয় এবং সবচেয়ে বড় লাভ, পরিকল্পনা সফল হলে তা হবে মোদি-অমিত শাহের ‘মাস্টার স্ট্রোক’। আর ফেল করলে দায় 
চাপবে রাজ্য নেতাদের ঘাড়ে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে সেই চেষ্টাই চলছে।
নির্বাচনে হারার পর সব দলই ব্যর্থতার মধ্যেও সাফল্য খোঁজার চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য, কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়ে রাখা। এখানেও বিজেপি প্রথমে ৩ থেকে ৭৭ হওয়াটাই তাদের সাফল্য বলে প্রচার করেছিল। কিন্তু দলের ব্যাটন আদি না নব্যদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হতেই খেলাটা ঘুরে যাচ্ছে।
বিজেপির একাংশ বাংলায় হারের জন্য দিলীপ ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলতে চাইছে। তাদের যুক্তি, লোকসভা ভোটে প্রায় সওয়া একশো বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে থাকলেও এবার জিতেছে মাত্র ৭৭টি আসনে। আসন সংখ্যা এত কমল কেন? এর জন্য তাঁরা দিলীপবাবুকেই দায়ী করছেন। তথাগত রায় তো এক সাক্ষাৎকারে খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, দিলীপ ঘোষ ফেল করেছেন।
বিজেপিতে তথাগতবাবুর তেমন গুরুত্ব না থাকলেও তাঁর এই মন্তব্য দলের ‘আদি’ নেতা কর্মীদের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে। রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। তাতে ইন্ধন দিচ্ছে দিল্লি। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বের জন্যই এরাজ্যে সিপিএমকে হটিয়ে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হয়েছে, সেটা দিল্লির নেতারা কিছুতেই মানতে চান না। উল্টে তাঁকে পদে পদে হেয় করা হচ্ছে। দিল্লি চাইছে, তিতিবিরক্ত হয়ে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিন।
রাজ্যে ক্ষমতা দখল নিশ্চিত, এই বার্তা কর্মীদের দেওয়ার জন্য চারজন সাংসদকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করা হল। কিন্তু, দিলীপবাবুর কথা ভাবা হল না। এবার রাজ্য থেকে চারজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হল। কিন্তু সেখানেও তাঁকে জায়গা দেওয়া হল না। উল্টে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে একদিন বসিয়ে রাখা হল। অপদস্থ করার এর চেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারে? নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর প্রায় আড়াই মাস অতিক্রান্ত। এখনও বিজেপি নেতৃত্ব হারের কারণ কী, তা প্রকাশ্যে আনেনি। তবে, বিজেপির সাধারণ কর্মী সমর্থকরা কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, এবারের ভোটে দিলীপ ঘোষের চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল দলবদলু নেতাদের। রাজ্যে ১৮টি লোকসভার আসন পাওয়ার পিছনে ‘বালাকোট ফ্যাক্টর’ কাজ করলেও দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বকে অস্বীকার করা যায় না। রাজ্যের যেখানেই কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানেই তিনি ছুটেছেন। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ‘সাইড’ করে দিয়ে দলবদলুদের নিয়ে দিল্লির মাতামাতি 
কর্মী-সমর্থকবা ভালোভাবে নেয়নি।
দ্বিতীয়ত, এরাজ্যে বিজেপি হাওয়া ওঠার পর তৃণমূলের নেতারা দল ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন। অধিকাংশেরই ইমেজ ভালো ছিল না। তাই রাজ্যজুড়ে তাঁদের দলে নেওয়ার ও টিকিট দেওয়ার প্রতিবাদ হয়েছিল। পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু, দিল্লি পিছু হটেনি। তাই দলবদলুদের প্রার্থী করায় বহু আসন হাতছাড়া হয়েছে।
তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি জনসভায় সুর করে ‘দিদি অ দিদি’ কটাক্ষ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। বিশেষ করে মহিলারা। 
বিজেপির দিল্লির নেতৃত্বের নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার কারণটা এখানেই। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘এক গাছের ছাল অন্য গাছে লাগে না।’ কিন্তু, বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব সেটাই করে দেখাতে চাইছেন। কারণ তা না হলে পণ্ড হবে বঙ্গে ‘টিম মোদি’ তৈরির যাবতীয় পরিকল্পনা।
17th  July, 2021
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM