Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

দেশ জেনে গিয়েছে, এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। হতে পারে মার্চ-এপ্রিলে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের মতো ৬ দফায় ভোট হলে লম্বা সময় প্রয়োজন। অতএব ভোটের ঘোষণা আগামী মাসেই হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তৃণমূল ছাড়া বাকিরা যে এখনও যথেষ্ট দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে তা অন্য দলগুলো নানাভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, রোজ। 
সবচেয়ে করুণ অবস্থা সিপিএমের। বামফ্রন্ট একা কিছু করতে পারবে না, সেটা তারা জানে। তাই ফের কংগ্রেসকে সঙ্গে পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই সাধ্য-সাধনা করছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। প্রদেশ কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতারও তাতে আপত্তি ছিল না। কর্মী-সমর্থকদের চাওয়া-পাওয়ার ধার তারা কোনওদিনই ধারেননি। তবু হ্যাঁ, না—কোনওটাই বলছিলেন না প্রদেশ নেতারা। ঝুলিয়ে রেখেছিলেন অনেক দিন। হাইকমান্ডের হুকুমের দিকে তাকিয়ে। কারণ প্রদেশ নেতৃত্ব কী চায়, সেটা আবার হাইকমান্ড নামক রুগ্ন রাজবাড়ি তোয়াক্কা করে না। দিন কয়েক আগে সোনিয়া গান্ধীর মর্জির কথা রাহুলের কানে যায়। সেটা তিনি অধীর চৌধুরীকে রিলে করেন। অধীরও ঘোষণা করে দিলেন, ‘জোট হচ্ছে।’ হাত-এ ভোট দেওয়ার ‘অপরাধে’ একসময় যারা নিরীহ ভোটারের হাত পাঞ্জা থেকে কেটে নিয়েছিল, সেই দলের সঙ্গেই। আর যায় কোথায়! সিপিএম নেতারা আহ্লাদে আটখানা। যাক বাবা, সোনিয়া-রাহুল বাঁচালেন। এবার যৌথ আন্দোলন কর্মসূচিটুচি শুরু করা যাবে। 
কিন্তু আসন রফার কী হবে? বেলা বয়ে যায়। সিপিএম চটজলদি আলোচনা চায়। অমনি অধীরপন্থী কংগ্রেসিরা দাবি ভাসিয়ে দিলেন, অধীরকেই জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রোজেক্ট করতে হবে। তা না-হলে জোট তো শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে পিছিয়ে যাবে। কেননা, তৃণমূলের যত সমস্যাই থাক, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে কোনও সমস্যা তাদের নেই। এমনকী বিজেপির মতো দাপুটে দলেরও আপাতত মূল মুসিবত হল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। সেই বিচারে জোট, বিজেপির থেকে এগিয়ে থাকবে এবং অন্তত এই একটা ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমকক্ষ’ বলেও ভোটারদের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারবে তারা। যাই হোক, সাধের জোটসঙ্গীর এহেন আবদারে সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা প্রমাদ গুনলেন। অস্বস্তিতে পড়েছেন, বেশ বিরক্তও যে, তাও তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে। 
ভোট বড় বালাই। আলিমুদ্দিনের কর্তারা অনেক তৈলমর্দন করে অবশেষে রবিবার কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে বসালেন। তাতেও কী বিড়ম্বনা—যে কংগ্রেস ২০১৬-য় ৯২টা আসনে লড়েছিল, সেই তারাই এবার চেয়ে বসল ১৩০টা! বিহার ভোটে ‘দারুণ’ ফল করার সুবাদে বামেরা যখন পুনর্যৌবন অনুভব করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের এই আবদার খানিকটা আস্ফালন হয়ে যাচ্ছে না কি? ২৯৪ থেকে কংগ্রেসকে যদি ১৩০ দিতে হয় তবে, বামফ্রন্ট শরিকদের কী দেওয়া হবে? জোটে যদি আরও কিছু দল ঢোকে, তাদের জন্য কী পড়ে থাকবে? আসলে সবটাই প্রেশার পলিটিক্স। ‘পুওর থার্ড’ হওয়ার স্বপ্নে মশগুল কংগ্রেস এবং সিপিএম। জোট করে ২০১৬-য় কংগ্রেস ৪৪টা এবং সিপিএম ২৬টা আসন পেয়েছিল। একা লড়ে বিজেপি পেয়েছিল ৩টে। পৃথিবী উল্টে না-গেলে এবার লড়াইটা হতে চলেছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। উল্লেখযোগ্য বাকিদের মধ্যে কংগ্রেস ও সিপিএমের লড়াইটা সিম্পলি থার্ড পজিশনটা দখলের। তার জন্যই এই চাপ সৃষ্টির কৌশল। 
অন্যদিকে, বিজেপিও প্রেশার পলিটিক্স করছে অন্য কায়দায়। অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা চাপে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা চান বাংলার নেত্রীকে নার্ভাস করে দিতে। নার্ভের লড়াইয়ের মাধ্যমে শেষ হাসি হাসার প্ল্যান করেছেন মোদিজির ডান হাত, বাম হাত। বছর পয়লা স্বয়ং অমিত শাহ ‘নীলবাড়ি’ দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। কমপক্ষে ২০০ আসন চান। পার্টির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতেই নাকি পদ্ম শিবির এতটা আশাবাদী। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে শাহ বাংলার জন্য টার্গেট দিয়েছিলেন ২২। দিলীপ ঘোষরা হতাশ করেননি। ১৮টা কেন্দ্রে তাঁরা পদ্ম ফুটিয়ে ছেড়েছিলেন। ওই ভোটের নিরিখে ১২১টা বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। 
দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের ‘কার্যকর্তারা’ ধরে নিচ্ছেন, লোকসভা ইলেকশনের সময় বাংলায় বিজেপির যে ভিত তৈরি হয়ে গিয়েছে সেটা অটুট রয়েছে; ওইসঙ্গে গত দেড় বছরে আরও কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। নবান্ন দখলের ‘ম্যাজিক ফিগার’ হল ১৪৮। কিন্তু লাস্ট ল্যাপ পেরবার মতো ঠ্যাঙের জোর কি হয়েছে বিজেপির? এই প্রশ্নই তাড়া করে ফিরছে মোদি বাহিনীকে। রাজ্য বিজেপিকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেও হয়তো ভরসা হচ্ছে না তাদের। অতএব শেষ কৌশল প্রেশার পলিটিক্স। 
প্রথমেই বাংলার মানুষকে শাহ খাওয়াবার চেষ্টা করলেন, ‘আমরা অন্তত ২০০’ আসন নিয়ে আসছি! মানে, ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে ঢের বেশি পাচ্ছি। কে না জানে এই হিউম্যান সাইকোলজি—‘জয়, মামার জয়’ বলতে পারার অধিক তৃপ্তি কোনও কিছুতেই খুঁজে পায় না মানুষ। ভূমিষ্ঠ হওয়াটাই একটা যুদ্ধ। ওই যুদ্ধজয়ের পর থেকেই মানুষকে নিত্য আরও অগুনতি ভয়ানক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এগতে হয়। সবাই জেতার জন্যই যুদ্ধ করে। কিন্তু জয় ক’জন আর পায়, ক’টা ক্ষেত্রে পায়? সীমাহীন দারিদ্র্য আর অকালমৃত্যুর মিছিলেই এর উত্তর নিহিত। তাই দুঃখী মানুষ তৃপ্তি খুঁজতে, সামনে আসা যে-কোনও জয়ের অংশীদার হতে চায়। তাতে বস্তুগত লাভ নাই-বা হল, ‘জয়ের অংশীদার আমি’—এই বোধটাই মানুষকে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার রসদ জোগায়। বিজেপি হাতিয়ার করতে চায় এই মনস্তত্ত্বকে। 
প্রথমে শুরু করেছিল কয়েকটা সেন্ট্রাল এজেন্সিকে দিয়ে কিছু তৃণমূল নেতার শ্রীঘরবাসের ব্যবস্থা। তারপর পাড়ায় পাড়ায় পায়ে পা বাধিয়ে বিবাদ-সংঘর্ষ। ছোট ছোট জনসভা। ক্রমে আমদানি করল দলিত বাড়িতে অন্নগ্রহণের ‘উদারতা’। অতঃপর দিল্লি থেকে একের পর এক নেতাকে এনে সভা করে ‘সমর্থক’ জড়ো করার কম্পিটিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা। দলবদলে উৎসাহ দেওয়া এবং কতকাংশে হয়তো বাধ্যও করা। দেড় বছর যাবৎ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে নজিরবিহীনভাবে ব্যবহার করা। একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদকে লাগাতার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই নিন্দার ঝড় বইছে। তবু কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপাল যেন নির্বিকার। এমনকী মাঝেমধ্যে ৩৫৬ ধারারও ভয় দেখানো হচ্ছে মমতার সরকারকে। 
এসবের মধ্য দিয়ে মোদির পার্টি যখন ‘দিগ্বিজয়ের’ ব্যাপারে অনেকখানি আশাবাদী, তখনই বাংলার আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০ আসন জয়ের ফানুস। ব্যাপারটাকে আরও এস্টাবলিশ করার জন্য ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’র অফিস (সিএমও) গোছানোরও একটা নকশা বাজারে ছেড়ে দিয়েছে তারা। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথম মোদি সরকার গঠনের আগেও নাকি প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে রেখেছিল বিজেপি। এবার আরও শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে সামনে রেখে নবান্নের উপর নানাভাবে চাপসৃষ্টি। যেমন নিয়মিত আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট দাবি। রাজ্যের সিইও দপ্তরের উপর কমিশনের কড়া নজরদারি। এমনকী ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহারে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণই কায়েম করতে চায় বিজেপি। তাই রাজ্যকে একটা ‘মউ’ স্বাক্ষর করার জন্য বিস্ময়কর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। 
এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়েও যে বিজেপি আর বিপাকে নেই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগঠনের গোত্রে উঠে এসেছে—সেটা বুঝিয়ে দিতেই হয়তো সম্প্রতি এক নাটক করেছে তারা। বিজেপির এক এমপি দলের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা করে বসেছেন। যদিও তা নিয়ে প্রত্যাশিত ‘ভর্ৎসনা’র কৌশলও আমরা দেখেছি। ভোটের মুখে পাল্টিবাজদের নিয়েও বিজেপির ভিতরে জোর অশান্তি চলছে। বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী জননেত্রীই স্বয়ং। 
২০১৬ সালে তৃণমূল ২১১টা আসনে জিতেছিল। ১৭ জানুয়ারি অনুব্রত মণ্ডল তারাপীঠে পুজো দিয়ে মায়ের কাছে দলের জন্য ২২০টা আসন জয়ের আবেদন করেছেন। অনুব্রতর দাবি, মা সেটা মঞ্জুর করেছেন। ২০১৬-তে চেয়েছিলেন ২১০-২২০টা, মা দিয়েছিলেন ২১১। 
নার্ভের এই লড়াই আগামিদিনে আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে (শুধু রক্তপাত/অশান্তি না-হলেই চলবে)। আমাদের নজর সেদিকেই থাক। 
20th  January, 2021
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM