Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরনোর খেলা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পরীক্ষায় পাশ নরেন্দ্র মোদি। তবে উতরানোটা মোটেই খুব সহজ ছিল না! একদিকে মহামারীর আতঙ্ক, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ... প্রশ্ন একটাই, বিজেপির বিকল্প কি খোঁজার সময় এসে গিয়েছে? বিহার বলল, না আসেনি। কারণ, বিকল্প কেউ নেই। আপাতত...। তাই নরেন্দ্র মোদি জনপ্রিয়তার ফাঁকা ময়দানে গোল দিয়েই চলেছেন। আর বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার যা কাজ করেছে, তা দেখেই মানুষ এগিয়ে এসেছেন। ভোট দিয়েছেন। বিহারে জিতিয়েছেন এনডিএকে। আসলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই বিজয় বক্তৃতায় এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন। প্রথমেই করোনা মোকাবিলায় ‘সাফল্যে’র যাবতীয় ক্রেডিট দখল করলেন (অপরিকল্পিত লকডাউনের যাবতীয় দায় শাক-চাপা দিয়ে)।
আর দ্বিতীয়ত, পরিষ্কার দেখালেন বিহারে জোটের ‘বড়দা’ বিজেপিই। জেডিইউ ফ্যাক্টর ধূসর হয়েছে। কেউ বুঝল, কেউ না। আশা করা যেতেই পারে, নীতীশ কুমার বুঝেছেন। এতটুকু রাজনৈতিক বোধ তাঁর রয়েছে। আর সেটা আগেভাগে বুঝেছেন বলেই ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি তো মুখ্যমন্ত্রী নই! ওটা এনডিএ বৈঠকে স্থির হবে।’
নীতীশ বুঝেছিলেন, এবার তিনি হেরেও যেতে পারেন। তিনি মানে তাঁর দল। নীতীশ বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ান না। তাঁর ট্র্যাক হল লোকসভা। ওখানে দৌড়েই বারবার তিনি জিতেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। শেষবার বিধানসভা ভোটে সমতা পার্টির হয়ে তাঁকে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল ১৯৯৫ সালে। ওই শেষ। তারপর থেকে বিধান পরিষদ। সেফ গেম। হারের ভয় নেই... ক্ষমতা হারানোর চাপটাও উধাও। জোট গঠন থেকে ‘সুশাসন’... নিখুঁত ছকে দশকের পর দশক গড়িয়েছে তাঁর বিজয়রথের চাকা। যখন যে কাজে লেগেছে, তাকে ধরেই ক্ষমতার অলিন্দে থেকে গিয়েছেন তিনি। কখনও প্রাণের ‘সখা’ বিজেপিকে হ্যাটা করেও। বিজেপি কিন্তু তখনও অপেক্ষায় থেকেছে... সঠিক সময়ের। একটা পরিস্থিতি, মুহূর্ত তো এমনও আসবে, যখন নীতীশ বাধ্য হবেন ঝুঁকতে! কেউ তাঁর সঙ্গ দেবে না... আরজেডি না, লোক জনশক্তিও না...। তখন সামনে আসবে গেরুয়া শিবিরের আসল রূপ। ফাল হয়ে বেরনোর খেলা। রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর রীতিমতো কৌশলে নীতীশের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল চিরাগ পাসোয়ানকে। রামবিলাস-পুত্র এনডিএতে থেকে লড়লে অঙ্কটা যে পরিষ্কার হতো না! তাই চিরাগ আলাদা লড়লেন। এবং ঘোষণা করে... নীতীশকে সাফ করবেন তিনি। মানে, নিজের নাক কেটে জেডিইউ সুপ্রিমোর যাত্রাভঙ্গ। নীতীশের ভোট কেটে নিলেন তিনি। নিজে ডুবে গেলেন। আর নীতীশকে নামিয়ে দিলেন তিন নম্বরে। জোটের বড়দা হয়ে মাথা তুলে দাঁড়াল বিজেপি।
তাই নীতীশ বেশ বুঝেছিলেন, জোটের বাঁধনে থাকা সত্ত্বেও এবার তাঁর মাঝেমাঝে একলা লাগছে। তিনি চোটপাট করেছেন, সামান্য সব বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, ধমক লাগিয়েছেন...। প্রচারপর্বে খুব স্বস্তিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কারণ তিনি বুঝেছিলেন, ছুঁচ হয়ে ঢোকা বিজেপি এবার ফাল হয়ে বেরতে শুরু করেছে। কিন্তু কিছু বলতে পারেননি... করতেও পারেননি। শুধুই গিলতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের যে বড্ড মায়া! নিজের দমে বিহার জয়ের ক্ষমতা তাঁর দলের এবার নেই। তাই মেনে নিতেই হবে... বিজেপির ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার, কৌশল।
চেয়ার টিকে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু সামনে পাঁচটা বছর। নীতীশ বুঝছেন, আগামী এই রাজনীতির মরশুম তাঁর মোটেও সহজ যাবে না। এবার তাঁর সময় এসেছে কাঠের পুতুল হওয়ার। পাপেট শোয়ের সব নিয়ন্ত্রণটাই তুলে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। দাক্ষিণ্য হিসেবে রয়েছে ওই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিটা। বলবেন নীতীশ... চিত্রনাট্য লিখবে বিজেপি।
বুঝেছিল বিজেপিও। বিহার হাত থেকে বেরিয়ে গেলে মেগা শোয়ের ক্লাইম্যাক্সটা ঝট করে এসে যাবে। ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এই শো। ঝড়ঝাপ্টা গিয়েছে প্রচুর... নিজেদেরই তৈরি পাঁকে পড়ে প্রায় থমকে গিয়েছে অশ্বমেধের গেরুয়া ঘোড়া। কিন্তু ছুটতে শুরু করেছে আবার...। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন মাঠে। সত্যিই তো, জাতীয় রাজনীতির নিরিখে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে, এমন ঘোড়া আছে নাকি? কংগ্রেস প্রায় সাইনবোর্ডের পর্যায়ে। যার সঙ্গে জোট গড়ছে, তারই শিরে সংক্রান্তি, বাম দলগুলি প্রায় অস্তাচলে। নবীন পট্টনায়েক নিজের রাজ্যের বাইরে খুব একটা মাথা গলান না। জয়ললিতা এবং করুণানিধির প্রয়াণের পর দক্ষিণী রাজনীতি বুকজলেই হাবুডুবু খাচ্ছে। কাজেই আছেন বলতে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোট বাতিল হোক, বা জিএসটি... কেন্দ্রীয় এজেন্সির চোখরাঙানি বা আইন সংশোধনে তুঘলকি কারবার... জাতীয়
স্তরে সবার আগে শোনা গিয়েছে একটাই কণ্ঠস্বর—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধিতার এই তীব্র রোশনাইয়ের উপর পর্দা দিতে হলে প্রয়োজন বাংলা দখল... আগামী বছর।
আগামী বছরটা বিজেপির জন্য তাই গুরুত্বপূর্ণ। বিহারে বিজেপি ছিল শাসকের ভূমিকায়। হতে পারে নীতীশ কুমারকে সামনে রেখে... কিন্তু রাজবেশটা তাদের গায়েও বিলক্ষণ ছিল। পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া পার্টি একেবারেই আনকোরা। লোকসভা ভোট আচমকাই তাদের একটা ডিভিডেন্ড দিয়েছে—ছুঁচ হয়ে ঢুকে পড়ার। অনেকগুলো আসন না চাইতেই ঝুলিতে এসে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তারপর থেকেই চলছে হাঁকডাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। আর ভাবটা এমন, একটা মাত্র সুযোগ দরকার... তাহলে কত কী না করে ফেলবে তারা। সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই লোকসভা ভোটের পর থেকেই। আর তার সঙ্গে রাজ্যের একটু নাম করা শাসক নেতাদের লোভ দেখানো... জিতে এলে যেন সবাইকেই সরকারের মাথায় বসিয়ে দেবে তারা। আদৌ যে তা হবে না,
সেটা বুঝতে পারছেন না, বা চাইছেন না অনেকেই। অন্ধের মতো এগিয়ে চলেছেন এক অলীক কল্পনার দিকে। বঙ্গ রাজনীতি দেখতে পারছে না, বিজেপির অদৃশ্য সেই ছুঁচটাকে।
আগামী বছরটা বিজেপির কাছে আরও একটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ... ২০২১ সালে জনসঙ্ঘ ৭০-এ পা দেবে। ১৯৫১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে ঝামেলার পর গড়ে ওঠা দলটির যা আদর্শ বা লক্ষ্য ছিল, তা পূরণ হওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দু’বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে আসার পর বিজেপি তাই আর পিছন ফিরে তাকাতে চাইছে না। জনসঙ্ঘ ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন যে সব রেজল্যুশন নেওয়া হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল বাংলার সঙ্গে বিহারের সীমানা ‘অ্যাডজাস্ট’ করা। বাংলা চিরকালই রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক গুরুত্বের দিক থেকে বাকি রাজ্যকে পিছনে ফেলে এসেছে। স্বাধীনতার পর যখন বাংলাকে দু’টুকরো করে দেওয়া হল, তখনও সেই চরিত্রে বদল আসেনি। ভারতের শাসক বা শাসন মঞ্চে বসতে ইচ্ছুক প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি সেটা হাড়ে হাড়ে জানেন। তাই বক্তৃতায় বাংলাকে কানেক্ট করার এতটুকু প্রয়োজন বোধ হলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেনে আনেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, স্বামী বিবেকানন্দকে। কথায় কথায় আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঙ্‌ক্তি। মোদি জানেন, ইতিহাস, ঐতিহ্যেই লুকিয়ে আছে বাংলার সেন্টিমেন্ট... যাবতীয় আবেগ। আর তারপরই ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে দেখা যায় এক অদ্ভুত ‘হতাশা’র অভিব্যক্তি। ভাবটা এমন... আহা রে, সব গেল। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই আবার সোনার বাংলা হয়ে যাবে। তারা দেখতে পায় না, বাংলা এখনও সোনারই আছে। খুঁচিয়ে ঘা করে, তারপর মলম লাগানোর মতো কোনও মহত্ত্ব নেই। বঞ্চনা এবং ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও এখানে মুখ্যমন্ত্রী স্কুলছুটদের পড়াশোনার চার দেওয়ালে ফিরিয়ে আনতে কন্যাশ্রীর ব্যবস্থা করেন। বিয়েতে অসুবিধা যাতে না হয়, তাই প্রাপ্তবয়স্কার ঘরে পৌঁছে যায় রূপশ্রীর টাকা। চুক্তিবদ্ধ কর্মীরাও ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারার নিশ্চয়তা পান। আর কোভিড পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে রেশন... মমতাই বলতে পারেন, আমাদের রাজ্যে যেন কেউ না খেয়ে থাকে। এই সব প্রকল্পই বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পরে শুরু করেছে। ভারতের সবথেকে বেশি জনঘনত্বের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গত আট মাস ধরে করোনার মতো মহামারীকে সামাল দিয়ে রেখেছেন, তা গোটা ভারত দেখছে না। দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে এই সাফল্যের যাবতীয় ক্রেডিট দাবি করছেন মোদিজি। এর কি খুব প্রয়োজন ছিল?
আসলে নরেন্দ্র মোদিও বুঝতে পারছেন, এবার না হলে আর কখনও হবে না। যেভাবে হোক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উল্টে ফেলতেই হবে। একমাত্র তৃণমূল নেত্রী পথের কাঁটা হয়ে পথে পড়ে না থাকলেই দেশের সম্পূর্ণ গেরুয়াকরণ সম্ভব। তখন ‘অখণ্ড ভারত’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে দ্রুত অনেকটা এগিয়ে যাবে বিজেপি। এ স্বপ্ন তো আজকের নয়... জনসঙ্ঘের সৃষ্টিকালের।  
17th  November, 2020
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM