Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্র সেটা করেনি, তার মতলবটা প্রকাশ করে ফেলেছে।
রাজ্যগুলোকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় সহায়তা দিতে হবে
আমি কেন বলি যে অন্য সব রাস্তা ছেড়ে রাজ্যগুলোকে সহায়তা করার পথেই কেন্দ্রীয় সরকারের হাঁটা উচিত? কারণ, কেন্দ্র এবং রাজ্যের ক্ষমতা একেবারেই আলাদা:
১. নিজস্ব অধিকারে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা ঋণ নিতে পারে। সেখানে রাজ্য সরকারগুলোকে ঋণ নিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে।
২. সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকার নিজে ঋণ গ্রহণের সময় সুদের হার সর্বনিম্ন রাখার নির্দেশ দিতে পারে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারগুলোকে বেশি সুদের হারে ঋণ নিতে হয়। এমনকী, বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে সুদের হারে তারতম্যও হতে পারে।
৩. আরও একটি ব্যাপার হল, কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লভ্যাংশ ডিভিডেন্ড হিসেবে নেওয়ার অধিকারী। সাম্প্রতিককালে এমনও দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, নিয়মানুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যতটা ডিভিডেন্ড দিতে চেয়েছিল তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে আরবিআইয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আররিআইয়ের লাভের উপর রাজ্য সরকারগুলোর কোনও দাবি নেই।
৪. মুদ্রাকরণের মাধ্যমে বা টাকা ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারে। এই ধরনের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে টাকা ছাপানোর নির্দেশ দেয় এবং ছাপানো টাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তান্তর করতে বলে। রাজ্য সরকারগুলোর এই ধরনের কোনও সার্বভৌম ক্ষমতা নেই।
সুতরাং আর্থিক সঙ্কটের কালে রাজ্য সরকারগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। রাজ্যগুলো জিএসডিপির (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) ৩ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের ক্ষেত্রে অনুমান করা যায় যে প্রতিটি রাজ্যের এই ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমাটা পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যগুলি আর ‌ই঩চ্ছে করলেও ঋণ নিতে পারবে না। তার ফলে রাজ্য সরকারগুলো ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর আর্জি রেখেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা মাত্র ০.৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যই, হয়তো-বা সব রাজ্যই, এবছর এই বর্ধিত সীমার পুরোটা ব্যবহার করে ফেলবে। এর অতিরিক্ত ঋণ নিলে সেটা রাজ্যগুলির পক্ষে বোঝা হয়ে যাবে। সেই ঋণ গ্রহণের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য কোনও রাজ্যই প্রস্তুত নয়, বিশেষ করে এই অর্থবর্ষে।
বিশ্বাসের ভিত্তিতে বন্দোবস্ত
জিএসটি চুক্তিটা হল কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে কর সংক্রান্ত একটা বন্দোবস্ত, যেটা অনেক বছরের আলোচনা-বিতর্কের মাধ্যমে স্থির করা হয়েছে। এই বন্দোবস্তের ভিত্তি হল বিশ্বাস। আইনের যেমন একটা ভাষা আছে, তেমনি রয়েছে আইনের অন্তর্নিহিত ভাব। রাজ্যগুলোর কোষাগারের জন্য মূল্যযুক্ত কর (ভ্যাট) ছিল একটা কামধেনু। রাজ্যগুলোর কোষাগার ভরিয়ে দিত। এছাড়া এন্ট্রি ট্যাক্সের মতো কিছু কর কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের কোষাগারের জন্য ছিল আশীর্বাদ। জিএসটি চালুর সময় এই যাবতীয় ক্ষমতা একটি কাউন্সিলের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যগুলোকে রাজি করানো হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, ওই কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভেটো’ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর প্রতিদান স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার দু’টো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল: (১) বিক্রয় কর তুলে দেওয়ার পর ভ্যাট যেমন বেড়েছিল, জিএসটি সূত্রে রাজস্বও ঠিক তেমনি হারে বাড়বে। (২) যদি রাজস্ব বৃদ্ধির হার ১৪ শতাংশের নীচে নেমে যায়, তবে প্রথম পাঁচ বছর কেন্দ্র সেই ঘাটতির পুরোটাই  পূরণ করে দেবে ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে।
রাজ্যগুলোকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়বদ্ধতাটা কোনও মৌখিক ব্যাপার নয়, এটা আইনসিদ্ধ রূপে লেখাজোকা রয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে জিএসটি কমপেনসেশন ফান্ড নামে একটা তহবিলও গড়া হয়েছে। এই ব্যবস্থাটা নেওয়া হয়েছিল বাধ্যবাধকতা হিসেবে, কোনও শর্তনির্ভর ব্যবস্থা হিসেবে নয়। অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর অফিসাররা এই দিকটি তাঁদের সুবিধামতো এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই তহবিল যে-কোনও বছরে উদ্বৃত্ত হতে পারে অথবা পাঁচ বছর শেষে ঘাটতিও হতে পারে। যদি এই তহবিলে পাঁচ বছর পর কিছু উদ্বৃত্ত হয় তবে তার ৫০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু যদি ঘাটতি হয় তখন কী করা হবে? বিষয়টি নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলে লম্বা বিতর্ক হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিতর্ক হয়েছিল কাউন্সিলের সপ্তম, অষ্টম এবং দশম মিটিংয়ে। ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকে এই আলোচনায় ইতি পড়ে। সেদিন স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীর ৬.৩ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছিল:
‘‘৬.৩. তেলেঙ্গানা থেকে আগত মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিপূরণ আইনটিতে এই ব্যবস্থা রাখতে হবে যে, ক্ষতিপূরণ তহবিলে টাকার ঘাটতি হলে তা অন্য সূত্রে সংগ্রহ করতে হবে। সচিব বলেছেন, খসড়া ক্ষতিপূরণ আইনের ৮(১) ধারায় এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে, পাঁচ বছর ধরে ‘সেস’ সংগ্রহ করা যেতে পারে, অথবা সংগ্রহ করা যেতে পারে কাউন্সিলের সুপারিশ মতো সময়ের জন্য। তিনি বলেছিলেন, প্রকারান্তরে এটাই দাঁড়াবে যে ক্ষতিপূরণের অর্থ জোগাড়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অন্য উপায়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে পারবে এবং এটা পুষিয়ে দেওয়া যেতে পারে পাঁচ বছরের পরেও ‘সেস’ চালু রেখে। তিনি বলেছিলেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের সম্ভাবনার মতো আরও কিছু সিদ্ধান্ত ছিল অষ্টম বৈঠকের কার্যবিরণীর অংশ। কাউন্সিলের অষ্টম বৈঠকটা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩ ও ৪ জানুয়ারি। বলা হয়েছিল যে, এটা আইনে যুক্ত করা প্রয়োজন।  এই পরামর্শের ব্যাপারে কাউন্সিল সেদিন সহমত হয়েছিল।’’
দ্ব্যর্থহীন সিদ্ধান্ত
কী সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটা নিয়ে কোনও সংশয় থাকতে পারে না। ‘ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অন্য কোনও উপায়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে পারত’, যার মধ্যে ‘ক্ষতিপূরণের জন্য বাজার থেকে টাকা ধার নেওয়ার সম্ভাবনা’ও ছিল। কোনও প্রকার কূটতর্ক ‘রেকর্ড’ পাল্টে দিতে পারে না। ধার করার জন্য রাজ্যগুলোকে ‘দু’টো অপশন’ কেন্দ্র দিয়েছে—এটা একটা প্রতারণামূলক কাজ। প্রতিটা রাজ্যের চলতি বছরের রাজস্ব বাজেটে একটা ছিদ্র রয়ে গিয়েছে। ধার গ্রহণ এই ছিদ্র বন্ধ করবে, কিন্তু রাজ্যের মূলধনী হিসাবে এটাকে ‘ঋণ’ হিসেবে দেখানো হবে। রাজ্যকে এর সুদ গুনে যেতে হবে এবং শেষমেশ এই ঋণ পরিশোধও করতে হবে। যদি রাজ্য ধার না করে এবং কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ না দেয় তবে এই ছিদ্র ছিদ্রই থেকে যাবে। এবং, এর অনিবার্য পরিণতি এটাই হবে যে চলতি বছরে রাজ্য তার মূলধনী ব্যয় অথবা জনকল্যাণ খাতের ব্যয় ছেঁটে ফেলবে। এই দু’টোর কোনওটাই কিন্তু কাম্য নয়। 
রাজ্যগুলো ঠিক কাজই করেছে—দু’টো অপশনই খারিজ করে দিয়ে এবং এই ছিদ্র পূরণের সম্পদ জোগাড়ের ব্যবস্থা কেন্দ্রকে করতে বলে। কেন্দ্র কি তার দায়িত্ব পালন করবে, না কি ‘মাই ওয়ে অর দ্য হাইওয়ে’ (হয় আমার কথা মনো, নয়তো ভাগো’) খেলা খেলবে? 
 লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
21st  September, 2020
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM