Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কঠোর আইন অপেক্ষা জরুরি
সন্তানের মূল্যবোধ তৈরি
তন্ময় মল্লিক

পুজো আসছে। মহামারীর মধ্যেও মা আসবেন। শুরু হয়েছে দিন গোনা। এই সময়টা দীপ্তিদেবী কেমন যেন আনমনা হয়ে যান। আশি ছুঁই ছুঁই দীপ্তি দেবীর স্মৃতি এখনও সতেজ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। বিয়ে হয়েছিল বেহালায় এক যৌথ পরিবারে। স্বামীর পৈতৃক ভিটের অধিকার ছেড়ে দিয়ে জায়গা কিনে বাড়ি করেছিলেন। নিজের বাড়ি। বড় সুখের সংসার ছিল তাঁর। ছবিটা বদলে গেল স্বামীর মৃত্যুর পর। ছেলে বউমার ছড়ি ঘোরানোর সেই শুরু। একদিন যে কচি কচি আঙুল ধরে দীপ্তিদেবী সন্তানকে এ, বি, সি, ডি শিখিয়েছিলেন, ছেলের সেই আঙুলই তিরের ফলার মতো বিঁধতে শুরু করল। ক্ষতবিক্ষত হতেন প্রতিনিয়ত। দমবন্ধ হওয়ার অবস্থা। বাড়ি হয়ে গেল জেলখানা। তিনি নিজেই দিয়েছিলেন বৃদ্ধাশ্রমের প্রস্তাব। ছেলের কাছ থেকে বাধা আসেনি।
বেহালা নয়, এখন দীপ্তি দেবীর ঠিকানা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বৃদ্ধাশ্রম। নয় নয় করে ১৫টা বছর কেটে গেল। দীপ্তি দেবীই বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণতমা। বাড়ি ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে এলেও বাঁধন ছিঁড়তে পারেননি। তাই ছেলের কাছে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আব্দার করেন। অনুমতিও মেলে। তবে, ওই দু’তিন দিন। প্রতিবারই ফেরেন চোখের জল মুছতে মুছতে। দীপ্তি দেবী জানেন, ছেলে-বউমার সংসারে তিনি আজ মস্ত এক ‘বোঝা’। সব বুঝেও তিনি অবুঝ। এ যে নাড়ির টান! অদৃশ্য বন্ধনে বাঁধা। কাটতে পারেনি ধাই-মাও। তাই এখনও এই বয়সেও প্রতিদিন সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বেলে সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। সেই মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে সন্তান রয়েছে মহা সুখে।
কিন্তু, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। শাস্ত্র বলছে, ‘পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমন্তপঃ।/ পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতাঃ।।’ শাস্ত্র আমাদের শিখিয়েছে, পিতার সন্তুষ্টিতেই সন্তুষ্ট হন স্বর্গের সমস্ত দেবতা। শাস্ত্রই বলেছে, ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী।’ স্বর্গের চেয়েও বড় জননী ও জন্মভূমি। শাস্ত্র ও সনাতন ভারতের ভাবনায়, পৃথিবীতে জীবন্ত দেব-দেবী হলেন বাবা, মা। সন্তানের কাছে যাঁরা পরম পূজনীয়, তাঁরাই আজ দিকে দিকে হচ্ছেন লাঞ্ছিত।
অসীম স্নেহে ও যত্নে তিল তিল করে বড় করে তোলা বহু সন্তানেরই মান ও হুঁশের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। এমনকী, যাঁদের জন্য পৃথিবীর আলো দেখা, বহু ক্ষেত্রেই সেই বাবা মায়ের জীবনদীপ নিভছে ছেলে বউমার বিষাক্ত নিঃশ্বাসে। সন্তানের অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতা লঙ্ঘন করছে সহ্যের সমস্ত সীমা। তাই বাবা, মায়ের সুরক্ষার জন্য সরকারকে আনতে হচ্ছে আরও কঠোর বিল। যে কাজ করে সন্তানের ধন্য হওয়ার কথা, তা পালনের জন্য দেখাতে হচ্ছে জেলের ঘানি টানার ভয়। এ বড়ই দুর্ভাগ্য। লজ্জাও বোধহয় এদের দেখে লজ্জায় মুখ লুকায়!
সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে সরকার ‘মেনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অব পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেনস (সংশোধনী) বিল’ আনছে। বৃদ্ধ ও আর্থিকভাবে দুর্বল বাবা মায়ের প্রতি কত্যব্য পালন না করলে আর্থিক জরিমানা ও জেলের বিধান থাকছে এই বিলে। আইন কার্যকর করতে প্রতিটি থানায় থাকবেন একজন নোডাল পুলিস অফিসার।
কিন্তু, এমনটাও তো হওয়ার কথা ছিল না। সনাতন ভারতের শিক্ষা তো অন্য রকম। মুনি ঋষি থেকে কবি, গীতা থেকে উপনিষদ আমাদের ত্যাগ ও সেবার শিক্ষাই দেয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু থেকে স্বামী বিবেকানন্দ সকলেই সেই ক্ষমা ও ত্যাগের কথাই বলেছেন। ভারতের এই সনাতনী শিক্ষা ও ত্যাগের আদর্শ গোটা বিশ্বে সমাদৃত। প্রায় সমস্ত উন্নত দেশের মানুষ ভারতের এই ত্যাগের সংস্কৃতিকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন। কারণ তাঁরাও বুঝেছেন, ভোগে নয়, ত্যাগেই মুক্তি। তাই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, গৌতম বুদ্ধের বাণী। মানসিক প্রশান্তির ও মোহ মুক্তির পথ দেখাচ্ছে এই সমস্ত মহামানবের আদর্শ।
অপ্রিয় হলেও সত্যি, ভারতবর্ষের বুকে তার ঠিক উল্টোটাই ঘটে চলেছে। পাশ্চাত্যের ভোগবাদী জীবনকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছি। চলছে বিলাসবহুল জীবনকে ছোঁয়ার মরিয়া চেষ্টা। প্রতিষ্ঠালাভের আশায় সন্তানদের শামিল করা হচ্ছে ইঁদুর দৌড়ে। প্রতিটি মুহূর্ত টার্গেট পূরণের চেষ্টা। লক্ষ্যভেদই একমাত্র লক্ষ্য। সেখানে মূল্যবোধ, সততা, আদর্শ গৌণ। চলছে মনুষ্যত্বহীন মানুষ তৈরির এক ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা।
পরিবর্তন অনস্বীকারর্য। তারই হাত ধরেই যৌথ পরিবার আজ ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি’। প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজনের তাগিদে এই ভাঙন ছিল অবশ্যম্ভাবী। তবে একান্নবর্তী পরিবারের এই ভাঙনের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ক্ষুদ্র স্বার্থপরতার বীজ। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার আশায় পাহাড়প্রমাণ চাপ নিয়েই চলছে দৌড়। এর শুরু আছে, শেষ নেই।
ভবিষ্যৎ সর্বদাই অনিশ্চিত। তবুও ভবিষ্যৎ গড়ার অবিরাম চেষ্টা। আর তাতেই আলগা হচ্ছে পারিবারিক বন্ধন। দায়িত্ব, কর্তব্য, দায়বদ্ধতা, এখন অনেকের কাছেই ‘বার্ডেন’। সম্পর্ক এখন প্রয়োজন ভিত্তিক। তৈরি হওয়া ও ভাঙা দুই-ই। যে সম্পর্ক লাভজনক নয়, তা হয়ে যাচ্ছে মূল্যহীন। তাই ‘আত্মিক সম্পর্ক’ শব্দটা আজ ‘ব্যাক ডেটেড’। গুরুত্ব পাচ্ছে কেরিয়ার। ঝলমলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানিতে উপড়ে যাচ্ছে মূল। মূল্যবোধও। শিকড়ের টান বলে আর এখন কিছু হয় না। বৃদ্ধ বাবা, মা একাকীত্বে ভুগলেও নয়। নিঃসঙ্গ জীবন বড় অসহনীয়। তাই বৃদ্ধাশ্রমের রমরমা।
দিন দিন বাড়ছে বৃদ্ধাশ্রম। কিন্তু যাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে থাকার রসদ নেই, কিংবা রয়েছে লোকলজ্জার ভয়, তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। কেউ ছেলের বউমার অত্যাচারে আশ্রয় নিচ্ছেন বাপের বাড়িতে। আবার কেউ লাঞ্ছনা, গঞ্জনায় অতিষ্ঠ হয়ে আত্মঘাতী হচ্ছেন। সেই সাহস যাঁদের নেই তাঁদের ভাতের স্বাদ বড়ই লবণাক্ত। অন্নগ্রহণ পর্বে চোখের জল ফেলা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বৃদ্ধ বাবা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও প্রচুর। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাড়িতে ফিরতে পারছেন। কিন্তু তাতেও নির্যাতনের মাত্রা কমছে না। ভাতের তুলনায় মুখ ঝামটা অনেক বেশি। নিজের বাড়িতে, নিজের সংসারে, নিজের সন্তানের কাছে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের জন্য পুলিসের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। হায় রে কপাল! গৃহবধূর ছদ্মবেশধারী মা অন্নপূর্ণাকে নদী পার করেছিলেন ঈশ্বরী পাটনী। দেবী অন্নপূর্ণা সন্তুষ্ট হয়ে ঈশ্বরী পাটনীকে বর প্রার্থনা করতে বলেছিলেন। তিনি নিজের জন্য কিছু চাননি, চেয়েছিলেন সন্তানের জন্য। ঈশ্বরী পাটনী বলেছিলেন, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’। কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের এই ক’টি লাইনেই ফুটে ওঠে সন্তানের প্রতি অসীম মমত্বের ছবি।
ভারতচন্দ্র যুগসন্ধির কবি। মধ্যযুগ পেরিয়ে আজ আমরা আধুনিক যুগে। যুগের বদল হলেও সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভাবনা একই থেকে গিয়েছে। আজও ঘরে ঘরে ঈশ্বরী পাটনীরা প্রভুর কাছে করজোড়ে সন্তানের মঙ্গল কামনাই করেন। ক্ষমা, ধৈর্য, ত্যাগ, উদারতার মতো ভারসাম্য বজায় রাখতে পারাও এ যুগে একটা বড় গুণ। স্নেহের সঙ্গে শাসনের ভারসাম্য। আজকাল সন্তানের সংখ্যা এক বা দুই। ফলে প্রায় সব বাড়িতেই অঢেল স্নেহ আর আদর। কথায় আছে, আদরে বাঁদর হয়। আর বাঁদর হয়ে গেলে সহ্য করতে হয় বাঁদরামি। তাই স্নেহের সঙ্গে শাসনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সেটা যাঁরা পারেন তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয় না। তখন বাড়িই হয়ে যায় ‘আনন্দাশ্রম’।
‘সন্তান যদি ছেলে হয়, সে ছেলে থাকে বিয়ে পর্যন্ত। আর মেয়ে... আজীবন।’ সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কিত এক মামলায় রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এমন মন্তব্যই করেছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মহামান্য বিচারপতিদের এই মন্তব্য যুগান্তকারী বলে অনেকে মনে করছেন। তাই পুত্রসন্তানদের ভাবার সময় এসেছে। ভাবতে হবে, কেন এই মন্তব্য? ভাবতে হবে, কেন বাবা-মায়ের ভরণপোষণের জন্য আনতে হচ্ছে আরও কঠোর আইন!
দরকার আত্মসমালোচনার। সেই সব সন্তানের, যাঁদের জন্য বাবা মাকে ফেলতে হয় চোখের জল। একমাত্র আত্মসমালোচনাই খুলে দিতে পারে মূ্ল্যবোধের দরজা। দূর করতে পারে যাবতীয় সঙ্কীর্ণতা। শুধু আইন করে এই জটিল সামাজিক ব্যাধির নিরাময় সম্ভব নয়। জেলে পোরার ভয় দেখিয়ে হয়তো ক্রিমিনালকে শায়েস্তা করা যায়, কিন্তু সন্তানের মূল্যবোধ তৈরি করা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ‘সেলফ ক্রিটিসিজিম’।
12th  September, 2020
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM