Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জাতির উদ্দেশে ভাষণের চরম অবমূল্যায়ন
হিমাংশু সিংহ

অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েও মাত্র ১৬ মিনিট ৯ সেকেন্ডেই শেষ। দেশবাসীর প্রাপ্তি বলতে আরও পাঁচ মাস বিনামূল্যে রেশন। শুধু ওইটুকুই। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি বুক ফুলিয়ে চীনকে কোনও রণহুঙ্কার নয়, নিহত বীর জওয়ানদের মৃত্যুর বদলা নয় কিম্বা শূন্যে নেমে যাওয়া অর্থনীতিকে টেনে তোলার সামান্যতম অঙ্গীকারও নয়। ১৬ মিনিটের মধ্যে ১৩ মিনিটই উচ্চকিত আত্মপ্রচার। সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার দৃঢ় সংকল্পের কথা বলে দেশবাসীকে ভুবনডাঙার স্বপ্ন দেখানো, যা নরেন্দ্র মোদির আজীবন ইউএসপি। এর আগে ১৯ ও ২৪ মার্চ, ৩ ও ১৪ এপ্রিল এবং ১২ মে পাঁচ দফায় করোনা আতঙ্কিত অসহায় জাতিকে নানা আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন তিনি। তার কিছু প্রাসঙ্গিক আবার কিছু অপ্রাসঙ্গিকও বটে। সবকিছুকেই দেশপ্রেমের মোড়কে চাগিয়ে দিয়ে মেগা ইভেন্টে পরিণত করাই মোদিজির সহজাত বিপণন কৌশল। সে বালাকোটে শত্রু শিবিরে আচমকা হানাই হোক, বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাতা-খুন্তি-থালা বাজানোই হোক কিম্বা করোনা যোদ্ধাদের জন্য সন্ধ্যায় ঘটা করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনই হোক। আচমকা লাদাখে ছুটে গিয়ে গলওয়ানে বুক চিতিয়ে ভারতীয় সেনার জয়গানে শামিল হওয়াতেও প্রমাণ হল, তিনি বর্তমান প্রজন্মকে আকর্ষণ করার চমকের রাজনীতিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। মিডিয়ার সব আকর্ষণ শুষে নিতে তাই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পর্যন্ত ফেলে রেখেই ছুটে যান ফরওয়ার্ড বেসে। চীন নিয়ে আশ্চর্য নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সবটাই কিন্তু সেই চড়া দেশপ্রেমের সুরেই বাঁধা। যার এক আনা বিরোধিতা করলেই আপনি দেশের গদ্দার। সাম্প্রদায়িক বিভেদের পাশাপাশি ভোট টানতে মানুষে মানুষে বিভাজন ঘটানোর এও আর এক শক্তিশালী অস্ত্র।
এসবের সঙ্গেই চলেছে মাসের শেষ রবিবার সকালে নিয়ম করে রেডিওতে তাঁর একান্তআত্ম কথনের মেগা সিরিয়াল ‘মন কি বাত’। গত রবিবারই তার টানটান ৬৬টি এপিসোড পার হয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ এপিসোডের ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গত মঙ্গলবার ছিল করোনা মরশুমে তাঁর ষষ্ঠবার দেশবাসীকে সম্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ। সেখানেই তিনি ছটপুজো পর্যন্ত দেশের অন্নদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বিহারের ভোটকে কুনজরে রেখে। কিন্তু এ তো প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সামান্য মেয়াদ বৃদ্ধি ছাড়া কিছুই নয়। মাত্র ওইটুকুর জন্য রাষ্ট্রনেতার জাতির উদ্দেশে ভাষণ? তারও পর সবটাই এরাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল যখন মোদির ওই ভাষণের আধ ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। জানালেন, নভেম্বর নয়, পরের বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রাজ্যে রেশন দেওয়া হবে। স্বাধীন ভারতে এক অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন বিস্ময়কর ‘পরাজয়’ কেউ কোনওদিন দেখেছে! মনে পড়ে না।
যুদ্ধ নয়, প্রলয় নয়, বড় কোনও জাতীয় বিপর্যয় বা সাংবিধানিক সঙ্কটও নয়, শুধুমাত্র একটি যোজনার মেয়াদ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে রাষ্ট্রকে সম্বোধনের এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন! তাহলে তো এরপর থেকে রোজ কোনও সিদ্ধান্ত হলেই রাত আটটার স্লট ধীরে ধীরে মোদিজির জন্য পাকা হবে। ড্রইংরুমে বোকাবাক্সের সামনে কোনও আসন ফাঁকা থাকার জো নেই যে! এরকম চললে ধীরে ধীরে সব জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালের বাজার তিনি একাই শেষ করে দেবেন!
যখনই মোদিজির রাষ্ট্রকে ভাষণ দেওয়ার কথা ওঠে তখনই মনে পড়ে যায় প্রায় ৪৪ মাস আগের নোট বাতিলের সেই ভয়ঙ্কর অভিশপ্ত রাতের কথা। ৮ নভেম্বর ২০১৬। সেদিনের মতো রাত আটটার প্রাইম স্লটে এমন লোমহর্ষক আগাগোড়া বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্ক্রিপ্ট পড়তে আর কাউকে কোনওদিন দেখেনি টেলিপ্রেমী দেশবাসী। এক নিমেষে গরিব থেকে আমির সবার পকেট ফাঁকা করে দেওয়ার এমন ম্যাজিক আগে কোনও জাদুকর দেখাননি তাঁদের স্বপ্নের ইন্দ্রজালে। কালো টাকা ধরতে আর গরিবি মুছতে সেদিন দেশের সব ৫০০ ও হাজার টাকার নোট ‘ভ্যানিশ’ করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। দুঃসহ গরিবি ও কালো টাকার দাপট আজও কিন্তু সমানে চলছে। কমেনি, বরং বেড়েছে। তাঁর ওই ঘোষণার বিষময় ফল আজও আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি বয়ে বেড়াচ্ছি। নোটবন্দির গভীর ক্ষতটা আমাদের শিরায় উপশিরায় অর্থনীতির পরতে পরতে জমাট বাঁধা রক্তের মতো চেপে বসে আছে। অনেক ওষুধ দিয়েও তাকে আবার আগের মতো পুরনো ধমনীতে প্রবাহিত করা যাচ্ছে না।
এরকম করোনা আবহেই গত ৩ এপ্রিল প্রথমবার সকাল ৯টার স্লটে মাত্র সাড়ে ১১ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওটাই ছিল চলতি প্যানডেমিক মরশুমে তাঁর সবচেয়ে কম সময়ের জাতির উদ্দেশে ভাষণ। সম্ভবত স্বাধীন ভারতের ইতিহাসেও। সেদিন দেশবাসীকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে করোনা যোদ্ধাদের মনোবল বাড়াতে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানি না, শুধু এইটুকু বলার জন্য তাঁর কোনও পূর্বসূরি হাঁকডাক করে রাষ্ট্রকে সম্বোধনের কথা কখনও ভেবেছেন কি না! তাঁদের ভাগ্যে ১৫ আগস্ট লালকেল্লার ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের বাইরে এমন চড়া সুরে জাতিকে সম্বোধন তো দূর কল্পনাতেও কখনও ছিল না! আর সেই কারণেই অনেক আগেই সংখ্যার নিরিখে নেহরু, ইন্দিরা, বাজপেয়ির মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাষ্ট্রনেতাদের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। আর এখন যে গতিতে তিনি ছুটছেন তাতে ২০২৪ সালের আগে এই সংক্রান্ত যাবতীয় আর্ন্তজাতিক রেকর্ডও নিশ্চিতভাবে তাঁর পায়ে তলায় মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ বিশ্ব রাজনীতির খেলায় তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জোর ট্রাম্প সাহেব মার্কিন নির্বাচনের প্রাক্কালে আকস্মিক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি। হঠাৎ যেন মার্কিন মুলুকে সমীকরণ অদ্ভুতভাবে বদলাচ্ছে। আর মার্কিন মুলুকে হাওয়া ঘুরলে ধুরন্ধর মোদিও কি ‘নমস্তে বিডেন’-এর মতো নয়া কোনও ইভেন্টের জন্য তৈরি হতে খুব একটা বিলম্ব করবেন, মনে হয় না।
ঠিক যেমন আমাদের দেশের সাংবিধানিক কাঠামোটাই হয়তো আমূল বদলে যাবে, রাজ্যসভায় একবার গেরুয়া শিবির গরিষ্ঠতা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে। লোকসভা তো আছেই, রাজ্যসভাও তখন মোদি, অমিত শাহদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। খেলার ছলে পাশ হবে বিতর্কিত সব বিল। প্রতিবাদ হবে, আন্দোলন তীব্র হবে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে অযোধ্যার মন্দিরের সঙ্গে ছুটবে হিন্দুত্বের রথও। এখনও পর্যন্ত গত সাত দশকে আম্বেদকর সাহেব প্রণীত ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন হয়েছে ১০৪ বার। ঐতিহাসিক জিএসটি চালু হয়েছে ১০১তম সংশোধনের মাধ্যমে। কিন্তু মোদিজি যেভাবে এগচ্ছেন তাতে শীঘ্রই ‘মন কি বাত’-এর মোট সংখ্যা সেঞ্চুরি পেরিয়ে ৭০ বছরের সংবিধান সংশোধনের সংখ্যাকেও টপকে যাবে অবলীলায়। কারণ, মাসে একটা করে সংবিধান সংশোধন কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। আর এখন তো উনি মাসে দু’টো কখনও তিনটে পর্যন্ত ভাষণ দিচ্ছেন অক্লেশে। এই ঘুমিয়ে থাকা ঝিম ধরা বাজারে নিউজ চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোরও ওটাই শ্রেষ্ঠ দাওয়াই। কিন্তু প্রশ্ন করি, গোটা বিষয়টির তাৎপর্য এতে কমে যাচ্ছে না কি?
এরকমই আর একবার জাতিকে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন ১২ মে রাত আটটায়। সেদিনও অনেক অপেক্ষা আর টানাপোড়েনের পর শুধু একটা প্যাকেজ দিয়েই ভাষণ শেষ করলেন মোদিজি। ভাষণের মেয়াদ ছিল ৩৪ মিনিট ৫ সেকেন্ড। অতিমারী মরশুমের দীর্ঘতম। তবু প্রায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ছোট, মাঝারি উদ্যোগকে চাঙ্গা করতে তিনি ২০ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করলেও সেই রাতে মিলল না আর কোনও খতিয়ান। শুরু হল অনন্ত অপেক্ষা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম সাহেব পরদিন কৌতুক করে বলেছিলেন, আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী শুধু হেডলাইনটা দিয়েছেন। ওইটুকু নিয়েই দেশবাসী খুশি থাকুন। বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য। বিস্তারিতটা বলবেন অর্থমন্ত্রী। ঠিক তাই হল। মোদিজির জাতির উদ্দেশে ভাষণের ব্যাখ্যা দিতে প্রায় একসপ্তাহ টানা বিকেল ৪টেয় বসতে হল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। তবু ধোঁয়াশা কাটল না। মিলল না তেমন কোনও সুরাহাও। শুধু দু’শো ঋণের ফিরিস্তি। অথচ প্রতি বছরই ফেব্রুয়ারির শেষে সাধারণ বাজেট পড়া শেষ হয়ে যায় মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টায়। বড়জোর দু’ঘণ্টায়। বাজেটের আগে প্রধানমন্ত্রীকে জাতিকে সম্বোধন করতে হয় না। আর সামান্য করোনা প্যাকেজ ব্যাখ্যা করতেই সরকারের কেটে গেল প্রায় এক সপ্তাহ। প্রথমটায় জাতিকে শুধু হেডলাইনটা দিয়েই থামলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কিস্তিতে কিস্তিতে ঝেড়ে কাশলেন দেশের বিত্তমন্ত্রী। তবু ওই প্যাকেজের পর গত দেড় মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াল কি?
১৯ মার্চ, ২০২০। করোনা পরিস্থিতিতে সেদিনই প্রথম টিভির পর্দায় আসেন দেশের মহামান্য নেতা। নিদান দেন জনতা কার্ফু পালনের। আর সন্ধ্যায় যে যার বাড়ির বারান্দা থেকে থালা বাটি বাজিয়ে করোনার বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়ের শপথ নেওয়ার। নিঃসন্দেহে অভিনব উদ্যোগ, কিন্তু ২৮ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ভাষণের নিট প্রাপ্তি শুধু এইটুকুই। ভয় হয় ভ্যাকসিন বেরলে কতবার রাষ্ট্রকে ব্যাখ্যা করতে টিভি চ্যানেলে আবির্ভূত হবেন তিনি!
স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, প্রধানমন্ত্রী জাতিকে সম্বোধন করেন কখন? উত্তর সহজ, বিরাট কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে তবেই। সম্ভবত মোদিজির পূর্বসূরিরা ভাবতেও পারতেন না মাসে কখনও দুটো কখনও তিনটে রাষ্ট্রীয় সম্বোধনের কথা। দপ্তরের মন্ত্রীকে দিয়ে কিম্বা সামান্য একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করেই যা বলে দেওয়া যায়, তার জন্য ঢাক ঢোল পিটিয়ে জাতির উদ্দেশে সম্ভাষণ। কিন্তু ভদ্রলোকের নাম যখন নরেন্দ্র মোদি তখন জনসংযোগের সামান্যতম সুযোগ হাতছাড়া করতে কোনও অবস্থাতেই রাজি নন তিনি। এসবই ছোট থেকে আরএসএসের শিক্ষা ও আদর্শে বড় হয়ে ওঠার ফল। রাতদিন পরিশ্রমও করতে পারেন অসম্ভব। কিন্তু ওই যে বললাম, অতি ব্যবহারে সব অস্ত্রই ভোঁতা হয়ে যায়। গুরুত্ব হারায়। গোটা বিষয়টির তাৎপর্যও অনেকটা লঘু হয়ে যায়। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজনেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রনেতারা। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অর্থনৈতিক কোনও সঙ্কট, ক্ষমতা বদল কিম্বা বড় কোনও সাংবিধানিক সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হলেই এ ধরনের ভাষণের প্রয়োজন দেখা দেয়। সরকার কী করতে যাচ্ছে তা দেশের মানুষকে আগাম জানিয়ে তবেই পদক্ষেপ করে সরকার। কিন্তু তা বলে অনেক অপেক্ষার পরও যদি দেখা যায়, মামুলি কিছু কথা বলেই বক্তব্য শেষ হয়ে গেল, তেমন বড় কোনও ঘোষণা হল না। মিলল না তেমন কোনও সুরাহাও। তাহলে মহামান্য দেশনেতার জাতির উদ্দেশে ভাষণের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রীর যত দ্রুত এই আত্মোপলব্ধিটা হয়, ততই দেশের মঙ্গল। সম্ভবত সেই জন্যই আব্রাহাম লিঙ্কন বলে গিয়েছেন, সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় না। 
05th  July, 2020
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM