Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভূস্বর্গে বাংলার পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুই
বুঝিয়ে দিল কাশ্মীর ভালো নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্য যাতে সফল হয়, তার একটা পন্থাও থাকে। উদ্দেশ্য অনেক সময় ঠিক থাকলেও দেখা যায় বহু ক্ষেত্রে পদ্ধতির ভুল থাকে। তাতে উদ্দেশ্য সফল হয় না। উল্টে তা আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনে। কাশ্মীরে সেই ঘটনাই ঘটেছে। কেন্দ্রের পরিকল্পনা ছিল কাশ্মীরকে জঙ্গিমুক্ত করে দেশের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা। সেই অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং অজিত দোভাল—এই ত্রয়ীর কিছু বিশেষ পরিকল্পনা ছিল। সেই সঙ্গে তাঁদের পরিকল্পনা ছিল কাশ্মীরে পাকিস্তানের কলকাঠি নাড়ানো বন্ধ করা এবং কাশ্মীরি যুবকদের মধ্যে টাকা ছড়িয়ে তাদের বিপথগামী করার জঙ্গি-উদ্দেশ্য সমূলে বিনাশ করা। এই পর্যন্ত পরিকল্পনায় কোনও গলদ নেই। এই প্রত্যাশা এদেশের সকল মানুষের মধ্যেই রয়েছে। তাছাড়া ভারত পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিক, এই ইচ্ছাও দেশের প্রত্যেকটি মানুষই মনে মনে পোষণ করেন। তাই যখন ভারত সার্জিক্যাল অ্যাটাক করে, পাকিস্তানে জঙ্গিদের শিবির গুঁড়িয়ে দেয়, তখন প্রত্যেকে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন। দেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেত স্বরে আওয়াজ তোলেন ‘জয়হিন্দ’।
কিন্তু সবকিছু যদি জাতীয়তাবাদের মোড়কে সরকার চালিয়ে দিতে চায়, সেটা তখন অনেকসময় হয়ে ওঠে বড় প্রতিবন্ধকতা। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পক্ষে বহু মানুষের সমর্থন রয়েছে। কাশ্মীরের বাইরে যে বিরাট ভারতবর্ষ রয়েছে, সেখানে বৃহত্তর অংশই মনে করে এই মুহূর্তে আর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার প্রয়োজন নেই। আমরা মুখে বলব কাশ্মীর ভারতেরই অবিভক্ত অংশ, আবার বাড়তি সুবিধা দিয়ে মানসিকভাবে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করে রাখব, এটা দিনের পর দিন চলতে পারে না। তাই কেন্দ্র গত ৫ আগস্ট যখন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করল তখন দেশের মানুষ তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। মনে হয়েছিল মানসিকভাবে বিচ্ছিন্নতার সীমারেখাটাকে মুছে ফেলা গেল। এবার ভূস্বর্গ হয়ে উঠবে আরও সুন্দর। তুষারের উপর থেকে মুছে যাবে রক্তের আলপনা। জঙ্গিদের ডেরা চূর্ণ হয়ে যাবে। সাধারণ, নিরীহ কাশ্মীরিরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। কিন্তু যতদিন দিন যেতে লাগল, ততই দেখা গেল স্বপ্ন দেখাটা ভুল ছিল। মুক্ত তো হলই না। উপরন্তু কাশ্মীর লৌহনিগড়ে হয়ে গেল অবরুদ্ধ। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, যথেষ্ট খাবার নেই, গ্যাস নেই, যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন। এমনকী মানুষের বাইরে বেরনোর অধিকারটুকুও ছিল না। সড়কে, পথে, গলিতে শুধু সেনাদের বুটের শব্দ। রাজ্য থেকে বেরনো বন্ধ এবং ঢোকাও বন্ধ। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে আওয়াজ উঠল।
অর্থাৎ দেখা গেল উদ্দেশ্য সফল হলেও সরকারের পথ ভুল। কাশ্মীরের মধ্যে কী হচ্ছে কেউ জানে না। সরকার নিজে যা খবর দিচ্ছে, তাই প্রকাশ্যে আসছে। বাইরে থেকে মনে হচ্ছে কাশ্মীর খুব সুন্দর আছে। কিন্তু বাস্তবে হয়তো খুব সুন্দর নেই। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ ভালো নেই।
আমাদের মনে আছে শাহরুখ খানের সেই ছবিটা। ‘মাই নেম ইজ খান’। সেখানে শাহরুখের একটা অসাধারণ সংলাপ ছিল। ‘আমার পদবি খান। কিন্তু আমি জঙ্গি নই।’ সুতরাং মনে রাখা দরকার কাশ্মীরে জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়ে ভারতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, এটা যেমন সত্যি, তেমনই কাশ্মীরের ভিতরেও একটা ভারত-বিরোধী চক্র সক্রিয় এটাও সত্যি। কিন্তু সব কাশ্মীরিই জঙ্গি বা জঙ্গিদের মদতদাতা নন।
প্রতি বছর আমাদের বাড়িতে আসেন ফারুকভাই। পুজোর আগেই এই শহরে তিনি চলে আসেন। আর এই শহর ছেড়ে চলে যান মার্চ-এপ্রিলে। ফারুক বলেন, ‘আমি ছ’মাস কলকাতার আর ছ’মাস কাশ্মীরের।’ গত চল্লিশ বছর ধরে আসছেন ফারুক। সেই ছোট থেকে। তখন আসতেন বাবার হাত ধরে। তাঁর বাবা অসুস্থ হওয়ায় গত বছর এই শহরেই ফারুকের বাবার অপারেশন হয়। ফারুক বলেন, ‘এই কলকাতাও আমার নিজের শহর। ভারতের আর কোথায় আমি এত নিশ্চিন্তে থাকতে পারি না। এই শহর অতিথিকে সম্মান জানাতে জানে।’ শাল, সোয়েটার ইত্যাদি শীতপোশাকে ভরা থাকে তাঁর গাঁটরি। একটা একটা করে চাদর, সোয়েটার খুলে দেখান। ছড়িয়ে পড়ে সুন্দর একটা গন্ধ। সেই সব পশমিনার মধ্যে যেন তুষারশুভ্র উপত্যকার গন্ধ মাখা থাকে। মনে হয়, যেদেশে এগুলো তৈরি হয়, সেদেশ কখনও নিরানন্দে থাকতে পারে না। অসাধারণ নম্র ব্যবহার ফারুকের। বারবার আমাদের বলেন, ‘একবার আসুন। আমার অতিথি হলে খুব আনন্দ পাব। আপনাদের সব ঘুরিয়ে দেখাব।’ একথা ফারুক সকলকেই বলেন। দেওয়ালির আগে ঝোলা থেকে প্যাকেটভর্তি উপহার বের করে দেন। সোনালি আখরোটের মতোই ফারুকের মন। হৃদয় উজাড় করে কথা বলেন ফারুক। তাঁর কথায় কাশ্মীরের ছবিটা ফুটে ওঠে। ফারুক বলেন, ‘ওখানে অনেক খারাপ লোক আছে। আবার ভালো লোকও আছেন। তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি। আজ ওখানে সবাইকে জঙ্গি হিসাবে দেখা হয়। ভারতের একজন সৎ নাগরিকের কাছে এটা যে কত বড় অপমান তা বলে বোঝানো যাবে না।’
কাশ্মীর উপত্যকায় লক্ষ লক্ষ ফারুক আছেন, যাঁরা অপমানিত এবং পরিস্থিতির শিকার। অথচ কাশ্মীরের যে চকচকে ছবিটা তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। সেই সত্যিটাকে প্রকাশের জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাছা বাছা প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোমর বেঁধে সরকার নেমেওছিল। কিন্তু শেষটা সম্পূর্ণ সুন্দর হল না। চিত্রনাট্যের শেষ অংশে লেগে গেল রক্তের দাগ। বড় দগদগে সেই রক্ত। সেই রক্ত উন্মোচিত করে দিল অনেক সুপ্ত সত্যকে। কাশ্মীর কেমন আছে, মানুষ জানতে চায়। উপত্যকা থেকে সমস্ত জঙ্গিকে নিকেশ করা হোক। মানুষ এটাও চায়। কিন্তু কাশ্মীরের ভারতপ্রেমী সৎ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক এটা এদেশের মানুষ চান না। যে ছবিটা বাঁধিয়ে রেখে প্রচারের চেষ্টা হচ্ছিল, সেটা আর থাকল না। উপত্যকায় পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের হত্যাকাণ্ড বুঝিয়ে দিল কাশ্মীর আছে কাশ্মীরেই। এস ওয়াজেদ আলির কথা ধার করে বলা যায়, কাশ্মীরে সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। কোথাও তার এতটুকু বদল হয়নি।
একটা প্রবাদ আছে, চূড়ান্ত ক্ষমতা চূড়ান্ত স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেয়। এই আপ্তবাক্য বহুলাংশেই সত্যি হয়। এখানে যেন তা মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে। গণতন্ত্রে বিরোধীদেরও একটা মর্যাদা আছে। যতই তারা হ্রাস হতে থাকুক, গণতন্ত্র তাদের পাশেও থাকবে। সেই শক্তিহীন বিরোধীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাও এক ধরনের ছদ্ম-স্বৈরতন্ত্র। কাশ্মীরের ভালো চায় সকলেই। সেই সত্যকে সামনে রেখে সকলকে নিয়ে সরকারের এগিয়ে যাওয়া উচিত। একক সিদ্ধান্তে সেনাশক্তির নিগড়ে কাশ্মীরকে বাঁধতে চাইলে তার পাল্টা প্রতিঘাত আসতে পারে। সেটাই দেখিয়ে দিল কাশ্মীর। বোঝা গেল আরও সাবধানী হতে হবে। সীমান্তের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতেই হবে। সামনেই শীত। সীমান্তের ওপারে ওৎ পেতে আছে জঙ্গিরা। তাদের প্রতিহত করতেই হবে। জঙ্গিদের থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলে এবং সাধারণ নিরীহ কাশ্মীরিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারলে তবেই শন্তি ফিরবে ভূস্বর্গে। সেটা ঠিক মতো করতে পারাটাই সরকারের কাজ। একটা সুন্দর জঙ্গিমুক্ত কাশ্মীরের দিকেই তাকিয়ে মানুষ।
01st  November, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM