Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হরিয়ানা-মহারাষ্ট্র ভোটের ফল বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে মমতাকে
হিমাংশু সিংহ

মে মাসে লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই গত পাঁচমাস ধরে বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ। টুঁ শব্দ করার কেউ নেই। তার উপর গত আগস্টে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর থেকে কাশ্মীরের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা কার্যত অন্তরালে। সেই নিষেধাজ্ঞার বজ্র আঁটুনি পুরোপুরি শিথিল হয়নি এখনও। দেশজুড়ে এককথায় গেরুয়ারাজ চলছে। সেইসঙ্গে ভয় আর আতঙ্ক। লোকসভা তো বটেই, রাজ্যসভাও শাসকের হাতের মুঠোয়। আইন পাশ করা তাই নিতান্তই ছেলেখেলার শামিল। গত বাজেট অধিবেশনে তা দেখেছে দেশবাসী। সেই গর্বে বুক ফুলিয়ে শাসককে বলতে শোনা গিয়েছে, এক অধিবেশনে দশ বছরের কাজ হয়ে গিয়েছে। বেফাঁস কিছু বললেই ‘দেশদ্রোহী’ বলেও দেগে দেওয়া হচ্ছে। কেউ বলছেন, এ তো অঘোষিত জরুরি অবস্থা! কেউ আবার সরাসরি বাহাত্তর থেকে সাতাত্তরের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। তবু তার মধ্যেই যেন আকস্মিক তাল কাটারই ইঙ্গিত দিল মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ফল। যাবতীয় জনমত সমীক্ষা ও এক্সিট পোলের পূর্বাভাসকে চমকে দিয়ে মহারাষ্ট্রে আসন অনেকটা কমে তো গেলই, আর হরিয়ানায় একক গরিষ্ঠতা টুকুও মিলল না। উল্টে দুই রাজ্যেই উত্থান ঘটল প্রায় অস্তিত্বহীন আঞ্চলিক দলের।
দুই রাজ্যেই বিজেপি কান ঘেঁষে সরকার গড়লেও শক্তি কমে যাওয়ায় ও ছোট দলের উপর নির্ভরতা বাড়ায় আগাগোড়াই যথেষ্ট চাপে থাকবে। প্রতিনিয়ত দর কষাকষি চলবে সহযোগী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে। সেই ইঙ্গিত শুরুতেই দিয়ে রেখেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারে। সেখানে ছেলে আদিত্যকে বাজি রেখেছেন তিনি। হরিয়ানায় কোনও দলই এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি সেখানে গতবারের তুলনায় ছ’টি আসন কম পেয়েছে। ফলে, বিধায়ক কেনাবেচার হাট সেখানে জমে উঠতে বাধ্য। আর মহারাষ্ট্রে গতবার যেখানে জোটের আসন ১৮৫ ছিল সেখান থেকে কমে এবার দাঁড়িয়েছে ১৬১। নিশ্চিতভাবে বলা যায় দেশের মানুষ ধীরে ধীরে মোদি-অমিত শাহ জুটির বিরুদ্ধে ভোটের বাক্সে মতামত জানাতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে দল ভাঙানো ও সেই পথে ক্ষমতা দখলের যে মরিয়া রাজনীতি গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি ও তার সহযোগীরা আমদানি করেছে, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ফল তার বিরুদ্ধেও বজ্রনির্ঘোষ প্রতিবাদ তুলে ধরছে। গুজরাতে কংগ্রেস ভেঙে বিজেপিতে যোগ-দেওয়া অল্পেশ ঠাকুরের উপনির্বাচনে পরাজয় সেইদিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
দেখা যাচ্ছে, সোনিয়া, রাহুল গান্ধীর দিশাহীন ছন্নছাড়া নেতৃত্ব সত্ত্বেও দুই রাজ্যেই কংগ্রেস আসন বাড়িয়েছে। এ তো আসলে সেই নেগেটিভ ভোট। আরও বড় কথা, ভোটের কয়েকদিন আগে যেভাবে শারদ পাওয়ারের দলের বিরুদ্ধে দাউদ ইব্রাহিমকে জড়িয়ে সরব হয়েছিল গেরুয়া শিবির তাও হালে পানি পায়নি। উল্টে শিবসেনার আসনসংখ্যা মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বুড়ো বয়সেও আবার এনসিপি’র পালে কিছুটা হলেও হাওয়া টানতে পেরেছেন শারদ পাওয়ার। এসবই দিগ্‌নির্দেশ করছে উচ্চকিত দেশপ্রেমের ধ্বজা উড়িয়ে ছোট ছোট স্থানীয় সমস্যা, অর্থনীতির সঙ্কট এবং বেনজির মন্দা থেকে দেশের মানুষের চোখ ঘোরানো দীর্ঘমেয়াদে আর সম্ভব হবে না। শুধু পাকিস্তান পাকিস্তান করে আর ৩৭০ ধারা বিলোপের বড়াই করে নির্বাচনী ময়দানে, বিশেষত বিধানসভা ভোটে, খুব বেশি লাভ তোলা কঠিন। তাই রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের প্রতিধ্বনিই যেন শোনা গেল মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায়।
অথচ এবার দুই রাজ্যের নির্বাচনে মোদি-অমিত শাহ জুটির কাছে কার্যত ম্লান হয়ে গিয়েছিল তামাম বিরোধীরা। প্রচারেও বিরোধীদের তেমন করে দেখাই যায়নি। সোনিয়া-রাহুল গান্ধী সভা করেছেন নামমাত্র। একদিকে ৩৭০ ধারার বিলোপ এবং মাঝে মাঝেই সীমান্তে গুলিগোলা চালিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ তৈরি করে বিরোধীদের কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ারই পটভূমি তৈরি করেছিলেন মোদি-অমিত শাহ জুটি।
কিন্তু বালাকোট-পুলওয়ামার বীরগাথা বিধানসভা ভোটে যে কাজ করে না তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। এরপর আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের বিহার, দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনেও শুধু নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে বাজিমাত করা কঠিনই হবে। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, স্থানীয় নেতৃত্বে কারা তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁরা কতটা গ্রহণযোগ্য তা খতিয়ে দেখতে হবে। না-হলে বিমান থেকে নেমে প্রচার আর সভা শেষ করেই দিল্লি ফিরে যাওয়ার ম্যাজিকে মানুষ মজবে না। সেই জন্যই বলছি, লোকসভা ভোটের ফর্মুলায় শুধু মোদিকে সামনে রেখে ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে বিজেপি নেতৃত্বকে সাতবার ভাবতে হবে। কারণ, মোদিজি তো আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে আসবেন না। আর মমতাকে ধারে ভারে মোকাবিলা করার মতো রাজনৈতিক কোনও নেতানেত্রী বিজেপির শিবিরে এখনও নেই। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তার সাংগঠনিক প্রসারে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশের উপরেই ভরসা করছে। কিন্তু তৃণমূল খারাপ আর মুকুল রায়, অর্জুন সিং ভালো, এই রাজনৈতিক ভাঁওতাবাজি রাজ্যের মানুষ বেশিদিন সহ্য করবে বলে মনে হয় না। ভাটপাড়া জগদ্দল তাই রং বদলেও দ্রুত আবার পুরনো পথেই ফিরছে। ফিরেছে গারুলিয়াও। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের ড্যামেজ কন্ট্রোলে কাজ হতে শুরু করেছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, মহকুমায়, ব্লকে এখনও মমতার ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হন। তাই জনপ্রিয়তায় এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো নেতা বা নেত্রী বিপক্ষ শিবিরের হাতে নেই। বলা বাহুল্য, বিধানসভা ভোট অনেকটাই পরিচালিত হয় স্থানীয় ইস্যুতে। সেখানে বার বার প্রধানমন্ত্রীকে মুখ করে এনে প্রচারে ঢেউ তোলা যায় না। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রশ্নটা ছিল ভিন্ন। মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন না, বিরোধীরা মসনদে বসবেন এই প্রশ্ন এখন আর নেই। নিচুতলার কিছু নেতার ভুল-ত্রুটি সত্ত্বেও এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্য এবং এই রাজ্যের মানুষকে যতটা হাতের তালুর মতো চেনেন তাদের সুখে-দুঃখে বুক চিতিয়ে লড়েন তার কোনও বিকল্প পাওয়া কঠিন।
বিজেপি কিন্তু ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ হতে শুরু করেছে। তার উপর যে উত্তরবঙ্গ থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে তারা বেশি আসন জিতল সেই উত্তরবঙ্গে এনআরসি ইস্যু ভয়ঙ্করভাবে সাধারণ মানুষের মনে ভয়ঙ্কর দাগ কেটেছে। এভাবে মানুষে মানুষে বিভেদ করে এবং নিজের দেশেই এক বিরাট শ্রেণীর মানুষকে পরবাসী করে ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে দেওয়ার পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে বাধ্য। অসম দেরিতে হলেও বুঝছে। আর পশ্চিমবঙ্গ এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভে, আতঙ্কে ফুঁসতে শুরু করেছে। এর উপর একের পর এক জেলায় দল ভাঙানোর খেলা বিজেপির কাছে বুমেরাং হচ্ছে। অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক জগদ্দল, হালিশহর, নৈহাটি, কাঁচড়াপাড়া প্রথমটায় তৃণমূলে ভাঙন ধরলেও এখন আবার দ্রুত সবাই দলে ফিরে আসছে। লোকসভা ভোটের ঝড় যে তাৎক্ষণিক তা আপামর জনসাধারণ উপলব্ধি করতে পারছে।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় কান ঘেঁষে বিজেপির রাজ্যপাট বজায় থাকলেও আগামী দিনে দিল্লি, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে কিন্তু লড়াই কঠিন হবে। অর্থনৈতিক মন্দা সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক সংস্থাই মন্দার জন্য নিয়মিত বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না। একের পর এক শিল্পে ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক নামকরা সরকারি সংস্থায়ও কর্মীরা সঙ্কটে। গত বৃহস্পতিবারই রুগ্ন বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এক বিরাট প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এজন্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। একদা দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান বিএসএনএলে গত একবছরে বেতন হয়ে গিয়েছিল অনিয়মিত। এবার ভিআরএস দিয়ে সিংহভাগ কর্মীকে বিদায় জানানোর ফর্মুলা তৈরি হচ্ছে। তাতেও সংস্থা আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াবে কি না তা ভবিষ্যৎই একমাত্র বলতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও ক্রেতা এখনও মেলেনি। আরও বেশকিছু অলাভজনক সরকারি সংস্থা নিয়েও সরকার ভাবনা-চিন্তা করছে। কিন্তু চাহিদা না বাড়ানো গেলে, বাজারে টাকার জোগান না বাড়লে শুধু প্যাকেজ ঘোষণা করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব নয়। নোট বাতিল ও জিএসটি দেশীয় শিল্পের সেই যে সর্বনাশ করেছে তার ঘা এখনও শুকোয়নি। গাড়ি শিল্পে নাভিশ্বাস উঠেছে। নির্মাণ শিল্প ধুঁকছে। বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। এই অবস্থায় শুধু উচ্চকিত দেশপ্রেম আর ক্রমাগত সীমান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা দেশের মানুষের আসল সমস্যার সমাধান করতে পারবে কি? যদি না-পারে তাহলে আগামী দিনে মোদি-অমিত শাহ জুটির গেরুয়া ম্যাজিক ফিকে হতে বাধ্য। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ফল যদি সুস্পষ্টভাবে জাতীয় রাজনীতিতে ফের বিরোধীদের প্রত্যাবর্তনের রাস্তাকে সুগম করে তাহলে নতুন করে ক্ষমতার পাটিগণিত বদলাতে শুরু করবে। যে পাটিগণিতের সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে তৃতীয়বারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সুনিশ্চিত করতে পারে। তার উপর বিজেপির স্থানীয় স্তরে খেয়োখেয়ি বাড়ছে। পুরনো নেতা-কর্মী, না দল-ভেঙে-আসা, কাদের হাতে নেতৃত্ব থাকবে, তা নিয়ে গোলমাল যত বাড়বে ততই মানুষের মোহভঙ্গ হতে থাকবে। সেইদিক দিয়ে ষোলো আনা বাংলা ও বাঙালির দল হিসেবে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কিন্তু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।  
27th  October, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM