Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

মোট জঞ্জালের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার কেজি! একটা বিয়েতেই তো কত কিছু নষ্ট হয়। এখানে আবার দুটো বিয়ে হয়েছে। তাই বিবাহের পরদিন জমে থাকা জঞ্জালের পরিমাণ একটু বেশি হতেই পারে। সেইসব নষ্ট হওয়া এবং ফেলে দেওয়া জঞ্জালের মধ্যে আবার একটা বড় অংশই হল বাটার নান, পরোটা, স্যালাড, ফল এবং আলু। আলু খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়। তাই ধনীরা আলু পছন্দ করেননি। কিন্তু ১৫১ রকম মেনুতে তো আলুর ডিশ রাখতেই হয়। বোধহয় সেরকম কেউ খাননি। তাই ফেলে দিতেই হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের হিমালয়ের পাদদেশের এই জায়গাটি পর্যটনপ্রিয় বাঙালি খুব ভালোমতোই চেনেন। আউলি। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পাহাড়ের কোলে এই ছোট্ট জনপদই ছিল বিবাহবাসর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি গুপ্তা ব্রাদার্স নামক পরিচিত দুই ভাইয়েরই পুত্রদের বিবাহ হয়ে গেল। বেশি খরচ হয়নি। ২০০ কোটি টাকা! কে না জানে আজকাল স্ট্যাটাসের নাম ডেস্টিনেশন ওয়েডিং! অর্থাৎ ধনী, সেলেব্রিটি তো বটেই, একটু পয়সাওয়ালা হলেই আজকাল আর কেউ নিজের পাড়ায়, নিজের শহরে ভাড়া বাড়ি করে কিংবা হোটেল বুক করে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেয় না। নতুন প্রবণতা হল ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। অর্থাৎ অনেক দূরে কোনও ট্যুরিস্ট স্পটে অন্য শহরের কোনও এক বিখ্যাত প্যালেস কিংবা বিদেশের কোনও শান্ত নির্জন ফার্ম হাউস অথবা লাস ভেগাসের মতো উচ্ছ্বল নগরীতে বিবাহ করে থাকেন ধনীরা। বিরাট কোহলি বিয়ে করেছেন ইতালিতে গিয়ে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বিয়ে করেছেন যোধপুরে উমেদ ভবন প্যালেসে। ঈশা আম্বানির বিয়ের রিসেপশন হয়েছে উদয়পুরে। এরকমভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকার সবথেকে চর্চিত এবং অন্যতম ধনী শিল্পপতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত গুপ্তা ব্রাদার্সদের দুই পুত্রের বিবাহের জন্য তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন শান্ত হিমালয়কে। আউলি! আউলি স্কাই রিসর্টে জুন মাসের ১৯ আর ২০ তারিখ বিয়ে হয়েছে অজয় গুপ্তর পুত্র সূর্যকান্তের। আর ২১ এবং ২২ তারিখ হয়েছে অতুল গুপ্তের পুত্র শশাঙ্কের বিবাহ। বিয়েতে আনন্দ, মজা আর উৎসব করাই নিয়ম। তাই হিমালয়ের ঠিক নীচে আদিগন্ত সবুজ প্রান্তরের বুকে বিবাহের পাঁচদিন ধরে যোগাসনের সেশন হয়েছিল। কে পরিচালনা করলেন সেই যোগাসন? এক্ষেত্রের এক নম্বর মানুষটি। বাবা রামদেব। হিন্দি সিনেমার গানের সঙ্গে একটু নৃত্যানুষ্ঠান থাকবে এবং পরিবারের সদস্যরা অংশ নেবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান নৃত্যশিল্পী ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। এসেছিল অসংখ্য হেলিকপ্টার। সেগুলিকে ল্যাণ্ড করতে হয়েছে যোশীমঠে। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে আসতে হবে আউলিতে বিবাহবাসরে। ধনীদের বিবাহে এসব হতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। সমস্যা হল ওই ৩২ হাজার কেজি জঞ্জাল হিমালয়ের কোলে জমা হওয়া নিয়ে। ওই বিবাহ এবং ৩২ হাজার কেজি জঞ্জাল জমা হওয়ার ঠিক ১৫ দিন পর কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর দিল্লিতে বাজেট নিয়ে কথা বলার সময় বলেছিলেন, আমাদের বাজেট বুঝিয়ে দিয়েছে যে আমরা বসুন্ধরাকে সবুজ আর আকাশকে নীল রাখতে বদ্ধপরিকর। জানা গেল বাজেটে এবার ৪৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে পরিবেশকে দূষণহীন করতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একদিকে যখন সরকার ঘোষণা করছে তারা দেশের পরিবেশ রক্ষায় কোনও আপস করবে না, তাহলে আউলিতে হওয়া ওরকম বিবাহের আয়োজনের অনুমতি কেন দেওয়া হচ্ছে? ওড়িশার সম্বলপুরের গ্রামে প্রকাশ্য এলাকায় মলত্যাগ করার জন্য দরিদ্র গ্রামবাসীদের স্পট ফাইন করা হচ্ছে। তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল সরকারি শৌচালয় থাকা সত্ত্বেও কেন এই খারাপ অভ্যাস তাঁরা ত্যাগ করছেন না? ভয়ে ভয়ে তাঁরা সরকারি বাবুদের বলেছিলেন, সরকারি শৌচালয় খুব সুন্দর, শুধু একটাই সমস্যা। জল নেই। গোটা দেশজুড়ে এটা স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অন্যতম সমস্যা এটা আজকাল সামান্য খোঁজ করলেই জানা যায়। অর্থাৎ জলসংকট এমন যে সেখানে শৌচালয়ে জলব্যবস্থা ২৪ ঘণ্টা রাখার মতো অবস্থা নেই বহু গ্রামে। কিন্তু প্রশ্ন হল সরকার যখন পরিবেশ নিয়ে এতটাই কঠোর তখন চরম পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি নিয়েও এই হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুমতি দেওয়া হল কেন? পুরসভা সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। দেড় লক্ষ টাকা পৃথক জরিমানা। কতটা দূষণ হয়েছে? শুধু আউলির ওই পরিবেশে প্রকাশ্য মলত্যাগের জরিমানা করা হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। লেবাররা কোথায় শৌচকার্য করবেন? তাই হিমালয়ের কোলে। কিন্তু জরিমানা করে কী হবে? বরং ওই অনুমতি না দেওয়া হলে অনেক কড়া বার্তা দেওয়া হতো যে সত্যিই আমাদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি পরিবেশ নিয়ে ভাবিত। কিংবা মুখে যা বলে, তাই পালন করা হয়। আদতে কিন্তু দেখা যাচ্ছে তা নয়। বরং কাজে ও কথায় বিস্তর গরমিল।
মুম্বইয়ের কাছে পালাঘর জেলার জওহর এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষ এবার সকাল থেকে ভোট দেননি। গ্রামবাসীর বেশিকিছু দাবি ছিল না। শুধু বলা হয়েছিল জলের ট্যাঙ্কার যেন সপ্তাহে তিনদিনের পরিবর্তে চারদিন আসে। অন্তত এই গরমের সময়টা। জওহর এলাকার তিনটি গ্রামের জলের সোর্স হল দুটো কুয়ো। তবে দুটোই শুকনো কুয়ো। কুয়োর নিজস্ব জল নেই। সপ্তাহে তিনদিন সরকারি ট্যাঙ্কার এসে সেই কুয়োয় জল ঢেলে যায়। নতুন ভারতে এটা অবশ্য চালু দৃশ্য। আরও ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা যাবে নাসিকে। রামঘাটে মাঝেমধ্যে গোদাবরী নদীতে ট্যাঙ্কার এসে জল ঢেলে দিয়ে যায়। যাই হোক, যে তিনদিন গ্রামে ট্যাঙ্কার আসে, সেই তিনদিন ভোর সাড়ে চারটেয় ঘুম থেকে উঠে গোটা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্য খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে যায় জল আনতে। দেখা যাবে দলে দলে মিছিলের মতো করে গ্রামবাসী যতরকম পাত্র আছে হাতে, মাথায় নিয়ে ওই কুয়োর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বুথে ভোটকর্মীরা বসে আছেন। ভোটার নেই। এই খবর যেতেই অবশেষে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার নিজে এলেন। প্রতিশ্রুতি নিয়ে নয়। ট্যাঙ্কার নিয়ে। তাঁর গাড়ির পিছনেই ছিল ট্যাঙ্কার। সেই ট্যাঙ্কার কুয়োয় জল ঢাললো। তারপর গ্রামবাসী ভোট দিতে গেলেন। পালাঘরের জলসংকটের যেখানে এই ভয়ঙ্কর অবস্থা, সেখানে পালাঘর থেকে থানে জেলার এলাকার পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষাকারী ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে ফেলা হবে বলে স্থির হয়েছে। কারণ বুলেট ট্রেন। মুম্বই থেকে আমেদাবাদ ৫০৮ কিলোমিটার বুলেট ট্রেনের জন্য শুধু মহারাষ্ট্রের এই এলাকাগুলিতে ৫৪ হাজার ম্যানগ্রোভ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুলেট ট্রেনের জন্য গুজরাত আর মহারাষ্ট্রের ১৪০০ হেক্টর জমি লাগবে। ১২টি স্টেশন লাগবে, ৩৫০ কিলোমিটার ঘণ্টায় স্পিড। মুম্বই থেকে আমেদাবাদ যেতে সময় কমে যাবে ২ ঘণ্টা। কোন কোন এলাকা পড়বে এই রুটে? সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক, যেখানে লেপার্ডের সংখ্যা সবথেকে বেশি, থানে ক্রিক ফ্লেমিঙ্গো স্যাংচুয়ারির যেটা মাইগ্রেটরি বার্ডসের চারণভূমি। গোটা প্রকল্পে প্রায় ৮০ হাজার গাছ কাটা হতে পারে। মহারাষ্ট্রে যেখানে সবথেকে বেশি খরা আর জলসংকট, সেখানে ঠিক সেই জেলাগুলির উপর দিয়েই বুলেট ট্রেন নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়ল কেন? যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সমস্যার কথা উপলব্ধি করে জলসংকট থেকে রক্ষা পেতে এবার বাজেটে সবথেকে জোর দিয়েছেন এবং বিপুল অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সেখানে কেন এই সিদ্ধান্তগুলি পুনর্বিবেচনা করে দরকার হলে অন্য রুটে বুলেট ট্রেন নিয়ে যাওয়া হবে না? যাতে অন্তত প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা পায়? সরকারের কথায় ও কাজে মিল দেখতে না পেলে দেশবাসী সেই সরকারকে সিরিয়াসলি নেবে কেন?
গুজরাতের ভাদোদরা জেলার চান্দোড়ে ৬০০ জন মাঝি প্রতিদিন নিজেদের নৌকা নিয়ে চোখের সামনে দেখতে পান একটু একটু করে এতদিনের চেনা নর্মদা শুকিয়ে যাচ্ছে। এই মাঝিদের জীবিকা হল মাল্লারাও ঘাট থেকে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যার্থীদের নিয়ে যাওয়া এবং সেই সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা পিতামাতার অস্থি বিসর্জন করে আবার ফিরে আসে ঘাটে। নর্মদা, ওরসাং এবং গুপ্ত সরস্বতী। এই তিন নদীর মিলনস্থল। তাই সঙ্গম। একটা সময় এখানে নর্মদার বন্যায় আশেপাশের গ্রামে জল ঢুলে পড়ত। আর আজ এই মুহূর্তে অর্থাৎ এই বর্ষাতেও দেখা যায় চান্দোড়ের শুকনো নর্মদায় গাড়ি পার্ক করে পুণ্যার্থীরা কিছুটা হেঁটে হাঁটুজল পেরিয়ে সেই সঙ্গমে চলে যাচ্ছেন। চান্দোড়ের ৬০০ জন মাঝি আর তাঁদের নৌকাগুলি সারাদিন বসে থাকে। সর্দার সরোবর বাঁধ মাঝেমধ্যে যদি জল ছেড়ে দেয় তাহলে নর্মদার এই অংশে জল আবার পূর্ণ হয় কিছুটা। আর নচেৎ সারাবছর শুকনো। এর পরিণাম কী? চান্দোড় ছেড়ে দলে দলে মানুষ চলে যাচ্ছেন অন্যত্র। ফুড মাইগ্রেশন, জব মাইগ্রেশন, ওয়াটার মাইগ্রেশন দেখছে ভারত অবিরত। এখন রিভার মাইগ্রেশন। নদীতে জল নেই। তাই কৃষি ঩নেই। অর্থাৎ কাজ নেই। সুতরাং গ্রামে থেকে লাভ নেই। দেশের সর্বত্র এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। গুজরাত সরকার নিজেদের কোটা থেকে মাঝেমধ্যে বাঁধ থেকে জল রিলিজ করলেও সেটা স্থায়ী সমাধান নয়। একমাত্র ট্রাইবুনালকে একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা করতে হবে। সেটাও করা হচ্ছে না। ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি?
12th  July, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM