Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অ্যাঞ্জি, আয়লান ও মানবিকতার হত্যা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আরও একটা ছবি...। মর্মান্তিক বললেও কম। আর সেটাই গোটা দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে ফের দেখিয়ে দিল, মানবিকতার থেকে অর্থনীতির গুরুত্ব আজ অনেক বেশি। কালো টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা শরীরটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাদায়। আগাছার মধ্যে। টি-শার্টটা একটু উঠে। তার ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আর একটা শরীর। ২৩ মাসের অ্যাঞ্জির। লালরঙা প্যান্ট পরা নীচের অংশটাই শুধু নজরে আসছে। মাথাটা ঢুকে রয়েছে বাবার টি-শার্টের ভিতর। ছোট ডান হাতটা বেরিয়ে রয়েছে বাবার কাঁধের কাছে। জলের হাল্কা ঢেউ এসে ধাক্কা মেরে ফিরে যাচ্ছে বাবা আর মেয়েকে। শেষবারের মতো। ঠিক যেভাবে চার বছর আগে তুরস্কের সমুদ্রসৈকতে পড়ে ছিল তিন বছরের আয়লান কুর্দির ছোট্ট শরীরটা। সিরিয়ার সেই শিশু গৃহযুদ্ধের নৃশংসতা থেকে বাঁচতে বাবা-মায়ের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিল গ্রিসের দিকে। রিফিউজি ছিল সে। রিফিউজি অ্যাঞ্জি ভালেরিয়াও। হোক না শিশু! আদপে তো রিফিউজি! ইললিগাল মাইগ্র্যান্ট...।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে গোটা দুনিয়া যখন ফাদার্স ডে পালন করছে, অস্কার আলবার্তো মার্টিনেজ তখন মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে। ২৩ মাসের মেয়ে অ্যাঞ্জি ভালেরিয়া, আর স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে... ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গায়ের চামড়া পুড়িয়ে দেওয়া গরমে। দু’মাস ধরে পড়ে ছিলেন সেখানে। নিজের দেশ... এল সালভাডর ছেড়ে। বেঁচে থাকার আশায়। সেখানে শেফের কাজ করতেন একটি রেস্তরাঁয়। দারিদ্র্য, হিংসার পরিবেশ ছেড়ে বেরতে চেয়েছিলেন। মেয়েকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে একটা নিরাপদ জীবন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৈধভাবে আবেদনের যে বিরাট লাইন! আর পেরে উঠলেন না। ঠিক উল্টোদিকে টেক্সাস। রিও গ্রান্দে নদীটা পেরলেই। মাত্র তো ৪০০ মিটার! মেক্সিকোর স্থানীয় প্রশাসন সাবধান করেছিল, নদীর ধারে যেন কেউ না যায়। বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। আচমকা স্রোত বেড়ে যেতে পারে। বেঁচে থাকার তাড়নায় গা করেননি মার্টিনেজ। প্রথমে গিয়েছিলেন মেয়েকে ওপারে পৌঁছে দিতে। অসুবিধা হয়নি। মেয়েকে রেখে ফিরছিলেন... স্ত্রীকে ওপারে নিয়ে যেতে। মেয়ে বুঝল না। দেখল বাবা চলে যাচ্ছে...। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দিয়েছিল অ্যাঞ্জি। মার্টিনেজ ঠাহর করেই ফিরলেন মেয়েকে ধরতে। ততক্ষণে স্রোত বেড়ে গিয়েছে। মেয়ে অ্যাঞ্জির কাছে পৌঁছতেই বাবা আর মেয়েকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল রিও গ্রান্দে। মেক্সিকোর দিকে দাঁড়িয়ে দেখলেন তানিয়া। পরদিন সকালে সাড়ে পাঁচশো মিটার দূরে উদ্ধার হল দু’জনের দেহ।
মেক্সিকোর সাংবাদিক ডে লিউক তুলেছিলেন ছবিটি। দেখিয়েছিলেন বিশ্বকে। আর এই ছবির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আই হেট দিস।’ ঘৃণা করেন তিনি। এবং দায়ী করেন ডেমোক্র্যাটদের। মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল তো তারাই তৈরি করতে দিচ্ছে না! ওখানে সুউচ্চ দেওয়াল তৈরি হয়ে গেলে এসব ঝামেলাই থাকত না! কে আর ওই দেওয়াল টপকে আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করত? তবু তিনি মানবেন না, তাঁর অভিবাসন নীতির জন্যই আজ এই অবস্থা। বারাক ওবামার জমানায় মধ্য আমেরিকার দেশগুলিতে অস্থিরতা কাটানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আলাদা অর্থ বরাদ্দ, শান্তি ফেরাতে এবং হিংসা থামাতে হস্তক্ষেপ... সব ছিল। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে বন্ধ করেছেন। ফলস্বরূপ, মধ্য আমেরিকার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াটা আর শেষ হয়নি। গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভাডর, নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলো আবার ফিরে গিয়েছে দুর্নীতি, হিংসা, অনটনের অতলে। কাজেই চলতি শতকের শুরুর দিকে সীমান্ত পেরিয়ে মার্কিন আশ্রয়ে আসার কারণ শুধু অর্থনৈতিক হলেও ধীরে ধীরে চিত্রটা বদলে গিয়েছে। সেই সময়টা পেটের টানে কারখানায় বা নির্মাণকাজে গতর খাটার উদ্দেশ্যেই মধ্য আমেরিকা বা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে মানুষ পাড়ি জমাত মার্কিন মুলুকে। ফ্লোরিডার অর্ল্যান্ডোয় আলাপ হয়েছিল এক ক্যাবচালকের সঙ্গে। হাইতি থেকে এসেছিলেন ২৩ বছর আগে। তখন থেকেই গাড়ি চালান আমেরিকার রাস্তায়। এটাই তাঁর ধর্ম-কর্ম। দেশের কথা মনে পড়ে না? নাঃ। এক বিন্দু না ভেবে উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। গ্রিন কার্ড হয়েছে। কিন্তু নাগরিক এত বছরেও হয়ে উঠতে পারেননি। তার উপর ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আদৌ আর হতে পারবেন কি না, সে নিয়েও সংশয়ে ছিলেন। অর্থনীতির সে ছবি এখন হু হু করে বদলে গিয়েছে। আজ সবটাই সামাজিক। এখন শুধু আর কাজের খোঁজে একা নয়, স্ত্রী সন্তান, পরিবারকে নিয়ে। সাম্প্রতিক একটা তথ্যে দেখা গিয়েছে, বেআইনিভাবে দক্ষিণের সীমান্ত পেরনোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আটক করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৮৭ জনকে। তার মধ্যে ৮৪ হাজারই সপরিবারে। আরও মারাত্মক পরিসংখ্যান হল, সাড়ে ১১ হাজার একা... নাবালকত্বের সীমা পেরয়নি তারা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার দক্ষিণ সীমান্তে উদ্বাস্তুদের জন্য ‘মানবিকতার’ খাতিরে ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার মঞ্জুর করেছে। প্রবল কষ্টে থাকা শরণার্থীদের যাতে উপকার হয়। পাশাপাশি মেক্সিকোর উপর চাপটাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট অন্যভাবে বজায় রেখে দিয়েছেন। সাফ হুমকি, তোমার দেশ থেকে রিফিউজি ঢোকা বন্ধ করো, না হলে আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দেব। এর ফলে আমেরিকার কোনও ক্ষতি না হলেও মেক্সিকো অবশ্যই ভাতে মারা যাবে। ব্যাপক আর্থিক মন্দার কবলে পড়বে দেশটা। ট্রাম্প সরকার আপাতত তেমন পদক্ষেপ না নিলেও হুমকিটা ঘাড়ের উপর খাঁড়ার মতো ঝুলিয়েই রেখেছে। দিন কয়েকের মধ্যেই পর্যালোচনা হবে, উদ্বাস্তু ঠেকাতে কেমন কাজ করছে মেক্সিকো। সেই বুঝে ব্যবস্থা। মেক্সিকোও পেটের দায়ে ঢেলে মিলিটারি পুলিস নামাচ্ছে। শুধু আমেরিকার দিকে যাওয়া ঠেকালেই যে হবে না! তাহলে শরণার্থী শিবিরগুলোয় মানুষ বাড়তেই থাকবে। তা সামলানো যাবে না। কাজেই যে নদী, জঙ্গল বা পাহাড় পথে মধ্য আমেরিকা থেকে অগুনতি মানুষ এই সীমান্তে এসে পৌঁছচ্ছে, সেই যোগসূত্রটা বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ কঠোর হওয়া ছাড়া গতি নেই।
কিন্তু তাতে কি অ্যাঞ্জেলিকা লোপেজের বা তাঁর সন্তানদের কোনও লাভ হবে? ২৩ বছর বয়সি সিঙ্গল মাদার অ্যাঞ্জেলিকা। থাকতেন হন্ডুরাসের স্যান্টা কোপা দে কোপানে। গ্যাং ওয়ারে বিধ্বস্ত দেশ...। একদিন কয়েকজন বন্দুকধারী এল। বলল, তোমাকে আর তোমার বোনকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। ‘বান্ধবী’র মতো তোমরা আমাদের সঙ্গে থাকবে। জিনিসপত্র গুছিয়ে নাও। ওরা দরজা ছেড়ে বেরতেই আর দেরি করেননি অ্যাঞ্জেলিকা। সাত বছরের ছেলে, আর দু’বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে ছুটেছিলেন মেক্সিকোর দিকে। জানা নেই, কীভাবে বৈধ শরণার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। জানেন না, কীভাবে আমেরিকায় গেলে ওখানকার পুলিস তাড়িয়ে দেবে না... তাও এসেছেন। কাদার মধ্যে শুয়ে দুই শিশুকে নিয়ে সারা রাত কাটিয়েছেন। আর ভিক্ষা করেছেন... একটা নিরুপদ্রব জীবনের। অ্যাঞ্জেলিকার মতোই তো মেক্সিকোর ফেরিয়া মেসোআমেরিকানা সেন্টারের শরণার্থী সেই মা! বন্ধ দরজার নীচ দিয়ে মুখটা বাড়িয়ে ডাকছেন... কেউ যদি শোনে। স্প্যানিশে বলছেন, আমার ছেলেটা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। একটা কণাও খেতে দেওয়া হয়নি। খাবার জল নেই। ওকে বাঁচান। ও মরে যাবে...।
রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দেশ শাসন ভয়ানক বস্তু। দেশ চালাতে গেলে অত চোখের জল ফেলা যায় না। আমাদের বিশ্বনেতারা বারবার তারই প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। তাই প্রাণ দিতে হয় গুরপ্রীত কওরকেও। ঠিক তার সপ্তম জন্মদিনের আগে। ছোট্ট মেয়েটা কালো রঙের টি-শার্ট আর প্যান্ট পরে পা রেখেছিল আমেরিকায়। তারপর পথচলা শুরু হয়েছিল অ্যারিজোনার মরুভূমিতে। ভারতীয় সেই মেয়েটি। ভালো কিছুর আশায় বুক বেঁধে মায়ের সঙ্গে ঢুকে পড়েছিল আমেরিকায়। বাবা ছ’বছর ধরে এখানে আছেন। শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেছিলেন। যা এখনও মার্কিন আদালতে ঝুলে। প্রচণ্ড তেষ্টা...। অন্যদের কাছে মেয়েকে রেখে জলের খোঁজে গিয়েছিলেন গুরপ্রীতের মা। ফিরে এসে দেখেছিলেন মেয়ের নিথর দেহ। পরে গুরপ্রীতের বাবা-মা বলেছিলেন, ‘নিরাপদ, আরও ভালো কিছু হবে ভেবেই না এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম! ভারত ছেড়ে এসেছি। ভেবেছি কোনওরকমে মার্কিন মুলুকে শরণার্থী হতে পারলে মেয়েটাকে ভালোভাবে মানুষ করতে পারব। কোনও বাবা-মা কি ইচ্ছাকৃত সন্তানকে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে বলুন? আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না।’
কী দোষ ছিল গুরপ্রীতের? কী দোষ ছিল অ্যাঞ্জির? দেশ, সীমান্ত, ক্ষমতা... এসবের জাঁতাকলে পড়ে আজ একের পর এক অ্যাঞ্জি হারিয়ে যাচ্ছে এই পৃথিবী থেকে। গুরপ্রীতের মা পারেননি। অপেক্ষায় রয়েছেন অ্যাঞ্জেলিকা। অপেক্ষায় সেই অসুস্থ সন্তানের শরণার্থী মাও। কতদিন? একটা সময় আর পারা যাবে না। এঁরাই সবকিছু ভুলে মরিয়া একটা চেষ্টা করবেন। বন্দুকের নলের মুখে পেরতে যাবেন কাঁটাতার। কিংবা ঝাঁপিয়ে পড়বেন জলে। মার্টিনেজের বোঝা উচিত ছিল, রাজনীতি বা দেশের স্বার্থের কাছে মানবিকতা আজ বিকিয়ে গিয়েছে। তাই মেয়ে অ্যাঞ্জিকে ভালো জীবন তিনি দিতে পারেননি। কিন্তু মৃত্যুর সময়... এক মুহূর্ত কাছছাড়া করেননি তাকে। ভেবেছিলেন নিজের টি-শার্টের নীচে মেয়েকে আগলে নিতে পারলে শেষমেশ ওপারে পৌঁছে যাবেন। পৌঁছলেন। কিন্তু নিষ্প্রাণ। লোকে বলে, মা সন্তানের জন্য সবকিছু করতে পারে। কিন্তু একজন বাবা তো মা এবং সন্তান দু’জনকেই কাঁধে নিয়ে চলে... নিঃশব্দে। আজীবন। আমৃত্যুও।
বিলেটেড হ্যাপি ফাদার্স ডে মার্টিনেজ...।
02nd  July, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM