Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাটমানি ও শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

সুশান্ত শীটের কথা মনে আছে? বাঁকুড়া জেলার জগদল্লা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সেই লরিচালক, যিনি পঞ্চায়েত ভোটে মাত্র আধবেলা নিজের বুথে প্রচার করে তৃণমূল কংগ্রেসের দশ বছরের পঞ্চায়েত সদস্যকে ৩৪৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন। লরির স্টিয়ারিং ধরে কড়া পড়া সুশান্তবাবুর সেই হাতেই এলাকার মানুষ তুলে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত পরিচালনার স্টিয়ারিং। আর উপপ্রধান হয়েছিলেন মিনি লরির চালক। রাজনীতির সঙ্গে দু’জনেরই বিন্দুমাত্র সম্পর্ক ছিল না। তবুও ভোটাররা তাঁদেরই জিতিয়ে দিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিকে যারা কারবারে পরিণত করেছে মানুষ তাদের পছন্দ করে না। রাজনীতির কারবারিরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটেই ছিল ঈঙ্গিত, সুযোগ পেলে মানুষ ধাক্কা দিতে তৈরি। আর সব কিছুর অভাব যতই থাক, গ্রামের রাজাদের মাটিতে আছড়ে ফেলে খান খান করে দিতে দড়ি ধরে টান মারার লোকের কিন্তু অভাব হবে না।
পরাধীন ভারতে রাজনীতির উদ্দেশ্য ছিল দেশসেবা। তখন যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা দেশকে, সমাজকে জীবন দেওয়ার জন্য জীবনধারণ করতেন। স্বাধীনতা লাভের পরেও যাঁরা রাজনীতিতে ছিলেন তাঁদের বেশিরভাগের চোখে ছিল দেশ ও সমাজ গড়ার স্বপ্ন। তাই গ্রামেগঞ্জে স্কুল, কলেজ করতে, হাসপাতাল গড়তে কেউ দিয়েছেন অর্থ, কেউ দিয়েছেন জমি। আর যাঁদের দেওয়ার মতো কিছুই ছিল না, তাঁরা দিতেন স্বেচ্ছাশ্রম। সকলের লক্ষ্য ছিল একটাই, দেশকে নতুন করে গড়তে হবে।
আর এখন? রাজনীতি যেন আক্ষরিক অর্থেই পেশা। গ্রামবাংলায় অনেকে একটা কথা বিদ্রুপ করে বলে, ‘যার নেই কোনও গতি, সে করে রাজনীতি।’ বিনা পুঁজির রমরমা কারবার। আর অধুনা কাটমানি ইস্যু সেই বিনা পুঁজির ব্যবসার মূলেই হেনেছে আঘাত।
এই মুহূর্তে রাজ্যের সব চেয়ে জ্বলন্ত ইস্যু কাটমানি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি ইস্যু প্রকাশ্যে আনতেই রাজ্যজুড়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এই ঝড়ের মধ্যে দিয়েই কি একটা সার্বিক শুদ্ধিকরণের জোরদার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল? প্রশ্নটা কিন্তু মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বাম জামানার শেষদিকে সিপিএম নেতৃত্ব যখন উপলব্ধি করেছিলেন, ‘গ্রামের মিনি রাইটার্স বিল্ডিং’ পঞ্চায়েতের হাত ধরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি, ক্ষমতা আর অর্থের দম্ভে পার্টির কেষ্টবিষ্টুরা ক্রমশ হচ্ছেন জনবিচ্ছিন্ন, ঠিক তখনই দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা শুদ্ধিকরণের আওয়াজ তুলেছিলেন। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন, শুদ্ধিকরণ না করতে পারলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বামশাসনের ইমারত। সেই কথা মাথায় রেখে লোকাল কমিটি থেকে রাজ্য সম্মেলন সর্বত্রই শুদ্ধিকরণ ছিল চর্চার বিষয়। নেতারা মুখে শুদ্ধিকরণের বুলি আওড়ালেও কাজে করে দেখানোর সাহস পাননি। কারণ বুঝেছিলেন, ঠগ বাছতে গেলে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কাউন্সিলারদের সভায় ‘অন ক্যামেরা’ কাটমানির প্রসঙ্গ তুলে দলীয় নেতাদের জনগণের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানি ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
যাঁরা আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কমিশন বা কাটমানি খেয়েছেন তাঁরা টাকা ফেরত দেবেন কি না, বা আদৌ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও তাঁর এই হুঁশিয়ারিতে নতুন করে কাটমানি খাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। তাঁর এই ভাষণকে হাতিয়ার করে প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপির ছত্রচ্ছায়ায় চারিদিকে একটা মার মার, কাট কাট ব্যাপার শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে কাটমানি-প্রিয় অনেক নেতা যে রুষ্ট হয়েছেন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। অনেক জায়গায় ব্যক্তিগত ঝাল মেটানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই মাঝে রাস্তাঘাটে, চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে এখন একটাই চর্চা, কাটমানি। অনেকেই বলছেন, দিদি ঠিক করেছে। কথায় কথায় কাটমানি খাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এত কাজের পরেও যাদের জন্য দলের ভরাডুবি হয়েছে তাদের শাস্তি পাওয়াই উচিত। সব চেয়ে বড় কথা, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর কাটমানি খাওয়ার সাহস এই মুহূর্তে কেউ দেখাবে না। কেউ কেউ বলছেন, লোকসভা ভোটের ধাক্কায় বেসামাল তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে এই দহনের জ্বালাটুকু সহ্য করতেই হবে। দহনজ্বালা সহ্য করতে পারলেই খাদটুকু বেরিয়ে যাবে। তাতে অন্তত খাঁটি হওয়ার একটা সুযোগ অন্তত তৈরি হবে। আদিরা থেকে যাবে, ২০১১ সালের মুখে যারা মৌরসিপাট্টা গেড়ে বসেছিল, তারা নতুন করে পাওয়ার আশায় বেরিয়ে যাবে।
রাজা আসে, রাজা যায়। রাজা বদলায়। ২০২১সালে রাজ্যের রাজা বদলাবে কি না, সেটা সময় বলবে। তবে, লোকসভা ভোটের ফলাফলকে মাপকাঠি ধরে যাঁরা আগামী বিধানসভা ভোটের ভবিষ্যৎ
গণনা করতে চাইছেন তাঁদের কয়েকটি বিষয় ভেবে দেখা দরকার। প্রথমত, ২০১৯ সালে হয়েছে লোকসভা অর্থাৎ দেশের সরকার গড়ার ভোট, আর ২০২১ সালে হবে রা঩জ্যে সরকার গড়ার ভোট।
যোগ্য বিরোধী মুখ না থাকায় প্রধানমন্ত্রিত্বের
প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদি যে অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে সেই একই বেনিফিট
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
দ্বিতীয়ত, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল পরাজয়ের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কাটমানি। বহু জায়গায় তৃণমূলের মাতব্বররা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে নির্লজ্জভাবে সমব্যথী প্রকল্পে পর্যন্ত হাত পেতে টাকা নিয়েছে। তাতে মাতব্বরদের বাড়ি, গাড়ি, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কিন্তু, নিজের প্রাপ্যের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার যন্ত্রণায় আপনজনও যে পর হয়ে গিয়েছে, সেটা উপলব্ধি করার মতো বোধশক্তি মাতব্বররা হারিয়ে ফেলেছিল। মাতব্বররা বুঝতে পারেনি, ভোটের দিন তাদের পয়সায় যারা বিরিয়ানি, মাংস ভাত খেয়েছে তারাই চটের আড়ালে বোতাম টিপেছে পদ্মফুলে। তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণ বিশ্লেষণে কাটমানির বিষয়টি সবচেয়ে বড় বলে ধরা পড়েছে। কোনওভাবে কাটমানি ক্ষোভ দূর করতে পারলেই উন্নয়নের বেনিফিট ঘরে তুলতে তৃণমূলকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
নতুন দল গঠন করে সিপিএমের পাথর জমাট সংগঠনকে যিনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাঁকে খুব সাধারণ ভাবাটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের পর খুব ভালো করে বুঝেছেন, রাজ্যে যতই উন্নয়ন করা হোক না কেন, মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যতই পরিষেবা দেওয়া হোক না কেন, হাসপাতালে যতই বিনা পয়সায় পরিষেবা দেওয়া হোক না কেন, কাটমানির পায়ে বেড়ি পরাতে না পারলে কোনও লাভ হবে না। এক ফোঁটা গোচোনা যেভাবে গোটা বালতির দুধ নষ্ট করে দেয়, তেমনই তৃণমূলের মাতব্বরদের কাটমানি খেয়ে ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে ওঠা মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত ভালো কাজে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির মূলেই কুঠারাঘাত করেছেন। তাঁর এই ‘শুদ্ধিকরণ’ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২১ সালটা হবে ইতিহাস সৃষ্টির বছর। রচিত হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ইতিহাস।
এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যেমন দুর্নীতি পছন্দ করেন না, তেমনই চান না বিশৃঙ্খলা। কাটমানি ইস্যুতে বিভিন্ন এলাকায় সিপিএমের গোডাউনে চলে যাওয়া ক্যাডাররা বিজেপির পতাকা নিয়ে সামনের সারিতে চলে এসেছে। ক্যাডাররা এখন ‘নো রিস্ক ফুল গেন’ থিওরিতে খেলে যাচ্ছে। কারণ মারছে সিপিএম, নাম ফাটছে বিজেপির।
প্রায় কোনও রকম সংগঠন ছাড়াই বিজেপি এরাজ্যে ১৮টি আসনে জিতেছে। সৌজন্যে নেগেটিভ ভোট। সাংগঠনিক ভোটে ধস নামতে সময় নেয়। কিন্তু, ফ্লোটিং ভোট ঘুরতে সময় নেয় না। কাটমানি ইস্যুতে দিকে দিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে
পেশির আস্ফালন বাড়বে, বই কমবে না। এটা
গেরুয়া শিবিরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। তাই
সাবধান ও সতর্ক হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তা
না হলে নেপোয় দই মেরে চলে যাবে, পড়ে থাকবে শুধু ভাঁড়টা।
30th  June, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM