Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবিজেপি ভোটে বাজিমাত
বিজেপির, এবং তারপর...
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আলোড়ন! নিঃসন্দেহে একটা জবরদস্ত আলোড়ন উঠেছে। লোকসভা ভোটফল প্রকাশ হওয়া ইস্তক সেই আলোড়নের দাপটে রাজ্য-রাজনীতি থেকে সাধারণের অন্দরমহল জল্পনা-কল্পনা, বিবাদ-বিতর্ক, আশা-আশঙ্কায় যাকে বলে রীতিমতো সরগরম! পথেঘাটে আকাশে বাতাসে যেখানে সেখানে ছিটকে উঠছে উৎকণ্ঠা নানান জিজ্ঞাসা। আর সেই শতসহস্র জিজ্ঞাসার মধ্যে ঘুরে ফিরে একটাই সবচেয়ে বড় হয়ে ঘুরে ফিরে আসছে—সবুজ ঘাসফুলের একচ্ছত্র রাজ্যে কীভাবে গেরুয়া রথ এতদূর এল, মমতার সর্বব্যাপ্ত প্রভাব প্রতিপত্তির দেশে কী করে ফুটল এত পদ্ম! ফুটল কেন? এবং তার সঙ্গেই উঠে আসছে সংশয় সন্দেহ—তবে কি এবার ইভিএমে সত্যিই কোনও ছুমন্তরের খেলা ছিল, নাকি গদ্দারি করেছে নিজেদের লোক! নাকি গোটাটাই বাম-কংয়ের লীলা! হিসেব কষতে কষতে দিনরাত কাবার হয়ে যাচ্ছে—কিন্তু কেউই যেন শত শতাংশ নিশ্চিত হতে পারছেন না! কী ঝকমারি!
এদিকে ভোট মিটতেই আঠারোর বাদ্যি বাজিয়ে কার্যত দখল যুদ্ধে নেমে পড়েছে বিজেপি। একদিকে গেরুয়া ঢেউ আছড়ে পড়ছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। তৃণমূলের সবুজ পার্টি অফিস রাতারাতি রং পাল্টে গেরুয়া ধারণ করছে, রং পাল্টানো নিয়ে ধস্তাধস্তি মারামারি রক্তারক্তি হচ্ছে, মন্ত্রীর সামনে আঙুল উঁচিয়ে চলছে প্রতিবাদ, গো-ব্যাক স্লোগান, পুরসভার চেয়ারম্যানের টেবিল চাপড়ে ফেটে পড়ছে জমানো ক্ষোভ, ব্যারাকপুর কাঁচরাপাড়া ভাটপাড়ায় গেরুয়া দাপটে সন্ত্রাসের তাপ ঝলসাচ্ছে, শাসক তৃণমূলের হাত ছাড়িয়ে গোটা পুরসভা চলে যাচ্ছে গেরুয়া কব্জায় এবং আরও কত কীই না হচ্ছে! সংশ্লিষ্ট এলাকায় এতদিনের প্রবল প্রতাপ তৃণমূলকেও মাঝেমধ্যে কেমন যেন একটু অসহায় অস্থির দেখাচ্ছে! অন্যদিকে, ভোটফলে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর পদ্মদলে ‘চাণক্য’ শিরোপা পাওয়া মুকুল রায়ের কার্যক্রম নিয়েও যেন একটা কী হয় কী হয় ভাব ছড়িয়েছে। রাজ্য রাজনীতির মহলে তো বটেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও ‘এর পর কে, কোনও রথী না কোনও মহারথী’—নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তার ওপর মুকুল রায় অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের তরফে দফায় দফায় যে সব চেতাবনি উড়ে আসছে—তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়ক কাউন্সিলার নেতা উপনেতা ছোটনেতাদের গেরুয়া ধারণের যে লম্বা অপেক্ষা-লিস্টের কথা বলা হচ্ছে এবং সর্বোপরি রাজ্য বিধানসভা ভোট এগিয়ে এনে পদ্মশাসন কায়েমের যে সম্ভাবনা গণপরিসরে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে রাজ্যের রাজনৈতিক প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সর্বস্তরেই কৌতূহল উত্তেজনা উদ্বেগ যে ক্রমবর্ধমান তাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নেই।
মানতেই হবে, এসবের সম্মিলিত চাপে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূলও। আর তাতে আশ্চর্যেরও কিছু নেই। বলতে কী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এমন রাজনৈতিক আলোড়ন, শাসকের সঙ্গে এমন জোরালো টক্কর তো এককথায় সত্যিই নজিরবিহীন। মুকুল রায়ের দলভাঙানোর কৌশলও একদিক থেকে শাসকদলকে বেশ অসুবিধেয় ফেলছে। অর্জুন সিং কি তাঁর মতো কয়েকজন দল ছাড়লে এত বড় একটা দল বিশেষত যার সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জননেত্রী—তার বিশেষ কিছু যায় আসে না। বাস্তবিকই তাই। কিন্তু, বিজেপির ১৮ প্রাপ্তি ও এই দলবদলুদের উদাহরণ করে মমতা বিরোধীরা যে বোঝাতে শুরু করেছেন, এ হল তৃণমূলরাজের ওপর রাজ্যবাসীর অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ! তাঁরা এবার বিকল্প চাইছেন। এমন বোঝানোতে যাঁরা বুঝবেন তাঁদের রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা যেতেই পারে। কেননা, লোকসভা ভোট এবং রাজ্য বিধানসভা ভোট যে প্রকৃতিগতভাবে আলাদা এবং দুই ক্ষেত্রে একই ভোটদাতার মানসিক বিচারবুদ্ধিও যে একভাবে কাজ করে না—সেটা অতীতে কিন্তু প্রমাণিত। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা-আবেগ ভোটে কংগ্রেসের রেকর্ড আসনে জয়ের পর অনেক বোদ্ধাই ভেবেছিলেন ১৯৮৭ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের হটিয়ে ফের একবার কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবে, ১৯৭২ সালের কলঙ্ক মুছে পশ্চিমবঙ্গে আবার কংগ্রেস-রাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। হয়নি। ১৯৮৪ লোকসভা ভোটে পূর্ববর্তী লোকসভার ১২ আসন ও প্রায় ৫ শতাংশ ভোট খুইয়ে মাত্র ২৬ আসন এবং ৪৭.৬ পাওয়া সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেরা ২৫১ আসন ও ৫৩ শতাংশ ভোটের বিপুল ক্ষমতা নিয়ে ফিরে এসেছিল ১৯৮৭-র বিধানসভায়! তবে, এই বোঝানোর ভবিষ্যৎ ফলটিকে সন্দেহ করতেই হয়! এবং এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, বরং সন্দেহ করে ভুল করা ভালো, সন্দেহ না করে ভুল করা মারাত্মক— এই তত্ত্ব মানাটাই বিধেয়। কেননা, মহাপুরুষেরা বলেছেন, মানুষের মন, বিচলিত হইতে কতক্ষণ!
আর এবার এ রাজ্যের লোকসভা ভোটে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যের পিছনে এই বিচলিত মন মানুষের ভূমিকা কতটা গুরুতর তা তো পরিসংখ্যানেই প্রমাণিত। বিগত লোকসভার চেয়ে যে ২২ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে বিজেপি আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে তার মধ্যে কটা তাঁদের নিজস্ব ভোট মানে গেরুয়া শিবিরের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ, কমিটেড? বুকে হাত দিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ কেউই খুব জোর দিয়ে বলতে পারবেন না। বরং, সাধারণ ধারণা দাঁড়িয়েছে এই যে মূলত সিপিএমের বামমনস্ক ভোট (সিপিএমের ভোট কমেছে ২২ শতাংশ) এবং সঙ্গে কংগ্রেসের হতাশ ভোট (ভোট কমেছে ৪.৫ শতাংশ) আর তৃণমূলের সামান্য কিছু বিভ্রান্ত ভোট (তৃণমূলের ভোট ৬ শতাংশ বেড়েছে জেনেও) মিলেমিশেই ওই ২২ শতাংশের বিকাশ। অর্থাৎ, অবিজেপি ভোটে বাজিমাত করেছে বিজেপি। কিন্তু, তারপর? তারপরই শুরু হয়ে গেছে তোলপাড়। বারাকপুর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া থেকে কোচবিহার জঙ্গলমহলের নানা জেলা মায় কলকাতা ও তার সন্নিহিত এলাকায় শাসক তৃণমূলের সঙ্গে সমানে সমানে শক্তি প্রদর্শনে নেমে পড়েছে গেরুয়াবাহিনী। আমাদের রাজ্যে অবশ্য, ভোট পরবর্তী এই সন্ত্রাস একটা রীতি রেওয়াজের মতো।
কিন্তু সমস্যা হল, যে নির্বাচনটা গেল সেটা দেশের সরকার গড়ার নির্বাচন এবং সেখানে যাবতীয় হিসেবপত্তর উল্টে দিয়ে প্রায় নজিরবিহীন জয় পেয়েছে বিজেপি এবং মোদিজির নেতৃত্বে দেশে একটা জবরদস্ত সরকার কায়েম করেছে। সেই সরকারে পশ্চিমবঙ্গের ১৮ আসনের অভাবিত সাফল্যও নিশ্চয়ই আলাদা সমীহ পাবে। আপাতত দু’জন মন্ত্রী ভবিষ্যতে বেড়ে যেতেও পারে সংখ্যায়। কিন্তু, এ রাজ্যে বিজেপির মূল লক্ষ্য তো বিধানসভা। নিয়ম মোতাবেক ২০২১ সালে বিধানসভার ক্ষমতা দখলের যুদ্ধ হওয়ার কথা। মাঝে আছে কলকাতা সমেত রাজ্যের পুরসভাগুলোর নির্বাচন। ভোটে ভোটে সময়ের ব্যবধান রাজনৈতিক প্রস্তুতির দিক থেকে দেখলে খুব বেশি নেই। এমন পরিস্থিতিতে নবজাগ্রত বিজেপি এ রাজ্যে যে চড়া সুরে তাদের রাজনীতির তার বেঁধেছে তা ওই অবিজেপি ভোটের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হচ্ছে তো? বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে নৈহাটি, কাঁচরাপাড়ায় বা রাজ্যের অন্যত্র গেরুয়া নিশান ওড়ার পরে পরিস্থিতির যে অগ্নিগর্ভ রক্তঝরা সন্ত্রস্ত রূপ দেখা যাচ্ছে, তা নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের বলিষ্ঠ সূচক হিসেবে চিহ্নিত হতেই পারে কিন্তু বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষজনের কাছে নতুন দলের সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাঠাচ্ছে তো!? মনিরুল ইসলামের মতো বিতর্কিত তৃণমূলীকে দলে নেওয়ার পর হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও অসন্তোষ আড়াল করেননি। ফলে, মনিরুল ইসলামের পদ্মসফর শেষপর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হল না। এতে বীরভূমের সাধারণ মানুষের কাছে একটা ভালো বার্তা হয়তো গেল। কিন্তু, সেইসঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে মুকুল রায় বিজয়বর্গীয়দের সঙ্গে দিলীপ-রন্তিদেবদের দলীয় লাইনগত বোঝাপড়ার ঘাটতিটাও কি উঠে এল না? প্রশ্নটা কিন্তু তুলছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের আরও বক্তব্য, মনিরুলের সাম্প্রতিকে তেমন কোনও সক্রিয়তাই তো ছিল না, যা ছিল সব অতীতে ছিল। কিন্তু বর্তমানে বারাকপুর নৈহাটি ভাটপাড়ায় যা চলছে তা তো ভয়ঙ্কর! সে ব্যাপারে বিজেপি নেতৃত্ব নীরব কেন!? তাহলে কি বিজেপিতেও আসন জেতাটাই সব! পরবর্তীতে সেই জয়ের জোরে যা ইচ্ছে করা যায়!
অবিজেপি ভোটকে বিজেপিতে স্থায়ী করে আগামী বিধানসভা যুদ্ধে কিছু করে দেখাতে হলে কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব অবিলম্বে খুঁজে দিতে হবে আম জনতাকে। কেননা, বিজেপির সবচেয়ে বেশি সমর্থন মিলেছে বাম-মনস্কদের কাছ থেকে। সাধ করে তাঁরা বিজেপির বাক্স ভরাননি। ২০১৪ সালে বামেদের বাক্স ভরিয়েও (৩০ শতাংশ প্রায়) মাত্র ০২! সেই হতাশা আর চলতি সরকারের কাজকর্মে অসন্তোষ মিলেমিশে তাদের টেনেছে পদ্মে। অবিজেপি সেই ভোটকে পরের নির্বাচনগুলোতে পাশে পেতে হলে বিজেপির কর্মকাণ্ডে সংযম শান্তি ফেরাতেই হবে। মনিরুলের মতো কে দলে এল গেল তাতে মানুষ ভাবিত নয়। ভাবিত তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে যদি সন্ত্রাসের বাতাবরণ দীর্ঘস্থায়ী হয় আর তার জন্য অভিযোগের অধিকাংশ তির বিজেপির দিকে ধায় তাহলে ওই অবিজেপি মানুষজনের গেরুয়া বিশ্বাস শেষঅবধি কতদূর বজায় থাকবে তা নিয়ে রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞজনেরাও নিশ্চিত নন। এমন পরিস্থিতিতে বলতে কী, ওই বিপুল অবিজেপি ভোট ধরে রাখাটাই রাজ্যে বিজেপির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভোট এগিয়ে এনে সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চাইছেন পদ্ম নেতৃত্বের একাংশ। অন্তত খবর তেমনই। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেবল
ভোট এগিয়ে এনে কি ওই চ্যালেঞ্জ জেতা যাবে?
06th  June, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM