বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যেমন বুদ্ধদেব রাজার ঘরে জন্মেছিলেন। কোন জিনিষেরই অভাব ছিল না। তবে কিসের জন্য রাজঐশ্বর্য ত্যাগ করে পাহাড়ের গুহায় অবস্থান করলেন? মনে হয় এই কথা আজ আর কারো জানতে বাকি নেই।তারপর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর উপযুক্ত সুন্দরী স্ত্রীকে ত্যাগ করে কেনই বা ভগবৎ নাম বিতরণ করবার জন্য ঘর থেকে পথে নেমে এলেন? তবে কি বলা যায় যে তিনি অজ্ঞানী ছিলেন? কিন্তু তখনকার দিনে তাঁর মতো এত বড় জ্ঞানী বড়ো একটা ছিলনা। এসব দেখে কি মনে হয় ভগবান বলে যা এ পৃথিবীতে প্রচারিত,তা একদম অলীক অর্থাৎ মিথ্যা এবং গুজব?
এ ছাড়াও এ জগতে আরও অনেক সাধকের কথা প্রচারিত আছে। ভারতের সাধক সমাজেও দেখা যায়, কত সাধক এই পুণ্য তীর্থ ভারতবর্ষে এসে মানব কল্যাণ করার জন্য অমর হয়ে আছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য—বামাক্ষেপা, তৈলঙ্গস্বামী, রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত, সন্তদাস বাবাজী, নিম্বাকাচার্য, তোতাপুরী, চণ্ডিদাস, রায়-রামানন্দ, জয়দেব, নিগমানন্দ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ ইত্যাদি। এককথায় বলতে গেলে—ভারত কখনও সাধক শূন্য হয়নি। এঁনাদের নাম ভারতের সাধক সম্বন্ধীয় গ্রন্থে আছে। আবার এঁনাদের কৃপা প্রার্থী আরো কতজন আছে, সেও প্রায় কয়েক কোটি হবে। এঁনাদের সাথে ভগবানের লীলা খুবই ঘনিষ্টভাবে হয়েছিল এবং ওই সব মহাপুরুষদের কাছে যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁরাও ভগবৎ কর্ম করে নিশ্চয়ই ভগবৎ আনন্দ লাভ করেছিলেন। এর প্রমাণ হলো, তাঁদের মধ্যে আর কেউই নতুন করে সংসারে আবদ্ধ হননি বা বিষয়মুখীও হয়ে পড়েননি। তবে সাধুদের আবার অনেক জাত আছে। একদল সাধু আছেন, যাঁরা সর্বত্যাগী। একদল আছেন, যাঁরা নির্লিপ্ত অবস্থায় থাকেন। আবার আর একদল আছে, যারা ভেক ধারণ করে সাধুবেশের মাধ্যমে নিজেদের ইন্দ্রিয় ভোগ চরিতার্থ করছে। এরা আদৌ সাধু পদবাচ্য নয়।
শ্রীশ্রী আচার্য জ্ঞানেশ্বরদেব প্রণীত ‘জ্ঞানেশ্বরোপনিষদ্’ (৪র্থ খণ্ড) থেকে