Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

 অর্দ্ধনারীশ্বর

যাঁহার অস্তিত্বে আমাদের অস্তিত্ব, যাঁহার শক্তিতে কার্য্যকরী সমস্ত শক্তি আমাদের মধ্যে সঞ্চারিত, সেই অনির্ব্বণীয় আত্মাব্রহ্ম অর্দ্ধনারীশ্বররূপে আছেন জীবে জীবে। তিনিই জনক তিনিই জননী! লীলা করিতেই তিনি স্ত্রীপুরুষভাবে ভাবিত হইয়া হইয়াছেন অনন্ত জীবমিথুনের স্রষ্ট্রা। অতএব আমরা বলিতে পারি তাঁহার সত্তায় আমরা সত্তাবান। তাঁহার প্রাণশক্তিতে আমরা প্রাণময়, ক্রিয়াশক্তিতে ক্রিয়াময় ও জ্ঞানদীপ্তিতে প্রকাশময়। তিনি আমাদের প্রেরক। অজ্ঞানান্ধ জীব আমরা ইহা জানিনা। সর্ব্বশক্তির উৎস এই মা’কে না জানিয়া আমরা মায়ের স্থলে অভিষিক্ত করিয়া লই নিজকে ; হই দাতা, কর্ত্তা ও ভোক্তা ফলে জড়দেহ লইয়া থাকি সর্ব্বক্ষণ ভোগচঞ্চল। ভোগের নেশায় দিশাহারা আমাদের এইভাবে হয় জগতে সংসরণ-মরণের পর মরণ, ভোগে ভোগে ক্ষরণ,—ক্ষরণে ক্ষরণে শিহরণ ও প্রতি শিহরণে আত্মবিস্মরণ। ফলে জন্মের পর জন্ম কতবার যে পরিগ্রহণ করিতে হয় তাহার ইয়ত্তা থাকেনা। তবুও ভোগ তবুও ভোগ, অতৃপ্ত পিপাসা থাকিয়া যায় ভোগে। অহো! কী দুর্ব্বার ভোগস্পৃহা! ভোগে ভোগে হয় পূর্ণ সম্ভোগ সংসার খেলায়। জননী ভোগদায়িনী, ভোগ প্রদান করিতেই ইনি সর্ব্বজীবে করেন আত্ম-প্রকাশ। তাই সর্ব্বজীবের অন্তরে অন্তরে জাগ্রত রহিয়াছে দারুণ ভোগ-পিপাসা। ভোগ পিপাসু জীব আসঙ্গলিপ্সায় ব্যাকুল। স্ত্রী কামনা, পুত্র কামনা, বিত্ত কামনা, কামনা তাহার শতসহস্রমুখী। ভোগের উন্মাদনায় জীব ছুটে দিকে দিকে, বিরাম নাই বিশ্রাম নাই, জীবের ভোগপথে গতি অবিচল। আত্মশক্তি মা সর্ব্বজীবের অন্তরে থাকিয়া নিত্য নিত্য চর্ব্ব্য চৌষ্য লেহ্য পেয়াদি বিবিধ ভক্ষ্য গ্রহণ করিতেছেন। ঐ যে সর্ব্বাত্মশক্তি-মায়ের ভোজনে সর্ব্বজীবের ভোজন, মুখব্যাদানে সর্ব্বজীবের মুখব্যাদান, সম্যকরূপে চিন্তা করিলে উহা কতই বিরাট! কতই ভীষণ! ইহা জানাইতেই ঋষি তদীয় শিল্পে রক্তাক্ত সৃক্কনী যুগলে ভীষণারূপে কল্পনা করিয়াছেন মা’কে। মহামহিমমণ্ডিত তামসীর উহাই সর্ব্বগ্রাসী ছবি! ঐ যে সৃক্কনী যুগলে ভীষণা মায়ের লোল রসনা, ইহাই দুষ্পূরণীয়া ভোগবাসনা। সুতরাং ভোগপ্রবৃত্তি সহজে বা সহসা নিবৃত্ত হয়না। জীবের ভোগপ্রবৃত্তির নিবৃত্তি না হইলে সংসার উচ্ছেদ হওয়াও হয় অসম্ভব। তবে কি ইহার উপায় নাই? উপায় নির্দ্দেশ করিয়াছেন ঋষি।
“জিতং সর্ব্বং জিতে রসে”।
রসনা বিজয়ে বাসনা বিজয়, বাসনা বিজয়ে জন্মমৃত্যুময় সংসার চিরতরে ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া যায়। সংসার উচ্ছেদ করিবার হেতু একমাত্র স্বীয় জিহ্বাকে দৃঢ়রূপে সংযত রাখা। দুর্ব্বার ভোগ প্রবৃত্তির নিয়ামিকা মায়ের লোলরসনা ঐ যে সুদৃঢ় দন্তচাপে আবদ্ধ। সুদৃঢ় চাপে বদ্ধ রসনা মোক্ষমার্গে উপনীত করে জীবকে। চিত্র সহায়ে ইহা শিক্ষা দিয়াছেন ঋষি। বস্তুতঃ যাহাদের রসনা অসংযত, অতি ভাষণে ও অতি ভোজনে তাহাদেরই হয় দুরাগ্রহ। অতি ভাষণে বাক্যের অপচয়-তাহাতে ঘটে চলচ্চিত্ততা, ফলে পরনিন্দা ও পরচর্চ্চা করিবার অভ্যাস বাড়িয়া উঠে দ্রুত। আলোচিত অবগুণে গুণান্বিত জীবের অনিবার্য্য গতি হয় নরকে। অন্যদিকে অতি ভোজনের কুফলও ফলিয়া থাকে সত্তর। ইহাতে চিত্ত হয় লোভাতুর। অত্যাহারে হয় রসবৃদ্ধি, রসে কাম, কামে রাগ, রাগে বুদ্ধিভ্রংশ হয় সুনিশ্চিত।
কাম, ক্রোধ ও লোভ এই তিনটি নরকের দ্বার। কিন্তু বিচার করিলে দেখা যাইবে উহাদের মূলে রহিয়াছে আমাদের মহাশত্রু জিহ্বা। জিহ্বা সকল ইন্দ্রিয়ের গতিদাতা। জিহ্বাবেগ সম্বরণ করা যায় না। জিহ্বা দুর্দ্দমণীয়, গুরু লঘু বিচার থাকেনা বলিতে। ঐ যে অসংগত ভাষণ, ইহা মানীজনের উপর বজ্রাঘাতের ন্যায় কার্য্য করে। পক্ষান্তরে কটুবাক্যপ্রয়োগকারীকেও অন্যের নিকট লঘু হইতে হয়। কর্কশভাষী সজ্জন সমাজে চিরদিনই অনাদরের পাত্র। জীবনের বাস্তবক্ষেত্রে আমরা এই সমস্ত সত্য উপলব্ধি করিতে পারি। সুদৃঢ় দন্তচাপে আবদ্ধ রসনা দর্শনে আমরা স্মরণ করিতে পারি ঋষি গাথা—
“স্বীয় জিহ্বা শাসনে রাখিবে।”
কি চমৎকার পরিকল্পনা! চিত্র সহায়ে শিক্ষা দিয়াছেন ঋষি কত সহজে।
অতঃপর আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কর্ণদুলরূপে দোদুল্যমান ঐ শব যুগল। শব-যুগলে কি ভাব নিহিত! দর্শনেই জাগে জিজ্ঞাসা, ইহারা কি?
দিকে দিকে রহিয়াছে অনন্তজীব; কেহ ভোগবিলাসী কেহ মোক্ষাভিলাষী। ভোগে ভোগে ক্ষরিত, ব্যয়িত ও রূপায়িত হইয়া যায় বলিয়া ভোগী ক্ষরপুরুষ। বিবিধভোগ করিতে গিয়া ভোগী পায় মরণের পর মরণ, মরণে নব জন্ম, নিত্যনূতন ভোগদেহ। স্থূল জগতে মহাকাশের তলে ভোগীর এইভাবে হয় গতাগতি। আর সূক্ষ্ম জগতে চিত্তাকাশে জীব সূক্ষ্মাভিমানী। ভোগে ভোগে ইহাদের ক্ষরণ নাই বলিয়া ইহারা অক্ষর পুরুষ। কেননা ইহারা যোগাভিলাষী মুমুক্ষু। মুমুক্ষু আপনার অপরিণামী অব্যয় অক্ষয় সুসূক্ষ্ম ব্রহ্মরূপ ভাবনায় মগ্ন হইয়া প্রাপ্ত হয় সাধনসুলভ আলোক, ঐ আলোকে দিব্যদেহ এবং দিব্যদেহ লইয়া আনন্দে যাপন করেন ভূতলে আনন্দপূর্ণ নিরাময় দিব্যজীবন। উভয় জগতে উভয় আকাশের তলে উক্ত ক্ষর ও অক্ষর পুরুষ স্বকীয় কর্ম্মগুণে নিত্য দীপ্যমান। ইঁহারাই শবযুগল। ঋষিশিল্পে এই শবযুগল মায়ের কর্ণদুল।
জগৎ দ্বিবিধ-স্থূল ও সূক্ষ্ম। উভয় জগৎ রচিত হইয়াছে আকাশে। আকাশ শব্দ, গুণ, সমস্ত নাম ও রূপের নির্ব্বাহক। স্থূল শব্দ স্থূলজগতে হয় মহাকাশে এবং সূক্ষ্ম শব্দ সূক্ষ্মজগতে হয় অন্তরাকাশে। কর্ণ সর্ব্ব শব্দের এক আয়তন। শ্রবণশক্তি স্থূল ও সূক্ষ্ম ভেদে উক্ত দ্বিবিধ শক্তিরই অনুগ্রাহক। শ্রবণশক্তির দেবতা হইতেছেন দিক্‌। অন্তর ও বহিরাকাশ লইয়া অন্তর ও বর্হিমুখী এই দিক্‌ দুইটি সৃষ্টিরূপিণী মায়ের শব্দায়তন কর্ণযুগলরূপে পরিকল্পিত। এই উভয়দিকে অবস্থিত ক্ষর ও অক্ষর পুরুষ ইঁহারা মায়ের কর্ণযুগলে শবযুগল-অবতংশরূপে কর্ণশোভা। যদিও ইঁহাদেরে স্বাধীওব্যবহারসম্পন্ন বলিয়া মনে হয়, তত্ত্বতঃ ইঁহারা স্বাধীন নহেন। ইঁহারা পরাধীন, ঋষিদৃষ্টিতে শব-নিষ্ক্রিয় জড় মাত্র। মা সর্ব্বাত্মশক্তি সর্ব্বজীবের জীবনরূপিনী। বিশ্ব-জননীর প্রাণশক্তিতে জীব প্রাণময়, কর্ম্মশক্তিতে কর্ম্মময় এবং জ্ঞান শক্তিতে জ্ঞানময়।
শ্রীমৎ অদ্বৈতানন্দ পুরীর ‘শ্রীশ্রী দশমহাবিদ্যা’ থেকে
04th  January, 2020
বেদের অগ্নিসূক্ত

মন্ত্রস্য অয়মারম্ভ: বেদের শেষাংশ বা মুখ্যাংশ উপনিষদ্‌। উপনিষদে স্থাপিত হইয়াছে ব্রহ্মতত্ত্ব। বেদান্ত উপনিষদের সংক্ষিপ্তসার। বেদান্তে উপাস্য ব্রহ্ম। বেদ-সংহিতা দেববাদী। বেদান্ত ব্রহ্মবাদী।
বিশদ

শ্রবণ

শ্রবণ, কীর্ত্তন, স্মরণ, পাদসেবন, অর্চ্চন, বন্দন, দাস্য, সখ্য, আত্মনিবেদন,—ভক্ত প্রহ্লাদ এই নববিধা ভক্তির কথা বলেছেন। এই নববিধা ভক্তি যার হবে, সে তোমার কৃপা লাভ করবেই। যতক্ষণ শ্রবণদুটির শ্রবণশক্তি আছে, ততক্ষণ শুনতে হবে—তোমার রূপ, গুণ, লীলা ও তোমার নাম।
বিশদ

25th  April, 2024
ধ্যান

ধ্যান করবার সময় একটা আনন্দময় স্বরূপ চিন্তা করে নিতে হবে—তাতে nerves (স্নায়ুগুলো) soothed (শান্ত) হয়ে যাবে। ইষ্টমূর্তিকে সহাস্য আনন্দময় ভেবে চিন্তা করতে হয়, নইলে শুঁটকো ধ্যান হয়ে যাবে। আর সময় নষ্ট করিস নে। রিপু সব প্রবল হয়ে রয়েছে। বিশদ

24th  April, 2024
জয়-পরাজয়

শ্রীকৃষ্ণের লীলা একটি খেলার মতন তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। আমাদের লৌকিক খেলাতেও চারিটি পক্ষ থাকে। সপক্ষ, বিপক্ষ, সুহৃৎপক্ষ ও তটস্থ পক্ষ। মনে করুন ফুটবল খেলা হইতেছে। ইহাতে সপক্ষ ও বিপক্ষ আমরা সকলেই বুঝি। সুহৃৎপক্ষ একটু বোঝানো দরকার।
বিশদ

22nd  April, 2024
মাধুকরী

কাশীপুর উদ্যানবাটীতে থাকাকালীন শ্রীরামকৃষ্ণ একবার তাঁর ত্যাগী সন্তানদের মাধুকরী করতে পাঠালেন। কারণ, ভিক্ষান্ন শুদ্ধ অন্ন। ভিক্ষায় বেরিয়ে প্রথমেই তাঁরা গেলেন মায়ের কাছে। স্বামী লোকেশ্বরানন্দজী এই প্রসঙ্গে লিখেছেন: “ত্যাগীই ত্যাগের মর্যাদা দিতে জানে। বিশদ

21st  April, 2024
কথা

ওগো আমার দেবতা, ওগো আমার সর্ব্বস্বের সর্ব্বস্ব; তুমি এস। একবার এস, একবার স্পর্শ কর, একবার কথা কও। আহা তোমার কথা বড় মিষ্টি, বড় আশ্বাসপ্রদ, তোমার কথা শুনলে আমি সব ভুলে যাই, কথা কও কথা কও। এখানে তো’ আর কেউ নেই, তুমি আর আমি, কও—কথা কও।
বিশদ

20th  April, 2024
মহোৎসব

বরানগর মঠের ত্যাগব্রতীরা প্রথম থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করতেন। সে উৎসবে ত্যাগী ও গৃহী ভক্তেরা সমানভাবে অংশ নিতেন। শশী মহারাজ দীর্ঘসময় ধরে পূজার্চনায় মগ্ন হতেন। ভক্তেরা প্রসাদের আয়োজন করতেন, ভজন-কীর্তনে উৎসব-প্রাঙ্গণ মুখরিত হত। বিশদ

19th  April, 2024
জীবন

জীবনের প্রত্যেকটী অধ্যায়েই প্রলোভন আসে। যুবকের নিকটে যৌবনোচিত প্রলোভন, বৃদ্ধের নিকটে বৃদ্ধজনোচিত প্রলোভন আসিয়া থাকে, এমন জীবন নাই, যে জীবনে প্রলোভন নাই, পদস্খলনের সম্ভাবনা নাই! কিন্তু যৌবনে যে প্রলোভনে টলে নাই, বার্দ্ধক্যের প্রলোভন তাহাকে কমই কাবু করিতে পারে।
বিশদ

18th  April, 2024
গুরু

“ত্রিতাপদগ্ধ জীবকে যিনি শান্তির পথে, ভগবানের দিকে নিয়ে যান তিনিই গুরু। গুরু ও শিষ্যের সম্বন্ধ পারমার্থিক পিতা-পুত্র ভাব। ঐহিক পিতা জন্ম দেন, পিতৃঋণ, বংশরক্ষা, শ্রাদ্ধাদির দ্বারা শোধ করা যায়। কিন্তু গুরু অবিদ্যা থেকে উদ্ধার করেন বলে তাঁর ঋণ শোধ করা যায় না—সর্বস্ব অর্পণ করেও না।
বিশদ

16th  April, 2024
সংসার

গ্যাসের আলো নানা স্থানে নানা ভাবে জ্বলছে, কিন্তু এক আধার হতে আসছে। নানা দেশের নানা জাতির ধার্মিক লোক সেই এক পরমেশ্বর হতে আসছে।
বিশদ

15th  April, 2024
নববর্ষ

আজ নববর্ষের প্রাতঃসূর্য এখনো দিক্‌প্রান্তে মাথা ঠেকিয়ে বিশ্বেশ্বরকে প্রণাম করেনি—এই ব্রাহ্মমুহূর্তে আমরা আশ্রমবাসীরা আমাদের নূতন বৎসরের প্রথম প্রণামটিকে আমাদের অনন্তকালের প্রভুকে নিবেদন করবার জন্যে এখানে এসেছি। এই প্রণামটি সত্য প্রণাম হোক। বিশদ

14th  April, 2024
শিব গুরু

যে-তুমি জ্ঞান-স্বরূপ,/ চিরশুদ্ধ, চিরমুক্ত, চিরন্তন সাক্ষী-স্বরূপ,/যে-তুমি গুণাতীর, বাক্যমনাতীত—/ সেই তোমাকে, আমার সত্য গুরু তুমি,/ একমাত্র তোমাকে আমার নমস্কার। বিশদ

13th  April, 2024
আত্মজ্ঞান

পার্বতী একবার প্রশ্ন করলেন—আত্মজ্ঞান লাভের উপায় কী? প্রশ্নটি করলেন লোকশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাতে সাধকেরা উপকৃত হন। সাধনা সংক্রান্ত এত সূক্ষ্ম প্রশ্ন করবার মতো বৌদ্ধিক বিকাশ সে যুগের মানুষদের মধ্যে ছিল না। বিশদ

12th  April, 2024
রামকৃষ্ণ পরমহংস ও ব্রাহ্মসমাজ

আমাদের পূজনীয় আচার্য ব্রহ্মানন্দ যখন বেলঘরিয়া উদ্যানে নির্জ্জন সাধন ভজন করিবার জন্য গমন করিয়াছিলেন, সেই সময়ে আমরা অনেকেই পরমহংসদেবের সহিত পরিচিত হইয়াছিলাম। আমাকে তিনি বড়ই স্নেহ করিতেন।
বিশদ

11th  April, 2024
শিষ্য

গোস্বামীপ্রভুর কোনো শিষ্য বৃন্দাবনে থাকলে বা কোনো শিষ্যের শ্রীধামে আগমন হ’লে তিনি দিব্যদৃষ্টিতে তা বুঝতে পেরেই গুরুভাইয়ের নিকট উপস্থিত হতেন এবং তাঁর মঙ্গলাদি সকল বিষয়ে খোঁজ নিতেন। “মেরা গুরুভাই” বলতে বলতে তাঁর মুখে আনন্দের জোয়ার বয়ে যেত।
বিশদ

10th  April, 2024
সত্য

সত্য-প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্রহ্মচর্য্যের পরম-সহায়ক। সত্যই ব্রহ্ম,—ইহা শাস্ত্রের নির্দ্দেশ, ইহা মুনিগণের উপলব্ধি। সত্যে যে বিচরণ করে, ব্রহ্মে বিচরণ তার কেন কঠিন হইবে? সত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠা অর্জ্জন কর। যে পরের প্রাপ্যের প্রতি অন্যায় ও লুব্ধ দৃষ্টি দেয় না, তাহার পক্ষে সত্যে সুদৃঢ় হওয়ার পথ সুগম। বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM