বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে হরিয়ানার ক্রীড়া মহল। রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণ শরণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগিররা। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দিল্লি পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন কুস্তিগিররা। এই ইস্যুতে রাজধানীর রাজনীতি মাসাধিকাল যাবৎ উত্তাল। সুবিচারের আশায় দিল্লিতে ধর্নায় বসেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগতের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুস্তিগিররা। এই আন্দোলন কর্মসূচি তাঁরা নতুন সংসদ ভবনের সামনেও নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পদকজয়ীরা সেখানে উল্টে পুলিসি হিংসার শিকার হন। বেধড়ক পেটানোর পর প্রায় সাতশো কুস্তিগিরকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতেও কুণ্ঠিত হয়নি সরকার। কুস্তিগিররা পদকগুলিকেই তাঁদের ‘জীবন’ বলে মনে করেন। তবু সেগুলিই একত্রে গঙ্গায় বিসর্জনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। যন্তরমন্তরে আন্দোলনে পুলিসের আপত্তি থাকায় এরপর দিল্লিতে ফিরে ইন্ডিয়া গেটে তাঁরা আমরণ অনশনে বসবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
সব মিলিয়ে ভীষণ চাপে হরিয়ানার এনডিএ সরকারও। শুধু শরিক দলের মন্ত্রী, বিধায়করাই নন, ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপির অন্দরেও। বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণের অবিলম্বে গ্রেপ্তারি চান তাঁরা। বিষয়টি দ্রুত মিটে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। মানুষের এই ভয়ঙ্কর ক্ষোভের আঁচ পেয়ে একমাস যাবৎ জনসংযোগ অভিযানে বেরিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। উপমুখ্যমন্ত্রী ও জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত চৌতালার দলের একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ভোটে তাঁরা বিজেপির জোটে থাকবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তভাবনার সময় এসেছে। ভোটে কে কোথায় থাকবেন বা থাকবেন না, তাতে সাধারণ মানুষের কিছু যায় আসে না। কিন্তু যে সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন ও ন্যায়বিচার দেওয়ার পরিবর্তে প্রভাবশালী অভিযুক্তের পক্ষ নেয় তার জন্য কোনও ধিক্কারই যথেষ্ট নয়। এদেশে বরাবরই আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদের আকাল। হাতেগোনা কয়েকজন নিতান্তই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের পতাকা উঁচুতে তুলে ধরতে সফল হন। আর সেই তাঁদেরই বিরুদ্ধে মোদি সরকারের এই লজ্জাজনক ভূমিকা! এতে আগামী দিনে দেশের ক্রীড়াজগতের যে ক্ষতি হতে চলেছে তা অপূরণীয়। এর দায় মোদি সরকারকেই নিতে হবে।