বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোজা কথায়, করোনা মোকাবিলায় ভারতের ব্যর্থতার বাস্তবটাই আজ মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। প্রথম দিকে ভীষণভাবে সরব ছিল সোশ্যাল মিডিয়াগুলি। তারপর মুখ খুলেছিল দেশীয় সংবাদ মাধ্যমের একাংশ। ধীরে ধীরে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ আন্তর্জাতিক মিডিয়াও। ফের একবার ভর্ৎসনা করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তারা তিরস্কার করেছে করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের ব্যর্থতাকে। ৬ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট অভিযোগ করেছে, ভারতের মানুষের যন্ত্রণাকে লঘু করে দেখাচ্ছে সরকার। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি করছে ভারত। এমনকী, বিখ্যাত পত্রিকা ‘নেচার’-এও করোনা মোকাবিলায় ভারত সরকারের ভূমিকার নিন্দা করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, বিজ্ঞানের পথ থেকে দূরে সরে গিয়েই ভারতের বিপদ এই মাত্রায় পৌঁছেছে। যখন সামাজিক দূরত্ববিধি কঠোরভাবে মেনে চলা জরুরি তখন ভারতে নানাধরনের জনসমাবেশ অনুমোদন পেয়েছে। খবর আসছে, মৃত্যুমিছিল রুখতে ব্যর্থ মোদি সরকারকে একের পর এক গ্লোবাল মিডিয়া দুরমুশ করছে। নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সংবাদপত্র বা মিডিয়াকে মানুষ সমাজের দর্পণ বা আয়না বলে মনে করে এসেছে চিরকাল। মিডিয়া গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের মর্যাদা পায়। তাহলে সত্যি বলা ছাড়া সত্যিকার মিডিয়ার আর উপায় কী? দেরিতে হলেও বেশিরভাগ মিডিয়ার এই ভূমিকা প্রশংসনীয়।
স্বভাবতই প্রমাদ গুনছে মোদি সরকার। এই সরকারের ইদানীংকালের একটি বড় কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের নিন্দার মোকাবিলা করা। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি। কী কী ফাঁস হচ্ছে, সেসব লক্ষ রাখা। ‘আপত্তিকর’ পোস্ট মুছে ফেলতে চাপ দেওয়া। নজরদারি চলছে বিদেশি পত্রিকার রিপোর্টের উপরেও। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি পত্রিকাকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ওই পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নতিস্বীকার করার পরিবর্তে মোদি সরকারকে সমুচিত জবাবই দিয়েছে। সংবাদের লাগাতার ‘কাউন্টার’ করা কোনও সংবেদনশীল সরকারের কাজ হতে পারে না। সরকারের উচিত, এসব আয়নায় নিজের মুখটা নিরপেক্ষভাবে দেখে নেওয়া। তাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে সুবিধাই হবে। যে কালিমা ও ক্ষত সরকারের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে, সংবাদ মাধ্যম পবিত্র দায়িত্বজ্ঞানে সেগুলিই তুলে ধরছে। এজন্য সরকারের কৃতজ্ঞ থাকা দরকার। সমালোচনার প্রতিবাদ নয়, সেগুলিকে নতমস্তকে গ্রহণ করুন ভারতেশ্বর নরেন্দ্র মোদি। এবং, সেইমতো দ্রুত পদক্ষেপ করুন। দেশবাসীকে বাঁচাবার, ভালো রাখার শপথ নিয়েই আপনি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেছেন। সেই দায়িত্ব পালন করুন এবার। দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালনই কলঙ্কমোচনের একমাত্র উপায়।