বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আরও তিনটি রহস্য হল: (এক) আইএনটি-র বিশ্বস্ততা নস্যাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) কেন সমান্তরাল উদ্যোগ নিয়েছিল। (দুই) দুর্নীতি-বিরোধী তিনটি ‘ক্লজ’ কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল। (তিন) কেন পেমেন্ট সিকিউরিটি সিস্টেম—সভরিন গ্যারান্টি, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি এবং এসক্রো অ্যাকাউন্ট—বাদ দেওয়া হয়েছিল। দাসোঁর প্রতি ‘ভাব ভালোবাসা’য় নিশ্চয় এসব করা হয়নি। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, একটি গোপন উদ্দেশ্যকেই নির্দেশ করে এই ঘটনাক্রম। এই রহস্যময় দিকগুলির তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করাটা সিএজি-র দায়িত্ব ছিল। সিএজি দেশকে হতাশ করেছে। ইউপিএ আমলে জাতীয় প্রয়োজনেই ১২৬টি রাফাল বিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল। এনডিএ আমলে সেই প্রয়োজন এত কমে গেল যে সেই চুক্তি বাতিল করা হল এবং নতুন চুক্তি করা হল মাত্র ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্যে! আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, নতুন চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে। পরিবর্তে সেখানেই ঢুকল বিজেপির বিশেষ পছন্দের এক ভারতীয় কর্পোরেট সংস্থার নাম।
অবশ্য লোকসভার ভোট মিটে গিয়ে মোদির শাসন পর্ব নতুন অবতারে জাঁকিয়ে বসতেই রাফাল বিতর্কটা একপ্রকার ঠান্ডাঘরেই ঠাঁই নিয়েছিল। সেটাই ফের ভারতের ভোটের রাজনীতির কেন্দ্রে অধিষ্ঠান হয়েছে ফরাসি মিডিয়ার হাত ধরে। ফের শিরোনামে রাফাল কেলেঙ্কারি। এবারের কেলেঙ্কারির বিষয় মিডলম্যানকে ঘুষ। অভিযোগ উঠেছে, ভারত সরকারকে যুদ্ধবিমান বিক্রির বরাত পেতে এক ভারতীয় বেসরকারি মিডলম্যানকে তারা ‘গিফট’-এর মোড়কে দশ লক্ষাধিক ইউরো ঘুষ দিয়েছিল। উপহার কিংবা কমিশন যে নামেই ডাকা হোক না কেন, ব্যাপারটা গোদা বাংলায় ঘুষ। এখন প্রশ্ন হল, ফরাসি সংস্থা ভারতের এক বিতর্কিত চরিত্রকে এই টাকা দিল কেন? ফরাসি দুর্নীতিদমন সংস্থা এএফএ-র তোলা প্রশ্ন নিয়ে উত্তাল ফ্রান্স। পাঁচ রাজ্যে ভোটের মাঝে ভারতেও আছড়ে পড়েছে সেই ঢেউ। মোদির পার্টি এটিকে ‘রাজনৈতিক কুৎসা’ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের মাথা বিদেশের মাটিতে বারবার হেঁট হয়ে যাচ্ছে, সেটিকে এতটা লঘু করে দেখার সুযোগ কোথায়? রাজনৈতিক খেউড়ে অংশগ্রহণ নয়, সরকারের উচিত, এর সদুত্তর দেওয়া। প্রয়োজনে উপযুক্ত তদন্ত করা। কারণ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠলে, বিতর্ক হতে থাকলে তাতে সেনা বাহিনীর মনোবল নষ্ট হতে পারে। সেনা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া কোনও দায়িত্বশীল সরকারের কাজ নয়।