বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
একই সঙ্গে জোড়া ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে বাংলাকে। বিধ্বংসী উমপুনে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার। সেসময়েও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে দেখে গেছেন। প্রতিনিধিদল দিল্লিতে রিপোর্টও করেছে। অবশ্যই কেন্দ্রের তরফে কিছু আর্থিক সাহায্য পেয়েছে রাজ্য। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তুলনায় তা যৎসামান্যই। করোনা পরিস্থিতি দেখতে এর আগেও কেন্দ্রের পাঠানো টিম দু’দুবার রাজ্যে ঘুরে গেছে। কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। জুন মাসে তাঁরা হাসপাতাল ঘুরে এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেখে প্রশংসা করে গেছেন। এখন যে পাঁচটি রাজ্যে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে তার মধ্যে সুস্থতার হারে পশ্চিমবঙ্গই এগিয়ে। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় করোনায় মৃত্যুর নিরিখে প্রথম দশে পশ্চিমবঙ্গের নামও নেই। তাই দুর্গাপুজোর সময়ে প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি যথেষ্ট অর্থবহ। কেরলের ওনাম উৎসবের পর সেখানে সংক্রমণের যে বিভীষিকা দেখা দিয়েছে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্গাপুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কথা তো সকলেই বলছেন। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনকে কেউই অস্বীকার করতে পারে না। তাছাড়া দুর্গাপুজোর সময়ে বা তারপরে সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটতে পারে আশঙ্কা করেই রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সুরক্ষাবিধি রক্ষার প্রশ্নে আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সত্যিই যদি সংক্রমণ ছড়ানো আটকানোর কাজে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আরও আগে প্রতিনিধিদল পাঠানো উচিত ছিল। যাতে তাঁদের দেওয়া সুপরামর্শগুলি পুজোর আগেই কার্যকর করার সুযোগ পেত রাজ্য। তাই প্রশ্ন উঠছে, এত দেরি কেন? তবু, ব্যস্ততার মধ্যেই ওই প্রতিনিধিদলকে সহযোগিতা করার কথা বলেছে রাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমনটাই হওয়া উচিত। অন্য ইস্যুতে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও অতিমারী নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি করা বাঞ্ছনীয় নয়। তাই পুজোর সময়ে প্রতিনিধিদল পাঠানোর ক্ষেত্রে যদি কেন্দ্রের কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে থাকে তাহলেও যেন তাঁদের ভূমিকা হয় ইতিবাচক।
করোনা রাজনীতির বাছবিচার করে না। তার মোকাবিলায় দরকার সম্মিলিত প্রয়াস। উমপুন বিপর্যয় ও করোনা সঙ্কটে কিন্তু বাংলা ভেঙে পড়েনি। ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুজোর মুখেই চুক্তি ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থেকে রাজ্য সরকারি দপ্তরে কর্মরত ওই কর্মীরা হবেন নবান্নের অধীন। যখন দেশে বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন তখন রাজ্যে কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কর্মসাথী প্রকল্পের কাজও চলছে। এসময়ে কোভিড নিয়ে রাজনীতি বড়ই বেমানান। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিরোধীদের বিষয়টি মনে রাখা উচিত।