বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভ্যাকসিন বা টিকা রাশিয়া বের করেছে। আর কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পর হয়তো ভারতের বাজারেও তা পাওয়া যাবে। ব্রিটেনের উদ্যোগেরও পার্টনার ভারত। ভারতের নিজস্ব গবেষণা এবং প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। যেভাবেই হোক কার্যকরী টিকা সাধারণের নাগালে এলে প্রতিরোধের কাজটা নিঃসন্দেহে সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু, যেসব মানুষ ইতিমধ্যেই সংক্রমণের শিকার হয়ে পড়েছেন, তাঁদের চিন্তাটা তো আরও আগে করা দরকার। চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা তো নিতেই হবে। অসুস্থতার মাত্রা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। যাঁদের অসুস্থতা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের তো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিছু মানুষের অসুস্থতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হয়তো অন্য কোনও কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছে। হয়ে থাকতে পারে পেটের সমস্যা, বমি ইত্যাদি। করোনা সংক্রমণের সঙ্গে এসব লক্ষণের কিছু মিল থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁরা আদৌ করোনা রোগী হয়তো নন। সবচেয়ে ভালো হয় এঁদের হাসপাতালে যাওয়ার ব্যাপারটা এড়াতে পারলে। কারণ গোলমেলে সময়ে অকারণ হাসপাতালে যাওয়ার অভিজ্ঞতা উল্টে খারাপও হতে পারে। বহু মানুষের মধ্যে এই স্বাভাবিক ভয়টা কিন্তু আছে। অথচ, তাঁদের দরকার উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সামান্য কিছু ওষুধ।
এই ফাঁকটাই পূরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকার এই সমস্যার সমাধানে হাতিয়ার করছে টেলি মেডিসিন পরিষেবাকে। রয়েছে সরকারি টোল ফ্রি নম্বর। প্রয়োজনে ফোন করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যাবে। তাতে লাভ একাধিক: হাসপাতালে অনাবশ্যক ভিড় বাড়বে না। বেডের জন্য হত্যে দিতে হবে না। কারও কৃপাপ্রার্থী হতে হবে না। বিপুল অঙ্কের টাকার থলি জোগাড়ের জন্য মাথার চুল ছিঁড়তে হবে না। রোগী নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করাবেন এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। প্রায় অসম্ভব এই জিনিসটি সম্ভব হচ্ছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তৎপরতায়। কলকাতার ৬২টি থানায় ১৫০ জন ডাক্তারের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। নাগরিকরা স্থানীয় থানায় ফোন করে তাঁর এলাকার কোনও একজন ডাক্তারের পরামর্শ পাবেন। এই পরিষেবার সম্প্রসারণ ঘটতে চলেছে পাশের হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা প্রভৃতি কয়েকটি জেলাতেও। সরকারের দাবি, এই ব্যাপারে নাগরিকরা থানা থেকে সবরকম সহযোগিতা পাবেন। এই অভূতপূর্ব পরিষেবায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন নিঃসঙ্গ মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা, জরুরি প্রয়োজনেও যাঁদের পক্ষে বাইরে বেরনো সম্ভব হয় না। করোনা যুদ্ধে এমন স্বাস্থ্য পরিষেবার সংযোজন একইসঙ্গে প্রশংসনীয় এবং অনুসরণযোগ্য। অন্য রাজ্যগুলি এই পথে হাঁটলে সেখানকার মানুষজনও বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।