বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদি ব্যাঙ্ক, বিমা প্রভৃতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেন সেক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ভালো ঠেকবে না। কারণ, জীবধারণের জন্য মানুষ যখন আগের চেয়ে বেশি খরচ করতে বাধ্য হয়, তখন তাকে সঞ্চয়ের সঙ্গে আপস করতেই হয়। সাধারণ মানুষের সঞ্চয় কমে গেলে ব্যাঙ্কের কাছে ঋণ দেওয়ার মতো ভাণ্ডার ছোট হয়ে আসে। ঋণ নেওয়ার চাহিদা বাড়লেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে না। সোজা কথায়, ব্যবসায়ী থেকে পরিষেবা প্রদানকারী, সমস্ত ধরনের নাগরিকের পক্ষে অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি একটা অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি।
আমরা আজ সেই পরিস্থিতির মধ্যেই পড়ে গিয়েছি। এমনিতে সারা পৃথিবী করোনার ধাক্কায় কাহিল। ভারত কোনও ব্যতিক্রম নয়। বরং আনলক পর্বে করোনার ক্ষয়ক্ষতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সারা দেশ দোটানার মধ্যে পড়ে রয়েছে। লকডাউন হয়ে থাকলে পণ্য এবং পরিষেবা—দু’টো ক্ষেত্রের উৎপাদনই থমকে থাকে। সেটা সাময়িকভাবে সহ্য করা গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে প্রকারান্তরে এক আত্মঘাতী পথ। স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতির চাকা সচল করার পক্ষেই মত দিয়েছেন সকলে। আর সেটা করতে গিয়েই সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দু’টোই বেড়ে যাচ্ছে। উভয়সঙ্কটের এর চেয়ে জীবন্ত দৃষ্টান্ত আর কী হয়! কর্মহীনতা এবং আয় কমে যাওয়ার কারণে মানুষের হাতে টাকাকড়ি ভীষণ কম। মানুষ ঘুরে দাঁড়াবার শেষ চেষ্টা করছে। অনেক খরচ কমিয়ে কিংবা বাদ রেখেই তারা এই লড়াইটা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়েরই শামিল। মুদ্রস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষকে বাঁচানোর ব্যাপারে আন্তরিক পদক্ষেপ করা উচিত মোদি সরকারের। ডিজেল, পেট্রলের দামের উপর পণ্য ও পরিষেবার দাম বিশেষভাবে নির্ভরশীল। রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন যাবৎ খনিজ জ্বালানিকেই প্রধান হাতিয়ার করেছে। এই এক বগ্গা নীতি ছেড়ে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে সরকারকে। মানুষকে স্বস্তিতে রাখতে না পারলে কীসের সরকার?