রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, মধ্যবিত্তদের জন্য সরকার একটি প্রকল্প আনবে, যেখানে বাড়ি কেনা বা তৈরিতে উৎসাহ পাবেন ভাড়াবাড়ি, বেআইনি কলোনি বা বস্তিতে থাকা বাসিন্দারা। কিন্তু সেই স্কিমটি কী, তা খোলসা করেননি নির্মলা। এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গ্রামীণ আবাস যোজনায় আগামী পাঁচ বছরে আরও দু’কোটি বাড়ি তৈরি হবে।
আবাসন নির্মাতাদের সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাইয়ের সভাপতি বোমান ইরানির কথায়, বাজেটে যে ঘোষণা হয়েছে, তা আবাসনের বাজার বাড়াতে সমর্থ হবে। কিন্তু আয়কর কাঠামোয় এবার মধ্যবিত্তকে কোনও সুরাহা দেওয়া হয়নি। সুরাহা পেলে তাঁরা খরচে ঝুঁকতেন। ফ্ল্যাট কেনার দিকে এগতে পারতেন। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রেসিডেন্ট তথা মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতার কথায়, বাজেট ঘোষণায় সিমেন্ট বা রংয়ের মতো অনুসারি শিল্পের বহর বাড়বে। তবে আমাদের দাবি ছিল, গৃহ ঋণের উপর সুদে যে ছাড় পাওয়া যায়, তার সীমা বাড়ানো হোক। কিন্তু তা করা হয়নি। আবার ঋণের আসল অঙ্কের উপর আলাদা করে আয়করে সুরাহার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা। তাও গ্রাহ্য করা হয়নি। আশা ছিল, মধ্যবিত্তের জন্য আবাসন বলতে যা বোঝায়, সেই সংজ্ঞার বদল করা হবে। বর্তমানে ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্ল্যাটকে এর আওতায় আনা হয়। আমাদের দাবি ছিল, তা বাড়ানো হোক। কিন্তু হয়নি। তবে অর্থমন্ত্রী পূর্বাঞ্চলের জন্য বিশেষ গুরুত্বের কথা বলেছেন। আশা নিয়ে ভবিষ্যৎ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে থাকব।
ইডেন রিয়েলটির এমডি আর্য সুমন্তের কথায়, আবাসন নিয়ে নতুন প্রকল্প ঘোষিত হবে, যা আশার কথা। তবে জুলাইয়ের চূড়ান্ত বাজেটে আরও কিছু ভালো পরিকল্পনা থাকবে, এই আশা রাখব। জৈন গ্রুপের এমডি ঋষি জৈনের কথায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নতুন ঘোষণা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য। সিদ্ধা গ্রুপের এমডি সঞ্জয় জৈন বলেন, বাজেটের ঘোষণা আবাসন শিল্পের পাশাপাশি হাউজিং ফিনান্স বা আর্কিটেকচার-ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলিকে উদ্বুদ্ধ করবে।