বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চলতি অর্থবর্ষে মোট ছ’দফা গোল্ড বন্ড ইস্যু করতে চলেছে আরবিআই। তার প্রথম দফা চালু হচ্ছে ২০ এপ্রিল থেকে। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তা সাধারণ মানুষ কিনতে পারবেন। কেনাকাটাপর্ব শেষ হলে আগামী ২৮ এপ্রিল সেই বন্ড ইস্যু করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পরবর্তী বন্ডগুলি বাজারে ছাড়া হবে মে, জুন এবং জুলাই মাসে। আগস্টে মোট দু’দফায় ইস্যু করা হবে বন্ড। আজ থেকে যে বন্ড ইস্যু করা হতে চলেছে, তার দাম ঠিক করা হয়েছে এপ্রিলের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত সোনার বাজারদরের গড় করে। ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধ সোনার যে দাম ঘোষণা করে, সেই এক গ্রাম সোনার দরের উপর ভিত্তি করেই গড় অঙ্ক কষা হয়েছে। যাঁরা অনলাইনে ওই সোনার বন্ড কিনবেন, তাঁরা ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য গ্রামপিছু ৫০ টাকা ছাড় পাবেন। সেক্ষেত্রে বন্ডের দাম দাঁড়াবে ৪ হাজার ৫৮৯ টাকা।
কীভাবে কেনা যাবে এই বন্ড? জানা গিয়েছে, যে কোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকে এই বন্ড কেনা যেতে পারে। তবে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্টস ব্যাঙ্ক থেকে তা কেনা যাবে না। নির্দিষ্ট কয়েকটি পোস্ট অফিস থেকেও সরকারি গোল্ড বন্ড কেনার সুযোগ মিলবে। এছাড়া স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকেও কেনা যাবে বন্ড। সেবি স্বীকৃত স্টক এক্সচেঞ্জ, যেমন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে গোল্ড বন্ড কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। নির্দিষ্ট কয়েকটি পোস্ট অফিসও এই বন্ড বিক্রি করবে। তবে এই বন্ড কিনতে প্যান কার্ড থাকা আবশ্যক। কোনও ট্রাস্ট বা হিন্দু আনডিভাইডেড ফ্যামিলি এই বন্ড কিনতে পারে। সাধারণ মানুষ যেমন নিজের নামে কাগুজে সোনা কিনতে পারেন, তেমনই তিনি কোনও নাবালকের নামে বা অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যুগ্ম মালিকানায় কিনতে পারেন।
যাঁরা বন্ড কিনতে চান, তাঁরা অন্তত এক গ্রাম সোনার বন্ড কিনবেন। তা প্রতি গ্রাম সোনার গুণিতকে বাড়ানো যাবে। মোট টাকার উপর বাৎসরিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। সুদ মিলবে প্রতি ছ’মাস অন্তর। আট বছর পর মেয়াদ শেষে বন্ড ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া যাবে। সেই সময় সোনার যে বাজারদর থাকবে, বন্ডের মেয়াদ শেষের শেষ তিনটি কাজের দিনে সেই দামের গড় করে, টাকা ফেরত দেওয়া হবে গ্রাহককে।