বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ সংস্থা বাছাইয়ে গ্রাহকদের কোনও ভূমিকা থাকে না। কিছু জায়গায় অবশ্য পরীক্ষামূলকভাবে সংস্থা বাছাইয়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট আইন এনে আগামীদিনে সর্বত্রই নয়া ব্যবস্থা চালু করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। তাতে সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে মাশুল যেমন কম হতে পারে, তেমনই আবার গুণগত মানও বাড়তে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনেই সংস্থা বাছাই করবেন গ্রাহকরা।
বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চিরাচরিত মিটার বদলে ‘প্রিপেড স্মার্ট মিটার’ বসাতে হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। প্রি-পেড স্মার্ট মিটার ঠিক কী? বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থা অনেকটা প্রিপেড মোবাইল ফোনের মতো। মোবাইলের মতো বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আগে মিটার রিচার্জ করতে হবে। তার বৈধতা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে বিশেষ ইঙ্গিত পাবেন গ্রাহকরা। সেই মতো ফের মিটার রিচার্জ করাতে হবে। সল্টলেক ও নিউটাউনে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গ্রাহকের বাড়িতে এই ধরনের মিটার বসানো রয়েছে বলে খবর।
রাজ্যের এক বিদ্যুৎকর্তা বলেন, বর্তমানে সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রাহকদের একাংশের মধ্যে বিল না মেটানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। প্রিপেড মিটারের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা আর থাকবে না। সংস্থাগুলির আর্থিক হাল ফিরবে। তবে বিদ্যুৎকর্তাদের আরেকটি অংশ বলছে, শহর বা শহরতলির ক্ষেত্রে প্রিপেড মিটারে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও, একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রাহককে এই ব্যবস্থার অধীনে আনা বেশ কঠিন কাজ হবে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে কী বলছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা প্রি-পেড মিটার ব্যবহার ইতিমধ্যেই শুরু করেছি। আগামী দিনে এই ধরনের মিটারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে রাজ্যে চিরাচরিত মিটারের বদলে স্মার্ট মিটারও দেওয়া শুরু হয়েছে। এই মিটার থেকে আরও নিখুঁত তথ্য পাওয়া যায়। পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বাছাই করতে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে যেসব সংস্থার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি পুরনো, তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেশি। ফলে বিষয়টি খুব সরল নয়। সব ধরনের জটিলতা কাটিয়েই এই ব্যবস্থা রূপায়ণ করতে হবে। নতুন যে সংস্থা পরিষেবা প্রদানের জন্য আসুক না কেন, প্রত্যেককেই রাজ্যের থেকে অনুমোদন নিতে হবে।