বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রান্তে তার বিপণনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
পাড়ায় পাড়ায় এখন চাইনিজ রেস্তরাঁ। তার অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায় সুস্বাদু মোমো। এমনকী কলকাতার স্ট্রিট ফুড হিসেবেও সুপারহিট এই বাহারি খানা। শহরতলিতেও তার চাহিদা কম নয়। কিন্তু মুশকিল একটাই, গরম গরম না খেলে এর স্বাদ ঠিক খোলে না। দোকান থেকে মোমো কিনে বাড়ি নিয়ে এসে খেলে আমেজটাই মাটি। যাঁরা বাড়িতে মোমো তৈরির উদ্যোগ নেন, তাঁরা জানেন এর ঝক্কি কতটা। তাই ইচ্ছা থাকলেও, ড্রইংরুমে বসে আগুনে মোমো খাওয়া যে যথেষ্ট মুশকিল, তা মানেন অনেকেই। সেই ঝামেলা থেকে উদ্ধার করতে এবার এগিয়ে এসেছে হরিণঘাটা মিট। মোট চার রকমের মোমো আনছে তারা।
মুরগি এবং কচি পাঁঠার পাশাপাশি অচিরাচরিত মাংস বিক্রি করে ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীলাভ করেছে হরিণঘাটা মিট। পাশাপাশি আনা হয়েছে বেশ কিছু ‘ভ্যালু অ্যাডেড’ পণ্যও। কোনও খাবার রান্নার জন্য প্রস্তুত। আবার কোনওটি এমনভাবে তৈরি, তা প্যাকেট থেকে বার করে গরম করে খাওয়া যাবে। সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন মোমো। ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনারের কথায়, যাঁরা চিকেন পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকের কাছেই মোমোর আবেদন অনস্বীকার্য। আবার যাঁরা নিরামিশাষী, তাঁরাও মোমো চেখে দেখতে পছন্দ করেন। আমরা দু’ধরনের ক্রেতার জন্যই মোমো আনছি। এর মধ্যে আমিষের তালিকায় আছে চিকেন তন্দুর মোমো এবং চিকেন ক্লাসিক মোমো। যাঁরা চিকেন মোমো পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে তন্দুর মোমো নতুন স্বাদ অবশ্যই। অন্যদিকে, নিরামিষ ডিশ হিসেবে আসছে সুইট কর্ন মোমো এবং পালক মোমো। এই দুই স্বাদও একেবারে নতুন, দাবি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের। ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে দাম মোমোর প্যাকেটগুলির। দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, শিলিগুড়ির কারখানায় তৈরি হচ্ছে মোমো। এ জন্য পেশাদার বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়েছে। মেশানো হয়েছে নানা মশলা, যা চেনা মোমোর বাইরে গিয়ে নতুন স্বাদের ঠিকানা দেবে, দাবি কর্তাদের। এ রাজ্যে হরিণঘাটা মিট ব্র্যান্ডের আওতায় মোট ২৫২টি দোকান আছে। সেগুলিতে যেমন ওই মোমো পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে, তেমনই পুজোতেও দর্শনার্থীদের তার স্বাদ চেনাতে চায় লাইভ স্টক কর্পোরেশন। এবার কলকাতায় একসঙ্গে বেশ কিছু বড় পুজোয় খাবারের স্টল দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। সেই স্টলগুলিতে কলকাতার মাদার ডেয়ারি এবং হরিণঘাটা মিট একসঙ্গে হাজির থাকবে। সেখানেও চাইলে মোমো মিলতে পারে, জানাচ্ছে দপ্তর। তবে আক্ষেপ একটাই। রেস্তরাঁয় মোমোর সঙ্গে যে সুস্বাদু সুরুয়া থাকে, সেই স্যুপের জোগান দিতে পারবে না হরিণঘাটা মিট।