রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এটা ঘটনা যে, এবারের আইপিএলে তাঁকে সেরা ছন্দে পাওয়া যায়নি শুরুতে। ফিটনেসের কারণে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ইংরেজ তারকা। প্রথম এগারোয় ছিলেন না ফিটনেসজনিত কারণেই। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে খুব একটা সাবলীল দেখাচ্ছিল না তাঁকে। ক্রমশ ফর্মে ফেরেন। পর পর বড় শট মারতে থাকেন। কিন্তু পেশিতে টানের সমস্যা ভোগাচ্ছিল শেষ পর্যন্ত। খুচরো রানের জন্য দৌড়তেও পারছিলেন না। শেষ বলে রাজস্থানকে জেতানোর পর তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল সব শক্তি যেন নিঃশেষিত। ঘামে ভেজা জার্সি, ড্রেসিং-রুমের দিকে ফিরছিলেন অত্যন্ত কষ্টে। ম্যাচের নায়ক তা স্বীকারও করেছেন, ‘ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম। নেতিবাচক ধারণাগুলো ঘিরে ধরছিল মনকে। আমি জোর করে পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছিলাম। আর সেই মনের জোরেই শেষ পর্যন্ত টিকে থেকেছি। নিজেকে বলছিলাম, ছন্দ ঠিকই ফিরবে। হাল ছেড়ো না। মাথা ঠান্ডা রেখো।’
২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একসময় খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল রাজস্থান। ১২১ রানে ছয় উইকেট পড়ার পর অনেক দূরে দেখাচ্ছিল টার্গেট। সেই সময় রাজস্থান কোচ কুমার সঙ্গাকারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার পরামর্শ দেন বাটলারকে। রানের গতি বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টায় মাঝপথে যাতে উইকেট ছুড়ে না দেন, সেটাই ছিল বার্তা। ডানহাতি ওপেনার তা মাথায় রেখেছিলেন। বাটলারের কথায়, ‘সঙ্গাকারা বলেছিল যে, মোমেন্টাম ঠিকই পাল্টাবে। আমি যেন আউট না হয়ে ক্রিজে থাকি। ঠিক সেটাই করেছি।’ রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচের নায়ককে। তিনি বলেছেন, ‘বাটলার গত ছয়-সাত বছর ধরে এই কাজটাই করে যাচ্ছে দলের হয়ে। আমরা জানতাম, ও যদি ক্রিজে থাকে তবে শেষ ওভার পর্যন্ত জেতার সম্ভাবনা থাকবে। তখন কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব হবে না ওর পক্ষে।’