অলোক মুখার্জি: অন্ধকারে ভারতীয় ফুটবল। আইএসএলের হাজার ওয়াটের আলোও অন্ধকার ঘোচাতে ব্যর্থ। ফেডারেশনের সভাপতি একজন প্রাক্তন ফুটবলার। কিন্তু কাদা ছোড়াছুড়ি, আর্থিক দুর্নীতির মতো নানা অভিযোগে বিদ্ধ সভাপতির দপ্তর। যুব ফুটবলের ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। কেন বলছি এই কথা? শুনুন তবে। মঙ্গলবার লাঞ্চ সেরে মুঠোফোন স্ক্রল করতে গিয়ে একটা খবরে চোখ আটকে গেল। নাম ভাঁড়ানোর দায়ে ইস্ট বেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের এক ফুটবলারকে তিন বছরের নির্বাসন ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ফেডারেশন। অর্থাৎ, ফুটবলারটির ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। দুঃখ হচ্ছে ওর জন্য। শুনলাম, অনিকেত করের বদলে অঙ্কিত নামে যুব লিগে ফুটবলারটির নাম নথিভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে মোহন বাগানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। গত ২ জানুয়ারি শো-কজ করা হয় অনিকেতকে। মঙ্গলবার ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অনিকেত যা করেছে তা বড় ভুল। তার শাস্তিও পেল ও। এর আগে জরিমানা ছাড়াও পয়েন্ট কাটা হয় ইস্ট বেঙ্গলের। পরবর্তীকালে নির্বাসিত হয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। অর্থাৎ একই অপরাধের শাস্তি চলছেই। কিন্তু সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা কি দায় এড়াতে পারে? সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে ফুটবলার নথিভুক্ত করা হয়। সেখানে ফুটবলারের যাবতীয় সরকারি পরিচয়পত্র আপলোড করা হয়। এত বড় ঘটনা ফেডারেশনের চোখ এড়িয়ে গেল কী ভাবে? যাবতীয় গলদ ওখানেই লুকিয়ে। অনিকেতরা সিস্টেমের যূপকাষ্ঠে বারবার বলি হয়।