গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে রবিবার যাত্রা শুরু করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তাঁর নেতৃত্বে আসা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। উল্টোদিকে শুভমান গিলেরও এটা ছিল গুজরাত টাইটান্সের ক্যাপ্টেনের মুকুটে অভিষেক। হার্দিকের ফেলে আসা সিংহাসনে কীভাবে মানিয়ে নেন নবীন তারকা, তা নিয়েও আগ্রহ ছিল ক্রিকেট মহলের। মেগা ডুয়েলে বাজিমাত করে টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি দিলেন শুভমান।
এদিন যাবতীয় আকর্ষণ কেড়ে নিলেন যশপ্রীত বুমরাহ। মোতেরায় বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরালেন তিনি। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে তাঁকে আক্রমণে এনেছিলেন হার্দিক। ষষ্ঠ বলে দুরন্ত ইয়র্কারে ঋদ্ধিমান সাহাকে (১৯) বোল্ড করেন ‘বুমবুম’ বুমরাহ। এরপর তিনি ফেরালেন ডেভিড মিলার (১২) ও সাই সুদর্শনকে (৪৫)। ঘরের মাঠে শুভমানের দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬৮ রানের বেশি তুলতে পারল না। বর্ষীয়ান পীযূষ চাওলাকে মারতে গিয়ে আউট হলেন অধিনায়ক গিল (৩১)। গুজরাতের হয়ে ব্যাট হাতে অভিষেক মধুর হল না আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের (১৭)। সাতে নামা রাহুল তেওয়াটিয়ার ব্যাট থেকে ১৫ বলে ২২ রানের বেশি আসেনি। মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে বুমরাহ ছাড়া সফল জেরাল্ড কোয়েৎজি (২-২৭)। নতুন বলে আক্রমণ শুরু করা হার্দিক তিন ওভারে খরচ করেছেন ৩০ রান।
১৬৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে খাতা খোলার আগেই ঈশান কিষানকে ড্রেসিং-রুমে ফেরান ওমরজাই। উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে জমা পড়ে ক্যাচ। এর পর নমন ধীরও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি (১০ বলে ২০ রান)। ওমরজাইয়ের বলে ফিরতে হয় তাঁকে। তবে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত ও ব্রেভিস। দু’জনের পার্টনারশিপে ওঠে ৭৭ রান। ৪৩ রানে রোহিত ডাগ-আউটে ফিরলে ইনিংসের হাল ধরেন তিলক ভর্মা। তবে ব্রেভিসের (৪৬) আউটের পরেই শিথিল হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের লড়াই। অধিনায়ক হার্দিক ১১ রানের বেশি করতে পারলেন না। ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত মুম্বই থামল ১৬২ রানে।