বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আবুধাবি: খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান। আর নেতার কথা রাখার জন্য সম্ভবত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচটিকেই বেছে নিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, শুভমান গিলরা। শেষ পর্যন্ত কেকেআর চতুর্দশ আইপিএলের প্লে-অফে উঠতে পারবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে মঙ্গলবার নাইটদের ৯ উইকেটে জয় দেখার পর সমর্থকরা ফের স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
টসে জেতার ফায়দা তুলতে পারেনি আরসিবি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে প্রথমেই চাপে পড়ে যায় বাগিচা শহরের দলটি। ১৯ ওভারে ৯২ রানেই গুটিয়ে যায় কোহলি বাহিনী। জবাবে ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় নাইট রাইডার্স। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দুই ওপেনার ৮২ রান যোগ করেন। তুলে মারতে গিয়ে গিল ৪৮ রানে আউট হলেও অভিষেকেই সাড়া ফেললেন মধ্যপ্রদেশের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেঙ্কটেশ। ২৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। হাঁকিয়েছেন সাতটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। শট চয়নের ক্ষেত্রেও তিনি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। পেয়েছেন কোহলির টিপসও। এই জয়ের সুবাদে সপ্তম থেকে পঞ্চম স্থানে (৮ খেলে ৬ পয়েন্ট) উঠে এল নাইটরা।
অনেকেই আশা করেছিলেন, বিরাট কোহলি এই ম্যাচে সেরাটা মেলে ধরতে সফল হবেন। কিন্তু দেখে মনে হল, চেনা ফর্মের ধারেকাছে নেই তিনি। ওপেন করতে নেমে মাত্র চার বল খেলেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ৪ রানে লেগ বিফোর হয়ে মাঠ ছাড়েন ভিকে। রিভিউ নিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
কথায় বলে, সকাল দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। আরসিবি’র ব্যাটিংয়ে ফুটে উঠেছে তারই প্রতিচ্ছবি। বিরাটকে দ্রুত আউট করায় বাড়তি মনোবল পেয়ে গিয়েছিলেন কেকেআরের বোলাররা। প্রসিদ্ধ, ফার্গুসন, রাসেলরা গতিতে পরাস্ত করেন বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দেবদূত পাদিক্কাল বেশ ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ২২ রানে তিনি ফার্গুসনের বলে কট বিহাইন্ড হন। ছাপ ফেলতে ব্যর্থ শ্রীকর ভরতও (১৬)। খাতা খুলতে পারেননি এবি ডি’ভিলিয়ার্সও। প্রথম বলেই তিনি বোল্ড হন রাসেলের বিষাক্ত ইয়র্কারে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রীতিমতো হামাগুড়ি খেলেন স্পিনারদের বিরুদ্ধে। ১০ রানে ‘মিস্ট্রি স্পিনার’ বরুণ চক্রবর্তীর ডেলিভারিতে বোল্ড হন অজি ব্যাটসম্যানটি। আরবদেশের পিচে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পান ঠিকই, তবে এই ম্যাচে বরুণ অনন্য। তাঁর বৈচিত্র্য সত্যিই প্রশংসনীয়। বরুণের স্পিনের জালে দিশাহারা হয়ে পড়েন বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। তাঁর বাকি দুই শিকার শচীন বেবি (৭) ও হাসারাঙ্গা (০)। হার্শল প্যাটেল ১২ রানে ডাগ-আউটে ফেরেন। ম্যাচের সেরা বরুণ চক্রবর্তী।