বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করোনার জন্য ওলিম্পিকসের তিনটি কোয়ালিফায়িং ইভেন্ট (ইন্ডিয়া ওপেন, সিঙ্গাপুর ওপেন, মালয়েশিয়া ওপেন) বাতিল হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ প্র্যাকটিস পাচ্ছেন না বলে শোরগোল তুলেছেন খেলোয়াড়রা। রিও ওলিম্পিকসে রুপো জয়ী সিন্ধু সেই তালিকায় নেই। তিনি বলছেন, ‘আমাদের কোরিয়ান কোচ পার্ক তা সাং ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব একেবারেই বুঝতে দিচ্ছেন না। তিনি ট্রেনিংয়ের সময় এমন একটা আবহ তৈরি করছেন যে, মনেই হচ্ছে না আমি ম্যাচ প্র্যাকটিসের মধ্যে নেই। সিঙ্গাপুর ওপেনই আমাদের প্রস্তুতির শেষ সুযোগ ছিল। কিন্তু এই মহামারীতে খেলার থেকেও মানুষের জীবন বেশি মূল্যবান। তাই ওই প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ায় আমার কোনও আক্ষেপ নেই। নিজের মতো ট্রেনিং সূচি তৈরি করে নিয়েছি। কোচ আমাকে বিভিন্ন প্লেয়ারের বিরুদ্ধে খেলাচ্ছেন। ট্রেনিংয়ে কোচের কৌশলে সব সময় নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করছি। শেখার কোনও শেষ নেই।’ উল্লেখ্য, ২৫ বছর বয়সি সিন্ধু ভারতের ওলিম্পিক টিমের সঙ্গে অনুশীলন করছেন না। তিনি হায়দরাবাদের গাচ্চিবৌলি স্টেডিয়ামে ট্রেনিং নিচ্ছেন। আর ফিটনেস চর্চা করছেন সুচিত্রা অ্যাকাডেমিতে।
করোনার জেরে একাধিক ওলিম্পিক বাছাই টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়ায় সাইনা নেহওয়াল, কিদাম্বি শ্রীকান্তের মতো তারকার টোকিও গেমসে নামার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সিন্ধুর প্রতিক্রিয়া, ‘প্রত্যেকটা দেশই কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে। এশিয়ার দেশগুলিও সেই পথে চলছে। জনগণের সুরক্ষাই তো আসল কথা। যদি বাছাই টুর্নামেন্টগুলি হতো তাহলে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। কখন কীভাবে যে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করবে বোঝা কঠিন। এইতো শুনছি টোকিওতে পৌঁছানোর পর প্রায় প্রতিদিন আমাদের কোভিড টেস্ট হবে। পজিটিভ থেকে নেগেটিভ কিংবা নেগেটিভ থেকে পজিটিভ হওয়াটা কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। তাই সতর্কতাই সুরক্ষিত থাকার একমাত্র পথ।’
ওলিম্পিক হবে কি না, তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই গোপীচাঁদের এই ছাত্রীর। তাঁর সাফ কথা, ‘গেমস হবে কি না তা সময়ই বলবে। আমি ট্রেনিংয়ে কোনও ঘাটতি রাখতে চাই না। মার্চে সুইস ওপেনের ফাইনাল খেলার পর শুধুমাত্র ট্রেনিংয়েই ডুবে রয়েছি। লক্ষ্য টোকিও। কোচ প্রতিমুহূর্তে আমার খেলার বিশ্লেষণ করছেন। এ ব্যাপারে আমার বাবাও প্রভূত সাহায্য করছেন। ওলিম্পিকসে আমাকে পদক জিততেই হবে। এটাই আমার এখন এক ও একমাত্র লক্ষ্য।’