বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর বাড়ি ফিরলেন পাপালি। আরব আমিরশাহিতে আইপিএল খেলে দুবাই থেকেই উড়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তিনি। তাই বাকি তিনটি টেস্টে টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা দেখায় ঋষভের উপর। সেই সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান বাঁহাতি উইকেটরক্ষকটি। ব্রিসবেন টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৮৯ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দেন ঋষভ। মূলত তাঁর দাপটেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয়বার টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত, ২-১ ব্যবধানে।
ব্যাট হাতে ঋষভ প্রত্যাশা পূরণে সফল হলেও, উইকেট কিপিংয়ে তাঁকে আরও উন্নতি করতে হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই ব্যাপারে সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধি বলেছেন, ‘ক্লাস ওয়ানে কেউ বীজগণিত শেখে না। ধাপে ধাপে সবাই উন্নতি করে। ঋষভ সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সময়ের সঙ্গে কিপিংয়েও উন্নতি করবে। ও এখন অনেক পরিণত। সেটা পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়েই প্রমাণ করেছে। টি-২০ এবং ওয়ান ডে সিরিজে রাহুল খেলায় ওকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়েছিল। তাতে কিন্তু ঋষভ ভেঙে পড়েনি। বরং যখন সুযোগ এসেছে, সেটা কাজে লাগিয়েছে। এতেই বোঝা যায়, ও কত বড় মাপের পেশাদার ক্রিকেটার।’
২০১৮-১৯ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। তবে এবারের সাফল্যকে সামান্য হলেও এগিয়ে রাখলেন ঋদ্ধিমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার থেকে কম আনন্দ নয়। প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর আমরা দারুণ কামব্যাক করেছি। শেষ তিনটি টেস্টে আমি মাঠে না নামলেও দলের লড়াইয়ে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। একটা সময় মনে হয়েছিল, ব্রিসবেনে আমরা প্রথম একাদশ নামাতে পারব না। সেখান থেকে এভাবে ম্যাচ ও সিরিজ জয় কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছিল দলের প্রত্যেক সদস্য। আমাদের প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি। অনেকে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও কখনও মনে হয়নি দল দুর্বল হয়ে পড়েছে। গাব্বায় ঋষভের অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস, কখনও ভোলার নয়।’