বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইনিংসের বিরতিতে জাদেজার কানকাশন-সাব হিসেবে যুজবেন্দ্র চাহালকে খেলানোর আবেদন জানায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার চিকিৎসক অভিজিৎ সালভের রিপোর্ট দেখে সম্মতি দেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ম্যাচ রেফারির সঙ্গে রীতিমতো তর্ক জুড়ে দেন তিনি। ল্যাঙ্গারের যুক্তি ছিল, ‘জাদেজা অলরাউন্ডার। তার পরিবর্তে কি করে স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলাতে পারে ভারত? আইসিসি’র নিয়মে বলা হয়েছে, বোলার চোট পেলে বোলার, কিংবা ব্যাটসম্যান চোট পেলে ব্যাটসম্যানই কনকাশন-সাব নেওয়া যাবে। সেই নিয়ম তো এখানে মানা হচ্ছে না। তাছাড়া জাদেজার হেলমেটে বল লাগার পরেই কনকাশন টেস্ট নেওয়া হয়নি কেন? ওর আসল চোট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।’ ম্যাচ রেফারি অবশ্য তাঁর দাবিকে পাত্তা দেননি। আসলে ল্যাঙ্গার বুঝে গিয়েছিলেন, ক্যানবেরার পিচে রিস্ট স্পিনার চাহাল বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। তাঁর আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।
জয়ের জন্য ১৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল। ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিনচ এবং ডি’আর্শি শর্ট ওপেনিং জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেন। তখন মনে হয়েছিল, এই ম্যাচে আর ফিরে আসা সম্ভব হবে না কোহলি বাহিনীর পক্ষে। কিন্তু চাহালের হাতে বল তুলে দেওয়ার পরেই ম্যাচের মোড় ঘুরতে শুরু করে। প্রথম ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন ফিনচকে (৩৫)। দ্বিতীয় ওভারে আউট করেন স্টিভ স্মিথকে (১২)। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ভারতীয় স্পিনারটি ২৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩টি উইকেট। কনকাশন-সাব হিসেবে ম্যাচের সেরা হয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছেন চাহাল। তাঁর অন্তিম শিকার ম্যাথু ওয়েড (৭)। দারুণ বল করেছেন বাঁহাতি পেসার নটরাজনও। তবে ভারতের ফিল্ডিং ছিল জঘন্য। সহজ ক্যাচ ফেলেন কোহলি ও মণীশ পাণ্ডে।
টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করার আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ওপেনার শিখর ধাওয়ান (১) তৃতীয় ওভারে স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে আইপিএলের ফর্মে যে এখনও মোরচে পড়েনি, সেটা লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং দেখে বোঝা গিয়েছে। তাঁকে বাদ দিলে ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থই। কোহলি (৯), সঞ্জু স্যামসন (২৩), মণীশ পাণ্ডে (২) আশাহত করেছেন। হার্দিক পান্ডিয়া চালিয়ে খেলতে গিয়ে ১৬ রানে আউট হন। জাদেজা ২৩ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস না খেললে ভারতের ইনিংস অনেক আগেই আটকে যেত। তাই সমর্থকদের চোখে জাড্ডুই আসল ‘হিরো’।