নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনার চোখরাঙানি এখনও অব্যাহত। তাই দেশের মাটিতে কবে ফেরে ক্রিকেট শুরু হবে কেউ জানে না। আগামী বছর জানুয়ারিতে ভারতে পাঁচটি টেস্ট, তিনটি ওয়ান ডে এবং তিনটি টি-২০ খেলতে আসার কথা ইংল্যান্ডের। তবে এই সিরিজ ঘিরেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। শোনা যাচ্ছে, পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও করতে পারে বিসিসিআই। এই ব্যাপারে কিছুদিন আগেই দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে মউ সাক্ষর হয়েছে। তবে সোমবার বেঙ্গল পিয়ারলেসের এক অনুষ্ঠানে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ আমরা দেশের মাটিতেই করতে চাই। মুম্বইয়ে সিসিআই, ওয়াংখেড়ে এবং ডি ওয়াই পাতিলের ব্যবস্থা খুবই ভালো। ইডেনও প্রস্তুত। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। আমাদের মূল লক্ষ্যই হল, দেশে ফের ক্রিকেট চালু করা। মাঠে ফেরার জন্য ক্রিকেটাররা মুখিয়ে রয়েছে। ভারতীয় বোর্ডও ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করার ব্যাপারে তৎপর। কিন্তু সব কিছু আমাদের হাতে নেই। তাই কোভিড পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে।’ গত মরশুমে ভারতীয় বোর্ড ২০৩৬টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল। কিন্তু এবার সেই সংখ্যাটা কমবে। বোর্ড সভাপতির যুক্তি, ‘সব ম্যাচে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা সম্ভব নয়। তার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করছি, যত বেশি সম্ভব ম্যাচ আয়োজন করা যায়।’ চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এখনও ছন্দে পাওয়া যায়নি। সুযোগ থাকলেও মাহি উপরের দিকে ব্যাট করতে নামছেন না। তা নিয়ে অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করছেন। তবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি পাশে দাঁড়ালেন চেন্নাই সুপার কিংসের ক্যাপ্টেনের। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ও খেলার মধ্যে ছিল না। যতই বড় ক্রিকেটার হোক না কেন, এতদিন মাঠের বাইরে থাকলে পারফরম্যান্সে ঘাটতি দেখা যাবেই। সেটাই হচ্ছে ধোনির ক্ষেত্রে। আমার মনে হয়, ওকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া দরকার। মাহি যখন চূড়ান্ত ফর্মে ছিল, দেশকে নেতৃত্ব দিত, তখনও আমি বলেছিলাম ওর চার নম্বরে ব্যাট করা উচিত। সেটা যে ও পারে, তা অতীতে প্রমাণ করে দেখিয়েছে।’
এদিকে, বোর্ড সভাপতি হয়েও দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আয়ারকে পরামর্শ দেওয়ায় সৌরভকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গতবার তিনি দিল্লি দলের মেন্টর ছিলেন। কিন্তু বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সেই দায়িত্ব তাঁকে ছাড়তে হয়। কিন্তু সৌরভ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি বোর্ড সভাপতি ঠিকই, কিন্তু ভুলে গেলে হবে না পাঁচশোর (৪২৪) বেশি ম্যাচ খেলেছি দেশের হয়ে। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতেই পারি। সেটা শ্রেয়াস না হয়ে বিরাট কোহলিও হতে পারে।’