বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছে সিএসকে। ম্যাচের ফল দেখে মনে হতে পারে আগাগোড়াই দাপট ছিল ধোনির দলের। কিন্তু তা নয়। প্রথম দিকে অনেক ভুলভ্রান্তি করেন চেন্নাইয়ের পেসাররা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার চেষ্টা করেছিলেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি’কক। কিন্তু প্রতিপক্ষের পালের হাওয়া কীভাবে কাড়তে হয়, সেটা ভালোই জানেন এমএসডি। অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে সঠিক সময়ে তিনি বোলিং পরিবর্তন করেন। তাতেই চাপে পড়ে যায় মুম্বই।
শুধু তাই নয়, সুরেশ রায়না আচমকা দেশে ফিরে যাওয়ার অনেকেই বলেছিলেন, এবার চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং দুর্বল হয়ে গেল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই অম্বাতি রায়াডু, ফাফ ডু’প্লেসিরা বুঝিয়ে দিলেন, কেউই অপরিহার্য নয়। দু’জনেই অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। তার থেকে চেয়ে বড় ব্যাপার হল, ধোনি নিজে না নেমে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও স্যাম কুরানকে। তার ফলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রণকৌশল ব্যর্থ হয়।
ম্যাচ জেতার পর ধোনিকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন সতীর্থরা। ধোনি অবশ্য নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য যে অনেক বড়। খেতাব জিতে দেশে ফেরাটাকেই পাখির চোখ করেছেন এমএসডি। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতার মূল্য অপরিসীম। সেটা বছরের বছর খেলার সুবাদে অর্জন করা যায়। তিনশোর বেশি একদিনের ম্যাচ খেলার পর এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে প্রথম একাদশ চয়নে কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই ধরনের বড় ম্যাচে অভিজ্ঞতা দারুণ কাজে লাগে। প্রথম একাদশে সিনিয়র ও জুনিয়রদের চয়নের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিতে বাড়তি নজর দিয়েছিলাম। প্রথম ম্যাচে কন্ডিশন বুঝতে আমাদের বোলারদের কয়েক ওভার সময় লেগেছিল। তবে ভুল শুধরে নিতে বেশি দেরি হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়ছিল অনেক বেশি। সেই সুবিধাও আমরা পেয়েছি।’