বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্ৰশ্ন: আরও একবার রনজি জেতানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই ফেললেন?
অরুণ লাল: একটা সময় পর্যন্ত মনে হয়েছিল, দায়িত্ব ছেড়ে দেব। কিন্তু সিএবি কর্তারা নাছোড়বান্দা। অনুরোধ ফেলতে পারলাম না। আর একবার চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কোথায়! গতবার ছেলেরা খুব ভালো পারফর্ম করেছিল। আমরা যদি ব্যাটিং সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার কোনও কারণ নেই।
প্রশ্ন: করোনার জেরে প্রায় তিন মাস প্রাকটিস বন্ধ। এবার তো লড়াই অনেক বেশি কঠিন?
অরুণ লাল: না না। বাংলা ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে করোনা খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। ছেলেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভালোই ঘাম ঝরিয়েছে। কথাবার্তা শুনে খুবই চনমনে মনে হচ্ছে ওদের।
প্ৰশ্ন: কীভাবে শুরু করবেন বলে ভাবছেন?
অরুণ লাল: গতবার আমরা জুলাই-আগস্টে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করেছিলাম। এবারও তা করব। ইচ্ছা রয়েছে, কল্যাণীতে আবাসিক শিবির করার। ছেলেদের এক জায়গায় রেখে অনুশীলন করাতে পারলে বন্ডিং বাড়বে। অনেক ক্রিকেটার দূর থেকে আসে। যাতায়াতের সমস্যাও মিটবে।
প্ৰশ্ন: গতবার টপ অর্ডার ব্যাটিং আপনাকে বেশ বেগ দিয়েছিল। এই সমস্যা মেটানোর জন্য বিশেষ কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
অরুণ লাল: আসলে অভিমুন্য ঈশ্বরণ রান না পাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। এবার ও ছন্দে ফিরলে বাংলার ব্যাটিং লাইন-আপকে আরও শক্তিশালী মনে হবে। তবে শুধু টপ অর্ডার নয়, রনজি জিততে হলে প্রত্যেককেই পারফর্ম করতে হবে। আমি খুব লাকি যে, অর্ণব এবং শাহবাজের মতো প্রতিভাবান অলরাউন্ডারকে দলে পেয়েছি।
প্ৰশ্ন: আপনি নাকি ভিন রাজ্য থেকে ক্রিকেটার আনার পরিকল্পনা করছেন?
অরুণ লাল: তেমন কিছু নয়। আসলে গতবার ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে হয়েছিল। তাই ভেবেছিলাম, অন্য রাজ্য থেকে একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নেব। কিন্তু যাদের নাম পেয়েছি, তাদের থেকে আমার ছেলেরা কোনও অংশে কম নয়। তাই আপাতত ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার খেলানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।
প্ৰশ্ন: আপনার কি মনে হয় বাংলার পেস অ্যাটাক এই মুহূর্তে ভারত সেরা?
অরুণ লাল: অবশ্যই। ওদের পারফরম্যান্স বাকিদের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন। মূলত বোলারদের জন্যই গতবার আমরা ফাইনালে উঠেছি। তবে এখনও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। শুধু ঈশান, আকাশ কিংবা মুকেশ নয়, নীলকণ্ঠ দাসও দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। পেস বোলিংয়ের একটা রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি করতে চাই। যাতে কেউ চোট পেলে সমস্যায় পড়তে না হয়। ফাইল চিত্র